বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যতো ভুল (পর্ব-২)



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, লন্ডন, ইংল্যান্ড থেকে
হতাশাতেই মিশন শেষ টাইগারদের

হতাশাতেই মিশন শেষ টাইগারদের

  • Font increase
  • Font Decrease

৩ জয়। ৫ হার। বৃষ্টিতে বাতিল একটি ম্যাচ। বিশ্বকাপের দশ দলের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সাত নম্বরে। র‌্যাঙ্কিংয়ের সাত নম্বর দল হিসেবেই খেলতে এসেছিল বাংলাদেশ। ফিরে গেলো সেই একই অবস্থানে থেকে। অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করা বাংলাদেশ ফিরছে সেমিফাইনালের আগে। মাঠের ক্রিকেটে ভাল-মন্দ দুই সময়ই দেখেছে বাংলাদেশ এই বিশ্বকাপে। ভুলও করেছে বেশ। সেই ভুলের খোঁজ এই ধারাবাহিক রিপোর্টে-

ভুল একাদশ:

সতেজ বাতাস। বৃষ্টি স্নাত মাঠ। দুদিনের ঢাকা উইকেট। সুইং। সব অনুষঙ্গ প্রমাণ দিচ্ছে-কার্ডিফের উইকেটে পেসাররা বাড়তি সুবিধা পাবেন। সেই উইকেটে বাংলাদেশ টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সুযোগটা নিলো। কিন্তু তিন পেসার ও তিন স্পিনারের আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও নামলো বাংলাদেশ।

এমন উইকেটে বোলিং করতে না পারার দুঃখ নিয়েই রুবেল হোসেন আরেকটি ম্যাচে শুধু বসে কাটালেন। রুবেল হোসেন খেলতে নামলেই যে বাংলাদেশকে জিতিয়ে আনতেন, সেই নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু পরিস্থিতি, আবহাওয়া এবং মাঠের আনুষাঙ্গিকতা জানাচ্ছে ইংল্যান্ড ম্যাচে একজন পেসার কম নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ।

কার্ডিফের এই ম্যাচে শুরু থেকে বাংলাদেশের বোলিংকে নিয়ে স্রেফ খেললো ইংল্যান্ড! দুই ইংলিশ ওপেনারের জুটিতেই জমা হলো ১২৮ রান।

অথচ এই ম্যাচেই ইংল্যান্ড তাদের মুল স্পিনার মঈন আলীকে বসিয়ে রেখে একাদশে নিয়ে এলো বাড়তি পেসার হিসেবে লিয়াম প্লাঙ্কেটকে। কার্ডিফের বৃষ্টিতে ভেজা উইকেটে পাঁচ পেসার খেলিয়ে বাংলাদেশকে গুটিয়ে দিলো ইংল্যান্ড মাত্র ২৮০ রানে। বাংলাদেশের ১০ উইকেটের ৯টি উইকেটই তুলে নিলেন ইংল্যান্ড পেসাররা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/06/1562427973382.jpeg

বামিংহ্যামের এজবাস্টনেও মাঠের আকৃতি নিয়ে ম্যাচের আগে অনেক চর্চা চলে বাংলাদেশ দলে। মাঠের একপাশ ছোট-এটা জেনে একাদশ থেকে স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজকে বাদ দেয়া হলো! অথচ পুরো বিশ্বকাপে মিরাজ তার ১০ ওভারের বোলিংয়ে রান আটকে রাখার জন্য দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করছিলেন। ভারত ম্যাচে মিরাজকে বাদ দেয়া হলেও সেই ম্যাচে স্পিনার সাকিব রানের খরচ হলো মাত্র ৪১। দলের সবচেয়ে ইকোনোমি বোলার তিনিই।

নিশ্চিতভাবে এই ম্যাচে মিরাজের অফস্পিন মিস করে বাংলাদেশ।

শুরুর সংকট:

ভালো শুরু যে কোনো দলকে এগিয়ে দেয়। কিন্তু এই বিশ্বকাপে তামিম- সৌম্যের ওপেনিং জুটির সর্বোচ্চ রান ৬০। বাকি ম্যাচগুলোতে কখনো সৌম্য আগে, কখনো তামিম ফিরেছেন আগেভাগে। ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রায় সব ম্যাচেই ওয়ানডাউন পজিশনে সাকিবকে নামতে হয়েছে প্রথম পাওয়ার প্লে’তে।

অন্যদিকে যে চার দল সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে, তাদের ওপেনাররা দলের সেরা পারফর্মার। রোহিত শর্মা ৪টি সেঞ্চুরি করেছেন। ইংল্যান্ডের ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির সংখ্যা ৩টি। ডেভিড ওয়ার্নারের এই বিশ্বকাপে রান পাঁচ শ’র উপরে।

বাংলাদেশের ওপেনাররা দক্ষিণ আফ্রিকার যে ম্যাচে ৬০ রানের জুটি গড়েন, সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জিতে। পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে দলের ওপেনাররা উইকেটে সেট হওয়ার পর আউটের বাজে নজির গড়েন। তামিম ইকবাল এই ভুলে পড়েন পুরো বিশ্বকাপেই!

