ধোনির ব্যাটে ইতিহাস গড়ল ভারত



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অজিদের হতাশায় পুঁড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজও জিতল ভারত

অজিদের হতাশায় পুঁড়িয়ে ওয়ানডে সিরিজও জিতল ভারত

  • Font increase
  • Font Decrease

জয় দিয়েই স্বপ্নের মতো এক সফর শেষ বিরাট কোহলিদের। অস্ট্রেলিয়ার মাঠে প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়েছিল ভারত। এবার ওয়ানডে সিরিজটাও নিজেদের করে নিয়েছে তারা। মেলবোর্নে মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটে লেখা হলো নতুন এক রূপকথা। ওয়ানডে সিরিজ জিতল ২-১ ব্যবধানে।

টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজ জিতে ইতিহাস গড়ল ভারত। অস্ট্রেলিয়ার মাটি থেকে কোনও সিরিজ না হেরে ফিরবে ভারতীয় দল।

ধোনির ব্যাটেই সেই ইতিহাস লেখা হলে। সিরিজের শেষ ম্যাচে শুক্রবার ২৩০ রান তাড়া করতে নেমে ৪ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতল সফরকারীরা। ভারতের কাছে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হারল অজিরা।

ধোনি সফল পুরো ওয়ানডে সিরিজেই। তিন ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন অভিজ্ঞ মাহি। অ্যাডিলেড ওভালের পর মেলবোর্নেও জয়ের অন্যতম নায়ক। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে ব্যাট কথা বল তার। বুঝিয়ে দিলেন দু’টি বিশ্বকাপ ও একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মালিক ফুরিয়ে যাননি। সিরিজের সেরা হলেই তিনিই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/18/1547814105204.jpg

অসাধারণ ফিনিশার ধোনি ১১৪ বলে ৬ বাউন্ডারিতে খেলেন ৮৭ রানের হার না মানা ইনিংস।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইয়ুজবেন্দ্র চাহালের স্পিন ঘূর্ণির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ২৩০ রানে শেষ স্বাগতিকদের ইনিংস। পিটার হ্যান্ডসকম্ব একা লড়ে তুললেন ৫৮ রান। উসমান খাজা ৩৪ ও শন মার্শ করেন ৩৯।

৬ উইকেট নিতে চাহাল ব্যয় করেন ৪২ রান। এটিই তার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং ফিগার। দুই পেসার ভুবনেশ্বর কুমার ও মোহাম্মদ শামি নেন দুটি করে উইকেট।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/18/1547814148343.jpg

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই রোহিত শর্মাকে (১৫) হারায় ভারত। শেখর ধাওয়ান ফিরেন ২৩ রানে। এরপরই ধোনি খেলেছেন অসাধারণ এক ইনিংস। শুরুতে তৃতীয় উইকেটে বিরাট কোহলিকে নিয়ে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। এরমধ্যে ৪৬ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন কোহলি। অধিনায়ক বিদায় নিতেই হাল ধরেন ধোনি। সঙ্গে কেদর যাদবকে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ১২১ রান তুলে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।

১১৪ বলে ৮৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। ৫৭ বলে ৭ চারে ৬১ রানে অপরাজিত কেদর যাদব। ফিনিশারের যেন পুনর্জন্ম হলো!

   

নিউইয়র্কের ড্রপ-ইন পিচ নিয়ে চিন্তিত নয় আইসিসি 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১ জুন ডালাসে কানাডার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি পর্দা উঠতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ওয়েস্ট ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আসরটির আয়োজক। ডালাস ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র পর্বের ম্যাচগুলো হবে নিউইয়র্ক ও লডারহিলে। বিশ্বকাপের বেশিরভাগ ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজে হলেও তর্কসাপেক্ষে গ্রুপপর্বের সবচেয়ে বড় ম্যাচ, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি হবে নিউইয়র্কে। 

