বিশ্বকাপে যুবরাজ সিংয়ের দুই ফেভারিট ভারত ও ইংল্যান্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যুবরাজ সিং: বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেটার

যুবরাজ সিং: বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় ক্রিকেটার

  • Font increase
  • Font Decrease

-যুবরাজ সিং, এবারের বিশ্বকাপে আপনার চোখে ফেভারিট কে?

এমন প্রশ্ন আসবে জানাই ছিলো যুবরাজের। বিশ্বকাপের সময় যতোই ঘনিয়ে আসছে, প্রায় সবাই এই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে। ফেভারিট প্রশ্নে যুবরাজ শক্তিশালী দুই দলকেই বেছে নিলেন।

-আমার যুক্তিতে এই বিশ্বকাপে সেরা ফেভারিট ভারত ও ইংল্যান্ড।

তবে শুধু এই দুই দল নয়, এবারের বিশ্বকাপে যুবরাজের আরো বেশ কয়েকটি দল রয়েছে যারা ফেভারিটের ট্যাগ নিয়েই মাঠে নামবে। সেই তালিকায় অস্ট্রেলিয়াকে যুবরাজ রাখছেন তৃতীয় সেরা ফেভারিটের তালিকায়। আর চতুর্থ সেরা ফেভারিট হিসেবে লড়াইটা হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে।

বিশ্বকাপের বাকি তিনদল নিয়ে কোনো ইতিবাচক মন্তব্য করেননি ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং। এই তিনটি দল হলো বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান।

ভারতে একটি অনুষ্ঠানে যুবরাজ বলছিলেন-‘আমার বিচারে সেরা চার ফেভারিটের মধ্যে ভারত ও ইংল্যান্ড শীর্ষে থাকছে। তবে হ্যাঁ, ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ দলে ফিরে আসায় অস্ট্রেলিয়াও শিরোপা প্রত্যাশী দল হয়ে উঠেছে। শুধু তাই নয়, পাওয়ার ক্রিকেটের বিচার করলে ওয়েস্ট ইন্ডিজও দারুণ শক্তিমান এবারের বিশ্বকাপে। তবে খেলা শুরুর আগে বেশিকিছু বলার উপায় নেই। শুধু একটু বলা যেতে পারে, ভারত ও ইংল্যান্ড প্রথম এবং দ্বিতীয় ফেভারিট। অস্ট্রেলিয়া তৃতীয়। আর চতুর্থ ফেভারিট? উত্তরটা পেতে আরো কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে।’

এবারের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত হবে রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ টুর্নামেন্টের দশটি দল প্রত্যেকে একে অন্যের বিপক্ষে লড়বে। সেমিফাইনালের আগ পর্যন্ত একটা দলের ৯টি করে ম্যাচ। এই ফরমেট প্রসঙ্গে যুবরাজ সিং বলছিলেন-‘আগের বিশ্বকাপে আমরা গ্রæপ ম্যাচে এবং নকআউট পর্বে খেলতাম। এবার খেলতে হবে ৯টি ম্যাচ। এত বেশি ম্যাচ খেলে সেরা চার দলের থাকার যোগ্যতা অর্জনের কাজটা অনেক বেশি চাপের। তবে এই চাপ বা কঠিন কাজ টুর্নামেন্টের সব দলের জন্যই প্রযোজ্য। এই ফরমেটের খেলায় মানষিক চাপটা ঠিক রাখাটাই হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের কাজ।’

ইংল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে ক্রিকেট ভারতের জন্য সবসময় সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবেই থাকছে। ইংল্যান্ডের মাঠ থেকেই ১৯৮৩ সালে ভারত প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে ফিরেছিলো। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ভারত। ইংল্যান্ডের মাটিতেই ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালেও উঠেছিলো।

তবে পেছনে কোন দল কি করেছিলো, সেটা নতুন টুর্নামেন্টে তেমনভাবে কাজে লাগে না। এই ধারণায় বিশ্বাস রেখে যুবরাজ জানাচ্ছেন-‘পেছনের রেকর্ড নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। বিরাট কোহলি ও তার দলকে এই বিশ্বকাপে নতুনভাবে শুরু করতে হবে। এবারের বিশ্বকাপ হবে হাইস্কোরিং ম্যাচের। টুর্নামেন্টের আগে প্রস্তুতিটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচের জটিল সময়গুলো কোন দল কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেটার ওপরই ম্যাচ ভাগ্য নির্ভর করবে।’

   

