এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফের বর্ণিল উদ্বোধন



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিগন্তরেখায় শীতের সূর্য তখনো উঁকি দেয়নি। তবে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের সবুজ আঙ্গিনায় একে একে বেরিয়ে পড়েছেন গলফাররা। উপলক্ষ এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্ট। যে আসরে কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের দেশি, বিদেশি সদস্যসহ দেশের সব গলফ ক্লাবের প্রায় ৬৫০ জন গলফার অংশ নিয়েছেন।

১৩ ডিসেম্বর শুরু হওয়া তিন দিনের এই টুর্নামেন্ট বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন কুর্মিটোলা গলফ ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাস্টার জেনারেল অব দি অর্ডন্যান্স মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম। টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া সম্মানিত সদস্যরা ছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান, এবিজি বসুন্ধরার পরিচালক মোস্তফা আজাদ মহিউদ্দিন, ক্লাব ক্যাপ্টেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুস সামাদ চৌধুরী, ক্লাবের টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবিদুর রেজা খান (অব.), ক্লাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কর্নেল মো. শহিদুল হক (অব.) সহ সশস্ত্র বাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা এবং বসুন্ধরা গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

গলফের পৃষ্ঠপোষণ প্রসঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান বলেছেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ সব সময়ই স্পোর্টসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। দেশে গলফের একটা ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তাই গলফকে এগিয়ে নিতে আমরা গলফের পাশে রয়েছি।’ দেশের সব রকমের খেলাধুলার প্রসারেই বসুন্ধরা গ্রুপ বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স গড়ে তুলছে, সেই উদাহরণও সামনে এনেছেন তিনি। ‘বসুন্ধরা গ্রুপ স্পোর্টস কমপ্লেক্স করেছে। ফুটসাল, হকি, ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ফুটবল স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে সবই সেখানে রয়েছে। বাংলাদেশে খেলা হয় এমন সব খেলার ব্যবস্থাই এক ছাদের নিচে করা হয়েছে। এ ছাড়া বসুন্ধরা ড্রাইভিং রেঞ্জের কাজ শুরু করেছে। আগামী আগস্টের মধ্যে এই ড্রাইভিং রেঞ্জ চালু হবে।’

আগামী ১৭ ডিসেম্বর এবিজি বসুন্ধরা বিজয় দিবস গলফ টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিক পুরস্কার বিতরণী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

   

সাংবাদিক জিয়াউল হকের মৃত্যু, বিএসপিএ’র শোক



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস এসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) সাবেক সভাপতি জিয়াউল হক (৮২) আর নেই। আজ বিকাল সোয়া ৫টায় মিরপুরের বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

দীর্ঘ কর্মময় জীবনে মরহুম জিয়াউল হক বেশির ভাগ সময়ে স্পোর্টস সাংবাদিকতা করেছেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক ইত্তেফাকে সিনিয়র সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। কাজ করেছেন দৈনিক পূর্বদেশসহ আরো কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে।

জিয়াউল হক ১৯৮৮-১৯৯১ সাল পর্যন্ত বিএসপিএ’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আজ বাদ এশা মিরপুর সাংবাদিক আবাসিক এলাকায় মসজিদুল ফারুকে নামাজে জানাজা শেষে কালশী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

জিয়াউল হকের মৃত্যুতে বিএসপিএ’র কার্যনির্বাহী কমিটি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিএসপিএ নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

;

জেসির অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন আবাহনী কোচ সুজনের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী আম্পায়ার ইস্যুতে সরগরম দেশের ক্রিকেট। জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, তামিম এবং তাদের ডিপিএল দল মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংকের বিরুদ্ধে উঠেছিল নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলতে না চাওয়ার অভিযোগ। সে অভিযোগ নিয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে তারা জানিয়েছেন, এমন কিছুই আসলে তারা বলেননি। ক্লাবগুলোও অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। তবে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাবনা ভিন্ন।

ডিপিএলের সুপার লিগে আগামীকাল (মঙ্গলবার) শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে খেলবে আবাহনী। সে ম্যাচকে সামনে রেখে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন সুজন। সেখানে নারী আম্পায়ার বিতর্কের প্রসঙ্গ উঠলে সুজন বলেন, ‘বড় খেলায় আপনাকে এমন একজন আম্পায়ার দেওয়া উচিত যার অভিজ্ঞতা আছে, যার প্রতি খেলোয়াড়দের শ্রদ্ধাবোধ থাকে। আম্পায়ার হিসেবে তার (জেসি) অভিজ্ঞতা আমার মনে হয় না প্রিমিয়ার লিগের এত বড় ম্যাচে করার মতো।’

জেসির অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরক্ষণেই আবার তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিসিবির অন্যতম পরিচালক সুজন, ‘যিনি আম্পায়ারিং করেছেন, সে খুব ভালো আম্পায়ার। বাংলাদেশের হয়ে ভবিষ্যতে খুব ভালো করবে।‘

জেসি এরই মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা আম্পায়ার হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। সুজনের জেসিকে ‘অনভিজ্ঞ’ আম্পায়ার বলার পেছনে কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ, ‘ম্যাচে কেন অনভিজ্ঞ আম্পায়ার দিয়েছি? জেসি কিন্তু অনভিজ্ঞ আম্পায়ার না। জেসি প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় শ্রেণিতে দায়িত্ব পালন করে। এছাড়াও ইমার্জিং এশিয়া কাপ, ভারতে সিনিয়র প্লেয়ারদের টুর্নামেন্ট ও সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেও আম্পায়ারিং করেছে।’

