৩-০ এড়াতে বাংলাদেশের চাই ২৯৫ রান



স্পোর্টস এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর,কম
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ব্যাটেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর শ্রীলঙ্কার

অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ব্যাটেই চ্যালেঞ্জিং স্কোর শ্রীলঙ্কার

  • Font increase
  • Font Decrease

বোলিংয়ে ভালো শুরুর একটা আক্ষেপ ছিল অধিনায়ক তামিমের। শেষ ওয়ানডেতে সেই আক্ষেপ অধিনায়কের কিছুটা দূর হলো ঠিকই। কিন্তু মাঝের এবং শেষের বোলিংয়ে যে ভালো বলার মতো কিছু হলো না। সেই সুযোগেই শ্রীলঙ্কা তুলে নিলো ৮ উইকেটে ২৯৪ রান।

প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এই সংগ্রহ গড়পড়তা রানের অনেক নিচে। কিন্তু সিরিজে বাজে ব্যাটিংয়ের ধারাবাহিকতা দেখানো বাংলাদেশ দলের জন্য যে এই রানই অনেক বড় লাগছে!
লঙ্কায় হোয়াইটওয়াশের শঙ্কা এড়াতে হলে বাংলাদেশকে সিরিজের শেষ ম্যাচে করতে হবে ২৯৫ রান।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে প্রথম পাওয়ার প্লেতে। শফিউলের বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেন আবিস্কা ফার্নান্দো। স্কোরবোর্ডে একশ রান পুরো হওয়ার আগে অধিনায়ক দিমুথ কারুনারত্নে এবং ইনফর্ম ব্যাটসম্যান কুশাল পেরেইরাও ড্রেসিংরুমে। দুজনেই হাফসেঞ্চুরির খুব কাছ থেকে ফিরে আসেন।

৯৮ রানে ৩ উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে সামনে বাড়ানোর দায়িত্বটা নেন কুশাল মেন্ডিস ও সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। দুজনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১০১ রান। কুশাল মেন্ডিস ৫৮ বলে ৫৪ রান করে সৌম্য সরকারের বলে আউট হন। ততক্ষনে অবশ্য শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং মারমার কাটকাট পর্যায়ে পৌছে গেছে।

একপ্রান্তে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস এবং অন্যপ্রান্তে দানুস শানাকা ইনিংসের শেষের দিকে টি-টুয়েন্টি স্টাইলে ব্যাট চালান। দানুস শানাকা পেসার শফিউলের অষ্টম ওভার থেকে ২০ রান তুলে নেন। শেষের এই মারকুটো ব্যাটিংয়ের তোড়েই শ্রীলঙ্কা তিনশ’ ছুঁইছুঁই স্কোরের কাছে পৌছে যায়। প্রায় চোখের পলকে শানাকা ও ম্যাথুসের পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাত্র ২৮ বলে জমা হয় ৫২ রান।

 শেষের ১০ ওভারে শ্রীলঙ্কা আদায় করে নেয় ১০৬ রান।

দুপুরে ম্যাচ শুরুর আগে দুঃসংবাদ পায় বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না মুস্তাফিজুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন। মুস্তাফিজের জায়গায় খেলেন রুবেল হোসেন। মোসাদ্দেকের স্থলে এনামুল হক বিজয়। একাদশে ব্যাটসম্যান বাড়াতে গিয়ে এই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলিংয়ের ভারসাম্য একটু এলোমেলো হয়ে যায়। মুলত চারজন বোলার নিয়ে এই ম্যাচে নামে বাংলাদেশ। পঞ্চম বোলারের দায়িত্ব যৌথভাবে পালন করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার।

পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকার এই ম্যাচে দলের সেরা বোলিং পারফর্মার। ১০ ওভারে ৫৬ রানে ৩ উইকেট পান সৌম্য। ৫৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্রিকেটে এটি তার সেরা বোলিং।

ক্যাচ মিসের দুঃখ গাঁথা এই ম্যাচেও আছে। ৮৭ রান করা শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ স্কোরার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের দুটো ক্যাচ ফেলে বাংলাদেশ এই ম্যাচে। ৩২ রানে তার প্রথম ক্যাচ ফেলেন মুশফিক। ম্যাথুস যখন ৬৩ রানে তখন লং অফ থেকে দৌড়ে বলে হাত লাগিয়েও তার ক্যাচ রাখতে পারেননি সাব্বির রহমান।

৩-০ এর হার এড়াতে হলে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে সিরিজের সেরা ব্যাটিং করতে হবে।
 
পারবে বাংলাদেশ?