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির আইজেনহাওয়ার পার্কের স্টেডিয়ামটি মূলত অস্থায়ী। বিশ্বকাপের জন্যই যেটিকে তৈরি করা হয়েছে। সেই স্টেডিয়ামের পিচগুলো ড্রপ-ইন পিচ। ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটিতে হবে আসরের আট ম্যাচ। যার মধ্যে আছে হাইভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এতে অস্থায়ী মাঠ ও ড্রপ-ইন পিচ কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে উঠেছিল আলোচনা। তবে নিউইয়র্কের স্টেডিয়ামটি নিয়ে চিন্তিত নয় আইসিসি (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল)। 

স্টেডিয়ামের কাছাকাছি অনুশীলনে সুবিধার জন্য ছয়টি ড্রপ-ইন পিচও বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

অস্ট্রেলিয়ায় এই ড্রপ-ইন পিচ গুলো বানানো এবং সেগুলো ফ্লোরিডা হয়ে নিউইয়র্কে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আইসিসি ফিয়েছিল অ্যাডিলেড ওভালের পিচ কিউরেটর ড্যামিয়ান হাফকে। 

টুর্নামেন্টটি শুরু হতে বাকি আর পুরো দুই সপ্তাহ এবং নিউইয়র্কে প্রথম ম্যাচ আগামী ৩ জুন। এতেই প্রায় আড়াই সপ্তাহ সময় হাতে রেখে তাই হাফ জানালেন পিচগুলো নিয়ে ‘চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ 

পিচের অবস্থা জানিয়ে হাফ বলেন, ‘কোনো ভয় নেই। বিশ্বের সেরা কিছু পিচগুলোও ড্রপ-ইন পিচ। আমরা যেকোনো জায়গায় সেগুলো তৈরি করতে পারি।’

;

আতালান্তাকে হারিয়ে কোপা ইতালিয়া চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাস 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালিয়ান শীর্ষ ক্লাব সেরি আ-তে ২০১১-১২ মৌসুম থেকে টানা নয় আসরে লিগ চ্যাম্পিয়ন ছিল জুভেন্টাস। তবে ২০২০-২১ এ এসে তাদের রাজত্ব থামিয়ে লিগ শিরোপা জেতে ইন্টার মিলান। এরপর থেকে লিগ মৌসুমে থেকে শীর্ষ তিনেও জায়গা করতে পারেনি লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে সফল দলটি। এমনকি গত মৌসুমে দ্য লেডিরা ছিল শিরোপা শূন্য। সেই খরা কাটিয়ে তিন বছরে এই প্রথম শিরোপা জিতল জুভেন্টাস। দুশান ভ্লাহোভিচের একমাত্র গোলে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে আতালান্তাকে হারিয়েছে মাসসিমিলিয়ানো আল্লেগ্রির দলটি। 

সেরি আ-তে রেকর্ড ৩৬ বারের চ্যাম্পিয়ন দলটি কোপা ইতালিয়া ইতিহাসেরও সবচেয়ে সফল দল। আতালান্তার বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে এই জয়ে রেকর্ড ১৫ বারের মতো কোপা ইতালিয়া জিতল জুভেন্টাস। 

রোমের এস্তাদিও অলিম্পিকোতে ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই আতালান্তার জালে বড় জড়ান ভ্লাহোভিচ। ডি-বক্সের অনেকটা বাইরে পাস পেয়ে সেটি ধরে ডিফেন্ডারদের ছাড়িয়ে ডি-বক্সে চুকে বল লক্ষ্যে পৌঁছে দেন এই সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয়ার্ধে এসে ৭৩তম মিনিটে আরও একবার বল জালের জড়িয়েছিলেন তিনি। তবে ভিএআরে সেটি বাতিল বলে ঘোষণা হয়। 

এদিকে কোপা ইতালিয়ার ফাইনালে উঠে ১৯৬৩ সালের পর প্রথম কোনো শিরোপার দুয়ারে পৌঁছেছিল আতালান্তা। তবে শিরোপার অপেক্ষা বাড়লেও চলতি মৌসুমে আরও একটি সুযোগ থাকছে ক্লাবটির। উয়েফা ইউরোপা লিগেও ফাইনালে উঠেছে আতালান্তা। আগামী ২২ মে বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে শিরোপা খরা কাটানোর লড়াইয়ে আরও একবার নামবে আতালান্তা। 

;

