বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ‘এ টু জেড’



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ট্রফি নিয়ে লর্ডসের ড্রেসিংরুমে দ্বাদশ বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড দল- ছবি: আইসিসি

ট্রফি নিয়ে লর্ডসের ড্রেসিংরুমে দ্বাদশ বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ড দল- ছবি: আইসিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্দা নেমেছে আইসিসি ২০১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের। রোববার ফাইনালে সুপার ওভারের রোমাঞ্চে শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের স্বপ্ন ভেঙে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ক্রিকেটে বিশ্বসেরার ট্রফি জিতেছে ক্রিকেটের জনকরা। সেই ১৯৭৫ সাল থেকে শুরু ওয়ানডে ক্রিকেটের উত্তেজনা। এরপর শিরোপা সোনার হরিণ হয়েই ছিল ইংলিশদের। এবার মিলল সাফল্য।

৪৬ দিনে ৪৮ ম্যাচের লড়াই শেষে এখন চলছে হিসাব-নিকাশ। মিলছে অনেক প্রশ্নের উত্তর। চলুন ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ‘এ টু জেড’ দেখে নেই এক নজরে-

চ্যাম্পিয়ন : ইংল্যান্ড
রানার্স আপ : নিউজিল্যান্ড
ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট : কেন উইলিয়ামসন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563185720556.jpg

রানে এগিয়ে রোহিত শর্মা-

সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন রোহিত শর্মা। ভারতের এই ওপেনার ৯ ম্যাচে করেন ৬৪৮ রান। কুমার সাঙ্গাকারার ৪ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙ্গে এ আসরে নতুন কীর্তি গড়েন ভারতের এ ওপেনার। এরপরই ৬৪৭ রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। তিন নম্বরে সাকিব আল হাসান (৬০৬)।

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর- ডেভিড ওয়ার্নার ১৬৬
ব্যাটিং গড়- সাকিব আল হাসান ৮৬.৫৭
স্ট্রাইক রেট- জস বাটলার ১২২.৮৩
সর্বোচ্চ শতরান- রোহিত শর্মা ৫
সর্বোচ্চ ফিফটি+- সাকিব আল হাসান ৭
সর্বোচ্চ চার- রোহিত শর্মা ও জনি বেয়ারস্টো (৬৭)
সর্বোচ্চ ছক্কা- ইয়ন মরগান (২২)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563185892675.jpg

বিশ্বরেকর্ড মিচেল স্টার্কের-

এবারের বিশ্বকাপে ২৭ উইকেট নিয়ে শীর্ষে মিচেল স্টার্ক। তারই পথ ধরে গড়েন বিশ্বরেকর্ড! ২০০৭ বিশ্বকাপে ১১ ম্যাচ খেলে ২৬ উইকেট নেন কিংবদন্তি পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রা। তাকে টপকে গেলেন স্বদেশী স্টার্ক। ২১ উইকেট নিয়ে এরপরই নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসন। ২০ উইকেট নিয়ে তিন নম্বরে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান। ইংল্যান্ডের জোফরা আর্চারের দখলেও সমান ২০ উইকেট।

সেরা বোলিং ফিগার- শাহিন শাহ আফ্রিদি ৬/৩৫
সেরা গড়- মোহাম্মদ শামি ১৩.৭৮
সেরা ইকোনমি- কলিন ডি গ্র‍্যান্ডহোম ৪.১৫
ইনিংসে ৫ উইকেট- মুস্তাফিজুর রহমান ও মিচেল স্টার্ক (২বার)
সর্বোচ্চ মেডেন- জাসপ্রিত বুমরাহ ৯
সর্বোচ্চ ওভার- জোফরা আর্চার ১০০.৫

উইকেটরক্ষক-

সর্বোচ্চ ডিসমিসাল- টম লাথাম (২১টি)
সর্বোচ্চ স্ট্যাম্পিং- মহেন্দ্র সিং ধোনি (৩)
এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল- অ্যালেক্স ক্যারি, টম লাথাম (৫)

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563186011759.PNG

১৩ ক্যাচ জো রুটের-

এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন জো রুট। ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ১৩টি ক্যাচ। ১০ ম্যাচ খেলে এরপরই আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু প্লেসিস। ৯টি ক্যাচ নিয়েছেন ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো। বাংলাদেশের সৌম্য সরকার, ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস, নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেল্ডন কটরেল ৮ ক্যাচ নিয়েছেন।

এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ- ক্রিস ওকস, জনি বেয়ারস্টো (৪টি)।

