প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করল কলকাতা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শনিবার রাতে ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেন্সে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে নেমেছিল কলকাতা নাইত রাইডার্স। যেখানে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি নির্ধারিত ওভার থেকে কমিয়ে আনা হয় ১৬ ওভারে। বরাবরের মতোই নিজেদের দাপট ধরে রাখল স্বাগতিকরা। মুম্বাইকে ১৮ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রইল তারা।

এই ম্যাচটি মুম্বাইয়ের জন্য ছিল শুধুই নিয়মরক্ষার। কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি আইপিএলের প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছেন হার্দিক-রোহিতরা। তবে কলকাতার জন্য ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করতে এবং শীর্ষস্থান ধরে রাখতে এই ম্যাচে জয় পেতে হতো তাদের।

এদিন টসে জিতে স্বাগতিকদের শুরুতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় মুম্বাই। ব্যাট হাতে বেশ নড়বড়ে ছিল কলকাতার টপ অর্ডার। দুই বিধ্বংসী ওপেনার সল্ট ও নারাইনও ছিলেন নিষ্প্রভ। তবে মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ওপর ভর করে মুম্বাইকে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় কলকাতা।

জবাবে ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার। তবে স্বাগতিক বোলারদের তোপের মুখে পড়ে খেই হারান মুম্বাইয়ের মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা। শেষ ওভারের শেষ বল প্ররযন্ত গড়ায় খেলা। যেখানে ১৩৯ রানেই থাকে সফরকারীদের ইনিংস। ফলস্বরূপ কাঙ্ক্ষিত জয়ই তুলে নেয় কলকাতা।

এই জয়ের পর এবারের আইপিএলে প্রথম দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে প্লে-অফে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১২ ম্যাচ শেষে ৯ জয়ের সঙ্গে ১৮ পয়েন্ট তাদের।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

কলকাতাঃ ১৫৭/৭ (১৬ ওভার); ভেংকাটেশ ৪২, নিতিশ ৩৩; পীযুশ ২-২৮, জসপ্রীত ২-৩৯।

মুম্বাইঃ ১৩৯/৮ (১৬ ওভার); কিশান ৪০, তিলক ৩২; বরুণ ২-১৭, রাসেল ২-৩৪।

ফলাফলঃ কলকাতা ১৮ রানে জয়ী।

প্লেয়ার অব দ্য সিরিজঃ বরুণ চক্রবর্তী।

   

কোহলিকে বেঙ্গালুরু ছেড়ে দিল্লি যাওয়ার পরামর্শ পিটারসেনের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আরও একটা স্বপ্নের আইপিএল যাত্রা থামল বিরাট কোহলির। এলিমিনেটর ম্যাচে তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু হেরেছে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। আর তাতেই শেষ কোহলির প্রথম আইপিএল শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। যেটা দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কখনোই জেতা হয়নি তার।

অথচ, কোহলির নামের পাশে আইপিএলের রেকর্ড রান, সেঞ্চুরি কিংবা সর্বোচ্চ ফিফটি হাঁকানোর তকমা। চলতি মৌসুমেও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হওয়ার পথে রয়েছেন কোহলি। অথচ দিনশেষে কখনোই আইপিএল ট্রফি না জেতার আক্ষেপে পুড়তে হয় তাকে। যা নিয়ে শুনতে হয় সমালোচনাও। আর এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে শিরোপা জিতে আক্ষেপ ভুলতে কোহলিকে পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক কেভিন পিটারসেন। তার মতে, বেঙ্গালুরু ছেড়ে দিলেই শিরোপা জিততে পারে কোহলি।

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই বেঙ্গালুরুতে খেলছেন কোহলি। দলটির হয়ে কতশত অর্জন তার। অথচ, কোনো শিরোপা নেই। এই অবস্থায় কোহলিকে ক্লাব ছাড়ার পরামর্শ দিয়ে পিটারসেন বলেন, ‘আমি এটি আগেও বলেছি এবং আবারও বলব -অন্যান্য বড় খেলোয়াড়রা যেমন শিরোপা খরা কাটাতে দল ছেড়ে অন্য কোথাও যায়, তারও তেমনটি করা উচিত। যখন তিনি চেষ্টা করেছেন, কঠোর পরিশ্রম করেছেন -আবারও অরেঞ্জ ক্যাপ জিতেছেন অথচ তার ফ্র্যাঞ্চাইজি আবারও ব্যর্থ হয়েছে। আমি বুঝতে পারি যে সে দলের ব্র্যান্ড এবং সে দলে বাণিজ্যিক মূল্য এনেছে... কিন্তু দিনশেষে বিরাট কোহলি এমন একটি দলে খেলার যোগ্য যেটি তাকে শিরোপা জিততে সাহায্য করতে পারে।’

