টপলি ঝড়ে লণ্ডভণ্ড বাংলাদেশের টপ-অর্ডার



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৬৫ রানের জবাবে ধর্মশালায় শুরুতেই তিন টপ-অর্ডারকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। লিটন দাস একপ্রান্ত আগলে রাখলেও গতির ঝড় তুলে অপরপ্রান্ত থেকে উইকেটে আদায় করছেন ইংলিশ পেসার রিস টপলি। তার আগ্রাসী বোলিংয়ে ২৬ রানেই তিন উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।

বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে দারুণ শুরুর আভাস দেন লিটন। মার্ক উডের এক ওভারের হাঁকান তিনটি বাউন্ডারি। তবে সেই সুখ দীর্ঘ হয়নি বাংলাদেশের। পরের ওভারেই তানজিদ তামিমের উইকেট তুলে নেন রিস টপলি। পরের বলেই ইনফর্ম নাজমুল শান্তকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরান এই বোলার। বিপর্যয় সামাল দিতে এসে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। টপলির তৃতীয় শিকার হন তিনি।

এই মুহূর্তে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন লিটন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ ওভার শেষে ৩ উইকেট খরচায় ৪৬ রান।

এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে ১৬ চার ও পাঁচ ছক্কায় ১০৭ বলে ১৪০ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেন মালান।

   

কেন খেলেননি মেসি, কারণ জানালেন কোচ মার্টিনো



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লিওনেল মেসি যেদিন ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে নামেন, সেদিনই যেন প্রতিপক্ষকে কাবু করে ফেলে তারা। মেসি মাঠে নামার পর সবশেষ টানা পাঁচ ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছিল মায়ামি, মেসিও ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। সমান তালে গোল করছিলেন এবং করাচ্ছিলেন।

তবে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে বুধবার রাতে অরলান্ডো সিটির বিপক্ষে তাকে পায়নি মায়ামি। ফলে হোঁচটও খেতে হয়েছে ফ্লোরিডার দলটিকে, অরলান্ডো সিটির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। মেসি এই ম্যাচে না খেলার কারণ জানালেন দলের কোচ জেরার্ডো টাটা মার্টিনো। 

গেল রবিবার মন্ট্রিয়লের মুখোমুখি হয়েছিল মায়ামি। যেখানে প্রথমার্ধের শেষ দিকে ফাউলের শিকার হন মেসি। সে কারণে চোট পেয়ে মাঠও ছাড়তে হয়েছিল তাকে। পরে যদিও ফিরে এসে খেলেছেন পুরো ম্যাচে। পরে জানা গিয়েছিল যে তার চোট খুব একটা গুরুতর নয়। এমনকি অনুশীলনও করেছেন তিনি দলের সঙ্গেও। তবুও অরলান্ডোর বিপক্ষে খেলেননি মেসি।

ম্যাচের আগে সবকিছু স্বাভাবিক থাকার পরও মেসির মাঠে না নামা নিয়ে অনেক আলোচনা শুরু হয়। সে প্রশ্নের জবাবে মার্টিনো বলেন, ‘আগের ম্যাচে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছে, তাই সে কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিল। সে যে অনুশীলন করেছে, সেটাও কিন্তু চিকিৎসকদের বেধে দেওয়া ছকেই। পরীক্ষার ফল অবশ্য ভালোই এসেছে।’

মার্টিনো আরও বলেন, ‘সে (মেসি) নিজে তো স্বস্তিতে ছিলই না, সঙ্গে এক সপ্তাহে তিনটি ম্যাচের সূচিও আছে আমাদের। সে কারণে আজ তাকে না খেলানোটাকেই ভালো বলে মনে হয়েছে আমাদের। শনিবারের ম্যাচে তাকে খেলাতে চাই আমরা। তবে বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করবে তার উন্নতির ওপর।’ 

মেসি নেই, দলও ভালো খেলেনি, ম্যাচ জিততে পারেনি। মার্টিনোও এই বিষয়ে সহমত জানিয়ে বলেছেন, ‘লিও মাঠে ২৫ মিটার মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে এমন কিছু করে, যা একমাত্র তাকে ছাড়া আর সবার পক্ষেই অসম্ভব। ইন্টার এখন সেটা বুঝছে। বার্সেলোনাও এমনটা ১০ বছর আগে বুঝেছে।’

