ওয়াসিমের সর্বকালের সেরা ভারত-পাকিস্তান দলে নেই বাবর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচ নয় যেন যুদ্ধ। দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তান মাঠে নামার আগে অন্তত সেটিই মনে হয়। টেনে আনা হয় দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা। বাবর-কোহলিদের নিয়ে জমে উঠে কথার লড়াই। ঘাটা হয় পরিসংখ্যান। বিশ্বকাপ এলে যেন এই লড়াই ছাপিয়ে যায় অন্য সবকিছু।

আগামী ৫ অক্টোবর ফের মাঠে গড়াচ্ছে বিশ্বকাপ। দুই দল মুখোমুখি হবে আগামী ১৪ অক্টোবর। সেই লড়াই নিয়ে এরইমধ্যে জমে উঠেছে সমর্থকদের কথার লড়াই। দুই দেশের সাবেক ক্রিকেটাররাও জানাচ্ছেন ম্যাচটি নিয়ে তাদের ভাবনার কথা। কথা বলছেন সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়েও।

পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম অবশ্য কিছুটা ব্যতিক্রম। দুই দেশের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের নিয়ে সর্বকালের সেরা ওয়ানডে একাদশ ঘোষণা করেছেন ‘সুলতান অব সুইং’ খ্যাত আকরাম। অবশ্য সেই একাদশ নিয়েও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। কেননা, তার একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন এ সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।

ওয়াসিম তার ওয়ানডে দলে ওপেনিংয়ে রেখেছেন ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের অন্যতম ওপেনার সাঈদ আনোয়ার। তার সঙ্গে জুটি গড়বেন ভারতের অন্যতম আগ্রাসী ওপেনার বীরেন্দ্রর শেবাগ।

তিন নাম্বারে ওয়াসিম রেখেছেন ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর খ্যাত শচীন টেন্ডুলকারকে। পরের পজিশনে জায়গা করে দিয়েছেন স্বদেশী কিংবদন্তি ব্যাটার জাভেদ মিঁয়াদাদকে।

ওয়াসিমের পাঁচ নাম্বার ব্যাটারের তালিকায় জায়গা হয়েছে সময়ের অন্যতম সেরা বিরাট কোহলির। পরের স্থানটা অধিনায়কের জন্য রেখেছেন ওয়াসিম। যেখানে ১৯৯৩ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ইমরান খানের জায়গা হয়েছে। দলটির নেতৃত্বও দেবেন তিনিই।

পরের দুটি স্থানে জায়গা হয়েছে ভারতকে দুটি বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক কপিল দেব ও এমএস ধোনির। উইকেটকিপারের দায়িত্বটাও সামলাবেন ধোনি। বোলারদের জন্য নির্ধারিত পরের তিনটি স্থানে জায়গা হয়েছে সাকলাইন মুসতাক, বর্তমানের তারকা ক্রিকেটার জাসপ্রিত বুমরা ও ওয়াকার ইউনিসের।

ওয়াসিমের ভারত-পাকিস্তান সম্মিলিত একাদশ:

সাঈদ আনোয়ার, বীরেন্দর শেবাগ, শচীন টেন্ডুলকার, জাভেদ মিঁয়াদাদ, বিরাট কোহলি, ইমরান খান (অধিনায়ক), কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, সাকলায়েন মুশতাক, জাসপ্রিত বুমরা, ওয়াকার ইউনিস।

   

সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েও কেন পার্পল ক্যাপ পাননি মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচটির আগের তিন ম্যাচে ৬৯ বলে ১৪৯ রান ব্যয় করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ক্রমেই খরুচে হয়ে ওঠা মুস্তাফিজ স্বস্তি পেয়েছেন হায়দরাবাদের বিপক্ষে বোলিং করে। এমনিতে চলতি আসরে রানের ফোয়ারা ছোটালেও মুস্তাফিজদের বোলিং নৈপুণ্যে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি হায়দরাবাদ। ২. ৫ ওভার বোলিং করে মুস্তাফিজ ১৯ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়ে দলের জয় তো নিশ্চিত করেছেনই, উঠে এসেছেন আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শীর্ষে। এরপরও অবশ্য পার্পল ক্যাপ জোটেনি তার!

