নারীবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন তানজিম



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অভিষেকের সপ্তাহ না পেরোতেই সমালোচনার মুখে পড়ে গিয়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। অতীতে নিজের ফেসবুক পাতায় করা কর্মজীবি নারীবিদ্বেষী পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল অভিষেকের পরের দিন। এরপর থেকেই তিনি ছিলেন তোপের মুখে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছিল গতকাল সোমবার। তার পরদিন বোর্ড জানিয়েছে, সাকিব তার কাজের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বিসিবির কাছে। ভবিষ্যতে এমন কিছুর পুনরাবৃত্তির না করার জন্য বোর্ড তাকে সতর্কও করে দিয়েছে।

অভিষেকের পরই তার পুরোনো পোস্ট ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।’ এরও আগে তিনি তার ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘ভার্সিটির ফ্রি-মিক্সিং আড্ডায় অভ্যস্ত মেয়েকে বিয়ে করলে আর যাই হোক সন্তানের জন্য একজন লজ্জাশীলা মা দিতে পারবেন না।’

সে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। আজ মঙ্গলবার তিনি জানান তারা তানজিমের সঙ্গে আলাপ হয়েছে বিসিবির। তিনি বলেন, ‘আমরা ক্রিকেট বোর্ড থেকে তানজিম সাকিবের সঙ্গে আমাদের আলাপ আলোচনা হয়েছে, ওর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। মিডিয়া কমিটি থেকেও যোগাযোগ করা হয়েছে এই ব্যাপারে। তাকে আমরা এই ব্যাপারটা অবগত করেছিলাম।’

ব্যক্তিগত জীবনে তানজিম সাকিব ‘নারীবিদ্বেষী’ নন, বিসিবিকে জানিয়েছেন তিনি নিজেই। জালাল ইউনুস বলেন, ‘তার বক্তব্য হচ্ছে কাউকে আঘাত করার উদ্দেশে পোস্ট দেয়নি, সে যে পোস্ট দিয়েছে সে মনে করে নিজের থেকে দিয়েছে কিন্তু উদ্দেশ করে পোস্ট দেওয়া হয়নি। এটা দিয়ে কারো মনে আঘাত লাগলে সে সেজন্য দুঃখিত। একটা কথা এসেছে নারীর ব্যাপারে। নারীর ব্যাপারে যে পোস্ট ছিল। সে বলেছে এটার দায় দায়িত্ব নিচ্ছি, আসলে আমি নারী বিদ্বেষী নই। সে বলেছে তার মা নারী, আমি নারী বিদ্বেষী হতে পারি না।’ 

তাকে নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি কর্তা। তার কথা, ‘আমরা তাকে পর্যবেক্ষণ করব। তার পরিবারও শঙ্কিত। তারাও দুঃখিত। যেহেতু সামনে বিশ্বকাপ আছে, যেহেতু সে তরুণ ছেলে। আমরা মনিটর করব। যদি কিছু থাকে আমরা তার বিরুদ্ধে অবশ্যই অ্যাকশন নিব।’

পরিশেষে, তানজিম সাকিব বিসিবির কাছে এ বিষয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জালাল, ‘সে যা দিয়েছে নিজে থেকে দিয়েছে পোস্টগুলো। ক্ষমা আমাদের কাছে চেয়েছে। তার সঙ্গে আমারা আলাপ আলোচনা করব। জাতীয় দলের কোড অব কন্ডাক্টে ব্যাপার আছে, এসব তাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

   

সিরিজ জিতে এবার বিশ্বকাপে চোখ শান্তর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ ম্যাচে এসে সিরিজে প্রথম হারের মুখ দেখল বাংলাদেশ। তবে তাই বলে এতে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার উপায় নেই একটুও। ব্যাটে-বলে পুরো সিরিজে চূড়ান্ত আধিপত্যটা যে দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। 

আর তাই বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মনে হচ্ছে, দলের পারফর্ম্যান্সে উন্নতির জায়গা আছে অনেক। আজ ম্যাচ শেষে তিনি প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘যেভাবে আমরা এই সিরিজে খেলেছি, তাতে আমাদের অনেকগুলো উন্নতি করার মতো জায়গা বেরিয়ে এসেছে।’ 

