অবসর নিলেও বিশ্বকাপে থাকবেন জানতেন স্টোকস



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যারিয়ারটাকে লম্বা করতে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি বেছে নিয়েছিলেন বেন স্টোকস। সেখানেও চোটের হানা। হাঁটুর চোটে হাত ঘুরাতে পারেনি অ্যাশেজ সিরিজের শেষ দিকেও। তবে ব্যাটার স্টোকসও যে ভয়ঙ্কর, কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে জানেন; ইংল্যান্ডের সবশেষ দুটি বিশ্বকাপ জয়েই যার প্রমাণ। তাই অবসর নিলেও তাকে রেখে বিশ্বকাপ কল্পনা করতে পারছিল না ইংল্যান্ড। বেন নিজেও ব্যাপারটা উপলব্ধি করতে পারছিলেন। তাই ফেরার ভাবনাটা তার মাথাও ছিল।

দুই’য়ে দুই’য়ে যখন চার মিলে গেল তখন আর না করেননি বেন। বিশ্বকাপ খেলার ব্যাপারে সম্মতি জানান ৩২ বছর বয়সী এই তারকা। সেসব কথায় কাল সংবাদ মাধ্যমকে জানাচ্ছিলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮১ রানের জয়ের ম্যাচে ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৮২ রানের ইনিংস খেলা বেন।

তৃতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে ইংল্যান্ড; তখন উইকেটে আসেন বেন। চাপে ভেঙে না পরে উল্টো প্রতিপক্ষকে চাপে রেখেছেন। ম্যাচের পুরোটা সময় ব্যাট হাতে শাসন করেছেন কিউই বোলারদের। খেলেছেন ক্যারিয়ার সেরা ১৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস। ১২৪ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৫ চার ও ৯টি ছক্কায়। কেন অবসর ভেঙে ফের ওয়ানডেতে বেন; এই প্রশ্নের উত্তরটা এই ইনিংসেই দেওয়া হয়ে গেছে তার। বেন কীর্তির দিনে কিউইদের ৩৬৯ রানের টার্গেট ছুড়ে স্বাগতিকরা। জবাবে মাত্র ১৮৭ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।

ব্যাট যার এতো কথা বলে মুখে তার উত্তর না দিলেও চলে। এরপরও সংবাদ সম্মেলনে এসে মন খুলে কথা বলেছেন বেন, ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করার সুযোগ পেয়েও তা করতে না পেরে হতাশ হননি বরং জেসন রায়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৮০ রান টপকে যাওয়া নিয়ে প্রকাশ করেছেন দুঃখ।যা নিয়ে মজার ছলে বেন বলেন, ‘আমি আসলেই রেকর্ডটি সম্পর্কে জানতাম না যতক্ষণ না মাঠের বাইরে থেকে আমাকে এটা জানানো হয়। আর এটা যখন জানতে পেরেছি তার পরের বলেই আমি আউট হয়ে যাই।’

চোট থাকার পরও অবসর ভেঙে বিশ্বকাপে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে বেন বলেন, ‘অবশ্যই আমাকে দীর্ঘ সময় ধরে আমার হাঁটুর সম্পর্কে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। আমি তাদের বলেছিলাম এটা আমার ওপর ছেড়ে দেওয়ার জন্য। আমি জানতাম, আমি এই ম্যাচগুলোতে এবং সম্ভাব্য বিশ্বকাপে খেলব। তবে আমি তাদের এও বলেছিলাম আমাকে রাডারের বাইরে রাখা সবচেয়ে সহজ ছিল।’

৫০ ওভারের ক্রিকেটটা যে বেশ লম্বা। দীর্ঘ সময় ধরে চলে। থিতু হলে লম্বা ইনিংস খেলা যায়। সে সব এক ম্যাচেই টের পেয়েছেন বেন। বলেন, ‘যতটুকু সময় আছে ভাবা হয় এর চেয়ে অনেক বেশি সময় পাওয়া যায় ওয়ানডে ক্রিকেটে। আর এর জন্য ম্যাচ সচেতনতা এবং ম্যাচ স্মার্টনেসের দরকার হয়। এই দিক দিয়ে আজকের দিনটি আমার জন্য ভাল ছিল। ৫০-ওভারের ক্রিকেট কীভাবে এগোয় তা আবার পরিচিত হলাম। আমরা শুরুতে কিছু দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম, তারপর উইকেটে গিয়ে তাদের কিছুটা চাপের মধ্যে রাখতে চেয়েছিলাম। তবে বারবার আমাকে নিজেকে পরীক্ষা করতে হয়েছে। আমি উপরের দিকে তাকিয়ে দেখি এখনও ২৩-৩৪ ওভার বাকি ছিল। সত্যি বলতে এভাবেই একদিনের ক্রিকেট চলতে পারে। আর এই পুরো ইনিংস জুড়ে আমি যে জিনিসটি উপলব্ধি করতে পেরেছি তা হল আসলে কতটা সময় পাওয়া যায়।’

