সামনের বছর এশিয়া কাপ পাকিস্তানে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
পাকিস্তানে খেলতে যাবে কি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত?

পাকিস্তানে খেলতে যাবে কি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত?

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে বেশ কয়েক বছর ধরেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কিন্তু কিছুতেই সাড়া মিলছে না টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর। তবে এবার অনেকটাই সফল তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০০৯ সালের পর ফের ক্রিকেটকে ঘিরে উৎসব হতে যাচ্ছে পাকিস্তানে। ২০২০ সালের এশিয়া কাপ ক্রিকেটের আয়োজক হচ্ছে ইমরান খানের দেশ।

১০ বছর আগে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের উপর নারকীয় হামলার পর থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করতে পারছে না পাকিস্তান। এবার সেই অচলায়তন ভাঙছে। ২০২০ এশিয়া কাপকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছে দেশটি। টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে আগামী বছরের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে সেপ্টেম্বরে। এখনো ভেন্যু ঠিক করেনি পিসিবি।

পিসিবি জানিয়েছে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সর্বশেষ সভায় ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বোর্ড প্রতিনিধিদের উপস্থিতি আর সম্মতিতেই এশিয়া কাপের আয়োজক হয়েছে পাকিস্তান। এসিসির সভায় পাকিস্তানের হয়ে ছিলেন পিসিবির চেয়ারম্যান এহসান মনি ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াসিম খান।

তবে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে ভারত খেলবে কীনা এটা নিয়ে শঙ্কা থাকছে। রাজনৈতিক দূরত্বের কারণে তাদের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ বন্ধ আছে অনেক দিন ধরেই। আর এই সময়টাতে বিরাট কোহলিদের পাকিস্তান সফরের সম্ভাবনা একেবারেই নেই।

নিরাপত্তার প্রশ্নে অন্য দেশগুলোও সফরে যাবে কীনা সেটা নিয়েও আছে প্রশ্ন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও এনিয়ে কিছু জানায়নি। অন্য দেশগুলোও এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

পাকিস্তানে সর্বশেষ এশিয়া কাপের অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৮ সালে। তখন ওয়ানডে ফরম্যাটে হলেও এবার ২০ ওভারের ক্রিকেটে লড়বে দলগুলো।

   

ম্যাচ জিতেও বিদায় লক্ষ্ণৌয়ের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আরও আগেই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কার্যত আসরের সবার আগে। এতে বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য ছিল নিয়মরক্ষার। তবে আসরের শেষ ম্যাচটাতেও জয় নিয়ে ফিরতে পারলো না হার্দিক পান্ডিয়ার দলটি। এদিকে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের শেষ চারে স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে করতে হতো স্বপ্নের মতোন কিছুই। জিততে হতো ২০০ বা তারও বেশি রানের ব্যবধানে। তাতেই কেবল তাদের নেট রান রেট আসতো চারে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের আশেপাশে। লক্ষ্ণৌ শেষ পর্যন্ত ম্যাচে জিতেছে ঠিকই, তবে কেবল ১৮ রানের ব্যবধানে। এতে আসরের পঞ্চম দল হিসেবে বিদায়ের ঘণ্টা বেজেছে তাদেরও। 

ইতিমধ্যেই প্লে-অফের টিকিট কেটেছে তিন দল, কলকাতা, রাজস্থান ও হায়দরাবাদ। শেষ জায়গার লড়াইটা এখন কেবল চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর মধ্যে। অর্থাৎ, আজকের (শনিবার) রাতের ম্যাচটি দিয়েই শেষ চার দল পেয়ে যাবে আইপিএলের এই ১৭তম আসরটি। 

গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে নিজেদের মাঠে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় লোকেশ রাহুলের দল।  

বোলিংটা ঠিক আশানুরূপ না হলেও লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো পায় মুম্বাই। ৫১ বল রোহিত-ব্রেভিসের ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮৮ রান। তবে ৪ বলের ব্যবধানে ব্রেভিসের পর তাদের তারকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবের উইকেটও হারায় তারা। পরের দলীয় ১২০ রানে পৌঁছাতেই দলের অর্ধেক ব্যাটার ফেরেন সাজঘরে। হারের ব্যবধানটা হয়তো আরও বেশি হতো। তবে শেষ দিকে এসে নামান ধীরের অপরাজিত ৬২ রানে চড়ে দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহে (১৯৬) পৌঁছায় স্বাগতিকরা। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান।  

এর আগে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌয়ে শুরুটা ছিল ম্যাড়মেড়ে। ইনিংস অর্ধেকে ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬৯ রান। এবং শেষের ১০ ওভারে আসে ১৪৫ রান! যেই তাণ্ডবের মূল কারিগর নিকোলাস। এই ক্যারিবীয় হার্ড-হিটার ব্যাটারের ব্যাট থেকে স্রেফ ২৯ বলে ৫ চার ও ৮ ছক্কায় আসে ৭৫ রান। এদিকে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল করেন ৫৫ রান। মূলত এই দুই ইনিংসে চড়েই ২১৪ রানের ভালো সংগ্রহে পৌঁছায় লক্ষ্ণৌ। 

