প্রথম রাউন্ডেই মারের বিদায়



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বছরের শুরুটা এর চেয়ে বাজে হতে পারত না অ্যান্ডি মারের। অনেক আশা নিয়ে মেলবোর্নের কিয়া অ্যারেনায় ভিড় জমিয়েছিলেন হাজারো দর্শক। একজন কিংবদন্তির টেনিসশৈলী দেখতে এসেছিলেন তারা। কিন্তু একরাশ হতাশা নিয়ে শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাদের। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডেই সরাসরি সেটে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাকে। আর্জেন্টিনার টমাস মার্তিন এচেভেরির কাছে ৬-৪, ৬-২ ও ৬-২ সেটে হেরে গেছেন সাবেক এই বিশ্বসেরা টেনিস তারকা।

ক্যারিয়ার সায়াহ্নে থাকা মারেকে নিয়ে প্রত্যাশা খুব বেশি না থাকলেও প্রথম রাউন্ডেই তার যাত্রা সাঙ্গ হবে, এমনটা ভাবেননি কেউ। তবে চোট আর অফ ফর্মের লড়াই করা মারের সময়টা যে একেবারে পক্ষে নেই। শেষ ৮ ম্যাচের সাতটিতেই হারতে হয়েছে তাকে। নতুন মৌসুমের শুরুটাও ০-২ ব্যবধানে পিছিয়ে।

কিয়া অ্যারেনায় ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতার কোনো ছাপ ছিল না। ম্যাচটা যে মারের হতে যাচ্ছে না, তা বুঝতে প্রথম সেটটাই যথেষ্ট ছিল। একসময় ৪-৪ সমতায় থাকলেও সহজেই মারেকে পাশ কাটিয়ে যান ৩০তম বাছাই এচেভেরি, সেট জিতে নেন ৬-৪ ব্যবধানে।

পরের দুই সেটে আরও অসহায় মারে। ভাবলেশহীন মুখে সে দুই সেটে সমান ৬-২ ব্যবধানে হার মানেন মারে। এমন বিদায়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা তার অধরাই রইল। পাঁচবার ফাইনাল খেললেও অস্ট্রেলিয়ায় একবারও গ্র্যান্ডস্লাম জয়োৎসব করতে পারেননি মারে।

   

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে বাংলাদেশের চাই ১৫৭



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের মেয়েদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম চারটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচটি হয়ে উঠেছে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। সেই ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নিগার সুলতানা জ্যোতিদের সামনে ১৫৭ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ভারত।

মান বাঁচানোর ম্যাচে এদিন বোলিংয়ে শুরুতে সাফল্য পেলেও পরে সেটা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। দলীয় ২৫ রানে ভারত প্রথম উইকেট হারালেও দলকে টেনে তুলেন স্মৃতি মান্ধানা। তাদের বড় সংগ্রহের ভিত গড়ার সুযোগ করে দিয়েছে বাংলাদেশি ফিল্ডাররাও। পুরো সিরিজ জুড়ে ভোগানো বাংলাদেশি ফিল্ডাররা ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেনি সিরিজের শেষ বেলাতেও। পুরো ম্যাচে বেশ কিছু সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করার সঙ্গে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়েও ছিল ছন্নছাড়া।

ফিল্ডারদের এমন ভুল রান তোলার বড় সুযোগ হিসেবে লুফে নিয়েছে ভারতীয় ব্যাটাররা। মান্ধানা ২৫ বলে ৩৩ রান করে ফেরার পর হেমলতা ফিরে যান ২৮ বলে ৩৭ রান করে। অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের ব্যাট থেকে এসেছে ২৪ বলে ৩০ রান। এরপর মাঝে দ্রুত কিছু উইকেট পড়লে রানের গতি কমে ভারতের।

তবে বড় সংগ্রহের পথ থেকে শেষ পর্যন্ত ভারতে সরাতে পারেনি বাংলাদেশি বোলাররা। দায়িত্ব নিয়ে দলকে টেনে তুলেছেন রিচা ঘোষ। মাঝে দ্রুত উইকেট পড়লেও তিনি পুষিয়ে দিয়েছেন সেটা। ১৭ বলে ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহটাকে নিয়ে গেছেন ৫ উইকেটে ১৫৬ তে। যা এই সিরিজে দলীয় সর্বোচ্চ রান।

;

আইপিএলে ছক্কার রেকর্ডও এখন হায়দরাবাদের 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের এবারের আসরে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের লক্ষ্যটাই যেন একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়ার। যার নেপথ্যে মূলত ব্যাটাররা। হেড-অভিষেক-ক্লাসেনদের তোপে একের পর রেকর্ড গড়েই চলেছে অরেঞ্জ আর্মিরা। যার শুরুটা হয়েছে লিগটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ দিয়ে। গত ১৫ এপ্রিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে রেকর্ড ২৮৭ রানের দলীয় সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ। এছাড়া এক আসরে এক দলের সবচেয়ে বেশি তিনবার ২৫০-এর ঊর্ধ্বে দলীয় সংগ্রহ। এবার আরও একটি রেকর্ড নিজেদের করলো তারা। 

আইপিএলের এক আসরে কোনো এক দলের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড এখন হায়দরাবাদের। গতকাল লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের দেওয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্যে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্রেফ ৯ ওভার ৪ বলেই পৌঁছে যায় প্যাট কামিন্সের দলটি। সেখানে ৩০ বলে ৮৯ রান করা ট্রাভিস হেড হাঁকিয়েছেন ৮টি ছক্কা, অন্যদিকে ২৮ বলে ৭৫ রান করা অভিষেক শর্মা মেরেছেন ৬টি। এই ১৪ ছক্কাসহ আসরে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে হায়দরাবাদের মোট ছক্কার সংখ্যা ১৪৬টি। তারা ছাড়িয়ে গেছে ২০১৮ সালে গড়া চেন্নাই সুপার কিংসের ১৪৫ ছক্কার রেকর্ডটিকে।