;

সিলেটের তিন স্কুলে জ্যোতিদের বর্ণিল দিন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো বিদেশি ক্রিকেটার কিংবা সাকিব-তামিম-মাশরাফিদেরও কেউ নন। এতো এতো স্কুল পড়ুয়া ক্ষুদে ভক্তের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে যিনি আছেন তিনি বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটার। ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। উইমেন্স ক্রিকেট নিয়ে যেখানে কয়েকবছর আগেও স্বপ্ন দেখা ছিল দিবাস্বপ্নের মতো। সেখানে জ্যোতি দেখালেন চাইলে এইদেশেও নারী ক্রিকেটার হয়ে এমন সম্মান পাওয়া সম্ভব। এতো বড় ক্রেজ হওয়া সম্ভব।

কারো হাতে নোটবুক, কেউ এসেছেন খাতা নিয়ে,  কারো হাতে শুধুই পৃষ্ঠা, কারো কারো সাথে গ্রুপ সেলফি কিংবা হাত নাড়ানোর আবদার। সবই যেনো জ্যোতির নামের মতো  জ্বলজ্বলে দৃষ্টান্তই হয়ে থাকবে।

শুধুই কি জ্যোতি? তার দলও তাই। মেয়েদের ক্রিকেট সাফল্য পাচ্ছে, বাধার দেয়াল ভাঙছে। মারুফা-ফাহিমারা প্রমাণ করছেন আমরাও পারি, মেয়েরাও পারে।

প্রথমে আম্বরখানা গার্লস স্কুল, এরপর ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সবশেষে আনন্দ নিকেতন। সিলেটের এই তিন স্কুলে সোমবার আনন্দ বিলিয়েছেন জাতীয় দলের তিন রত্ন জ্যোতি, ফাহিমা এবং মারুফা। শুধুই সেলফি অটোগ্রাফ কিংবা হাত  উঁচিয়ে ধরাতেই শেষ না। ক্রিকেটেও মজেছেন স্কুল ছাত্রীদের সাথে। সেই সাথে ছিলো প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। যেখানে জ্যোতি শেয়ার করেছেন তার উঠে আসার গল্প। এতো এতো দায়িত্ব আর চাপ সামলে কীভাবে এতো কুল থাকা যায়? সেসব।

এমন অসাধারণ  উদ্যোগের জন্য বাহবা পেতেই পারেন বিসিবির নারী উইংয়ের হেড অব অপারেশন্স হাবিবুল বাশার সুমন। মূলত উইমেন্স ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতেই এমন উদ্যোগ। মেয়েরা যে খেলতে আসতে পারে, এটা নিরাপদ জায়গা, সেটা  প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে বললেও ভুল হবে না বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।  সেই সাথে স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের মাঠে আসার আহবান তো ছিলোই।

তিনটি স্কুলেই স্মারক হিসেবে দেওয়া হয়েছে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি করে জার্সি।

;

সালাউদ্দিনের সমালোচনা গায়ে মাখছেন না কাবরেরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই লেগে বাংলাদেশের হারের পর কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কঠোর সমালোচনা করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। যদিও শক্তিমত্তায় যোজন যোজন এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স, বিশেষ করে ঘরের মাঠে জামাল ভূঁইয়ারা যে খেলা দেখিয়েছেন-তাতে ফুটবলপ্রেমীদের মুখে প্রশংসাই ঝরেছিল কোচের জন্য।

সালাউদ্দিনের চাঁছাছোলা সমালোচনার পর লম্বা একটা সময় মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন কাবরেরা। দীর্ঘ সময় পর আজ (সোমবার) বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেও যথেষ্ট নমনীয়ভাবেই উত্তর করেছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘তিনি (কাজী সালাউদ্দিন) বাফুফের সভাপতি। সমালোচনা করার অধিকার রাখেন। এর পরেও আমাদের মধ্যে দল নিয়ে কথা হয়েছে, আমি তার সমালোচনা নিয়ে ভাবছি না।’

সালাউদ্দিনের সমালোচনাকে বরং ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা কাবরেরার, ‘আমরা অবশ্যই ভুল থেকে শিখবো।’

জুনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। সে ম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলন ক্যাম্প হবে। তবে যেহেতু ঘরোয়া ফুটবলের খেলা পুরোদমে চলছে, তাই অনুশীলন ক্যাম্প সংক্ষিপ্ত হবে বলেই জানালেন কাবরেরা। কবে নাগাদ ক্যাম্প শুরু হতে পারে তা জানিয়ে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘এবার আমাদের অনুশীলন ক্যাম্প হবে সংক্ষিপ্ত। বিশেষ কিছু করার সুযোগ নেই। ২৯ মে লিগ শেষ হওয়ার পর বিশ্রাম নিয়ে খেলোয়াড়েরা ১ জুন রিপোর্ট করবে, ২ জুন থেকে ক্যাম্প শুরু করে দিতে চাচ্ছি।’

আগামী ৬ জুন বিকেল পৌনে পাঁচটায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় এশিয়ার জায়ান্ট অস্ট্রেলিয়াকে বিপক্ষে খেলবেন জামালরা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ৭-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।

;