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রী 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় দলে অভিষেকটা প্রায় ১৯ বছর আগে। ২০০৫ সালের ১২ জুন পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে গোলও করেছিলেন। সেখান থেকেই ভারতীয় ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম এক নামের উত্থান, সুনীল ছেত্রী। অবশেষে ভারতীয় ফুটবলের সোনালি এই অধ্যায়ের হতে চলেছে অবসান। আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায়ের ঘোষণা দিলেন ভারতের এই অধিনায়ক। 

ভারতের হয়ে একমাত্র ফুটবলার হিসেবে ১৫০টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অনন্য কীর্তি গড়েছেন সুনীল। এবং নিজের ১৫১তম ম্যাচ খেলেই অবসরে যাবেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ এক ভিডিও বার্তায় নিজেই অবসরের ঘোষণা দেন সুনীল। 

আগামী ৬ জুন নিজেদের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে কুয়েতের বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবারের মতো নামবেন সুনীল। 

উপমহাদেশের কোনো ফুটবলারের বিশ্ব অঙ্গনেও কিংবদন্তি বনে যাওয়া মোটেও সহজ ছিল না। ১৯ বছরের ক্যারিয়ারে সেটিই করে দেখিয়েছেন সুনীল। ১৫০ ম্যাচে করেছেন ৯৪ গোল। যা আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের চতুর্থ সর্বোচ্চ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, আলী দায়ই, লিওনেল মেসির পরের নামটাই সুনীলের। 

অবসরের ঘোষণা দিয়ে সেই ভিডিও বার্তায় সুনীল বলেন, ‘একটা দিন জীবনে কোনো দিনও ভুলতে পারব না। যে দিন দেশের জার্সি গায়ে প্রথমবার ভারতের হয়ে খেলতে নেমেছিলাম। অবিশ্বাস্য সেই অনুভূতি। তবে তার আগের দিন সকালে জাতীয় দলে আমার প্রথম কোচ সুখী স্যর (সুখবিন্দর সিংহ) এসে আমাকে জানিয়েছিলেন, প্রথম একাদশে আমি রয়েছি। বলে বোঝাতে পারব না কেমন ছিল সেই অনুভূতি।’ 

বিদায় বেলায় এসে পুরো ক্যারিয়ারটা যেন চোখের সামনে ভাসছে ছেত্রীর। মনে করিয়ে দিচ্ছে নানা স্মৃতি।  ‘এটাই আমার শেষ ম্যাচ, এটা যখন নিজেকে বলি, তখন অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছিল। বিষয়টা অদ্ভুত। বিশেষ কিছু ম্যাচের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। একাধিক কোচ, ভিন্ন ভিন্ন কিছু দলের কথা, বিভিন্ন মাঠের কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল আমার।’

জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোল ছাড়াও সুনীলের খেতাবের তালিকাটাও বেশ চওড়া। তিনি ছয় বার জিতেছেন এআইএফএফ বর্ষসেরার পুরস্কার, ২০১১ সালে অর্জুনা পুরস্কার, ২০১৯ সালে জিতেছেন পদ্মশ্রী পুরস্কার। ২০১৫ সালে তার নেতৃত্বেই ভারত পেয়েছে সাফ শিরোপা। এছাড়া  ২০০৭, ২০০৯ ও ২০১২ সালে নেহরু কাপ এবং ২০১৭ ও ২০১৮ জিতেছেন ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। 

;

টানা চার ম্যাচেই হারল রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসরের শুরু নয় ম্যাচে হার কেবল একটি। নয় ম্যাচ শেষে পয়েন্ট ছিল ১৬। সবার আগে শেষ চারীর টিকিট নিশ্চিতসহ অনায়াসেই শীর্ষে দুইয়ে থেকে প্লে-অফে যাওয়ার দৌড়েই ছিল রাজস্থান রয়্যালস। তবে আসরের গ্রুপপর্বের শেষ দিকে এসে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখল ২০০৮ আসরের চ্যাম্পিয়ন দলটি। গত মঙ্গলবার দিল্লির কাছে লক্ষ্ণৌয়ের হারের পরই অবশ্য নিশ্চিত হয়েছে রাজস্থানের প্লে-অফের জায়গা। তবে এ নিয়ে টানা ম্যাচেই হারের মুখ দেখল সঞ্জু স্যামসনের দলটি। 

