`প্রাচ্যের জাদুকর' কাদিরের মহাপ্রয়াণে ব্যথিত ইমরান



নজরুল ইসলাম, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ক্যাপ্টেন ইমরানের পাশে ফ্রেঞ্চকাট দাড়িতে স্পিন জাদুকর আব্দুল কাদির , ছবি: সংগৃহীত

ক্যাপ্টেন ইমরানের পাশে ফ্রেঞ্চকাট দাড়িতে স্পিন জাদুকর আব্দুল কাদির , ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

১৯৭৭ সালে টেস্ট অভিষেকের পর আব্দুল কাদিরকে সবাই প্রায় ভুলতেই বসে ছিল। তা হবেই বা না কেন? ঘরোয়া ক্রিকেটের দলে সুযোগ পেতেই যে লড়াই করতে হচ্ছিল তাকে। ঘটনাক্রমে ১৯৮২ সালে পাকিস্তানের অনুশীলনে তার সঙ্গে ইমরান খানের দেখা। সেই সাক্ষাতেই কপাল খুলে যায় কাদিরের।

১৯৮২ সালে পাকিস্তানের নেতৃত্বভার কাঁধে তুলে নেন ইমরান খান। অধিনায়ক হিসেবে তার প্রথম চ্যালেঞ্জিং অ্যাসাইনমেন্ট ছিল ইংল্যান্ড সফর। দলের ১৬ জন ক্রিকেটারকে নিয়ে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিজেদের ঝালাই করে নিচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন ইমরান।

অনুশীলনের ফাঁকে হঠাৎই ক্যাপ্টেন ইমরান খান খেয়াল করেন নেটের পাশে দাঁড়িয়ে অতি সাধারণ এক ক্রিকেটার ব্যাটসম্যানদের অনুশীলন দেখছেন। তিনি আর কেউ নন আব্দুল কাদির। প্রথমে না চিনলেও বল করার পর কাদিরকে চিনতে আর অসুবিধে হয়নি পাকিস্তান অধিনায়কের।

কুশলাদি জানতে চাইতেই কাদির এমন ভাব নেন যেন এমনি এসেছেন। নিজের ‘অল রাউন্ড ভিউ’ বইয়ে ইমরান তা লিখেছেনও। সেদিন কাদিরের বোলিং মনে ধরে যায় ইমরানের। তখন পাকিস্তান দলে পেসারদের রাজ্যত্ব। ইমরান নিজে তো ছিলেনই। সঙ্গে ছিলেন সরফরাজ নওয়াজ, সিকান্দার বখত ও তাহির নকশ। স্পিনার হিসেবে ছিলেন ইকবাল কাশিম ও তাউসিফ আহমেদ।

কিন্তু তারপরও ইমরান বৈচিত্র্য আনতে দলে চাইলেন কাদিরকে। নির্বাচকরা প্রথমে রাজি হননি। ইমরান তো নাছোড়-বান্দা। হুমকি দিয়ে বসলেন- কাদির দলে না থাকলে তিনিও যাবেন না সফরে। এতে কাজ হয়ে যায়। কাদিরের জায়গা হলো দলে। কাদিরকে পেয়েই মানসিক ভাবে তৈরী করলেন দলনেতা। সঙ্গে ইংল্যান্ডের সামনে কাদিরকে রহস্যময় হিসেবে উপস্থান করতে বুদ্ধি খাটালেন ইমরান। যাতে ইংলিশ গণমাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

প্রিয় বন্ধু ইমরান খানের সঙ্গে আলাপ-চারিতায় আব্দুল কাদির, ছবি: সংগৃহীত

 

কাদিরকে ‘গোটি’ দাড়ি রাখার পরামর্শ দিলেন ইমরান। যা অনেকটাই ‘ফ্রেঞ্চকাট’ দাড়ির মতো। যাতে ইংলিশদের সামনে অচেনা কাদিরকে খানিকটা ভীতিকর আর খানিকটা জাদুকরী ভাব এনে দেয়। ইমরানের কথা মতো দাড়ি রেখে ইংল্যান্ড সফরে কাদির পদবী পেয়ে গেলেন ‘উইজার্ড অব ইস্ট’ মানে প্রাচ্যের জাদুকর।