তবে এক ম্যাচ পর আবারও দলের মিডল অর্ডার ছন্দে ফিরেছে। ১৫ রানে ৩ উইকেট খোয়ানোর পর শান্ত, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, সাকিব আল হাসানরা মেলে ধরেছেন নিজেদের। এ বিষয়টা খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে অধিনায়ক শান্তকে। তিনি বলেন, ‘আজকের ম্যাচে রিয়াদ-জাকের আলী যেভাবে খেলেছে, তাদের জন্য আমি বেশ আনন্দিত। আমরা ভালোভাবে শুরু করতে পারিনি। মাঝের দিকে সুযোগ ছিল। তখন সাকিব এসে হাল ধরেছেন। তাদের জন্য আমি বেশ খুশি।’

দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছে আরও এক বিশ্বকাপ। তার আগে অবশ্য তিন ম্যাচের একটা সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তাদেরই ঘরের মাঠে বাংলাদেশ খেলবে তাদের সঙ্গে। সেই সিরিজটা দিয়ে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চান শান্ত। 

তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের জন্য আমাদের আরও ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে নিজেদের। আরও একটা সিরিজ আছে আমাদের সামনে, সেখানে নিজেদের প্রস্তুত করে বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য নিজেদের সেরাটা ঢেলে দেব আমরা।’

;

সৌদি প্রো লিগের চ্যাম্পিয়ন নেইমারের আল হিলাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শনিবার রাতে নিজেদের লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আল হিলাল ও আল হাজম। যেখানে আল হাজমকে ৪-১ গোলে দাপটের সঙ্গে হারিয়েছে নেইমারের ক্লাব আল হিলাল। এই জয়ের মাধ্যমে সৌদি প্রো লিগে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই অলতি মৌসুমের শিরোপা নিজেদের নামে করে নিল নেইমাররা।

এটি আল হিলালের ১৯তম লিগ শিরোপা। লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি শিরোপা এখনও তাদেরই। যৌথভাবে দুইয়ে থাকা আল ইত্তিহাদ ও আল নাসর জিতেছে সমান ৯টি করে শিরোপা। 

ঘরের মাঠে আল হাজমের বিপক্ষে দাপুটে এই জয়ের পর আল হিলালের পয়েন্ট ৩১ ম্যাচে ৮৯। সমান ম্যাচে দুইয়ে থাকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর আল নাসরের পয়েন্ট ৭৭। এই দুই টেবিল টপারের পয়েন্টের ব্যবধান ১২। তাই কাগজ-কলমের হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ শিরোপা আল হিলালের নামেই লেখা হয়ে গেল। 

গত গ্রীষ্মে সৌদিতে পাড়ি দেওয়ার পর আল হিলালের হয়ে মাত্র চারটি ম্যাচে মাঠে নামতে পেরেছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড নেইমার। এরপর গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচে এসিএলের চোটে পড়েছিলেন তিনি। তাই বাকি মৌসুমে আর একটি ম্যাচও খেলা হয়নি তার। তবে তার দল দারুণ পারফরম্যান্স করায় নিজের প্রথম মৌসুমেই সৌদি লিগ শিরোপার স্বাদ পেলেন সাবেক বার্সেলোনা ও পিএসজি এই তারকা।

;

জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করা হলো না বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্যটা ১৫৮ রানের। এরচেয়ে কম রানের টার্গেট দিয়েও সবশেষ ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে তাই প্রত্যাশা ছিল হোয়াইটওয়াশের। তবে আগের ম্যাচগুলোর ভুল শুধরে এদিন পরিণত ব্যাট করেছে জিম্বাবুয়ে। ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে জমা করেছে ৭৫ রান। বাংলাদেশের ম্যাচটা হাতছাড়া হয়ে যায় ওখানেই। বেনেটের ৭০ রানের পর রাজা খেলেন ৭২ রানের হার না মানা ইনিংস। তাতে ৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় জিম্বাবুয়ে। তাতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষ হয় ৪-১ ব্যবধানে।

শেষ ম্যাচে তিন পরিবর্তন এনে একাদশ সাজায় বাংলাদেশ। যেখানে দলে প্রাধান্য পেয়েছে ব্যাটাররা। স্বাভাবিকভাবেই তাই শক্তি কমেছে বোলিংয়ে। যার খেসারতটাও ম্যাচ শেষে দিতে হয়েছে নাজমুল শান্তর দলকে। বিশ্বকাপের আগে দুর্বল জিম্বাবুয়েকেও শেষ পর্যন্ত ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ। উল্টো দুর্বল জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণের সামনে ফুটে উঠেছে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের দুর্বলতা।

বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচটা কেড়ে নিয়েছেন ব্রায়ান বেনেট ও সিকান্দার রাজা জুটি। দু’জনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৭৫ রান। এরপর বেনেট ৪৯ বলে ৭০ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলে শেষ ২৯ বলে ৪৫ রান করতে হতো জিম্বাবুয়ের। সুযোগ তাই তখনও ছিল বাংলাদেশের। তবে এদিন বাংলাদেশকে সেই সুযোগ দেননি জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজা।

আসর জুড়ে ব্যাট হাতে রান না পাওয়া রাজা শেষ বেলায় রানের ক্ষুধা মিটিয়েছে। ব্যাট হাতে দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন ৪৬ বলে ৭২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। দায়িত্ব নিয়ে শেষটাই জয়ে রাঙিয়েছেন বাংলাদেশ সফর। বাঁচিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে নিশ্চিত হোয়াইটওয়াশ থেকে। শেষ দিকে তার ঝড়ো ব্যাটিংয়েই ৮ বল হাতে রেখে দারুণ এক জয় পেয়েছে জিম্বাবুয়ে।

এর আগে, শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানেই তিন উইকেট খুইয়ে ফেলে বাংলাদেশ। দলকে টেনে তুলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ। সিরিজ জুড়ে ব্যর্থ হওয়া শান্ত শেষ ম্যাচে এসে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে শেষ পর্যন্ত থামেন ২৮ বলে ৩৬ রান করে। এরপর ফিফটি হাঁকিয়ে ৪৪ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। মাঝে ১৭ বলে ২১ রান করেন সাকিব। মাঝের কোনো ব্যাটারই সেই অর্থে কেউই ভালো স্ট্রাইক রেট বজায় না করায় বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের ভিত গড়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। একটা সময় তো শঙ্কা জেঁকে বসেছিল দেড়শ পার করা নিয়েও। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়েছেন জাকের আলি। ১১ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের পুঁজি পাইয়ে দেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেই পুঁজি জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না বাংলাদেশের।

;

বেনেট-রাজার জুটিতে সহজ জয়ের পথে জিম্বাবুয়ে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ ম্যাচে লক্ষ্যটা ১৫৮ রানের। আগের ম্যাচে লক্ষ্যটা ছিল ১৪৩ রানে, সেখানেও ব্যাটিংয়ে দলীয় ব্যর্থতায় ৫ রানে হেরেছিল জিম্বাবুয়ে। সিরিজ সমীকরণে ৪-০ তে পিছিয়ে তারা। এতে শেষ ম্যাচটা ছিল মান বাঁচানোর। সেই ম্যাচেই যেন জ্বলে উঠল সফরকারীদের ব্যাটাররা। বেনেটের ৭০ রানের পর অধিনায়ক সিকান্দার রাজার রানের ফেরার ইনিংসে সহজ জয়ের পথেই এগোচ্ছে জিম্বাবুয়ে। 

১৬ ওভার শেষে স্রেফ ২ উইকেট হারিয়ে সফরকারীদের সংগ্রহ ১২৬ রান। শেষ চার ওভারে তাই জয়ের জন্য ৩২ রান চাই জিম্বাবুয়ের। ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন রাজা। এর আগে ৪৯ বলে ৭০ রান করে ফিরেছেন বেনেট। তাদের দ্বিতীয় উইকেটের জুটি থেকে আসে ৭৫ রান। 

এদিকে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিকদের স্পিনেও ভুগিয়েছিল বেনেট। শুরুর তিন উইকেটের দুটিই নেন এই অলরাউন্ডার। ১৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পরে অধিনায়ক শান্তর ৩৬, মাহমুদউল্লাহর ৫৪ এবং শেষে জাকের আলীর ২৪ রানের ক্যামিওতে ৬ উইকেটে ১৫৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। 

চট্টগ্রামেই অবশ্য তিন ম্যাচে জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল বাংলাদেশ। পরে ঢাকায় ফিরে চতুর্থ ম্যাচেও জয়টা সাকিব-শান্তদেরই। এতেই স্বাগতিকদের জন্য শেষ ম্যাচটা কেবল নিয়ম-রক্ষার। 

 

;