প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক অলরাউন্ড পারফর্মে গতকালের একমাত্র ম্যাচটিতে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে রাজস্থান। এতে ১৩ ম্যাচ শেষের পয়েন্টটা আটকে থাকলো ১৬-তেই। এবং শেষ চারের টিকিট কনফার্ম থাকলেও শীর্ষ দুইয়ে থেকে গ্রুপপর্ব শেষ করে প্রথম কোয়ালিফায়ারের রাজস্থানের খেলা দাঁড়িয়েছে শঙ্কায়। 

এদিকে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পর আসরের দ্বিতীয় দল হিসেবে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে পাঞ্জাবের। এতেই প্রথম পর্বের বাকি ম্যাচগুলো তাদের জন্য কেবলই নিয়মরক্ষার। গত রাতের ম্যাচটি অধিনায়ক কারেনের ছিল এই আসরের শেষ ম্যাচ। কেননা জাতীয় দলের দায়িত্বে ফিরতে হবে এই ইংলিশ তারকা অলরাউন্ডার। আসরের শেষ ম্যাচে তাই খেলে গেলেন গুরুত্বপূর্ণ এক ক্যাপ্টেনস নক। বল হাতে ২ উইকেটের পর ব্যাট হাতেও অপরাজিত ৬৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েই মাঠ ছাড়েন কারেন। 

গৌহাটির ম্যাচটিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেখানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি পায় তারা। 

লক্ষ্যটা ছিল সহজের কাতারেই। তবে আভেশ-বোল্টদের পেস তোপে শুরুতেই তা কঠিন হয়ে পড়ে পাঞ্জাবের জন্য। ৪৮ রানেওই হারিয়ে বসে শুরুর চার উইকেট। তবে পঞ্চম উইকেটে জিতেশ শর্মাকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন কারেন। জিতেশ ২২ রান করে ফিরলেও কারেন টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। ৪১ বলে তার ব্যাট থেকেই আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৬৩ রান। এদিকে ১১ বলে ১৭ রানের এক ক্যামিও খেলেন আশুতোশ শর্মা। এতে ৫ উইকেট হাতে রেখে ১৮ ওভার ৫ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় পাঞ্জাব। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আভেশ ও চাহাল, একটি পান বোল্ট। 

আসরের ১৩ ম্যাচে এটি ছিল পাঞ্জাবের পঞ্চম জয়। আগের দুটি ম্যাচে হারের পর জয়ের দেখা পেল তারা।  

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল নিষ্প্রভ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। জশ বাটলার ইংল্যান্ডে ফিরে গেলে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন আরেক ইংলিশ ব্যাটার টম কোলার-ক্যাডমোর। এটি ছিল তার আইপিএলের অভিষেক ম্যাচ। তবে তা মোটেও সুখকর হলো না।  ২৩ বলে ফিরেছেন স্রেফ ১৮ রান করে। জয়সওয়াল ফেরার পর পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট না হারালেও স্কোরবোর্ডে স্রেফ ৩৮ রান উঠে রাজস্থানের। পরে ৪ বলের ব্যবধানে ফেরেন ক্যাডমোর-স্যামসন দুজনেই। পরে অর্ডার বদলে পাঁচে নামেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবং রিয়ান পরাগের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৫০ রানের জুটিতে চাপ কিছুটা হলেও সামলান। পরে ২৮ রান বলে অশ্বিন ফেরার পর বাকি ব্যাটাররা ছিলেন যাওয়া আসার মধ্যেই। কেবল রিয়ানের ৪৮ রানে ইনিংসে চড়ে লড়াকু পুঁজিতে পৌঁছায় তারা। 

আসরের শুরু থেকে দাপুটে পারফর্মে লম্বা সময় ধরে শীর্ষস্থান ধরে ছিল রাজস্থান। তবে একের পর এক হারে এবার শীর্ষে দুইয়ে জায়গা নিয়ে জেঁকেছে সংশয়।

;