এদিকে আসরের প্লে-অফ নিশ্চিত না হলেও প্রথম পর্বে এখনো দুটি ম্যাচ বাকি হায়দরাবাদের। এতেই ছক্কার রেকর্ডের সংখ্যাটা নিশ্চিতভাবেই আরও বাড়বে ফ্রাঞ্চাইজিটির। 

হায়দরাবাদকে এমন উচ্চতায় মূল কারিগর হেড-অভিষেক ও ক্লাসেন। তারা তিনজনেই হাঁকিয়েছেন ৯৭টি ছক্কা। হেড ও ক্লাসেন মেরেছেন সমান ৩১টি। এবং তাদের ছাড়িয়ে নিজ দলসহ চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ৩৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন অভিষেক।  

;

মান বাঁচানোর ম্যাচে আগে বোলিং করবে জ্যোতিরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৩ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। এতে অস্ট্রেলিয়ার পর ভারতও বাংলাদেশ এসেছে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে, টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। গত মাসে অজিদের বিপক্ষে সেই সিরিজটি ভালো কাটেনি জ্যোতি-নাহিদাদের। ৩-০ ব্যবধানে সেই সিরিজটি হেরেছিল স্বাগতিকরা। এবার ভারতের বিপক্ষে সিরিজটাও হাতছাড়া হলো বাংলাদেশের মেয়েদের। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শুরুর চারটিতেই হেরেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এতে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটা হয়ে দাঁড়িয়েছে মান বাঁচানোর, সিরিজ হোয়াইট ওয়াশ ঠেকানোর।

সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচটিও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। সেখানে আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কর।

চার ম্যাচের তিনটিতেই লক্ষ্য তাড়া করে হেরেছে স্বাগতিকরা। উইকেটের ব্যবধানে হারটা কেবল সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে, ৭ উইকেটের। এতে আরও একবার তাই আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত সফরকারীরা দলটি। 

এদিকে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত সাত টি-টোয়েন্টির প্রত্যেকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এতে বছরের প্রথম টি-টোয়েন্টি জেতার মধ্যে দিয়ে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে নামবে স্বাগতিকরা। 

তিন পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। একাদশ থেকে জায়গা হারিয়েছেন মুর্শিদা খাতুন, মারুফা আক্তার ও হাবিবা ইসলাম। তাদের পরিবর্তে ফিরলেন সোবহানা মোস্তারি, রিতু মনি ও ফারিহা তৃষ্ণা। এদিকে আগের ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামবে ভারত। 

বাংলাদেশ একাদশ: দিলারা আক্তার, সোবহানা মোস্তারি, রুবাইয়া হায়দার, নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), রিতু মনি, শরিফা খাতুন, রাবেয়া খান, নাহিদা আক্তার, রিতু মনি, ফারিহা তৃষ্ণা, স্বর্ণা আক্তার। 

;

‘মার্সিনিয়াক উঁচু মানের রেফারি’, বললেন আনচেলত্তি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে গতরাতে ঘরের মাঠে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর মাধ্যমে নিজেদের ইতিহাসে ১৮তম বার ইউরোপিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ এই প্রতিযোগিতার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল তারা। ১ জুন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে লন্ডনের মাঠে নামবে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

রিয়াল-বায়ার্নের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ছাপিয়ে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু এখন রেফারির একটি ভুল সিদ্ধান্ত। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বায়ার্ন কোচ থমাস টুখেল। এমনকি বায়ার্ন রীতিমত ‘প্রতারণার’ শিকার হয়েছে বলে নিজের মতামত জানিয়েছেন এই কোচ।

যোগ করা সময়ে ২-১ গোলে পিছিয়ে থাক বায়ার্ন শেষ মুহুর্তে একটি গোলের সুযোগ পেয়েছিল। মুলারের অ্যাসিস্ট থেকে ডি লিট রিয়ালের জালে বল জড়ানোর আগেই অফসাইডের বাঁশি বাজান লাইন্সম্যান। এমনকি ভিএআরও দেখেন না রেফারি। এই সিদ্ধান্তটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারত বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন টুখেল।

তবে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্ল আনচেলত্তি বলেছেন ভিন্ন কথা। তার মতে রেফারির সিদ্ধান্তে কোনো ভুল ছিল না। পরিস্থিতি অনুযায়ী তিনি তার সঠিক সিদ্ধান্তই দিয়েছেন। আনচেলত্তি বলেন, ‘তিনি উঁচু মানের রেফারি। তারা এটা নিয়ে অভিযোগ করলে আমরা নাচোর বাতিল হওয়া গোলটি নিয়ে অভিযোগ করতে পারি। কারণ, কিমিখ ডাইভ দিয়েছিল। ওরা একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করেছে।‘

এখানে উল্লেখ্য যে, গতরাতের রেফারি সাইমন মার্সিনিয়াক এর আগেও একাধিক বড় ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। ২০১৮ উয়েফা সুপার কাপ, ২০২২ বিশ্বকাপ ফাইনাল ও ২০২৩ চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল পরিচালনা করেছেন এই পোলিশ কোচ। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ফুটবল হিস্টরি অ্যান্ড স্ট্যাটিস্টিকসের (আইএফএফএইচএস) বিচারে ২০২৩ ও ২০২৪ সালে ‘বিশ্বসেরা রেফারি’–এর মর্যাদায়ও ভূষিত হয়েছেন।

;