   

‘বোলারদের কাজ শুধু মার খাওয়া’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে চলছে ব্যাটারদের রাজত্ব। বোলারদের ভাগে শুধুই হতাশা। উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছুই নেই। সুইং আর টার্নের আকালে ব্যাটারদের বল শুন্যে তুলে দিলেই সীমানা পেরিয়ে যায়। টি-টোয়েন্টিতে একসময়ের অভাবনীয় আড়াইশ ছাড়ানো সংগ্রহ এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে বোলারদের অসহায়ত্ব নিয়ে অকপটে বললেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা ভারতের জাতীয় দলের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) গুজরাট টাইটান্সের দেয়া ২০১ রানের লক্ষ্য ১৬ ওভারেই তার দল তাড়া করার পর সিরাজ বলেন, ‘দেখুন, ক্রিকেট এখন অনেক বদলে গেছে। এখন প্রায় প্রতি ম্যাচেই ২৫-২৬০ রান হচ্ছে। কিছুদিন আগেও ২৫০ রান (টি-টোয়েন্টিতে) বিরল ছিল।’

কেন এমন রানের ফোয়ারা ছুটছে আইপিএলে, এই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন সিরাজ, ‘বোলারদের জন্য কোনো সহায়তা নেই। ছোট মাঠ, পাটা পিচ, কোনো সুইং নেই। বোলারদের কাজ এখন শুধু বোলিং করা আর মার খাওয়া।’

তবে হাল ছাড়ার পাত্র নন সিরাজ। অন্য বোলারদের উদ্দেশে তার পরামর্শ, ‘বোলার হিসেবে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। আমি জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি, তাই এক-দুইটা ম্যাচ আমার পক্ষে না এলেই আমি হাল ছেড়ে দেই না। আমি (ছন্দে) ফেরার পথ খুঁজতে থাকি।’

;

সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েও কেন পার্পল ক্যাপ পাননি মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচটির আগের তিন ম্যাচে ৬৯ বলে ১৪৯ রান ব্যয় করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ক্রমেই খরুচে হয়ে ওঠা মুস্তাফিজ স্বস্তি পেয়েছেন হায়দরাবাদের বিপক্ষে বোলিং করে। এমনিতে চলতি আসরে রানের ফোয়ারা ছোটালেও মুস্তাফিজদের বোলিং নৈপুণ্যে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি হায়দরাবাদ। ২. ৫ ওভার বোলিং করে মুস্তাফিজ ১৯ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়ে দলের জয় তো নিশ্চিত করেছেনই, উঠে এসেছেন আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শীর্ষে। এরপরও অবশ্য পার্পল ক্যাপ জোটেনি তার!

মুস্তাফিজের সমান ১৪ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেটশিকারি ভারতের যশপ্রীত বুমরাও। পার্পল ক্যাপ এখন তার দখলেই রয়েছে। সমান ১৪ উইকেট রয়েছে আরেক ভারতীয় পেসার হার্শাল প্যাটেলেরও। মুস্তাফিজের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি বুমরা এবং হার্শাল।

তবে পার্পল ক্যাপের ক্ষেত্রে ম্যাচ কম বা বেশি খেলার বিষয়টি আসলে বিবেচ্য নয়। এক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হচ্ছে, বোলিং গড়। মুস্তাফিজের বোলিং গড় যেখানে ৯.৭৫, বুমরার বোলিং গড় ৬.৬৩। বোলিং গড়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা বুমরার মাথাতেই তাই এখন শোভা পাচ্ছে পার্পল ক্যাপ। বুমরা-মুস্তাফিজের সমান ১৪ উইকেট পাওয়া অন্য বোলার হার্শাল আরও খরুচে, তার বোলিং গড় ১০.১৮।