শিরোপা জিততে কোথায় যাওয়া উচিত কোহলির সেটিও জানিয়ে দিয়েছেন পিটারসেন। বলেন, ‘আমি আসলে মনে করি তার গন্তব্য দিল্লি হওয়া উচিত। দিল্লি হল সেই জায়গা যেখানে বিরাটকে নানা কারণেই যেতে হবে। বিরাট চাইলেই চলে যেতে পারেন, এবং বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকতে পারেন। আমি জানি দিল্লিতে তার একটি বাড়ি আছে। সেখানে তার একটি পরিবার আছে। কাজেই সে পারে। আর তাছাড়া দিল্লিতে বেশি সময় কাটানোয় কোহলি চাইলেই দিল্লির মতো বেঙ্গালুরু ফিরে যেতে পারেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় বিরাটের এ বিষয়য়ে চিন্তা করার সময় এসেছে। বেকহ্যাম চলে গেছে, রোনালদো চলে গেছে, মেসি চলে গেছে, হ্যারি কেইনও স্পার্স ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে গেছে। কোহলি নয় কেন তবে?’

;

বিশ্বকাপ খেলাটা ভাগ্যের ব্যাপারঃ তানজিদ তামিম



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে ‘গ্রিন রেড স্টোরি’ শিরোনামে ধারাবাহিক বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশ করছে বিসিবি। সেখানে নিজের ছোটবেলার, বর্তমানের এবং দলের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

তামিমের পরিবার তাকে নিয়ে খুব গর্বিত, এমনটা বলে নিজেই আনন্দমাখা হাসি হেসেছেন তিনি- ‘আমার বাবা-মা, পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবরা আমাকে নিয়ে গর্ববোধ করে। এটা অনেক আনন্দের।‘

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল, তিনি ওপেনিং ব্যাটার ছিলেন, তানজিদ তামিমও একই পজিশনে খেলেন। সিনিয়র তামিমের নাম থেকেই কি তার নামকরণ করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘আমার দাদা আর দাদি মিলে আমার এই নামটা দিয়েছেন, তখন তারা আসলে এই জিনিসটা ভেবে দেয়নাই।‘

নিজের শৈশব ও কৈশোরকাল প্রসঙ্গে বলেছেন তামিম, ‘সব বাবা-মা চায় তার ছেলে পড়াশোনা করে ভাল কিছু হবে, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হবে। আমার বাবা-মাও সেই স্বপ্নটাই দেখেছিল। গ্রাম থেকে তাই শহরে নিয়ে আসছিল পড়াশোনার জন্য। খেলাধুলার প্রতি ঝোঁক ছিল, তাই পড়াশোনার পর বাকি সময়টা আমি মাঠে খেলা করে কাটিয়েছি। আমি জানিনা কিভাবে কি হইসে বাট ছোটবেলায় খেলাধুলার ওই নেশাটা আজকে আমাকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসছে।‘

বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ হওয়াটা তামিমের জন্য অত্যন্ত গর্বের। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যখন আমরা ওয়ার্ল্ডকাপ জিতি সেটার মধ্যে অন্যরকম ফিলিংস আছে, আমার মনে হয় যে ওয়ার্ল্ড কাপ জেতাটা সবচেয়ে গর্বের। ওয়ার্ল্ডকাপ খেলাটাও একটা লাকের ব্যাপার। আমি অনেক লাকি ছিলাম যে খেলতে পারসি।‘

নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নিয়ে তামিম মাঠে নামেন না। তবে প্রতি ম্যাচেই তার ইচ্ছা থাকে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েই সে ম্যাচে পারফর্ম করা, ‘আমি কখনো সেরকম গোল সেট করিনা। ম্যাচ বাই ম্যাচ খেলার ট্রাই করি। সামনেও চেষ্টা করব ম্যাচ বাই ম্যাচ আগানোর এবং প্রত্যেক ম্যাচেই নিজের বেস্টটা দিয়ে টিমকে ভাল কিছু কন্ট্রিবিউট করার।‘

;