লিভারপুল ছাড়ার আগেই ক্লপের ‘নতুন শুরু’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিভারপুলের ডাগআউটে আজ শেষবারের মতো দাঁড়াবেন ইয়ুর্গেন ক্লপ। অলরেডদের সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের ইতি টানতে যাচ্ছেন তিনি। অবশ্য তার আগেই নতুন এক আঙিনায় পদচারণা শুরু হল তার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নাম লিখিয়েছেন ক্লপ, যোগ দেয়ার একদিনের মাথায় তার অনুসারীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ লাখ।

কোচিং ক্যারিয়ারে ব্যস্ত সময় কেটেছে ক্লপের। ২০০১ সালে জার্মান ক্লাব মেইনজের দায়িত্ব নিয়ে পেশাদার কোচিং শুরু তার। এরপর বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ঘুরে লিভারপুলে থিতু হয়েছিলেন। কোচিং ব্যস্ততায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না তিনি।

বছর চারেক আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, এ বিষয়ে তিনি বেশ অজ্ঞ, এমনকি এগুলো নিয়ে খুব একটা আগ্রহ বোধ করেন না তিনি। তবে লিভারপুল ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তে ইনস্টাগ্রামে যোগ দেয়ার মধ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পদচারণা শুরু করলেন তিনি।

ক্লপের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের নাম ‘ক্লপো’। অ্যাকাউন্ট খোলার পরপরই তার ভক্তরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। তরতরিয়ে বাড়ছে ফলোয়ার সংখ্যা। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ লাখের বেশি ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারি তাকে ইনস্টাগ্রামে অনুসরণ করেছেন।

;

জাভিকে ছাঁটাই করবে বার্সেলোনা?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে বার্সেলোনার টানা বাজে পারফরম্যান্সের পর কোচ জাভি হার্নান্দেজ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, এই মৌসুম শেষেই বিদায় নিবেন তিনি। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। এবার মৌসুমের শেষদিকে এসে আরও একবার জাভির বিদায়ের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

স্প্যানিশ এক সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, এখন আর জাভিকে কোচ হিসেবে রাখতে চান না বার্সেলোনার সভাপতি। তবে নিজের ছাঁটাইয়ের ব্যাপারে সব গুঞ্জন উপেক্ষা করে বার্সা কোচ জানিয়েছেন, ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তার ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী।

একাধিক স্প্যানিশ গণমাধ্যম বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই জাভিকে ছাঁটাই করতে যাচ্ছে কাতালান ক্লাবটি। জাভি আবার বলেছেন এ বিষয়ে বার্সেলোনা তাকে শান্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, ‘কোনো রিপোর্ট নিয়ে আমি আগ্রহী নই। ক্লাব আমাকে শান্ত ও আত্মবিশ্বাসী থাকতে পরামর্শ দিয়েছে। আমার কাছে সবকিছুই এখনো আগের মতোই আছে।‘

আজ রবিবার রাতে রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মাঠে নামবে বার্সেলোনা। তার আগে সংবাদ সম্মেলনে জাভি কথা বলেছেন, ‘আমরা সভাপতির সাথে পুরো বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। সেখানে কোন কিছু হয়ে থাকলে সবাই জানতো। কিন্তু কার্যত তিন সপ্তাহ আগে যেমন ছিল সবকিছুই এখনো তেমনই আছে।’

;

ম্যানসিটি নাকি আর্সেনাল, শেষ হাসি কার?



হোসাইন মাহমুদ আব্দুল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মৌসুমেও প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা নিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও আর্সেনালের মধ্যে। তবে সেবার শেষের একটু আগে পা হড়কে যায় গানারদের। তাই শেষ পর্যন্ত হেসেখেলেই লিগ জিতে যায় সিটি। কিন্তু এবার মৌসুমের শেষ দিন পর্যন্ত গড়িয়েছে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ। টানটান উত্তেজনাময় প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে যতি পড়বে আজ। শেষ দৃশ্যে ইতিহাদে উৎসব হবে নাকি এমিরেটসে, তা দেখতেই এখন মুখিয়ে গোটা ফুটবল দুনিয়া।

ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য শিরোপার হিসাব-নিকাশে আর্সেনালের কিছুটা এগিয়ে বা বলা যায় স্বস্তিতে আছে। ৩৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮৮, দুই পয়েন্টে পিছিয়ে দুইয়ে আর্সেনাল। শেষদিনে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট হ্যামকে হারিয়ে দিলেই টানা চতুর্থবার লিগ শিরোপার স্বাদ পাবে তারা।