;

ক্রিকেট তার রক্তে মিশে আছে, বললেন বোল্ট



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উসাইন বোল্ট, সর্বকালের সেরা দৌড়বিদদের মধ্যে অন্যতম একজন। অলিম্পিকে আটটি স্বর্ণপদক লেখা আছে তার নামের পাশে। ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার স্প্রিন্টের রেকর্ড এখনও তার দখলে। খুব স্বাভাবিকভাবেই যখন তাকে ক্রিকেট খেলাটির সবচেয়ে পছন্দের ফরম্যাটের নাম জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তার উত্তর ছিল ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট’।

জ্যামাইকাতে যখন বোল্ট নিজের কৈশোরকাল পার করছিলেন, তখন তার ইচ্ছা ছিল দেশের হয়ে ক্রিকেট খেলবেন এবং একজন ফাস্ট বোলার হবেন। পরবর্তীতে ক্রিকেট বল হাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাঠে দৌড়ানো না হলেও অন্য খেলায় ঠিকই দৌড়েছেন। এই দৌড়ানোর মাধ্যমেই হয়েছেন বিশ্বসেরা।

আগামী ২ জুন থেকে পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। স্বাগতিক দেশ হিসেবে এবার আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র। বোল্টের ক্রিকেট খেলা দিয়ে ক্যারিয়ার গড়া না হলেও এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত বানানো হয়েছে তাকে।

শুভেচ্ছাদূত হওয়ার পর তার অনুভূতি জানিয়েছেন বোল্ট, 'আমি ক্রিকেটের মধ্যেই বড় হয়েছি। আমার বাবা একজন বিশাল ক্রিকেট ভক্ত ছিলেন এবং এখনও আছেন। এটি আমাদের রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। শুভেচ্ছাদূত হিসেবে ক্রিকেট খেলাটির সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত খুশি। ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন তো আমার পূরণ করা হয়নি, তাই শুভেচ্ছাদূত হয়ে পেরে আমি আনন্দিত।'

বাকি দুই ফরম্যাটের তুলনায় স্বল্প ওভারের ফরম্যাটটিই বোল্টের বেশি পছন্দের বলে জানা তিনি, 'সময়ের অভাবে আমার খুব একটা ক্রিকেট ম্যাচ দেখার সুযোগ না হলেও যখনই আমার কাছে সুযোগ থাকে আমি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দেখি। যখন থেকে এটি শুরু হয়েছিল তখনই আমার এটি দুর্দান্ত লেগেছিল। কারণ এখানে আপনাকে দ্রুত ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিতে হয়, পাশাপাশি শক্তির প্রয়োগও করতে হয়। মাঠে খেলোয়াড়দের সাজানো থেকে শুরু করে সবকিছুই আপনাকে অতি দ্রুত করতে হয়।'

বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রেও ক্রিকেটের ব্যাপক প্রচার হচ্ছে এবং আগামীতে আরও বেশি মানুষ এই খেলাটির প্রতি আকৃষ্ট হবে মনে করেন বোল্ট, 'আমি নিশ্চিতভাবেই মনে করি যে যুক্তরাষ্ট্রে এই খেলার জনপ্রিয়তা বাড়বে। যখন কোনো খেলা বড় পরিসরে কোথাও অনুষ্ঠিত হয় তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই সেই দেশের মানুষজন সে খেলাটি সম্পর্কে আরও জানতে চায়।'

প্রিয় কয়েকজন ক্রিকেটারদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে এই তারকা এথলেট বলেন, 'আমার প্রিয় একজন ক্রিকেটার হলেন ওয়াসিম আকরাম, তার খেলা দেখেই বেড়ে উঠেছি। বিশেষ করে তার ইনসুইং ইয়র্কারগুলো। এছাড়াও আমি কোর্টনি ওয়ালশ ও কার্টলি এমব্রোসেরও বড় ভক্ত ছিলাম। ভারতের শচীন টেন্ডুলকারের একজন ভক্ত আমি। তিনি এবং ব্রায়ান লারা আমার বেড়ে উঠার সময় আমার জীবনেরই অংশ ছিলেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা অসাধারণ ছিল। আমি মনে করি বর্তমান সময়ের ক্রিকেটারদের মধ্যে বিরাট কোহলিই সবার সেরা।'

