বিশ্বকাপ হাতে লর্ডসের ব্যালকনিতে নিজেকে দেখছেন ফিঞ্চ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অ্যারেন ফিঞ্চ: অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক

অ্যারেন ফিঞ্চ: অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্ট্রেলিয়ার ১০০ জন ক্রিকেটারদের একটা তালিকা তৈরি করলেও তাতে অ্যারেন ফিঞ্চের নাম আসবে কিনা-তা নিয়ে যথেস্ট সন্দেহ আছে। অথচ সেই ক্রিকেটার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) যাদুঘরে একটা বিখ্যাত পোট্রেটের সামনে নিজের ছবি ঝুলিয়ে রাখার সম্ভাবনা দেখাচ্ছেন!

আচ্ছা রহস্যটা ভেঙ্গেই বলি।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের স্পোর্টস যাদুঘরে এক কর্ণারের বেশ বড় অংশের দেয়ালজুড়ে পত্রিকার কাটিং লাগানো রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সাফল্য গাঁথার চিত্র ঝুলছে সেখানে। বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে সেই পোট্রেটে হাসছেন অ্যালান বোর্ডার, স্টিভ ওয়াহ, রিকি পন্টিং ও সর্বশেষ মাইকেল ক্লার্ক। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এখন পাঁচটি বিশ্বকাপ ট্রফি জিতেছেন এই চার অধিনায়ক। সাফল্যের হারটা রিকি পন্টিংয়ের সবচেয়ে বেশি। অধিনায়ক হিসেবে দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ীদের সেই এলিট কর্নারে নিজের ছবি ঝুলিয়ে রাখার একটা সুযোগ এবং সম্ভাবনার সামনে দাড়িয়ে এখন অ্যারেন ফিঞ্চ।

অথচ অবাক করার বিষয় হলো এই বিশ্বকাপের অধিনায়ক হওয়ার তার তেমন সম্ভাবনাও ছিলো না। মাইকেল ক্লার্কের অবসরের পর স্টিভেন স্মিথের হাতেই অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কত্বের ভার তুলে দিয়েছিলো। কিন্তু স্টিভ স্মিথ বল টেম্পারিং বিতর্কে জড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব হারান। সিনিয়র, দায়িত্বশীল ও কার্যকর হিসেবে অ্যারেন ফিঞ্চ পেয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কত্ব। একেবারে বিশ্বকাপের অধিনায়ক।

অ্যারেন ফিঞ্চ গেলোবারের বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়ার সাফল্যের সারথী ছিলেন। আর এবার দায়িত্ব আরো বড়। একেবারে অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় বিশ্বকাপের ফাইনালের ট্রফিও হাতে নিয়েই উল্লাস করতে চান এই অস্ট্রেলীয়। সেই প্রসঙ্গে বলছিলেন-‘আমি কি পেতে চাই। কি অর্জন করতে চাই, সেই স্বপ্নটা আগে নিজের মধ্যে ভালোভাবে বুনতে হবে। জিততে পারি, জিতবে এমনসব ভাঙ্গাচোরা আশা নিয়ে বিশ্বকাপে খেলতে গেলে হবে না। জিতবে হবেই-এমন একটা জেদও সঙ্গে রাখতে হবে। এবারের বিশ্বকাপে আমি এবং আমাদের দল অস্ট্রেলিয়া সেই মনোভাব নিয়েই নামছি। ১৪ জুলাই লর্ডসের বারান্দায় বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে নিয়েই আমরা উল্লাস করতে চাই।’

শেষবার ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপের আসর বসেছিলো ১৯৯৯ সালে। সেই বিশ্বকাপেও অস্ট্রেলিয়াই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো।

বিশ্বকাপের আগেভাগে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এই দুই সিরিজেও জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে হারিয়েছে ভারতের মাটিতে। পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করেছে আরব আমিরাতের স্টেডিয়ামে।

এই দুই সিরিজে জয়ী অস্ট্রেলিয়ার আত্মবিশ্বাস বেশ টগবগে। সেই প্রসঙ্গে অ্যারেন ফিঞ্চ বলছিলেন-‘যদি জেতার জেদ এবং বিশ্বাস না থাকে তাহলে জেতা যায় না। আমি তো স্পষ্ঠ দেখতে পাচ্ছি  ১৪ জুলাই দলবল নিয়ে লর্ডসের ব্যালকনিতে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে আমরা শ্যাম্পেইন উৎসব করছি।’

