জয়রথে ছুটছে রামোসের স্পেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফের স্পেনকে জয় এনে দিয়েছেন সার্জিও রামোস

ফের স্পেনকে জয় এনে দিয়েছেন সার্জিও রামোস

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরো ২০২০ বাছাই পর্বে স্পেন যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। একের পর এক জয় দিয়ে যেন আকাশেই উড়ে বেড়াচ্ছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সোমবার রাতে আরো একটি অনায়াস জয় পেল দ্য রোজারা। রামোসের পেনাল্টি গোলের সুবাদে দেশের মাটিতে সুইডেনকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে স্প্যানিশরা।

শুধু স্পেনই নয়। দলের সঙ্গে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন সার্জিও রামোসও। মাতৃভ’মির হয়ে গত চার ম্যাচের তিনটিতেই একটি করে গোলের দেখা পেয়েছেন এ তারকা ডিফেন্ডার। মাঝে মাল্টার বিপক্ষেই কেবল গোলের দেখা পাননি। আর সুইডশিদের বিপক্ষে অনায়াস জয়ের ভিত্তিটা তো তৈরী হয়েছিল তারই গোলে।

গত ম্যাচে ফ্যারো আইল্যান্ডসের বিপক্ষে গোল করে তো বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেন রামোস। ইকার ক্যাসিয়াসকে পিছনে ফেলে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বাধিক (১২৩) জয়ের মালিক বনে গেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই রক্ষণভাগ তারকা। পোর্তোর এ গোলরক্ষক ১৬৭ ম্যাচ খেলে জেতেন ১২১ ম্যাচ।

মাদ্রিদের সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে কোনো দলই গোলের দেখা পাচ্ছিল না। গোল শূন্য থেকে কেটে যায় প্রথমার্ধ। বিরতির পর অতিথি সুইডেনের দুর্ভেদ্য রক্ষণদূর্গে প্রথম চিড় ধরান রামোস। ৬৪ মিনিটে পেনাল্টির সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে লিড এনে দেন তিনি।

জাতীয় দলের জার্সিতে ১৬৫ ম্যাচে এটি রামোসের ২০তম গোল। তার মানে ক্যাসিয়াসের রেকর্ড ভেঙে স্পেনের হয়ে সর্বাধিক ম্যাচ খেলার নতুন রেকর্ড গড়তে রামোসের প্রয়োজন এখন মাত্র তিন ম্যাচ।

 আলভারো মোরাতাও গোল করেন স্পট কিক থেকে। তার দুই মিনিট বাদে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম গোল পেয়ে যান মিকেল ওয়াইরজবল।

চার ম্যাচে চার জয় নিয়ে স্প্যানিশদের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। সুবাদে ‘এফ’ গ্রুপের শ্রেষ্ঠত্ব এখন তাদেরই দখলে।

অন্য দিকে চেকপ্রজাতন্ত্র ৩-০ গোলে হারিয়েছে মন্টেনেগ্রোকে। ডেনমার্ক ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে জর্জিয়াকে। নরওয়ে ২-০ গোলে ধরাশায়ী করেছে ফ্যারো আইল্যান্ডসকে। আর ইউক্রেন ১-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে লুক্সেমবার্গের বিপক্ষে।

   

ক্রিকেট তার রক্তে মিশে আছে, বললেন বোল্ট



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উসাইন বোল্ট, সর্বকালের সেরা দৌড়বিদদের মধ্যে অন্যতম একজন। অলিম্পিকে আটটি স্বর্ণপদক লেখা আছে তার নামের পাশে। ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের রেকর্ড এখনও তার দখলে। খুব স্বাভাবিকভাবেই যখন তাকে ক্রিকেট খেলাটির সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাটের নাম জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তার উত্তর ছিল ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট’।

জ্যামাইকাতে যখন বোল্ট নিজের কৈশোরকাল পার করছিলেন, তখন তার ইচ্ছা ছিল দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলবেন এবং একজন ফাস্ট বোলার হবেন। পরবর্তীতে ক্রিকেট বল হাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাঠে দৌড়ানো না হলেও অন্য খেলায় ঠিকই দৌড়েছেন। এই দৌড়ানোর মাধ্যমেই হয়েছেন বিশ্বসেরা।

আগামী ২ জুন থেকে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। স্বাগতিক দেশ হিসেবে এবার আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। বোল্টের ক্রিকেট খেলা দিয়ে ক্যারিয়ার গড়া না হলেও এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত বানানো হয়েছে তাকে।

শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পর তার অনুভূতি জানিয়েছেন বোল্ট, 'আমি ক্রিকেটের মধ্যেই বড় হয়েছি। আমার বাবা একজন বিশাল ক্রিকেট ভক্ত ছিলেন এবং এখনও আছেন। এটি আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ক্রিকেট খেলাটির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন তো আমার পূরণ করা হয়নি, তাই শুভেচ্ছাদূত হয়ে পেরে আমি আনন্দিত।'

বাকি দুই ফরম্যাটের তুলনায় স্বল্প ওভারের ফরম্যাটটিই বোল্টের বেশি পছন্দের বলে জানা তিনি, 'সময়ের অভাবে আমার খুব একটা ক্রিকেট ম্যাচ দেখার সুযোগ না হলেও যখনই আমার কাছে সুযোগ থাকে আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখি। যখন থেকে এটি শুরু হয়েছিল তখনই আমার এটি দুর্দান্ত লেগেছিল। কারণ এখানে আপনাকে দ্রুত ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, পাশাপাশি শক্তির প্রয়োগও করতে হয়। মাঠে খেলোয়াড়দের সাজানো থেকে শুরু করে সবকিছুই আপনাকে অতি দ্রুত করতে হয়।'

বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রেও ক্রিকেটের ব্যাপক প্রচার হচ্ছে এবং আগামীতে আরও বেশি মানুষ এই খেলাটির প্রতি আকৃষ্ট হবে মনে করেন বোল্ট, 'আমি নিশ্চিতভাবেই মনে করি যে যুক্তরাষ্ট্রে এই খেলার জনপ্রিয়তা বাড়বে। যখন কোনো খেলা বড় পরিসরে কোথাও অনুষ্ঠিত হয় তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই দেশের মানুষজন সে খেলাটি সম্পর্কে আরও জানতে চায়।'

প্রিয় কয়েকজন ক্রিকেটারদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে এই তারকা এথলেট বলেন, 'আমার প্রিয় একজন ক্রিকেটার হলেন ওয়াসিম আকরাম, তার খেলা দেখেই বেড়ে উঠেছি। বিশেষ করে তার ইনসুইং ইয়র্কারগুলো। এছাড়াও আমি কোর্টনি ওয়ালশ ও কার্টলি এমব্রোসেরও বড় ভক্ত ছিলাম। ভারতের শচীন টেন্ডুলকারের একজন ভক্ত আমি। তিনি এবং ব্রায়ান লারা আমার বেড়ে উঠার সময় আমার জীবনেরই অংশ ছিলেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অসাধারণ ছিল। আমি মনে করি বর্তমান সময়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে বিরাট কোহলিই সবার সেরা।'

;

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলকে মাশরাফির শুভকামনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরকে সামনে রেখে গতকাল রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল। কিছুটা সময় হাতে নিয়েই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শান্ত-তাসকিনদের। কেননা বিশ্বকাপের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। 

গতকাল বিশ্বকাপ দলের যাত্রার পরপরই শুভকামনা জানিয়েছেন সাইফউদ্দিন, মুশফিক, মিরাজরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে শান্ত-সাকিবদের শুভকামনা জানিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। 

সেই পোস্টে মাশরাফি লিখেছেন, ‘সাহস সবসময় গর্জন করে না, শুধু দিন শেষে শান্ত কন্ঠস্বরে বলে, আগামীকাল চেষ্টা করব। গো অ্যান্ড কিল ইট চ্যাম্পস। সব সময় শুভকামনা আমার প্রাণের দেশ, প্রাণের দলের প্রতি।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে আগামী ২১, ২৩ ও ২৫ মে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নামবে বাংলাদেশ। পরে বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচও যুক্তরাষ্ট্রেই। বাংলাদেশ সময় আগামী ৮ জুন ভোর সাড়ে ৬টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শান্ত-তাসকিনদের বিশ্বকাপ যাত্রা। 

;

নিউইয়র্কের ড্রপ-ইন পিচ নিয়ে চিন্তিত নয় আইসিসি 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১ জুন ডালাসে কানাডার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি দিয়ে পর্দা উঠতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ওয়েস্ট ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আসরটির আয়োজক। ডালাস ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র পর্বের ম্যাচগুলো হবে নিউইয়র্ক ও লডারহিলে। বিশ্বকাপের বেশিরভাগ ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজে হলেও তর্কসাপেক্ষে গ্রুপপর্বের সবচেয়ে বড় ম্যাচ, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি হবে নিউইয়র্কে। 

