আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রী 

  • স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় দলে অভিষেকটা প্রায় ১৯ বছর আগে। ২০০৫ সালের ১২ জুন পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে গোলও করেছিলেন। সেখান থেকেই ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম এক নামের উত্থান, সুনীল ছেত্রী। অবশেষে ভারতীয় ফুটবলের সোনালি এই অধ্যায়ের হতে চলেছে অবসান। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন ভারতের এই অধিনায়ক। 

ভারতের হয়ে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ১৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অনন্য কীর্তি গড়েছেন সুনীল। এবং নিজের ১৫১তম ম্যাচ খেলেই অবসরে যাবেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক ভিডিও বার্তায় নিজেই অবসরের ঘোষণা দেন সুনীল। 

বিজ্ঞাপন

আগামী ৬ জুন নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে কুয়েতের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবারের মতো নামবেন সুনীল। 

উপমহাদেশের কোনো ফুটবলারের বিশ্ব অঙ্গনেও কিংবদন্তি বনে যাওয়া মোটেও সহজ ছিল না। ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে সেটিই করে দেখিয়েছেন সুনীল। ১৫০ ম্যাচে করেছেন ৯৪ গোল। যা আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, আলী দায়ই, লিওনেল মেসির পরের নামটাই সুনীলের। 

বিজ্ঞাপন

অবসরের ঘোষণা দিয়ে সেই ভিডিও বার্তায় সুনীল বলেন, ‘একটা দিন জীবনে কোনো দিনও ভুলতে পারব না। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথমবার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য সেই অনুভূতি। তবে তার আগের দিন সকালে জাতীয় দলে আমার প্রথম কোচ সুখী স্যর (সুখবিন্দর সিংহ) এসে আমাকে জানিয়েছিলেন, প্রথম একাদশে আমি রয়েছি। বলে বোঝাতে পারব না কেমন ছিল সেই অনুভূতি।’ 

বিদায় বেলায় এসে পুরো ক্যারিয়ারটা যেন চোখের সামনে ভাসছে ছেত্রীর। মনে করিয়ে দিচ্ছে নানা স্মৃতি।  ‘এটাই আমার শেষ ম্যাচ, এটা যখন নিজেকে বলি, তখন অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল। বিষয়টা অদ্ভুত। বিশেষ কিছু ম্যাচের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। একাধিক কোচ, ভিন্ন ভিন্ন কিছু দলের কথা, বিভিন্ন মাঠের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল আমার।’

জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল ছাড়াও সুনীলের খেতাবের তালিকাটাও বেশ চওড়া। তিনি ছয় বার জিতেছেন এআইএফএফ বর্ষসেরার পুরস্কার, ২০১১ সালে অর্জুনা পুরস্কার, ২০১৯ সালে জিতেছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বেই ভারত পেয়েছে সাফ শিরোপা। এছাড়া  ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১২ সালে নেহরু কাপ এবং ২০১৭ ও ২০১৮ জিতেছেন ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ।