শুরুতে সৌম্য, শেষে সৈকতে সুন্দরতম সমাপ্তি



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ফাইনালে বাংলাদেশের দুই জয়ের নায়ক সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত- ছবি: বিসিবি

ফাইনালে বাংলাদেশের দুই জয়ের নায়ক সৌম্য সরকার ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত- ছবি: বিসিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নেতাকে সামনের সময়টা দেখতে হয় খুব স্পষ্ঠ করে। বাস্তবতার নিরিখে। এই ফাইনালের সামনের সেই সময়কে অধিনায়ক মাশরাফি একটু আগেভাগেই দেখতে পেয়েছিলেন তাহলে?

শুনি ফাইনালের আগে মাশরাফি কি বলছিলেন-‘সাকিবকে ছাড়াও এই ম্যাচ জয়ের সামর্থ্য আমাদের আছে। সাকিব না খেললে তার জায়গা যে খেলবে, সেও পেশাদার, তারও সামর্থ্য আছে ভালো করার।’

-তো সাকিবের পরিবর্তে ফাইনালে কে খেললেন?

কম্বিনেশন জানাচ্ছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। নিশ্চিত জানুন একাদশে সাকিব আল হাসান থাকলে এই ফাইনালে মোসাদ্দেকের খেলা হতো না। ম্যাচে সাকিবের ১০ ওভারের স্পিন কে করে দেবে- সেই পরিকল্পনা সফল করতেই মুলত ফাইনালের একাদশে চলে এলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/18/1558163412838.jpg

কিন্তু সেই তিনিই ম্যাচের শেষভাবে ব্যাট হাতে যা করলেন তাতেই প্রমাণিত তার পেশাদারিত্ব। তার সামর্থ্য। যে পেশাদারিত্বের কথা, যে সামর্থ্যরে কথা ফাইনাল শুরুর ২৪ ঘন্টা আগে ঠিকই দেখেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি!

ট্রফি জিততে চাই ২৪ ওভারে ২১০ রান। যে কোনো ফরম্যাটেই এটি অনেক বড় টার্গেট। মোসাদ্দেক হোসেন যখন ব্যাট করতে এলেন উইকেটে তখন জেনুইন ব্যাটসম্যান শুধু মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ব্যাটিং অর্ডারে এরপরই লেজের সারির শুরু। স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের রান তখন ৫ উইকেটে ১৪৩। ম্যাচ জিততে চাই ৫০ বলে ৬৭ রান। এই অবস্থান থেকে আরেকটি উইকেট হারানো মানেই পাহাড় সমান চাপে পড়বে দল। একেই তো ফাইনাল ম্যাচ। তাছাড়া মাঠ ভেজা থাকায় বলও দ্রুত বাউন্ডারিতে যাচ্ছে না। ভেজা ঘাসে আটকে যাচ্ছে। তাই মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জুটি সিদ্ধান্ত নিলেন খেলাটা তারাই শেষ করে ফিরবেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/18/1558163445562.jpg

যেই চিন্তা সেই কাজ। পরিকল্পনা অনুযায়ী মোসাদ্দেকের শুরুটা হলো অনেক বেশি সাবধানী। নিজের খেলা প্রথম ১১ বলে মোসাদ্দেক করলেন মাত্র ৬ রান। তখনো লক্ষ্য থেকে বেশ দুরে বাংলাদেশ। চাই ৩৬ বলে ৫৫ রান। পরের ওভারে হোল্ডারকে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে উড়িয়ে ফ্লিক শটে ম্যাচে নিজের প্রথম ছক্কা মোসাদ্দেকের। সেই ওভারে বাংলাদেশের স্কোরে যোগ হলো ১০ রান। স্পিনার অ্যালেনের করা পরের ওভারে দেখেশুনে ব্যাটিং। এই ওভারে মিললো মাত্র ৬ রান। টার্গেট তখনো বেশ দুরে। ২৪ বলে করতে হবে ৩৯ রান। খেমার রোচের করা ম্যাচের ২১ নম্বর ওভারের দ্বিতীয় বলে ফের মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত ছক্কা। এক্সট্রা কাভারের ওপর দিকে বল গ্যালারিতে! ওভারে সবশুদ্ধ মিললো ১২ রান। জিততে প্রয়োজন তখন আরো ২৭ রান। বল বাকি ১৮টি।

এখান থেকেই গিয়ার বদলে ফেললেন মোসাদ্দেক। তার ব্যক্তিগত রান তখন ১৫ বলে ২৬। স্পিনার ফ্যাবিয়েন অ্যালেনকে আক্রমণে দেখে সিদ্ধান্ত নিলেন যা করার এই ওভারেই করতে হবে।

প্রথম বল ছক্কা! দ্বিতীয় বলেও তাই, ছক্কা!! তৃতীয় বলে বাউন্ডারি!!! চার নম্বর বলে আরেক ছক্কা!!!! পঞ্চম বলে দুই রান। সেই সঙ্গে মাত্র ২০ বলে মোসাদ্দেকের হাফসেঞ্চুরি পুরো। ওয়ানডে ক্রিকেটে এটাই বাংলাদেশেরদ্রুততম হাফসেঞ্চুরি এটি। আগেরটি ছিলো ২১ বলের, মোহাম্মদ আশরাফুল ও আব্দুর রাজ্জাকের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/18/1558163464350.jpg

অ্যালেনের সেই ওভারের ছয়টি বলই খেলেন মোসাদ্দেক। তাতে সবমিলিয়ে রান এলো ২৫। এই ২৫ রানই মোসাদ্দেকের ব্যাটে! ১৫ বলের ২৬ রান থেকে চোখের পলকেই তার স্কোর ২১ বলে ৫১ রানে!

এই ওভারকেই ফাইনালের টার্র্নিং পয়েন্ট বলছেন মোসাদ্দেক-‘শেষ তিন ওভারে আমাদের চাই ২৭ রান। জানতাম ড্রেসিংরুমে আমাদের পরে ব্যাটিংয়ে আছেন সাইফুদ্দিন, মেহেদি ও মাশরাফি ভাই। মাশরাফি ভাই বিগ শট খেলতে পারেন। তবে আমাদের পরিকল্পনা ছিলো শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ব্যাটিং করে যাওয়া। অ্যালেনকে আক্রমণে দেখেই তাকে টার্গেট করি। সেই ওভারে নিজেদেরকে আমরা লক্ষ্যের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছি। সেটা আমরা পেরেছিও। মুলত সেই ওভারেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। ঐ ওভারটাই টার্নিং পয়েন্ট।’

আসলেও তাই। ২৫ রানের সেই ওভারের পর ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন পড়ে ১২ বলে ২ রান! মাহমুদউল্লার বাউন্ডারিতে পরের ওভারেই জয় আনন্দ বল্গাহারা!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/18/1558163487721.jpg

ইনিংসের শুরুতে সৌম্যের ৪১ বলে ৬৬ রান। মাঝে দারুণ পরিকল্পনায় সাজানো মুশফিক-মিঠুনের ব্যাটিং। এবং শেষে মোসাদ্দেক-মাহমুদউল্লাহর সুন্দর মসৃণ । ট্রফি জয়ী ফাইনালের বাংলাদেশের এই ইনিংসকে দেশের সিনিয়র ক্রিকেট কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিম এভাবে ব্যাখা করছেন-‘সৌম কে দিয়ে শুরু, সৈকত কে দিয়ে তার শেষ। এই প্রজন্ম বুঝিয়ে দিল তারাও দায়িত্ব নিতে জানে।’

এতদিন ক্রিকেট ফাইনালের দুঃখ-শোক, কান্না-কষ্টই দেখছিলো বাংলাদেশ। এই প্রথম দেখলো হাসি-আনন্দের সুন্দরতম সমাপ্তি। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপ শুরুর আগে আগে খুব পরিশীলত কায়দায় কিন্তু আত্মবিশ্বাস ভরা গর্জন শুনিয়ে দিল বাংলাদেশ-‘আমরাও আসছি!’

   

আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুস্তাফিজকে মিস করেছে চেন্নাই 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের আসরের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস এবার বিদায় নিল প্লে-অফের আগেই। গতকালের প্লে-অফ নির্ধারণী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে জয়ের জন্য ২১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য পায় চেন্নাই। তবে শেষ চারে পৌঁছাতে হলে ম্যাচটিতে ২০১ রান তুললেই হতো। তবে চেন্নাই শেষ পর্যন্ত থামল আরও ১০ রান আগে, ১৯১ রানে। এতে ২৭ রানের জয়ে শেষ চারে উঠে যায় বেঙ্গালুরু। 

গতকালের ম্যাচটিতে চেন্নাইয়ের পেসাররা ছিলেন বেশ খরুচে। পেসারদের মধ্যে এদিন সবচেয়ে কম ইকোনমি ছিল তুষার দেশপান্ডের, সেটিও ১২ দশমিক ২৫। এতেই আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমানকে মিস করেছেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। আসরের শুরু থেকেই চোটের কারণে একাধিক ক্রিকেটারকে পায়নি। যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে পেস বিভাগে। এতে এর আগেও নিজেদের পেস আক্রমণে মুস্তাফিজের অভাবের কথা জানিয়েছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। 

ম্যাচ শেষের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রুতুরাজ বলেন, ‘চোটের কারণে কনওয়ে নেই, পাশাপাশি - পাথিরানাও ইনজুরিতে পড়েছিল। তবে আমরা ফিজকে বেশি মিস করেছি। কেননা, স্কোয়াডের ভারসাম্য রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তবে এই জিনিসগুলো স্বাভাবিক। আমার কাছে ব্যক্তিগত মাইলফলকগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা এখানে জিততে পারিনি, তাই আমি কিছুটা হতাশ।’ 

এদিন পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৬১ রান। এদিকে সিমারজিত সিং ১ ওভার করেই দিয়েছেন ১৯ রান। তবে স্পিনাররা ছিলেন দারুণ ছন্দে। মিচেল সান্টনার ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট। এদিকে মাহিশ থিকশানা কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ২৫ রান। এতে স্পিনারদের প্রশংসা করে রুতুরাজ আরও বলেন, ‘এটি একটি ভালো উইকেট ছিল। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। মৌসুমে ১৪ ম্যাচের সাতটিতে জয় পাওয়ায় আমি বেশ খুশি।’ 

চেন্নাইয়ের হয়ে সবশেষ ১মে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে খেলে জাতীয় দলের দায়িত্বে দেশে ফেরেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের এবারের আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ১৪ উইকেট নেন এই বাঁহাতি পেসার। যা এক আসরে তার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে নিজের আইপিএল অভিষেক মৌসুমে ২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে ১৬ ম্যাচে ১৭টি উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজ।  

;

‘নেভারলুজেন’ মৌসুম শেষ লেভারকুজেনের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাফিকার ৫৯ বছরের আগের রেকর্ড ভেঙে ইউরোপে কোনো ক্লাব হিসেবে টানা ৪৯ ম্যাচের রেকর্ডটি সপ্তাহখানেক আগেই গড়ে বায়ার লেভারকুজেন। পরে বুন্দেসলিগায় এর আগের ম্যাচে বোখুমকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে প্রথম ইউরোপিয়ান ক্লাব হিসেবে অপরাজিত যাত্রা ফিফটি'র মাইলফলকটিও স্পর্শ করে তারা। রেকর্ড, কীর্তি, মাইলফলক। একের পর এক ম্যাচে এই তিনের কোনো একটি বিশেষণ যেন জুড়েই যাচ্ছে লেভারকুজেনের নামে। সেই যাত্রা বজায় থাকলো লিগের শেষ ম্যাচেও। গত রাতে অগসবুর্গকে ২–১ গোলে হারিয়েও অনন্য কীর্তিতে নিজেদের নাম তুলল ‘দ্য কোম্পানিস এলেভেন’ খ্যাত দলটি। বুন্দেসলিগার ইতিহাসে প্রথম কোনো ক্লাব লিগ শেষ করলো অপরাজিত থেকে। 