   

মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি ১১ কোটি টাকায়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে জনপ্রিয় এবং পরিচিত ন্যাপকিন কোনটা সেটা নিশ্চয়ই ক্রীড়ামোদীদের মনে করিয়ে দিতে হবে না। সেই সঙ্গে সেটাই এখন দুনিয়ার সবচাইতে দামী ন্যাপকিন। বার্সার সঙ্গে ১৩ বছর বয়সী সেই মেসির চুক্তি হওয়া ন্যাপকিন নিলামে বিক্রি হয়েছে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

চলতি মাসে ন্যাপকিনটি নিলামে তুলে ব্রিটিশ নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস৷ প্রথমে নিউইয়র্ক, এরপর প্যারিস ও সবশেষ লন্ডনে প্রদর্শনীর পর নিলামে। নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সম্ভাবনা জানিয়েছিলো নিলামে এই ন্যাপকিনের দাম উঠতে পারে ৬ লাখ ৩৫ হাজার ডলার। যেটা টাকায় প্রায় সাত কোটি টাকা৷

গত ৮ মে শুরু হওয়া নিলাম শেষ হয় শুক্রবার। যেখানে ভিত্তিমূল্য ছিলো দুই লাখ ২০ হাজার পাউন্ড বা প্রায় দুই লাখ ৭৫ হাজার ডলার। শেষ পর্যন্ত সেটি বিক্রি হয়েছে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলারে।

২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর বার্সেলোনার একটি রেস্টুরেন্টে মেসির বাবাকে আশ্বস্ত করতে সেখানকার ওয়েটার থেকে নেওয়া একটা ন্যাপকিনেই তড়িঘড়ি করে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বার্সেলোনার তৎকালের স্পোর্টস ডিরেক্টর কার্লেস রেক্সাস। যে ন্যাপকিন এতোদিন ছিলো হোরাশিও গ্যাগিওলির কাছে। আর্জেন্টাইন এই এজেন্টই মেসির নাম সুপারিশ করেছিলেন বার্সার কাছে৷

এই ন্যাপকিনের দামটাও আকাশচুম্বী হওয়াটাই ছিলো অনুমেয়। ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়া সাধারণ একটা ন্যাপকিন সাক্ষী বহু ইতিহাসের। মেসির ‘মেসি’ হয়ে ওঠার শুরুই যে এই ন্যাপকিন দিয়েই!

;

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেডিয়াম, শঙ্কায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই দেশটিতে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। গতকাল (শুক্রবার) ভোরে টেক্সাসের হিউসটনের জর্জ বুশ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর আগের রাতে শহরটির ওপর বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড়। এতেই বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স এবং শঙ্কা জেগেছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজটি নিয়ে।

হিউস্টনের এই স্টেডিয়ামের হওয়ার কথা সিরিজের সব ম্যাচ। যেটি মূলত অস্থায়ী স্টেডিয়াম। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির মতো এটিও খুব কম সময়ের মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের জন্য।

তবে বৃহস্পতিবার রাতে ৭৫ মাইল গতিবেগের সেই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে স্টেডিয়ামের অস্থায়ী ডাগ-আউট, ভিআইপি তাবুসহ অস্থায়ী সব অবকাঠামো। সাইটস্ক্রিন, অনুশীলনের সব নেট টিভি এবং লাইভ স্ট্রিমিং সম্প্রচারের সাইটস্ক্রিনের পিছনে স্ক্যাফোল্ডিং টাওয়ারগুলোও পড়েছে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে। সব মিলিয়ে তাই শঙ্কায় বিশ্বকাপ সহ-আয়োজক দেশটির সঙ্গে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের সিরিজটি।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলের অনুশীলন সেশন হওয়ার কথা ছিল প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে। তবে ঝড়ে স্টেডিয়ামটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেই অনুশীলন সেশন একটি ইনডোরে স্থানান্তর করা হয়। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দল যাতে এই ইনডোরে অন্তত অনুশীলন সেশনে অংশ নিতে পারে বিকল্প সেই চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট।

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের প্রথম ম্যাচটি আগামী ২১ মে এবং একই মাঠে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ যথাক্রমে ২৩ ও ২৫ মে। এদিকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচও যুক্তরাষ্ট্রেই। আগামী ৮ জুন বাংলাদেশ সময় ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শান্ত-সাকিবদের বিশ্বকাপ যাত্রা।

;

