পথ পেল রিয়াল, রোনালদোর জন্য ভক্তদের আক্ষেপ



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গোল পেলেন গ্যারাথ বেল

গোল পেলেন গ্যারাথ বেল

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বিহীন রিয়াল মাদ্রিদ কেন যেন ছন্নছাড়া। উয়েফা সুপার কাপেই তার এক ঝলক দেখা গেছে। তবে বাস্তবতাকে তো আর পাশ কাটানোর সুযোগ নেই। রোনালদো এখন জুভেন্টাসে। তাকে ছাড়াই ভাবতে হচ্ছে দলকে। তবে স্বস্তির খবর কিছুটা হলেও সেই প্লেমেকারের অভাব কিছুটা হলেও পুষিয়ে দিচ্ছেন গ্যারাথ বেল। রোববার রাতে স্প্যানিশ লা লিগায় তার ম্যাজিকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।

সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে নিজেদের মাঠে ২-০ গোলে গেতাফে হারিয়েছে তারা। দানি কারভাহালের গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় দল। এরপর ব্যবধান দ্বিগুন করেন বেল।

ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষকে শুরুতেই কোনাঠাসা করে ফেলে রিয়াল। তবে প্রথম গোলের জন্য ২০তম মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। গ্যারাথ বেলের ক্রস আটকে দিয়েছিলেন গেতাফের গোলকিপার। পরে বলের নিয়ন্ত্রন নিয়ে কারভাহাল গোল করতে ভুল করলেন না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/20/1534744263556.JPG

এরপর ৩৪তম মিনিটে ব্যবধানটা দ্বিগুনই হতে পারতো। ডি বক্সে সার্জিও রামোসকে ফাউল করেন গেতাফের এক ফুটবলার। পেনাল্টি পায় রিয়াল। যদিও করিম বেনজেমা অফসাইডে থাকায় পরে সেই সিদ্ধান্তটা বাতিল হয়ে যায়।

৫১তম মিনিটে এসে ফের এগিয়ে যায় স্পেনের সবচেয়ে সফল এই ক্লাবটি। মার্কো আসেনসিওর কাছ থেকে ক্রস পেয়ে বল জালে জড়ান বেল। এই ব্যবধান ধরে মাঠ ছাড়ে রিয়াল।
তবে দলটির সমর্থকরা এখনো রোনালদোকে ভুলতে পারেন নি। টানা ৯ বছর পর সিআর-সেভেন নেই দলে। বার্নাব্যুর গ্যালারিতে লা লিগার প্রথম ম্যাচেই দর্শক থাকল মাত্র ৪৮ হাজার ৪৬৬ জন। অথচ দর্শক ধারণক্ষমতা এক লাখের বেশি!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/20/1534744285843.jpg

বলা হচ্ছে, রোনালদোর কারণেই এমন দর্শক খরা। ফিফার বর্ষসেরার জন্য আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে ভক্তদের। গত দশ বছরে লা লিগায় নিজেদের প্রথম ম্যাচে এবার সবচেয়ে কম দর্শকের উপস্থিতি দেখা গেল!

   

ক্রিকেট তার রক্তে মিশে আছে, বললেন বোল্ট



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উসাইন বোল্ট, সর্বকালের সেরা দৌড়বিদদের মধ্যে অন্যতম একজন। অলিম্পিকে আটটি স্বর্ণপদক লেখা আছে তার নামের পাশে। ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের রেকর্ড এখনও তার দখলে। খুব স্বাভাবিকভাবেই যখন তাকে ক্রিকেট খেলাটির সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাটের নাম জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তার উত্তর ছিল ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট’।

জ্যামাইকাতে যখন বোল্ট নিজের কৈশোরকাল পার করছিলেন, তখন তার ইচ্ছা ছিল দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলবেন এবং একজন ফাস্ট বোলার হবেন। পরবর্তীতে ক্রিকেট বল হাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাঠে দৌড়ানো না হলেও অন্য খেলায় ঠিকই দৌড়েছেন। এই দৌড়ানোর মাধ্যমেই হয়েছেন বিশ্বসেরা।

আগামী ২ জুন থেকে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। স্বাগতিক দেশ হিসেবে এবার আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। বোল্টের ক্রিকেট খেলা দিয়ে ক্যারিয়ার গড়া না হলেও এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত বানানো হয়েছে তাকে।

শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পর তার অনুভূতি জানিয়েছেন বোল্ট, 'আমি ক্রিকেটের মধ্যেই বড় হয়েছি। আমার বাবা একজন বিশাল ক্রিকেট ভক্ত ছিলেন এবং এখনও আছেন। এটি আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ক্রিকেট খেলাটির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন তো আমার পূরণ করা হয়নি, তাই শুভেচ্ছাদূত হয়ে পেরে আমি আনন্দিত।'

বাকি দুই ফরম্যাটের তুলনায় স্বল্প ওভারের ফরম্যাটটিই বোল্টের বেশি পছন্দের বলে জানা তিনি, 'সময়ের অভাবে আমার খুব একটা ক্রিকেট ম্যাচ দেখার সুযোগ না হলেও যখনই আমার কাছে সুযোগ থাকে আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখি। যখন থেকে এটি শুরু হয়েছিল তখনই আমার এটি দুর্দান্ত লেগেছিল। কারণ এখানে আপনাকে দ্রুত ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, পাশাপাশি শক্তির প্রয়োগও করতে হয়। মাঠে খেলোয়াড়দের সাজানো থেকে শুরু করে সবকিছুই আপনাকে অতি দ্রুত করতে হয়।'

বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রেও ক্রিকেটের ব্যাপক প্রচার হচ্ছে এবং আগামীতে আরও বেশি মানুষ এই খেলাটির প্রতি আকৃষ্ট হবে মনে করেন বোল্ট, 'আমি নিশ্চিতভাবেই মনে করি যে যুক্তরাষ্ট্রে এই খেলার জনপ্রিয়তা বাড়বে। যখন কোনো খেলা বড় পরিসরে কোথাও অনুষ্ঠিত হয় তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই দেশের মানুষজন সে খেলাটি সম্পর্কে আরও জানতে চায়।'

প্রিয় কয়েকজন ক্রিকেটারদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে এই তারকা এথলেট বলেন, 'আমার প্রিয় একজন ক্রিকেটার হলেন ওয়াসিম আকরাম, তার খেলা দেখেই বেড়ে উঠেছি। বিশেষ করে তার ইনসুইং ইয়র্কারগুলো। এছাড়াও আমি কোর্টনি ওয়ালশ ও কার্টলি এমব্রোসেরও বড় ভক্ত ছিলাম। ভারতের শচীন টেন্ডুলকারের একজন ভক্ত আমি। তিনি এবং ব্রায়ান লারা আমার বেড়ে উঠার সময় আমার জীবনেরই অংশ ছিলেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অসাধারণ ছিল। আমি মনে করি বর্তমান সময়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে বিরাট কোহলিই সবার সেরা।'

;

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলকে মাশরাফির শুভকামনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরকে সামনে রেখে গতকাল রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল। কিছুটা সময় হাতে নিয়েই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শান্ত-তাসকিনদের। কেননা বিশ্বকাপের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। 

গতকাল বিশ্বকাপ দলের যাত্রার পরপরই শুভকামনা জানিয়েছেন সাইফউদ্দিন, মুশফিক, মিরাজরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে শান্ত-সাকিবদের শুভকামনা জানিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। 

সেই পোস্টে মাশরাফি লিখেছেন, ‘সাহস সবসময় গর্জন করে না, শুধু দিন শেষে শান্ত কন্ঠস্বরে বলে, আগামীকাল চেষ্টা করব। গো অ্যান্ড কিল ইট চ্যাম্পস। সব সময় শুভকামনা আমার প্রাণের দেশ, প্রাণের দলের প্রতি।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে আগামী ২১, ২৩ ও ২৫ মে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নামবে বাংলাদেশ। পরে বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচও যুক্তরাষ্ট্রেই। বাংলাদেশ সময় আগামী ৮ জুন ভোর সাড়ে ৬টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শান্ত-তাসকিনদের বিশ্বকাপ যাত্রা। 

;

নিউইয়র্কের ড্রপ-ইন পিচ নিয়ে চিন্তিত নয় আইসিসি 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১ জুন ডালাসে কানাডার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি দিয়ে পর্দা উঠতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ওয়েস্ট ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আসরটির আয়োজক। ডালাস ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র পর্বের ম্যাচগুলো হবে নিউইয়র্ক ও লডারহিলে। বিশ্বকাপের বেশিরভাগ ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজে হলেও তর্কসাপেক্ষে গ্রুপপর্বের সবচেয়ে বড় ম্যাচ, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি হবে নিউইয়র্কে। 