পন্টিংয়ের পর ভারতকে ‘না’ বলে দিলেন ফ্লাওয়ার



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই ভারতের প্রধান কোচের চেয়ার ছাড়ছেন রাহুল দ্রাবিড়। তার জায়গায় ভারতের প্রধান কোচ হতে যাচ্ছেন কে; তাই নিয়েই চলছে আলোচনা। বাতাসে কান পাতলেই শুনা যাচ্ছে নিত্য নতুন নাম। কখনো জাস্টিন ল্যাঙ্গার কখনো স্টিফেন ফ্লেমিং তো কখনো গৌতম গম্ভীর। তালিকায় নাম উঠেছে রিকি পন্টিং ও অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারেরও।

আর এসব গুঞ্জন যে একেবারেই অবান্তর নয় তা সবশেষ জানিয়েছেন পন্টিং। তার কাছে বিসিসিআই প্রস্তাব জানালেও সেটি নাকচ করে দিয়েছেন বলে জানান পন্টিং। এবার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও বললেন একই কথা। বিসিসিআইয়ের কোচ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করার নূন্যতম ইচ্ছেও নেই তার। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেট নিয়েই ভালো আছেন তিনি।

বেঙ্গালুরুর ডাগআউটে চলতি মৌসুমটা খুব একটা খারাপ কাটেনি সাবেক জিম্বাবুয়ে অধিনায়কের। প্রথম ৮ ম্যাচের মাত্র ১টি তে জয় পাওয়ার পর পরের ৬ ম্যাচে টানা জিতে কঠিন সমীকরণ মিলিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে বেঙ্গালুরু। পরে অবশ্য এলিমিনেটর ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে হেরে বাদ পড়তে হয়েছে তার দলকে। এরমধ্যেই নতুন করে ভারতের কোচ হওয়ার গুঞ্জন চলছিল তার নামে।

যা নিয়ে শেষমেশ নিজেই কথা বলেছেন তিনি। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের কোচ হওয়ার প্রতি কোনোই আগ্রহ নেই তার। ফ্লাওয়াল বলেন, ‘আমি আবেদন করিনি। করবোও না। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সম্পৃক্ততা নিয়েই আমি খুশি।’

;

মুরশিদা-সোবহানার সেঞ্চুরি, নারী ডিপিএলে রেকর্ড সংগ্রহ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় দলের জার্সিতে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না মুরশিদা খাতুন-সোবহানা মোস্তারির। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগ পাচ্ছেন তারা। সেই সুযোগটাকে অবশ্য দারুণভাবেই কাজে লাগিয়েছেন দু’জনে। চলমান নারী ডিপিএলে গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডানের জার্সিতে দু’জনেই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। আর তাতে নারী ডিপিএলের ইতিহাসে ৩ উইকেটে রেকর্ড ৩৯২ রানের দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে মোহামেডান। যেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ১৪১ রান তুলতে পেরেছে গুলশান। ম্যাচ হেরেছে ২৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে।

ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই শত রান পেরিয়ে যায় মোহামেডান। এরপর দলীয় ১৩৫ রানে মোহামেডানকে ঝড়ো শুরু এনে দিয়ে ৪১ বলে ৭৫ রান করা জেসিয়া আক্তার ফিরলেও সোবহানাকে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান মুরশিদা। দু’জনেই পেয়ে যান সেঞ্চুরির দেখা। এই জুটিতে আসে ২৫৭ রান।

সোবহানা শেষ দিকে ১০১ বলে ১২৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেও ম্যাচ শেষ করে আসেন মুরশিদা। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ১৫৭ বলে ১৭৯ রানে। মুরশিদার ইনিংসটি সাজানো ছিল ২টি ছক্কা ও ২৩টি চারে। অন্যদিকে সোবহানার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭টি ছক্কা ও ৬টি চারে। তাদের দু’জনের সেঞ্চুরিতেই এদিন নারী ডিপিএলে দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে মোহামেডান।

মোহামেডানের করা ৩ উইকেটে ৩৯২ রানের রেকর্ড গড়ার আগে নারী ডিপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড ছিল বিকেএসপির দখলে। কেরানীগঞ্জ ক্রিকেটে একাডেমির বিপক্ষে বিকেএসপির ৩২১ রান করে ছিল দলটি।

বোলিংয়ের ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল গুলশানের। দেখার ছিল সেই ব্যবধানটা শেষ পর্যন্ত কততে নামিয়ে আনতে পারে গুলশান। এমন দিনে ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত গুলজানের ইনিংস থেমেছে ৪৯.৪ ওভারে ১৪১ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান এসেছে আশার ব্যাট থেকে। মোহামেডান অধিনায়ক সালমা খাতুনের শিকার ২ উইকেট। ৩ উইকেট নিয়েছেন রুমানা আহমেদ।

;