ম্যাচ জিতেও বিদায় লক্ষ্ণৌয়ের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আরও আগেই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কার্যত আসরের সবার আগে। এতে বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য ছিল নিয়মরক্ষার। তবে আসরের শেষ ম্যাচটাতেও জয় নিয়ে ফিরতে পারলো না হার্দিক পান্ডিয়ার দলটি। এদিকে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের শেষ চারে স্বপ্ন জিইয়ে রাখতে করতে হতো স্বপ্নের মতোন কিছুই। জিততে হতো ২০০ বা তারও বেশি রানের ব্যবধানে। তাতেই কেবল তাদের নেট রান রেট আসতো চারে থাকা চেন্নাই সুপার কিংসের আশেপাশে। লক্ষ্ণৌ শেষ পর্যন্ত ম্যাচে জিতেছে ঠিকই, তবে কেবল ১৮ রানের ব্যবধানে। এতে আসরের পঞ্চম দল হিসেবে বিদায়ের ঘণ্টা বেজেছে তাদেরও। 

ইতিমধ্যেই প্লে-অফের টিকিট কেটেছে তিন দল, কলকাতা, রাজস্থান ও হায়দরাবাদ। শেষ জায়গার লড়াইটা এখন কেবল চেন্নাই ও বেঙ্গালুরুর মধ্যে। অর্থাৎ, আজকের (শনিবার) রাতের ম্যাচটি দিয়েই শেষ চার দল পেয়ে যাবে আইপিএলের এই ১৭তম আসরটি। 

গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে নিজেদের মাঠে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় লোকেশ রাহুলের দল।  

বোলিংটা ঠিক আশানুরূপ না হলেও লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা বেশ ভালো পায় মুম্বাই। ৫১ বল রোহিত-ব্রেভিসের ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮৮ রান। তবে ৪ বলের ব্যবধানে ব্রেভিসের পর তাদের তারকা ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবের উইকেটও হারায় তারা। পরের দলীয় ১২০ রানে পৌঁছাতেই দলের অর্ধেক ব্যাটার ফেরেন সাজঘরে। হারের ব্যবধানটা হয়তো আরও বেশি হতো। তবে শেষ দিকে এসে নামান ধীরের অপরাজিত ৬২ রানে চড়ে দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহে (১৯৬) পৌঁছায় স্বাগতিকরা। রোহিতের ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান।  

এর আগে ব্যাট করতে নেমে লক্ষ্ণৌয়ে শুরুটা ছিল ম্যাড়মেড়ে। ইনিংস অর্ধেকে ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৬৯ রান। এবং শেষের ১০ ওভারে আসে ১৪৫ রান! যেই তাণ্ডবের মূল কারিগর নিকোলাস। এই ক্যারিবীয় হার্ড-হিটার ব্যাটারের ব্যাট থেকে স্রেফ ২৯ বলে ৫ চার ও ৮ ছক্কায় আসে ৭৫ রান। এদিকে অধিনায়ক লোকেশ রাহুল করেন ৫৫ রান। মূলত এই দুই ইনিংসে চড়েই ২১৪ রানের ভালো সংগ্রহে পৌঁছায় লক্ষ্ণৌ। 

নিজেদের শুরুর দুই মৌসুমেই (২০২২ ও ২০২৩) প্লে-অফে পৌঁছেছিল লক্ষ্ণৌ। তাই এবারই প্রথম শেষ চারের জায়গায় নিজেদের নিয়ে যেতে ব্যর্থ হলো ফ্রাঞ্চাইজিটি। 

;

চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর ম্যাচ ছাড়াও টিভিতে যা দেখবেন আজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে আজ (শনিবার) চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর ম্যাচে। এদিকে জার্মান বুন্দেসলিগার শেষ ম্যাচ ডে আজ। এছাড়াও টিভিতে যা যা থাকছে।

আইপিএল

বেঙ্গালুরু–চেন্নাই

রাত ৮টা, গাজী টিভি, টি স্পোর্টস ও স্টার স্পোর্টস ১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল

বসুন্ধরা কিংস–পুলিশ এফসি

বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট, টি স্পোর্টস

বুন্দেসলিগা

লেভারকুসেন–অগ্‌সবুর্গ

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ১

হফেনহাইম–বায়ার্ন

সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিট, সনি স্পোর্টস টেন ২

সৌদি প্রো লিগ

আল আহলি–আবহা

রাত ১২টা, সনি স্পোর্টস টেন ২

;