মুস্তাফিজের সমান ১৪ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেটশিকারি ভারতের যশপ্রীত বুমরাও। পার্পল ক্যাপ এখন তার দখলেই রয়েছে। সমান ১৪ উইকেট রয়েছে আরেক ভারতীয় পেসার হার্শাল প্যাটেলেরও। মুস্তাফিজের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি বুমরা এবং হার্শাল।

তবে পার্পল ক্যাপের ক্ষেত্রে ম্যাচ কম বা বেশি খেলার বিষয়টি আসলে বিবেচ্য নয়। এক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হচ্ছে, বোলিং গড়। মুস্তাফিজের বোলিং গড় যেখানে ৯.৭৫, বুমরার বোলিং গড় ৬.৬৩। বোলিং গড়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা বুমরার মাথাতেই তাই এখন শোভা পাচ্ছে পার্পল ক্যাপ। বুমরা-মুস্তাফিজের সমান ১৪ উইকেট পাওয়া অন্য বোলার হার্শাল আরও খরুচে, তার বোলিং গড় ১০.১৮।

আইপিএলে খেলার জন্য ১ মে পর্যন্ত ছুটি পেয়েছেন মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের পরের ম্যাচটি একই দিনে, পাঞ্জাবের বিপক্ষে। সেই ম্যাচ খেলেই দেশের উদ্দেশে বিমানে চড়ার কথা এখন পর্যন্ত চলতি আসরে চেন্নাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মুস্তাফিজের।

;

নারী আম্পায়ার বিতর্কে যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী আম্পায়ারদের ম্যাচ পরিচালনার বিপক্ষে দেশের কয়েকজন শীর্ষ ক্রিকেটার। গত কয়েকদিন ধরে এমন সংবাদে মুখর দেশের ক্রিকেট। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের আউট হওয়া নিয়ে বিতর্কে নারী আম্পায়ার ইস্যু সামনে আসে। সে ম্যাচে মাঠে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সাবেক নারী ক্রিকেটার সাথিরা জাকের জেসি।

সে ম্যাচটির পর দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, নারী আম্পায়ারদের অধীনে খেলায় আপত্তি রয়েছে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের। তাদের সরাসরি কোনো মন্তব্য উদ্ধৃত করা না হলেও নারী আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথা বলে সংবাদ পরিবেশন করা হয়।

সম্প্রতি এই ইস্যুতে জলঘোলা হওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে দেশের একটি প্রথমসারির জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে কথা বলেছেন মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহ। তারা এই ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলা নিয়ে অনীহা জানিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে মুশফিকের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘আমি বা আমাদের কোনো খেলোয়াড় এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলিনি এবং কোনো আপত্তিও জানাইনি। আমাদের দেশ থেকে তিনি (জেসি) আইসিসির প্যানেল আম্পায়ার হয়েছেন। এ জন্য আমি তাকে অভিনন্দনও জানিয়েছি।’

একই সুরে কথা বলেছেন মাহমুদউল্লাহও, ‘আমি, মুশফিক, তামিম, আমরা এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, সবাই নিশ্চয়ই বুঝবেন, আমরা এ রকম কিছু করার মানুষ নই। তারপরও কী চিন্তা করে এসব বলা হয়, বুঝি না। এটা ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তির জন্যও ক্ষতিকর।’

মূলত বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদের একটি মন্তব্য থেকে এই বিতর্কের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক ম্যাচের পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিসিবি মহিলা আম্পায়ার নিয়োগ করায় দুই ক্লাব অসন্তুষ্ট হয়েছে। তারা (দুই ক্লাব) আমার কাছে অভিযোগ করেনি। তবে সিসিডিএমের কাছে অভিযোগ করেছে।’