শুধু দাড়ি রাখার জন্য নয়। মাঠের পারফরম্যান্সে ইংলিশদের নাস্তানাবুদ করেই এ তকমা পান কাদির। সফরে ১৫টি প্রস্তুতি ম্যাচ, দুটি একদিনের ম্যাচ আর তিনটি টেস্ট খেলে পাকিস্তান। তবে ওয়ানডেতে তিনি মাঠে নামেননি। ১২ ম্যাচ খেলে ৫৭ উইকেট শিকার করেন কাদির। ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেন চারবার। আর ১০ উইকেট শিকার করেন একবার। যার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের জায়গা শক্ত করেন কাদির।

এক দিনের ক্রিকেটে এক সময় পাত্তাই পেতেন না লেগ স্পিনাররা। কিন্তু প্রায় পথ হারিয়ে ফেলা কাদিরকে ফিরিয়ে এনে সেই ধারণা পাল্টে দেন ইমরান। তার হাত ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে লেগ স্পিনকে নতুন জীবন দেন কাদির। টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে ইমরানের সঙ্গে কাদির গড়ে তোলেন ভয়ানক বোলিং জুটি।

৬৭ টেস্ট ও ১০৪ ওয়ানডে খেলা সেই জাদুকরি লেগ স্পিনার আবদুল কাদির (৬৩) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার চলে গেছেন পরলোকে। খেলোয়াড়ি জীবনের এ প্রিয় সতীর্থ ও বন্ধুকে হারিয়ে শোকে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

এক শোকবার্তায় ইমরান বলেন, ‘ভালো একজন বন্ধু হারালাম। সঙ্গে দুরন্ত এক ক্রিকেটারকে যে দেশের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে।’

টুইট বার্তায় ইমরান লিখেন, ‘কাদির না ফেরার দেশে চলে যাওয়ায় আমি ব্যথিত। তার পরিবারের জন্য দোয়া ও সমবেদনা রইল। আবদুল কাদির ক্রিকেট প্রতিভার এক নাম, সর্বকালের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার। তার মজার কথায় দল আর ড্রেসিংরুম সব সময় উজ্জেবিত থাকত।’

   

ক্রলি ও স্মিথের খেলা পছন্দ করেন রোহিত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিত শর্মা, ভারত জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার। নিজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে একাধিক রেকর্ড করে প্রতিনিয়তই ছাড়িয়ে যাচ্ছে নিজেকেই। বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারেরই অনুপ্রেরণার এবং পছন্দের খেলোয়াড় রোহিত। কিন্তু রোহিতে পছন্দের ক্রিকেটার কে বা কারা?

এ বিষয়ে এবার জানিয়েছেন রোহিত শর্মা নিজেই। তরুণ ইংলিশ ব্যাটার জ্যাক ক্রলি এবং অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ব্যাটার স্টিভ স্মিথ হচ্ছে তার পছন্দের ক্রিকেটার। সম্প্রতি দুবাই আই নামক এক রেডিও অনুষ্ঠানে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক।

সেই অনুষ্ঠানে রোহিত বলেছেন, ‘আমি জ্যাককে খুব কাছে থেকে দেখেছি এবং তাকে খেলতে দেখা অত্যন্ত আনন্দের। স্টিভ স্মিথের ব্যাটিংও আমার খুব প্রিয়, তবে সে সবার থেকে আলাদা। তার বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা আছে। তার নিজস্ব খেলার ধরণ আছে যার মাধ্যমেই সে আজ সফলদের একজন।‘

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেই অজি ব্যাটার স্মিথের নাম। ফর্ম এবং পারফরম্যান্সের ধার আগের মতো হয়ত নেই এজন্যেই বাদ পড়েছেন স্কোয়াড থেকে। তবে সময়ের অন্যত্ম সেরা ব্যাটার হিসেবেই ধরা হয় তাকে।

;

আগামী মৌসুমের আইপিএলেও খেলবেন ধোনি?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে এখনও মাঠ কাঁপিয়ে যাচ্ছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। গত মৌসুম আইপিএল থেকে অবসরে যাওয়ার কথা থাকলেও সেবার তার দল শিরোপা জিতে নেওয়ায় নিজের সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনেন তিনি। ফলস্বরূপ আইপিএলের চলতি আসরেও খেলছেন তিনি।