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির আইজেনহাওয়ার পার্কের স্টেডিয়ামটি মূলত অস্থায়ী। বিশ্বকাপের জন্যই যেটিকে তৈরি করা হয়েছে। সেই স্টেডিয়ামের পিচগুলো ড্রপ-ইন পিচ। ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটিতে হবে আসরের আট ম্যাচ। যার মধ্যে আছে হাইভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এতে অস্থায়ী মাঠ ও ড্রপ-ইন পিচ কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে উঠেছিল আলোচনা। তবে নিউইয়র্কের স্টেডিয়ামটি নিয়ে চিন্তিত নয় আইসিসি (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল)। 

স্টেডিয়ামের কাছাকাছি অনুশীলনে সুবিধার জন্য ছয়টি ড্রপ-ইন পিচও বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

অস্ট্রেলিয়ায় এই ড্রপ-ইন পিচ গুলো বানানো এবং সেগুলো ফ্লোরিডা হয়ে নিউইয়র্কে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আইসিসি দিয়েছিল অ্যাডিলেড ওভালের পিচ কিউরেটর ড্যামিয়ান হাফকে। 

টুর্নামেন্টটি শুরু হতে বাকি আর পুরো দুই সপ্তাহ এবং নিউইয়র্কে প্রথম ম্যাচ আগামী ৩ জুন। এতেই প্রায় আড়াই সপ্তাহ সময় হাতে রেখে তাই হাফ জানালেন পিচগুলো নিয়ে ‘চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ 

পিচের অবস্থা জানিয়ে হাফ বলেন, ‘কোনো ভয় নেই। বিশ্বের সেরা কিছু পিচগুলোও ড্রপ-ইন পিচ। আমরা যেকোনো জায়গায় সেগুলো তৈরি করতে পারি।’

;

আতালান্তাকে হারিয়ে কোপা ইতালিয়া চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালিয়ান শীর্ষ ক্লাব সেরি আ-তে ২০১১-১২ মৌসুম থেকে টানা নয় আসরে লিগ চ্যাম্পিয়ন ছিল জুভেন্টাস। তবে ২০২০-২১ এ এসে তাদের রাজত্ব থামিয়ে লিগ শিরোপা জেতে ইন্টার মিলান। এরপর থেকে লিগ মৌসুমে থেকে শীর্ষ তিনেও জায়গা করতে পারেনি লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটি। এমনকি গত মৌসুমে দ্য লেডিরা ছিল শিরোপা শূন্য। সেই খরা কাটিয়ে তিন বছরে এই প্রথম শিরোপা জিতল জুভেন্টাস। দুশান ভ্লাহোভিচের একমাত্র গোলে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে আতালান্তাকে হারিয়েছে মাসসিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দলটি। 

সেরি আ-তে রেকর্ড ৩৬ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি কোপা ইতালিয়া ইতিহাসেরও সবচেয়ে সফল দল। আতালান্তার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে এই জয়ে রেকর্ড ১৫ বারের মতো কোপা ইতালিয়া জিতল জুভেন্টাস। 

রোমের এস্তাদিও অলিম্পিকোতে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই আতালান্তার জালে বড় জড়ান ভ্লাহোভিচ। ডি-বক্সের অনেকটা বাইরে পাস পেয়ে সেটি ধরে ডিফেন্ডারদের ছাড়িয়ে ডি-বক্সে চুকে বল লক্ষ্যে পৌঁছে দেন এই সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ৭৩তম মিনিটে আরও একবার বল জালের জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ভিএআরে সেটি বাতিল বলে ঘোষণা হয়। 

এদিকে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে উঠে ১৯৬৩ সালের পর প্রথম কোনো শিরোপার দুয়ারে পৌঁছেছিল আতালান্তা। তবে শিরোপার অপেক্ষা বাড়লেও চলতি মৌসুমে আরও একটি সুযোগ থাকছে ক্লাবটির। উয়েফা ইউরোপা লিগেও ফাইনালে উঠেছে আতালান্তা। আগামী ২২ মে বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে শিরোপা খরা কাটানোর লড়াইয়ে আরও একবার নামবে আতালান্তা। 

;