যখনই তার ইনিংস বড় করার কথা, তখনই আউট! তামিম শুধুমাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি পান এই বিশ্বকাপে। আর সৌম্য সরকার ব্যাট হাতে ৮ ম্যাচে করলেন মাত্র ১৬৪ রান। ম্যাচ প্রতি রান গড় ২০.৫! শুরুর ব্যাটিংয়ের এই সঙ্কট শেষ ম্যাচ পর্যন্ত এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/06/1562427996777.jpg

ফিল্ডিংয়ে পিচ্ছিল হাত:

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে খারাপ দিক কোনটা?

শেষ ম্যাচে এই প্রশ্নের উত্তরে অধিনায়ক মাশরাফির স্পষ্ঠ উচ্চারণ-‘বোলিং এবং ফিল্ডিং ছিলো আমাদের নেভেটিভ দিক। এই বোলিং এবং বাজে ফিল্ডিং-ই বিশ্বমানের দলগুলোর সঙ্গে আমাদের পার্থক্য বুঝিয়ে দিচ্ছে। ব্যাটিংয়ে আমরা ভালো ফাইট দিয়েছি। কিন্তু বোলিং আমাদের আপ টু দ্য মার্ক ছিলো না।’

৮ ম্যাচে সহজ-কঠিন সবমিলিয়ে বাংলাদেশ আটটি ক্যাচ মিস করেছে। ওয়ার্নারের ক্যাচ মিস হয়েছে ট্রেন্টব্রিজে। সেই ম্যাচ ওয়ার্নার শেষ করেন ১৪৪ রানে। রোহিত শর্মার ক্যাচ পড়েছে এজবাস্টনে। সেই ম্যাচে রোহিত শেষ পর্যন্ত করেন ১০৪ রান। লর্ডসে ৫৭ রানে ক্যাচ পড়ে বাবর আজমের। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সেই ম্যাচে করলেন ৯৬ রান! শুধু ক্যাচ মিসই নয়। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংও কখনো কখনো হাস্যকর হয়েছে বাংলাদেশ দলের। নিশ্চিত রান আউট মিস হয়েছে। ম্যাচ জিততে হলে হাফ চান্সকে ফুল চান্স করতে হয়। বাংলাদেশ দল ফিল্ডিংয়ে ফুল চান্সকেই জিরো চান্স করেছে!

আরো পড়ুন-

বিশ্বকাপে বাংলাদেশের যতো ভুল (পর্ব-১)

   

গুজরাটের টানা দুই ম্যাচ পরিত্যক্ত বৃষ্টিতে, প্লে-অফে হায়দরাবাদ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই বৃষ্টিতেই কপাল পুড়েছিল গুজরাট টাইটান্সের। এর আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হলে শেষ চারের স্বপ্নটাও শেষ হয় তাদের। আইপিএলে এবারই প্রথম প্লে-অফের আগে বিদায় নিল গুজরাট। নিজেদের প্রথম দুই আসরেই ফাইনাল খেলেছে গুজরাট, এর মধ্যে ২০২২ আসরে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন। 

কলকাতার বিপক্ষে ম্যাচটির পর এবার সানরাইজার্সের হায়দরাবাদের বিপক্ষে গুজরাটের ম্যাচটিও ভেস্তে গেল বৃষ্টিতে। গুজরাটের জন্য অবশ্য এই ম্যাচটি ছিল কেবল নিয়মরক্ষার। তবে বৃষ্টির সুবাদের কপাল খুলেছে হায়দরাবাদের। ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ার পয়েন্ট ভাগাভাগিতে আসরের তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছে কামিন্স-হেডরা। 

আসরের শুরু থেকেই ব্যাটিং বিধ্বংসী দলের তকমা পাওয়া হায়দরাবাদ ছিল দারুণ ছন্দে। শুরুর সাত ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছিল তারা। তবে পরের চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে শেষ চারের রাস্তা কঠিন বানিয়ে ফেলেছিল প্যাট কামিন্সের দলটি। পরে নিজেদের ১২তম ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে ১০ উইকেটের বড় জয় এবং গতকালের ১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চারে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ। 