এ নিয়ে মৌসুমে সব মিলিয়ে ৫১ ম্যাচে অপরাজিত লেভারকুজেন। এতে তাদের সঙ্গে এই বিশেষণটা পুরোপুরি মানায়, বায়ার লেভারকুজেন এই মৌসুমে ‘নেভারলুজেন’। শব্দটির উৎপত্তি অবশ্য তাদের থেকেই। গত রাতে অপরাজিত মৌসুম শেষে করে নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা নিজেদের নতুন ডাকনাম দিয়েছেন ‘বায়ার জিরোফোর নেভারলুজেন’। 

অবিশ্বাস্য এই মৌসুমে প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জিতল লেভারকুজেন। গত রাতে নিজেদের মাঠ বে অ্যারেনায় অগসবুর্গের ম্যাচটি লেভারকুজেনের শিরোপা উদযাপনের থাকেলও লিগে পাঁচ ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছিল জাভি আলোনসোর দলটি। বাকি ম্যাচগুলো ছিল নিয়মরক্ষার। সেই ম্যাচগুলোতেও নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ধরে রেখেই মৌসুম শেষ করলো তারা। 

এই মৌসুমেই লেভারকুজেনের সম্ভাবনা আছে নিজেদের অপরাজিত যাত্রা ৫৩-তে নিয়ে যাওয়ার। যেটি হলে তাদের নামের পাশে বসে যাবে ট্রেবল খেতাব। আগামী ২২ মে ইউরোপা লিগের ফাইনালের আতালান্তার বিপক্ষে নামবে লেভারকুজেনন। এর দুদিন পর ২৫ মে ডিএফবি-পোকালের (জার্মান কাপ) ফাইনালে কাইজারস্লাটার্নের বিপক্ষে লড়বে তারা।

;

ফিরলেন মেসি, জয়ে ফিরল মায়ামিও 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেসি একাদশের বাইরে যেতে না যেতেই জয়ের যাত্রাও হাতাছাড়া হয়েছিল ইন্টার মায়ামির। লিগে টানা পাঁচ ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর এর আগের ম্যাচে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ফ্লোরিডার দলটি। তবে দলের সবচেয়ে বড় তারকা দলে ফিরতেই জয়টাও ফিরে পেল তারা। মেসির ফেরার ম্যাচে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে যোগ করা সময়ে একমাত্র গোলটি করে মায়ামিকে জয় এনে দেন লিওনার্দো কাম্পানা।

এ নিয়ে লিগে টানা নয় ম্যাচে অপরাজিত থাকলো মায়ামি। এর আগে ১২ মে মন্ট্রিয়েলের বিপক্ষে ম্যাচের ৪৩তম মিনিটে চোট পান মেসি। পরে প্রথমিক চিকিৎসা নিয়ে ম্যাচের পুরো সময় খেলেছিলেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। এমনকি অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে করেছিলেন অনুশীলনও। তবে মেসিকে নিয়ে বাড়তি কোনো ঝুঁকি নিতে চায়নি মায়ামি। এতে নিজেদের আগের ম্যাচে মেসিকে রাখা হয়েছিল দলের বাইরে। 

মেসির চোট যে গুরুতর ছিল না তা আগেই জানিয়েছিলেন মায়ামি কোচ মার্টিনো। তবে ঘন ঘন চোটে পড়ায় বাড়তি সতর্কতা বিবেচনায় এ ম্যাচের একাদশে মেসির ফেরা নিয়ে ছিল শঙ্কা। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচের পুরো ৯০ মিনিটই খেলেন সাবেক বার্সা ও পিএসজির এই তারকা ফরোয়ার্ড। এবং ১-০ ব্যবধানের জয় পায় মায়ামি।  

এই জয়ে এমএলএসের (মেজর লিগ সকার) ইস্টার্ন কনফারেন্সের শীর্ষস্থান ধরে রাখল মায়ামি। ১৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩১। এদিকে দুইয়ে থাকা সিনসিনাটির পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩০। 

;