শামি-বোল্টের হ্যাটট্রিক-

২০১৯ বিশ্বকাপ দেখেছে দুটি হ্যাটট্রিক। বল হাতে এই কীর্তি গড়েন ভারতের মোহাম্মদ শামি ও নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট। আফগানিস্তানের বিপক্ষে রাউন্ড রবিন লিগের ম্যাচে টানা তিন বলে তুলে নেন মোহাম্মদ নবি, আফতাব আলম ও মুজিব উর রেহমানের উইকেট। ট্রেন্ট বোল্ট হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। তিনি ফেরান উসমান খাজা, মিচেল স্টার্ক ও জেসন বেহরেনডর্ফকে।

   

শেষ ম্যাচের পর বড় দুঃসংবাদ পেলেন পান্ডিয়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দুঃস্বপ্নের মতো এক আইপিএল কাটিয়েছে। ১৪ ম্যাচের ১০টি হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকে আইপিএল শেষ হয়েছে তাদের। শেষ ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ের কাছে ১৮ রানে হেরেছে তারা। হারের পর মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে।

গুজরাট টাইটান্সে সফল দুই মৌসুম কাটিয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ফিরেছিলেন হার্দিক। চলতি মৌসুমে রোহিত শর্মাকে সরিয়ে তার হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয় মুম্বাই ফ্র্যাঞ্চাইজি। কিন্তু সেই নেতৃত্বই যেন তার জন্য শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়াল।

মাঠে সমর্থকদের দুয়ো, নিজের এবং দলের বাজে ফর্ম- সবমিলিয়ে ভুলে যাওয়ার মতো একটা আইপিএল কাটালেন হার্দিক। যার শেষবেলাতেও দুঃসংবাদ সঙ্গী হলো তার। মন্থর ওভাররেটের কারণ এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছেন তিনি।

যেহেতু এই মৌসুমে আর আইপিএলে মাঠে নামা হবে না হার্দিকের, তাই আগামী মৌসুমের প্রথম ম্যাচে এই শাস্তি প্রয়োগ হবে। ২০২৫ আইপিএলের প্রথম ম্যাচে খেলা হবে না তার।

এবারের আইপিএলে ১৪ ম্যাচে ব্যাট হাতে ১৮ গড়ে ২১৬ রান এসেছে হার্দিকের ব্যাটে। অন্যদিকে বল হাতে উইকেট পেয়েছেন ১১টি। 

;

মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি ১১ কোটি টাকায়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে জনপ্রিয় এবং পরিচিত ন্যাপকিন কোনটা সেটা নিশ্চয়ই ক্রীড়ামোদীদের মনে করিয়ে দিতে হবে না। সেই সঙ্গে সেটাই এখন দুনিয়ার সবচাইতে দামী ন্যাপকিন। বার্সার সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী সেই মেসির চুক্তি হওয়া ন্যাপকিন নিলামে বিক্রি হয়েছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

চলতি মাসে ন্যাপকিনটি নিলামে তুলে ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস৷ প্রথমে নিউইয়র্ক, এরপর প্যারিস ও সবশেষ লন্ডনে প্রদর্শনীর পর নিলামে। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সম্ভাবনা জানিয়েছিলো নিলামে এই ন্যাপকিনের দাম উঠতে পারে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলার। যেটা টাকায় প্রায় সাত কোটি টাকা৷

গত ৮ মে শুরু হওয়া নিলাম শেষ হয় শুক্রবার। যেখানে ভিত্তিমূল্য ছিলো দুই লাখ ২০ হাজার পাউন্ড বা প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার ডলার। শেষ পর্যন্ত সেটি বিক্রি হয়েছে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলারে।

২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনার একটি রেস্টুরেন্টে মেসির বাবাকে আশ্বস্ত করতে সেখানকার ওয়েটার থেকে নেওয়া একটা ন্যাপকিনেই তড়িঘড়ি করে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বার্সেলোনার তৎকালের স্পোর্টস ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাস। যে ন্যাপকিন এতোদিন ছিলো হোরাশিও গ্যাগিওলির কাছে। আর্জেন্টাইন এই এজেন্টই মেসির নাম সুপারিশ করেছিলেন বার্সার কাছে৷

এই ন্যাপকিনের দামটাও আকাশচুম্বী হওয়াটাই ছিলো অনুমেয়। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়া সাধারণ একটা ন্যাপকিন সাক্ষী বহু ইতিহাসের। মেসির ‘মেসি’ হয়ে ওঠার শুরুই যে এই ন্যাপকিন দিয়েই!