তবে সিসিডিএম কোনো অভিযোগ পায়নি বলে জানিয়েছে। এছাড়া আলোচিত দুই ক্লাব প্রাইম ব্যাংক এবং মোহামেডানও নারী আম্পায়ার ইস্যুতে কোনো অভিযোগ জানায়নি বলে নিশ্চিত করেছে।

;

অকালে চলে গেলেন মুশফিকদের বন্ধু ফুটবলার হীরক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অল্প বয়সেই ফুটবলের পাট চুকিয়েছিলেন হীরক জোয়ার্দার। ব্যবসা আর রাজনীতিতে মনোনিবেশ করতে ফুটবল ছেড়ে কুষ্টিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। এবার একসময়ের তুখোড় ফুটবলার হীরক জীবনকেও অল্পতেই বিদায় বললেন। ৩৭ বছর বয়সেই জীবন থেমে গেল তার।

আজ (সোমবার) ফেসবুকে তার মৃত্যুর খবর জানা গেছে। কুষ্টিয়ার সুলতানপুরে আজ ভোর নিজ বাসায় ব্রেন স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক এই ফুটবলার। রেখে গেছেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে।

বিকেএসপিতে ২০০০ সালের ব্যাচে ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম এবং হকি খেলোয়াড় মামুনুর রহমান চয়নদের সঙ্গী ছিলেন হীরক। ঘরোয়া ফুটবলে গতির জন্য খ্যাতি পেয়েছিলেন। বয়সভিত্তিক দলের হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, ইন্দো–বাংলা গেমসে বাংলাদেশের স্বর্ণজয়ী দলেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। 

ঘরোয়া ফুটবলে শেখ রাসেল, ব্রাদার্স, ফরাশগঞ্জসহ আরও বেশ কয়েকটি ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, বন্ধু চয়ন এবং ফুটবলার মামুনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

;

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তিন ভেন্যুর নাম প্রস্তাব করেছে পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তিনটি ভেন্যু ঠিক করে আইসিসিকে চিঠি দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিণ্ডির মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সব ম্যাচ আয়োজন করতে চায় তারা। এছাড়া মধ্য-ফেব্রুয়ারিকে টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য উইন্ডো ধরে একটা সময়সূচিও আইসিসির কাছে জমা দিয়েছে পাকিস্তান।

২০১৭ সালে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ডে। সেবার শিরোপা জয় করেছিল পাকিস্তান। সেটাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ আসর হওয়ার কথা ছিল। তবে ২০২২ সালে আইসিসি আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৫ সালে স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তানকে বেছে নেয় আইসিসি।

সম্প্রতি আইসিসির একটি প্রতিনিধিদল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি পরিদর্শনের জন্য পাকিস্তান সফর করে। তারপরই ভেন্যু এবং সূচি তৈরি করে আইসিসিকে পাঠিয়েছে পিসিবি।

আট দলের এই টুর্নামেন্টের ব্যপ্তি হতে পারে দুই সপ্তাহ। পাকিস্তান সূচি এবং ভেন্যু চূড়ান্ত করে প্রস্তাব পাঠানোর পর এখন আইসিসির বিভিন্ন দল সেটা পর্যালোচনা করবে। তারপর অংশগ্রহণকারী সব দেশের বোর্ড এবং সম্প্রচারকদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবে আইসিসি। এরপরই চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করা হয়।

সূচি এবং ভেন্যুর নাম প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচের সূচি আইসিসিকে পাঠানো হয়েছে। আইসিসির নিরাপত্তা দল পাকিস্তানে এসেছিল, তাদের সঙ্গে আমাদের ভালো বৈঠক হয়েছে। আমরা পাকিস্তানে সুন্দ্র একটা টুর্নামেন্ট আয়োজনে সচেষ্ট।’

যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে ভারতের। বিষয়টি নিয়ে সামনের দিনগুলোতে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে পাকিস্তান আপাতত সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনে নিজেদের সর্বোচ্চভাবে প্রস্তুত করছে।

;