সংক্ষিপ্ত স্কোর: শ্রীলঙ্কা ২৯৪/৮ (৫০ ওভারে, আবিস্কা ৬, কারুনারতেœ ৪৬, কুশাল পেরেইরা ৪২, কুশাল মেন্ডিস ৫৪, ম্যাথুস ৮৭, শানাকা ৩০, শেহান জয়াসুরিয়া ১৩, ডি সিলভা ১২*, শফিউল ৩/৬৮, রুবেল ১/৫৫, তাইজুল ১/৩৪, মেহেদি ০/৫৯, সৌম্য ৩/৫৬, মাহমুদউল্লাহ ০/২২)।

   

আতালান্তাকে হারিয়ে কোপা ইতালিয়া চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালিয়ান শীর্ষ ক্লাব সেরি আ-তে ২০১১-১২ মৌসুম থেকে টানা নয় আসরে লিগ চ্যাম্পিয়ন ছিল জুভেন্টাস। তবে ২০২০-২১ এ এসে তাদের রাজত্ব থামিয়ে লিগ শিরোপা জেতে ইন্টার মিলান। এরপর থেকে লিগ মৌসুমে থেকে শীর্ষ তিনেও জায়গা করতে পারেনি লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটি। এমনকি গত মৌসুমে দ্য লেডিরা ছিল শিরোপা শূন্য। সেই খরা কাটিয়ে তিন বছরে এই প্রথম শিরোপা জিতল জুভেন্টাস। দুশান ভ্লাহোভিচের একমাত্র গোলে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে আতালান্তাকে হারিয়েছে মাসসিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দলটি। 

সেরি আ-তে রেকর্ড ৩৬ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি কোপা ইতালিয়া ইতিহাসেরও সবচেয়ে সফল দল। আতালান্তার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে এই জয়ে রেকর্ড ১৫ বারের মতো কোপা ইতালিয়া জিতল জুভেন্টাস। 

রোমের এস্তাদিও অলিম্পিকোতে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই আতালান্তার জালে বড় জড়ান ভ্লাহোভিচ। ডি-বক্সের অনেকটা বাইরে পাস পেয়ে সেটি ধরে ডিফেন্ডারদের ছাড়িয়ে ডি-বক্সে চুকে বল লক্ষ্যে পৌঁছে দেন এই সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ৭৩তম মিনিটে আরও একবার বল জালের জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ভিএআরে সেটি বাতিল বলে ঘোষণা হয়। 

এদিকে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে উঠে ১৯৬৩ সালের পর প্রথম কোনো শিরোপার দুয়ারে পৌঁছেছিল আতালান্তা। তবে শিরোপার অপেক্ষা বাড়লেও চলতি মৌসুমে আরও একটি সুযোগ থাকছে ক্লাবটির। উয়েফা ইউরোপা লিগেও ফাইনালে উঠেছে আতালান্তা। আগামী ২২ মে বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে শিরোপা খরা কাটানোর লড়াইয়ে আরও একবার নামবে আতালান্তা। 

;

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রী 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় দলে অভিষেকটা প্রায় ১৯ বছর আগে। ২০০৫ সালের ১২ জুন পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে গোলও করেছিলেন। সেখান থেকেই ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম এক নামের উত্থান, সুনীল ছেত্রী। অবশেষে ভারতীয় ফুটবলের সোনালি এই অধ্যায়ের হতে চলেছে অবসান। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন ভারতের এই অধিনায়ক। 

ভারতের হয়ে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ১৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অনন্য কীর্তি গড়েছেন সুনীল। এবং নিজের ১৫১তম ম্যাচ খেলেই অবসরে যাবেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক ভিডিও বার্তায় নিজেই অবসরের ঘোষণা দেন সুনীল। 