চলতি আইপিএলেই শেষ হচ্ছে ধোনির ক্রিকেট অধ্যায়, এমনটাই ধরে নিয়েছেন তার সমর্থকরা। তবে চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইকেল হাসির কথায় প্রকাশ পেল ভিন্ন কিছু। ৪২ বছরের ধোনিকে আরও কয়েক বছর মাঠের ক্রিকেটে দেখছেন তিনি।

এবারের আইপিএলে সময়টা বেশ ভালোই কাটছে ধোনির। এখন পর্যন্ত ১০ ইনিংস ব্যাট করতে নেমে ২২৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে রান তুলেছেন ১৩৬। তবে ধোনি ভক্তদের আবদারটা ছিল তাকে আরও আগে ব্যাটিংয়ে নামানো। কেননা, সবশেষ পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৯ নম্বরে ব্যাট করতে নেমেও ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালিয়েছেন তিনি।

তবে ভক্তদের এমন দাবী রাখা সম্ভব না। কারণটাও জানিয়েছেন হাসি, ‘আমি জানি ভক্তরা সম্ভবত তাকে আরও ওপরে ব্যাটিং করতে দেখতে চায়। কিন্তু হাঁটুর অস্ত্রোপচারের কারণেই আমাদের তাকে কিছুটা পরে নামাতে হচ্ছে। তবে এটা সত্যি এমএস-এর থেকে এতটা ক্লিন হিট করতে পারার মত আমাদের কেউ ছিল না।’

ধোনি কি আগামী মৌসুমেও খেলবে কিনা এমন প্রশ্নে হাসি বলেন, ‘আমরা আশা করছি সে চালিয়ে যাবে। কারণ, সে এখনও খুব ভাল ব্যাটিং করছে। সে ভাল প্রস্তুতি নেয় - সে খুব তাড়াতাড়ি ক্যাম্পে আসে এবং প্রচুর বল হিট করে। সে সত্যিই পুরো মৌসুমে ভাল ছন্দে ছিল। তবে গত মৌসুমের পর তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাই এই টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই তাকে সেটা মাথায় রেখে খেলতে হচ্ছে।’

ধোনির অবসর প্রসঙ্গে কোচ আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে আমি আশা করি ধোনি আরও কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যাবেন। তবে দিনশেষে এটা তার সিদ্ধান্ত, আমরা কেবল এটার জন্য অপেক্ষা করতে পারি। তবে আমি শীঘ্রই তার কাছ থেকে এমন সিদ্ধান্ত আশা করব না।‘

;

ভিএআর বাতিল বিষয়ে ভোট দিবে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফুটবল খেলার শুরু থেকেই এটি পরিচালনার জন্য একজন রেফারি থাকার নিয়ম করা হয়। বিশেষ মুহুর্তে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে সেটি মাঠে থাকা রেফারিই করে থাকেন। এছাড়া মাঠের দুই পাশে দুইজন লাইন্সম্যান থাকেন যারা রেফারিকে সহযোগিতা করেন। সময়ের সঙ্গে এই খেলায় যোগ হলো ভিন্নধর্মী নিয়ম। প্রযুক্তির ছোঁয়ায় যোগ হলো ভিএআর (ভিডিও অ্যাসিস্টেন্ট রেফারি)।

২০১৬ সালে সর্বপ্রথম মূল কোনো ম্যাচে এই নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ শুরু হয়। মানুষ মাত্রই ভুল, মাঠে সিদ্ধান্ত দেওয়ার সময় রেফারিরাও ভুল করেন। বড় রকমের ভুল সিদ্ধান্ত রেফারি দিয়েছেন যার ফলে খেলার মোর ঘুরে গেছে এরকম নজিরও অনেক আছে। এই ভুলগুলো যাতে আর না হয় এজন্যেই এই ভিএআরের প্রয়োগ শুরু হয়।

তবে সমস্যা সমাধানের জন্য আনা ভিএআরই যেন সাম্প্রতিক সময়ে সমস্যার মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে এই প্রযুক্তির ভুল প্রয়োগ নিয়ে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা এবং প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। জন্ম নিয়েছে নানা বিতর্কেরও।

বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে সমাধান করতে এবার ভিএআরের থাকা কিংবা না থাকা বিষয়ে ভোটের ব্যবস্থা করেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ। আগামী মৌসুমের আগেই ভোটাভুটি করে এই বিষয়টির সুরাহা করতে চায় তারা।

প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব উলভারহ্যাম্পটন ২০২৪-২৫ মৌসুম থেকে ভিএআর বাতিল চেয়ে সম্প্রতি লিগ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সমাধান তুলে ধরেছে। আগামী ৬ জুন লিগের ২০টি ক্লাব ভিএআর এর পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দেবে। কারণ চলতি মৌসুমে ভিএআরের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে গেছে। ক্লাবটি দাবি করে বলেছে যে, ভিএআর প্রিমিয়ার লিগের ঐতিহ্যকে অবমূল্যায়ন করছে।

ভিএআর প্রযুক্তি বাতিল করতে চাইলে এর পক্ষে সর্বনিম্ন দুই-তৃতীয়াংশ ভোট দরকার। অর্থাৎ, প্রিমিয়ার লিগের ২০টি ক্লাবের ১৪টি ক্লাবকে ভিএআরের বিপক্ষে ভোট দিতে হবে। তাহলেই আগামী মৌসুম থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে আর দেখা যাবে না এই প্রযুক্তির প্রয়োগ।

;

কেন খেলেননি মেসি, কারণ জানালেন কোচ মার্টিনো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসি যেদিন ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে নামেন, সেদিনই যেন প্রতিপক্ষকে কাবু করে ফেলে তারা। মেসি মাঠে নামার পর সবশেষ টানা পাঁচ ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছিল মায়ামি, মেসিও ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। সমান তালে গোল করছিলেন এবং করাচ্ছিলেন।

তবে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে বুধবার রাতে অরলান্ডো সিটির বিপক্ষে তাকে পায়নি মায়ামি। ফলে হোঁচটও খেতে হয়েছে ফ্লোরিডার দলটিকে, অরলান্ডো সিটির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। মেসি এই ম্যাচে না খেলার কারণ জানালেন দলের কোচ জেরার্ডো টাটা মার্টিনো। 

গেল রবিবার মন্ট্রিয়লের মুখোমুখি হয়েছিল মায়ামি। যেখানে প্রথমার্ধের শেষ দিকে ফাউলের শিকার হন মেসি। সে কারণে চোট পেয়ে মাঠও ছাড়তে হয়েছিল তাকে। পরে যদিও ফিরে এসে খেলেছেন পুরো ম্যাচে। পরে জানা গিয়েছিল যে তার চোট খুব একটা গুরুতর নয়। এমনকি অনুশীলনও করেছেন তিনি দলের সঙ্গেও। তবুও অরলান্ডোর বিপক্ষে খেলেননি মেসি।

ম্যাচের আগে সবকিছু স্বাভাবিক থাকার পরও মেসির মাঠে না নামা নিয়ে অনেক আলোচনা শুরু হয়। সে প্রশ্নের জবাবে মার্টিনো বলেন, ‘আগের ম্যাচে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছে, তাই সে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিল। সে যে অনুশীলন করেছে, সেটাও কিন্তু চিকিৎসকদের বেধে দেওয়া ছকেই। পরীক্ষার ফল অবশ্য ভালোই এসেছে।’

মার্টিনো আরও বলেন, ‘সে (মেসি) নিজে তো স্বস্তিতে ছিলই না, সঙ্গে এক সপ্তাহে তিনটি ম্যাচের সূচিও আছে আমাদের। সে কারণে আজ তাকে না খেলানোটাকেই ভালো বলে মনে হয়েছে আমাদের। শনিবারের ম্যাচে তাকে খেলাতে চাই আমরা। তবে বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করবে তার উন্নতির ওপর।’ 

মেসি নেই, দলও ভালো খেলেনি, ম্যাচ জিততে পারেনি। মার্টিনোও এই বিষয়ে সহমত জানিয়ে বলেছেন, ‘লিও মাঠে ২৫ মিটার মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে এমন কিছু করে, যা একমাত্র তাকে ছাড়া আর সবার পক্ষেই অসম্ভব। ইন্টার এখন সেটা বুঝছে। বার্সেলোনাও এমনটা ১০ বছর আগে বুঝেছে।’

;