আইপিএলে খেলার জন্য ১ মে পর্যন্ত ছুটি পেয়েছেন মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের পরের ম্যাচটি একই দিনে, পাঞ্জাবের বিপক্ষে। সেই ম্যাচ খেলেই দেশের উদ্দেশে বিমানে চড়ার কথা এখন পর্যন্ত চলতি আসরে চেন্নাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মুস্তাফিজের।

;

নারী আম্পায়ার বিতর্কে যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী আম্পায়ারদের ম্যাচ পরিচালনার বিপক্ষে দেশের কয়েকজন শীর্ষ ক্রিকেটার। গত কয়েকদিন ধরে এমন সংবাদে মুখর দেশের ক্রিকেট। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের আউট হওয়া নিয়ে বিতর্কে নারী আম্পায়ার ইস্যু সামনে আসে। সে ম্যাচে মাঠে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সাবেক নারী ক্রিকেটার সাথিরা জাকের জেসি।

সে ম্যাচটির পর দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, নারী আম্পায়ারদের অধীনে খেলায় আপত্তি রয়েছে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের। তাদের সরাসরি কোনো মন্তব্য উদ্ধৃত করা না হলেও নারী আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথা বলে সংবাদ পরিবেশন করা হয়।

সম্প্রতি এই ইস্যুতে জলঘোলা হওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে দেশের একটি প্রথমসারির জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে কথা বলেছেন মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহ। তারা এই ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলা নিয়ে অনীহা জানিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে মুশফিকের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘আমি বা আমাদের কোনো খেলোয়াড় এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলিনি এবং কোনো আপত্তিও জানাইনি। আমাদের দেশ থেকে তিনি (জেসি) আইসিসির প্যানেল আম্পায়ার হয়েছেন। এ জন্য আমি তাকে অভিনন্দনও জানিয়েছি।’

একই সুরে কথা বলেছেন মাহমুদউল্লাহও, ‘আমি, মুশফিক, তামিম, আমরা এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, সবাই নিশ্চয়ই বুঝবেন, আমরা এ রকম কিছু করার মানুষ নই। তারপরও কী চিন্তা করে এসব বলা হয়, বুঝি না। এটা ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তির জন্যও ক্ষতিকর।’

মূলত বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদের একটি মন্তব্য থেকে এই বিতর্কের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক ম্যাচের পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিসিবি মহিলা আম্পায়ার নিয়োগ করায় দুই ক্লাব অসন্তুষ্ট হয়েছে। তারা (দুই ক্লাব) আমার কাছে অভিযোগ করেনি। তবে সিসিডিএমের কাছে অভিযোগ করেছে।’

তবে সিসিডিএম কোনো অভিযোগ পায়নি বলে জানিয়েছে। এছাড়া আলোচিত দুই ক্লাব প্রাইম ব্যাংক এবং মোহামেডানও নারী আম্পায়ার ইস্যুতে কোনো অভিযোগ জানায়নি বলে নিশ্চিত করেছে।

;

অকালে চলে গেলেন মুশফিকদের বন্ধু ফুটবলার হীরক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অল্প বয়সেই ফুটবলের পাট চুকিয়েছিলেন হীরক জোয়ার্দার। ব্যবসা আর রাজনীতিতে মনোনিবেশ করতে ফুটবল ছেড়ে কুষ্টিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। এবার একসময়ের তুখোড় ফুটবলার হীরক জীবনকেও অল্পতেই বিদায় বললেন। ৩৭ বছর বয়সেই জীবন থেমে গেল তার।

আজ (সোমবার) ফেসবুকে তার মৃত্যুর খবর জানা গেছে। কুষ্টিয়ার সুলতানপুরে আজ ভোর নিজ বাসায় ব্রেন স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক এই ফুটবলার। রেখে গেছেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে।

বিকেএসপিতে ২০০০ সালের ব্যাচে ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম এবং হকি খেলোয়াড় মামুনুর রহমান চয়নদের সঙ্গী ছিলেন হীরক। ঘরোয়া ফুটবলে গতির জন্য খ্যাতি পেয়েছিলেন। বয়সভিত্তিক দলের হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, ইন্দো–বাংলা গেমসে বাংলাদেশের স্বর্ণজয়ী দলেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। 

ঘরোয়া ফুটবলে শেখ রাসেল, ব্রাদার্স, ফরাশগঞ্জসহ আরও বেশ কয়েকটি ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, বন্ধু চয়ন এবং ফুটবলার মামুনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

;