ধোনিদের বিদায় করে প্লে-অফে কোহলির বেঙ্গালুরু



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এভাবেও ফিরে আসা যায়!’। লাইনটি যেন আইপিএলের এবারের আসরের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর জন্যই বানানো। আসরের শুরুর আট ম্যাচে কেবল একটিতে জয়। শঙ্কা জেগেছিল সবার আগে আসর থেকে বিদায়ের। প্লে-অফের সমীকরণ তখন খাতা-কলমের হিসেবেই ছিল। সেখান থেকে শেষ চারের টিকিট কাটতে হলে জিততে হতো বাকি সব। এবং সেটিই করে দেখাল কোহলি-ডু প্লেসিরা। টানা ছয় ম্যাচ জিতে প্লে-অফের শেষ টিকিটটি নিশ্চিত করলো তারা। 

গতকালের ম্যাচটিতে চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে বেঙ্গালুরু লক্ষ্যটা দাঁড় করায় ২১৯ রানের। তবে প্লে-অফে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে ২০ ওভারে চেন্নাইকে করতে হতো ২০১ রান। সেই লক্ষ্যে শেষ ওভারের আগের আসরের চ্যাম্পিয়নদের দরকার ছিল ১৭ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। যশ দয়ালের প্রথম বলেই হাঁকালেন ছক্কা। মুহূর্তেই স্তব্ধ চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। ম্যাচে মোড় ঘুরে গেল চেন্নাইয়ের দিকে। তবে পরের বলে আরও এক ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন ধোনি। পরে জাদেজা-শার্দুলরা ৪ বলে ১১ রানের সেই সমীকরণ মেলাতে পারলেন না। শেষ ৪ বলে দয়াল দিলেন স্রেফ ১ রান। এতে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ থামে ১৯১ রানে। ২৭ রানে ম্যাচ জিতে নেট রান রেটের অঙ্ক মিলিয়ে শেষ চারে উঠে যায় বেঙ্গালুরু। 

ইনিংসের শুরুটা ধাক্কা দিয়েই হয়েছিল চেন্নাইয়ের। প্রথম বলেই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়কে ফেরান ম্যাক্সওয়েল। ক্যাচ নেন সেই দয়াল। জয়ের শুরুটাও যেন এই বাঁহাতি পেসারকে দিয়েই। পরে দলীয় ১৯ রানের মাথায় চেন্নাইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ড্যারিল মিচেলের উইকেট এবার তোলেন দয়াল। শেষের আগেও তাই শুরুটাও যেন ছিল দয়ালময়। পরে রাচিন রবীন্দ্রর দলীয় সর্বোচ্চ ৬১, আজিঙ্কা রাহানের ৩৩, জাদেজার অপরাজিত ৪২ এবং ১৩ বলে ধোনির ২৫ রানের ইনিংসের প্রচেষ্টাতেও প্লে-অফের সমীকরণের ১০ রান আগে এসে থামল চেন্নাই। এতে আগের আসরের চ্যাম্পিয়নরা এবার বিদায় নিল গ্রুপপর্ব থেকেই। 

এর আগে ব্যাটে নেমে টপ-অর্ডারদের দলীয় পারফর্মে বড় সংগ্রহ পায় বেঙ্গালুরু। কোহলি ৪৭, ডু প্লেসি ৫৪, পাতিদার ৪১ এবং গ্রিন করেন ৩৮ রান। শেষে এসে ৫ বলে ম্যাক্সওয়েলের ১৬ এবং ৬ বলে কার্তিকের ১৪ রানের ক্যামিওতে ৫ উইকেটে ২১৮ রানের সংগ্রহের পোঁছায় স্বাগতিকরা।  

শুরুর সেই ক্যাচ ছাড়াও দয়াল নেন স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট। আগের আসরে তিনি খেলেছিলেন গুজরাট টাইটান্সের হয়ে। সেবার কলকাতার রিঙ্কু সিংয়ের কাছে টানা পাঁচ ছক্কা খেয়ে ম্যাচ হারিয়ে বেশ সমালোচিত হয়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। তবে এবার তার ওপর ভরসা রাখে বেঙ্গালুরু। এবং তার সবচেয়ে বড় প্রতিদান তিনি যেন দিলেন আসরের গ্রুপপর্বে নিজেদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে।

;