নিজেদের শুরুর দুই মৌসুমেই (২০২২ ও ২০২৩) প্লে-অফে পৌঁছেছিল লক্ষ্ণৌ। তাই এবারই প্রথম শেষ চারের জায়গায় নিজেদের নিয়ে যেতে ব্যর্থ হলো ফ্রাঞ্চাইজিটি। 

;

চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর ম্যাচ ছাড়াও টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে আজ (শনিবার) চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর ম্যাচে। এদিকে জার্মান বুন্দেসলিগার শেষ ম্যাচ ডে আজ। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।

আইপিএল

বেঙ্গালুরু–চেন্নাই

রাত ৮টা, গাজী টিভি, টি স্পোর্টস ও স্টার স্পোর্টস ১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল

বসুন্ধরা কিংস–পুলিশ এফসি

বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট, টি স্পোর্টস

বুন্দেসলিগা

লেভারকুসেন–অগ্‌সবুর্গ

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ১

হফেনহাইম–বায়ার্ন

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ২

সৌদি প্রো লিগ

আল আহলি–আবহা

রাত ১২টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

;

গম্ভীরকে রোহিতদের কোচ হিসেবে চায় বিসিসিআই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে বিসিসিআইয়ের প্রথম পছন্দ গৌতম গম্ভীর। ক্রিকেটবিষয়ক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফোর খবর, গম্ভীর ভারতের কোচ হতে চান কিনা তা জানতে এরই মধ্যে তার সঙ্গে আলোচনাও করেছে ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে ভারতের কোচ হিসেবে দায়িত্বকাল শেষ হবে রাহুল দ্রাবিড়ের। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর রোহিত শর্মাদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছিলেন ভারতের এই সাবেক অধিনায়ক। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ছিল চুক্তির মেয়াদ। তবে সেটা কিছুটা বাড়িয়ে এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত টেনে নিতে সম্মত হয় বিসিসিআই ও দ্রাবিড়।

তবে এবার আর চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে রাজি নন দ্রাবিড়। এই কথা বিসিসিআইকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিসিসিআই তাই প্রধান কোচের পদ পূরণ করতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে। আগামী ২৭ মে পর্যন্ত আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন। নতুন কোচকে সাড়ে তিন বছর মেয়াদি চুক্তির প্রস্তাব দেবে বিসিসিআই।

গৌতম গম্ভীর এখন পর্যন্ত পেশাদার কোচিং শুরু করেননি। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর দুই মৌসুম আইপিএলে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন। এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সে একই পদে কাজ করছেন। কোচ হিসেবে অনভিজ্ঞ হলেও অধিনায়ক এবং মেন্টর হিসেবে তাকে সফল বলা যায়।

অধিনায়ক হিসেবে কলকাতাকে দুইবার আইপিএল জিতিয়েছেন, মেন্টর হিসেবে লক্ষ্ণৌকে দুইবার প্লে-অফ পর্বে তুলেছেন গম্ভীর। এবার মেন্টর হিসেবে কলকাতাকে আসরের প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফের টিকিট এনে দিয়েছেন।

গম্ভীর বিসিসিআইয়ের প্রস্তাব নিয়ে এখনই কিছু ভাবছেন না। আইপিএল শেষের পর এই বিষয়ে তার সিদ্ধান্ত জানা যেতে পারে বলে খবর ইএসপিএন ক্রিকইনফোর।

;

প্রথমবার ব্রাজিলে হবে নারী বিশ্বকাপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো ব্রাজিলে বসবে নারী বিশ্বকাপের আসর। শুক্রবার (১৭ মে) ফিফা কংগ্রেসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ভোট পেয়ে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব পেয়েছে ব্রাজিল। এটাই হবে লাতিন আমেরিকায় প্রথম নারী বিশ্বকাপ।

২০২৭ বিশ্বকাপ আয়োজনের স্বত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা ছিল ব্রাজিল এবং জার্মানি-নেদারাল্যান্ডস-বেলজিয়ামের যৌথ বিডের মধ্যে। ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ব্রাজিলের পক্ষে পড়ে ১১৯ ভোট। জার্মানি-নেদারাল্যান্ডস-বেলজিয়ামের ইউরোপীয় বিড ভোট পায় ৭৮টি।

২০২৭ নারী বিশ্বকাপ আয়োজনে আরও বেশ কয়েকটি দেশ শুরুতে আগ্রহ দেখিয়েছিল। তবে গত বছরের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো তাদের যৌথ বিড প্রত্যাহার করে নিলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকে কেবল ব্রাজিল ও জার্মানি-নেদারাল্যান্ডস-বেলজিয়ামের ইউরোপীয় বিড।

এবারই প্রথম মেয়েদের বিশ্বকাপ আয়োজক নির্ধারণে ভোটাভুটিতে অংশ নিয়েছে ফিফার সব সদস্য দেশ। এর আগে ফিফার নীতিনির্ধারণী পর্ষদ ফিফা কাউন্সিল নারী বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচন করত।

নারী বিশ্বকাপ এটাই প্রথম হলেও পুরুষদের বিশ্বকাপ দুইবার আয়োজনের অভিজ্ঞতা রয়েছে ব্রাজিলের। ১৯৫০ এবং ২০১৪ সালে পুরুষদের বৈশ্বিক আসর সফলভাবে আয়োজন করে তারা।

;