;

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেডিয়াম, শঙ্কায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই দেশটিতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গতকাল (শুক্রবার) ভোরে টেক্সাসের হিউসটনের জর্জ বুশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর আগের রাতে শহরটির ওপর বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড়। এতেই বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স এবং শঙ্কা জেগেছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজটি নিয়ে।

হিউস্টনের এই স্টেডিয়ামের হওয়ার কথা সিরিজের সব ম্যাচ। যেটি মূলত অস্থায়ী স্টেডিয়াম। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির মতো এটিও খুব কম সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের জন্য।

তবে বৃহস্পতিবার রাতে ৭৫ মাইল গতিবেগের সেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্টেডিয়ামের অস্থায়ী ডাগ-আউট, ভিআইপি তাবুসহ অস্থায়ী সব অবকাঠামো। সাইটস্ক্রিন, অনুশীলনের সব নেট টিভি এবং লাইভ স্ট্রিমিং সম্প্রচারের সাইটস্ক্রিনের পিছনে স্ক্যাফোল্ডিং টাওয়ারগুলোও পড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে। সব মিলিয়ে তাই শঙ্কায় বিশ্বকাপ সহ-আয়োজক দেশটির সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের সিরিজটি।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের অনুশীলন সেশন হওয়ার কথা ছিল প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে। তবে ঝড়ে স্টেডিয়ামটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেই অনুশীলন সেশন একটি ইনডোরে স্থানান্তর করা হয়। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দল যাতে এই ইনডোরে অন্তত অনুশীলন সেশনে অংশ নিতে পারে বিকল্প সেই চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের প্রথম ম্যাচটি আগামী ২১ মে এবং একই মাঠে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ যথাক্রমে ২৩ ও ২৫ মে। এদিকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচও যুক্তরাষ্ট্রেই। আগামী ৮ জুন বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শান্ত-সাকিবদের বিশ্বকাপ যাত্রা।

;

ম্যাচ জিতেও বিদায় লক্ষ্ণৌয়ের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আরও আগেই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কার্যত আসরের সবার আগে। এতে বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য ছিল নিয়মরক্ষার। তবে আসরের শেষ ম্যাচটাতেও জয় নিয়ে ফিরতে পারলো না হার্দিক পান্ডিয়ার দলটি। এদিকে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের শেষ চারে স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে করতে হতো স্বপ্নের মতোন কিছুই। জিততে হতো ২০০ বা তারও বেশি রানের ব্যবধানে। তাতেই কেবল তাদের নেট রান রেট আসতো চারে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের আশেপাশে। লক্ষ্ণৌ শেষ পর্যন্ত ম্যাচে জিতেছে ঠিকই, তবে কেবল ১৮ রানের ব্যবধানে। এতে আসরের পঞ্চম দল হিসেবে বিদায়ের ঘণ্টা বেজেছে তাদেরও। 

ইতিমধ্যেই প্লে-অফের টিকিট কেটেছে তিন দল, কলকাতা, রাজস্থান ও হায়দরাবাদ। শেষ জায়গার লড়াইটা এখন কেবল চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর মধ্যে। অর্থাৎ, আজকের (শনিবার) রাতের ম্যাচটি দিয়েই শেষ চার দল পেয়ে যাবে আইপিএলের এই ১৭তম আসরটি। 

গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে নিজেদের মাঠে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় লোকেশ রাহুলের দল।  

বোলিংটা ঠিক আশানুরূপ না হলেও লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো পায় মুম্বাই। ৫১ বল রোহিত-ব্রেভিসের ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮৮ রান। তবে ৪ বলের ব্যবধানে ব্রেভিসের পর তাদের তারকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবের উইকেটও হারায় তারা। পরের দলীয় ১২০ রানে পৌঁছাতেই দলের অর্ধেক ব্যাটার ফেরেন সাজঘরে। হারের ব্যবধানটা হয়তো আরও বেশি হতো। তবে শেষ দিকে এসে নামান ধীরের অপরাজিত ৬২ রানে চড়ে দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহে (১৯৬) পৌঁছায় স্বাগতিকরা। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান।  

এর আগে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌয়ে শুরুটা ছিল ম্যাড়মেড়ে। ইনিংস অর্ধেকে ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬৯ রান। এবং শেষের ১০ ওভারে আসে ১৪৫ রান! যেই তাণ্ডবের মূল কারিগর নিকোলাস। এই ক্যারিবীয় হার্ড-হিটার ব্যাটারের ব্যাট থেকে স্রেফ ২৯ বলে ৫ চার ও ৮ ছক্কায় আসে ৭৫ রান। এদিকে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল করেন ৫৫ রান। মূলত এই দুই ইনিংসে চড়েই ২১৪ রানের ভালো সংগ্রহে পৌঁছায় লক্ষ্ণৌ। 

নিজেদের শুরুর দুই মৌসুমেই (২০২২ ও ২০২৩) প্লে-অফে পৌঁছেছিল লক্ষ্ণৌ। তাই এবারই প্রথম শেষ চারের জায়গায় নিজেদের নিয়ে যেতে ব্যর্থ হলো ফ্রাঞ্চাইজিটি। 

;