আর্সেনালের জন্য হিসেবটা একটু কঠিন। ঘরের মাঠে যদি তারা এভারটনকে হারিয়েও দেয়, তবু চেয়ে থাকতে হবে সিটি-ওয়েস্ট হ্যাম ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচে সিটিজেনরা পয়েন্ট হারালেই কেবল ২০ বছর পর লিগ জয়ের উৎসব করতে পারবে তারা। যেহেতু সিটির চেয়ে আর্সেনাল ১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে আছে, তাই আর্সেনাল জিতলে ও সিটি ড্র করলে শিরোপা এমিরেটসে আসবে।

শিরোপার হিসাব-নিকাশ শেষ দিনের জন্য তোলা থাকলেও সেরা চারের হিসাব এবার আগেভাগেই শেষ হয়ে গেছে। ম্যানসিটি এবং আর্সেনালের সঙ্গে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে লিভারপুল ও অ্যাস্টন ভিলা।

এবার টেবিলের তলানিতে চোখ বুলানো যাক। চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে আসা তিন ক্লাব বার্নলি, শেফিল্ড ইউনাইটেড ও লুটন টাউনই অবনমিত হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে বার্নলি এবং শেফিল্ডের অবনমন নিশ্চিত হয়ে গেছে।

কাগজে-কলমে না হলেও প্রথমবারের মতো প্রিমিয়ার লিগে আসা লুটনের অবনমনও নিশ্চিত বলা চলে। কারণ মৌসুমের শেষ দিনে তারা যদি ফুলহ্যামকে হারিয়ে দেয় এবং টেবিলের ১৭ নম্বরে থাকা নটিংহ্যাম ফরেস্ট নিজেদের ম্যাচে হেরে যায়, তাহলে দুই দলের পয়েন্ট হবে সমান ২৯। কিন্তু গোল ব্যবধানে ফরেস্টের (-১৯) চেয়ে লুটন (-৩১) অনেক পিছিয়ে থাকায় জয়টা তাদের জন্য সান্ত্বনার হয়েই থাকবে।

;

টি-টোয়েন্টিতে চাপ বেশি, সেটিই উপভোগ করেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ক্রিকেটে ব্যাটিং ঝড়ের টি-টোয়েন্টিতে এখন চাপটা যে বোলারদের সবচেয়ে বেশি তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আগে বোলিং পেলে ব্যাটারদের কমে আটকানোর চাপ, পরে বোলিং করলে  ব্যাটাররা যেন সেই লক্ষ্য ছুঁতে না পারে সেই চাপ। সম্প্রতিই আইপিএলের ব্যাটিং ঝড়ের হাত থেকে বোলারদের বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বোলারদের এমন চাপের বিষয়টিকে সায় দিলেন মুস্তাফিজুর রহমানও। তবে সেই চাপ বেশ উপভোগ করেন তিনি এবং এই কারণেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট তার সবচেয়ে পছন্দের। 

সামনেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে টুর্নামেন্টটির সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদের মাঠে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই দেশটিতে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসরে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে ‘গ্রিন রেড স্টোরি’ শিরোনামে বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে বিসিবি। সেখানেই নিজের লক্ষ্য নিয়ে কথা বোলার সময় মুস্তাফিজ জানান কেন এই ফরম্যাটই তার সবচেয়ে পছন্দের। 

বিশেষ সেই সাক্ষাৎকারে মুস্তাফিজ বলেন, ‘ভালো লাগার প্রসঙ্গ এলে আমি টি-টোয়েন্টিটা বেশি পছন্দ করি। এই সংস্করণে চাপটা বেশি। এ কারণেই মনে হয় আমার ভালো লাগে। আমি চাপটা অনেক উপভোগ করি।’

জাতীয় দলের দায়িত্ব ফেরার আগে দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এবার আইপিএলে খেলেছেন মুস্তাফিজ। সেখানে বিশ্বের নামীদামী সব খেলোয়াড়, কোচদের কাছে স্বাভাবিকভাবেই শিখেছেন অনেক কিছু। সেসব অনায়াসেই জাতীয় দলের বাকি পেসারদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে চান তিনি। এবং দেশের পেস আক্রমণ নিয়ে বেশ আশাবাদী এই বাঁহাতি পেসার। ‘আমাদের যে পেস বোলাররা আছে- তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন ( বিশ্বকাপ দলে নেই), হাসান মাহমুদ। আমি যেটুকু শিখেছি, সেগুলো ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করব। এতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়।’ 

;