আগামী ৬ জুন নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে কুয়েতের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবারের মতো নামবেন সুনীল। 

উপমহাদেশের কোনো ফুটবলারের বিশ্ব অঙ্গনেও কিংবদন্তি বনে যাওয়া মোটেও সহজ ছিল না। ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে সেটিই করে দেখিয়েছেন সুনীল। ১৫০ ম্যাচে করেছেন ৯৪ গোল। যা আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, আলী দায়ই, লিওনেল মেসির পরের নামটাই সুনীলের। 

অবসরের ঘোষণা দিয়ে সেই ভিডিও বার্তায় সুনীল বলেন, ‘একটা দিন জীবনে কোনো দিনও ভুলতে পারব না। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথমবার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য সেই অনুভূতি। তবে তার আগের দিন সকালে জাতীয় দলে আমার প্রথম কোচ সুখী স্যর (সুখবিন্দর সিংহ) এসে আমাকে জানিয়েছিলেন, প্রথম একাদশে আমি রয়েছি। বলে বোঝাতে পারব না কেমন ছিল সেই অনুভূতি।’ 

বিদায় বেলায় এসে পুরো ক্যারিয়ারটা যেন চোখের সামনে ভাসছে ছেত্রীর। মনে করিয়ে দিচ্ছে নানা স্মৃতি।  ‘এটাই আমার শেষ ম্যাচ, এটা যখন নিজেকে বলি, তখন অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল। বিষয়টা অদ্ভুত। বিশেষ কিছু ম্যাচের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। একাধিক কোচ, ভিন্ন ভিন্ন কিছু দলের কথা, বিভিন্ন মাঠের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল আমার।’

জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল ছাড়াও সুনীলের খেতাবের তালিকাটাও বেশ চওড়া। তিনি ছয় বার জিতেছেন এআইএফএফ বর্ষসেরার পুরস্কার, ২০১১ সালে অর্জুনা পুরস্কার, ২০১৯ সালে জিতেছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বেই ভারত পেয়েছে সাফ শিরোপা। এছাড়া  ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১২ সালে নেহরু কাপ এবং ২০১৭ ও ২০১৮ জিতেছেন ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। 

;

টানা চার ম্যাচেই হারল রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসরের শুরু নয় ম্যাচে হার কেবল একটি। নয় ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ছিল ১৬। সবার আগে শেষ চারীর টিকিট নিশ্চিতসহ অনায়াসেই শীর্ষে দুইয়ে থেকে প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়েই ছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে আসরের গ্রুপপর্বের শেষ দিকে এসে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল ২০০৮ আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটি। গত মঙ্গলবার দিল্লির কাছে লক্ষ্ণৌয়ের হারের পরই অবশ্য নিশ্চিত হয়েছে রাজস্থানের প্লে-অফের জায়গা। তবে এ নিয়ে টানা ম্যাচেই হারের মুখ দেখল সঞ্জু স্যামসনের দলটি। 

প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক অলরাউন্ড পারফর্মে গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে রাজস্থান। এতে ১৩ ম্যাচ শেষের পয়েন্টটা আটকে থাকলো ১৬-তেই। এবং শেষ চারের টিকিট কনফার্ম থাকলেও শীর্ষ দুইয়ে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করে প্রথম কোয়ালিফায়ারের রাজস্থানের খেলা দাঁড়িয়েছে শঙ্কায়। 

এদিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পর আসরের দ্বিতীয় দল হিসেবে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পাঞ্জাবের। এতেই প্রথম পর্বের বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য কেবলই নিয়মরক্ষার। গত রাতের ম্যাচটি অধিনায়ক কারেনের ছিল এই আসরের শেষ ম্যাচ। কেননা জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিরতে হবে এই ইংলিশ তারকা অলরাউন্ডার। আসরের শেষ ম্যাচে তাই খেলে গেলেন গুরুত্বপূর্ণ এক ক্যাপ্টেনস নক। বল হাতে ২ উইকেটের পর ব্যাট হাতেও অপরাজিত ৬৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন কারেন। 

গৌহাটির ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেখানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় তারা। 

লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে আভেশ-বোল্টদের পেস তোপে শুরুতেই তা কঠিন হয়ে পড়ে পাঞ্জাবের জন্য। ৪৮ রানেওই হারিয়ে বসে শুরুর চার উইকেট। তবে পঞ্চম উইকেটে জিতেশ শর্মাকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন কারেন। জিতেশ ২২ রান করে ফিরলেও কারেন টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৪১ বলে তার ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান। এদিকে ১১ বলে ১৭ রানের এক ক্যামিও খেলেন আশুতোশ শর্মা। এতে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৮ ওভার ৫ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আভেশ ও চাহাল, একটি পান বোল্ট। 

আসরের ১৩ ম্যাচে এটি ছিল পাঞ্জাবের পঞ্চম জয়। আগের দুটি ম্যাচে হারের পর জয়ের দেখা পেল তারা।  

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল নিষ্প্রভ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। জশ বাটলার ইংল্যান্ডে ফিরে গেলে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন আরেক ইংলিশ ব্যাটার টম কোলার-ক্যাডমোর। এটি ছিল তার আইপিএলের অভিষেক ম্যাচ। তবে তা মোটেও সুখকর হলো না।  ২৩ বলে ফিরেছেন স্রেফ ১৮ রান করে। জয়সওয়াল ফেরার পর পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৩৮ রান উঠে রাজস্থানের। পরে ৪ বলের ব্যবধানে ফেরেন ক্যাডমোর-স্যামসন দুজনেই। পরে অর্ডার বদলে পাঁচে নামেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবং রিয়ান পরাগের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫০ রানের জুটিতে চাপ কিছুটা হলেও সামলান। পরে ২৮ রান বলে অশ্বিন ফেরার পর বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া আসার মধ্যেই। কেবল রিয়ানের ৪৮ রানে ইনিংসে চড়ে লড়াকু পুঁজিতে পৌঁছায় তারা। 

আসরের শুরু থেকে দাপুটে পারফর্মে লম্বা সময় ধরে শীর্ষস্থান ধরে ছিল রাজস্থান। তবে একের পর এক হারে এবার শীর্ষে দুইয়ে জায়গা নিয়ে জেঁকেছে সংশয়।

;

মেসিবিহীন ম্যাচে মায়ামির হোঁচট 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেজর লিগ সকারের ইন্টার মায়ামির সবশেষে ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে মন্ট্রিয়েলের ডিফেন্ডার জর্জ ক্যাম্পবেল ফাউল করেছিলেন মেসিকে। তবে তখন প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে ম্যাচের পুরো সময় খেলেছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। এমনকি গতকালের লিগে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে করেছিলেন অনুশীলনও। তবে মেসিকে নিয়ে বাড়তি কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি মায়ামি। এতেই এ ম্যাচে খেলেননি বিশ্বের অন্যতম এই মহাতারকা। 

এদিকে মেসি একাদশের বাইরে যেতে না যেতেই জয়ের যাত্রাও যেন হাতছাড়া হলো মায়ামির। লিগে এর আগের টানা পাঁচ ম্যাচেই জিতেছিল তারা। তবে মেসিকে ছাড়া অরল্যান্ডোর বিপক্ষে ম্যাচটিতে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফ্লোরিডার দলটি। 

লিগে গতরাতের ম্যাচে জয়ের দেখা না পেলেও টানা ৮ ম্যাচে অপরাজিত আছে মায়ামি। এমএলএসের  ইস্টার্ন কনফারেন্সে ১৪ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে মেসি-সুয়ারেজদের দলই আছে শীর্ষে। ১৩ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে সিনসিনাটি। 

এদিকে মেসিক না থাকলেও এদিন শুরু একাদশেই ছিলেন তার সাবেক বার্সা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১১টি গোল করেছেন তিনি। যা যৌথভাবে সর্বোচ্চ। এদিনও ম্যাচের শুরুতে পেয়েছিলেন দারুণ সুযোগ। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে সুয়ারেজের দারুণ এক শট ঠেকিয়ে দেন অরল্যান্ডো গোলরক্ষক। ম্যাচের বাকি সময়ে আধিপত্য সফরকারী মায়ামি দলের থাকেলও গোলের উদ্দেশ্যে তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেনি তারা। 

;