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির আইজেনহাওয়ার পার্কের স্টেডিয়ামটি মূলত অস্থায়ী। বিশ্বকাপের জন্যই যেটিকে তৈরি করা হয়েছে। সেই স্টেডিয়ামের পিচগুলো ড্রপ-ইন পিচ। ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটিতে হবে আসরের আট ম্যাচ। যার মধ্যে আছে হাইভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এতে অস্থায়ী মাঠ ও ড্রপ-ইন পিচ কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে উঠেছিল আলোচনা। তবে নিউইয়র্কের স্টেডিয়ামটি নিয়ে চিন্তিত নয় আইসিসি (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল)। 

স্টেডিয়ামের কাছাকাছি অনুশীলনে সুবিধার জন্য ছয়টি ড্রপ-ইন পিচও বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

অস্ট্রেলিয়ায় এই ড্রপ-ইন পিচ গুলো বানানো এবং সেগুলো ফ্লোরিডা হয়ে নিউইয়র্কে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আইসিসি দিয়েছিল অ্যাডিলেড ওভালের পিচ কিউরেটর ড্যামিয়ান হাফকে। 

টুর্নামেন্টটি শুরু হতে বাকি আর পুরো দুই সপ্তাহ এবং নিউইয়র্কে প্রথম ম্যাচ আগামী ৩ জুন। এতেই প্রায় আড়াই সপ্তাহ সময় হাতে রেখে তাই হাফ জানালেন পিচগুলো নিয়ে ‘চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ 

পিচের অবস্থা জানিয়ে হাফ বলেন, ‘কোনো ভয় নেই। বিশ্বের সেরা কিছু পিচগুলোও ড্রপ-ইন পিচ। আমরা যেকোনো জায়গায় সেগুলো তৈরি করতে পারি।’

;

আতালান্তাকে হারিয়ে কোপা ইতালিয়া চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালিয়ান শীর্ষ ক্লাব সেরি আ-তে ২০১১-১২ মৌসুম থেকে টানা নয় আসরে লিগ চ্যাম্পিয়ন ছিল জুভেন্টাস। তবে ২০২০-২১ এ এসে তাদের রাজত্ব থামিয়ে লিগ শিরোপা জেতে ইন্টার মিলান। এরপর থেকে লিগ মৌসুমে থেকে শীর্ষ তিনেও জায়গা করতে পারেনি লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটি। এমনকি গত মৌসুমে দ্য লেডিরা ছিল শিরোপা শূন্য। সেই খরা কাটিয়ে তিন বছরে এই প্রথম শিরোপা জিতল জুভেন্টাস। দুশান ভ্লাহোভিচের একমাত্র গোলে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে আতালান্তাকে হারিয়েছে মাসসিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দলটি। 

সেরি আ-তে রেকর্ড ৩৬ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি কোপা ইতালিয়া ইতিহাসেরও সবচেয়ে সফল দল। আতালান্তার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে এই জয়ে রেকর্ড ১৫ বারের মতো কোপা ইতালিয়া জিতল জুভেন্টাস। 

রোমের এস্তাদিও অলিম্পিকোতে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই আতালান্তার জালে বড় জড়ান ভ্লাহোভিচ। ডি-বক্সের অনেকটা বাইরে পাস পেয়ে সেটি ধরে ডিফেন্ডারদের ছাড়িয়ে ডি-বক্সে চুকে বল লক্ষ্যে পৌঁছে দেন এই সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ৭৩তম মিনিটে আরও একবার বল জালের জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ভিএআরে সেটি বাতিল বলে ঘোষণা হয়। 

এদিকে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে উঠে ১৯৬৩ সালের পর প্রথম কোনো শিরোপার দুয়ারে পৌঁছেছিল আতালান্তা। তবে শিরোপার অপেক্ষা বাড়লেও চলতি মৌসুমে আরও একটি সুযোগ থাকছে ক্লাবটির। উয়েফা ইউরোপা লিগেও ফাইনালে উঠেছে আতালান্তা। আগামী ২২ মে বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে শিরোপা খরা কাটানোর লড়াইয়ে আরও একবার নামবে আতালান্তা। 

;