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের বৃষ্টির তীব্রতায় গতকালের ম্যাচটিতে গড়ায়নি টসও। পরে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ১০ মিনিটে ম্যাচ পরিত্যক্তের ঘোষণা দেন আম্পায়াররা। 

আইপিএলের ১৭তম এই আসরে এর আগেই শেষ চারে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে কলকাতা ও রাজস্থান। এতেই লড়াইটা এখন কেবল চতুর্থ স্থানের। যেই দৌড়েও আছে তিন দল, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও লক্ষ্ণৌ। আজ মুম্বাইয়ের বিপক্ষে প্রথমপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নামবে লক্ষ্ণৌ এবং আগামীকাল বেঙ্গালুরুর মাঠে নামবে চেন্নাই। নেট রান রেট বিচারে আজকের ম্যাচে লক্ষ্ণৌয়ের সম্ভাবনা একবারেই কম। এতেই আগামীকালের চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর ম্যাচের দিকে তাকিয়ে প্লে-অফের চতুর্থ ও শেষ দল। 

;

যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন শান্ত-সাকিবরা 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৪০ মিনিটে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রায় ২৬ ঘণ্টার লম্বা ফ্লাইট যাত্রা শেষে আজ (শুক্রবার) ভোরে গন্তব্যে পৌঁছেছেন শান্ত-সাকিবরা। 

বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টা ২০ মিনিটে টেক্সাসের হিউসটনের জর্জ বুশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি টেক্সাসের এই শহরেই। 

আগামী ১ জুন থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের মূলপর্ব। আইসিসির বৈশ্বিক এই টুর্নামেন্টের আগে যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের সূচি নির্ধারণ করে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড)। আগামী ২১, ২৩ ও ২৫ মে হিউসটনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের ম্যাচগুলো খেলবে শান্ত-তাসকিনরা। 

মূলপর্বে বাংলাদেশের ম্যাচ আগামী ৭ জুন (বাংলাদেশ সময় ৮ জুন ভোর ৬টা ৩০ মিনিট)। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।  



;

টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি প্রো লিগের বড় ম্যাচে আজ (শুক্রবার) মুখোমুখি হবে আল হিলাল ও আল নাসর। এদিকে আইপিএলে লক্ষ্ণৌয়ের বিপক্ষে নামবে মুম্বাই।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল

শেখ রাসেল-চট্টগ্রাম আবাহনী

বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস

আইপিএল

মুম্বাই-লক্ষ্ণৌ

রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

সৌদি প্রো লিগ

আল নাসর-আল হিলাল

রাত ১২টা, টি স্পোর্টস

;

ক্রলি ও স্মিথের খেলা পছন্দ করেন রোহিত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিত শর্মা, ভারত জাতীয় দলের অধিনায়ক এবং সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার। নিজের ব্যাটিং নৈপুণ্যে একাধিক রেকর্ড করে প্রতিনিয়তই ছাড়িয়ে যাচ্ছে নিজেকেই। বিশ্বের অনেক ক্রিকেটারেরই অনুপ্রেরণার এবং পছন্দের খেলোয়াড় রোহিত। কিন্তু রোহিতে পছন্দের ক্রিকেটার কে বা কারা?

এ বিষয়ে এবার জানিয়েছেন রোহিত শর্মা নিজেই। তরুণ ইংলিশ ব্যাটার জ্যাক ক্রলি এবং অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ব্যাটার স্টিভ স্মিথ হচ্ছে তার পছন্দের ক্রিকেটার। সম্প্রতি দুবাই আই নামক এক রেডিও অনুষ্ঠানে নিজেই বিষয়টি জানিয়েছেন ভারতের অধিনায়ক।

সেই অনুষ্ঠানে রোহিত বলেছেন, ‘আমি জ্যাককে খুব কাছে থেকে দেখেছি এবং তাকে খেলতে দেখা অত্যন্ত আনন্দের। স্টিভ স্মিথের ব্যাটিংও আমার খুব প্রিয়, তবে সে সবার থেকে আলাদা। তার বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষমতা আছে। তার নিজস্ব খেলার ধরণ আছে যার মাধ্যমেই সে আজ সফলদের একজন।‘

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেই অজি ব্যাটার স্মিথের নাম। ফর্ম এবং পারফরম্যান্সের ধার আগের মতো হয়ত নেই এজন্যেই বাদ পড়েছেন স্কোয়াড থেকে। তবে সময়ের অন্যত্ম সেরা ব্যাটার হিসেবেই ধরা হয় তাকে।

;