;

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলকে মাশরাফির শুভকামনা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরকে সামনে রেখে গতকাল রাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল। কিছুটা সময় হাতে নিয়েই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শান্ত-তাসকিনদের। কেননা বিশ্বকাপের ঠিক আগে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। 

গতকাল বিশ্বকাপ দলের যাত্রার পরপরই শুভকামনা জানিয়েছেন সাইফউদ্দিন, মুশফিক, মিরাজরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টের এক পোস্টে শান্ত-সাকিবদের শুভকামনা জানিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক। 

সেই পোস্টে মাশরাফি লিখেছেন, ‘সাহস সবসময় গর্জন করে না, শুধু দিন শেষে শান্ত কন্ঠস্বরে বলে, আগামীকাল চেষ্টা করব। গো অ্যান্ড কিল ইট চ্যাম্পস। সব সময় শুভকামনা আমার প্রাণের দেশ, প্রাণের দলের প্রতি।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে আগামী ২১, ২৩ ও ২৫ মে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে নামবে বাংলাদেশ। পরে বিশ্বকাপের মূলপর্বে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচও যুক্তরাষ্ট্রেই। বাংলাদেশ সময় আগামী ৮ জুন ভোর সাড়ে ৬টায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে শান্ত-তাসকিনদের বিশ্বকাপ যাত্রা। 

;

নিউইয়র্কের ড্রপ-ইন পিচ নিয়ে চিন্তিত নয় আইসিসি 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো বৈশ্বিক কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। আগামী ১ জুন ডালাসে কানাডার বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাচটি দিয়ে পর্দা উঠতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ওয়েস্ট ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে আসরটির আয়োজক। ডালাস ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র পর্বের ম্যাচগুলো হবে নিউইয়র্ক ও লডারহিলে। বিশ্বকাপের বেশিরভাগ ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজে হলেও তর্কসাপেক্ষে গ্রুপপর্বের সবচেয়ে বড় ম্যাচ, ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচটি হবে নিউইয়র্কে। 

নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টির আইজেনহাওয়ার পার্কের স্টেডিয়ামটি মূলত অস্থায়ী। বিশ্বকাপের জন্যই যেটিকে তৈরি করা হয়েছে। সেই স্টেডিয়ামের পিচগুলো ড্রপ-ইন পিচ। ৩৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার এই স্টেডিয়ামটিতে হবে আসরের আট ম্যাচ। যার মধ্যে আছে হাইভোল্টেজ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। এতে অস্থায়ী মাঠ ও ড্রপ-ইন পিচ কতটা কার্যকরী হবে তা নিয়ে উঠেছিল আলোচনা। তবে নিউইয়র্কের স্টেডিয়ামটি নিয়ে চিন্তিত নয় আইসিসি (আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল)। 

স্টেডিয়ামের কাছাকাছি অনুশীলনে সুবিধার জন্য ছয়টি ড্রপ-ইন পিচও বসিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

অস্ট্রেলিয়ায় এই ড্রপ-ইন পিচ গুলো বানানো এবং সেগুলো ফ্লোরিডা হয়ে নিউইয়র্কে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আইসিসি দিয়েছিল অ্যাডিলেড ওভালের পিচ কিউরেটর ড্যামিয়ান হাফকে। 

টুর্নামেন্টটি শুরু হতে বাকি আর পুরো দুই সপ্তাহ এবং নিউইয়র্কে প্রথম ম্যাচ আগামী ৩ জুন। এতেই প্রায় আড়াই সপ্তাহ সময় হাতে রেখে তাই হাফ জানালেন পিচগুলো নিয়ে ‘চিন্তার কোনো কারণ নেই।’ 

পিচের অবস্থা জানিয়ে হাফ বলেন, ‘কোনো ভয় নেই। বিশ্বের সেরা কিছু পিচগুলোও ড্রপ-ইন পিচ। আমরা যেকোনো জায়গায় সেগুলো তৈরি করতে পারি।’

;