ভারতকে ভুগিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ভেল্লালাগে



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইদানীং ভারতের বিপক্ষে লঙ্কানদের জয়টা আসে কালেভদ্রে। গতকাল এশিয়া কাপের কাপের সুপার ফোরে সেই সুযোগটাই পেয়েছিল লঙ্কানরা। ভারতকে আটকে দিয়েছিল মাত্র ২১৩ রানে। অবশ্য শেষ পর্যন্ত পরাজয়ই সঙ্গী হয়েছে তাদের। দুনিথ ভেল্লালাগের বীরোচিত পারফরম্যান্সের পরও লঙ্কানরা পেয়েছে একরাশ হতাশাই।

ম্যাচে জয় পরাজয় থাকবেই। এসব খুব বেশিদিন মনেও রাখে না মানুষ। তবে গতকাল বিশ না পেরোনো একটা তরুণ যেভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন শক্তিশালী ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ, ব্যাট হাতে কাঁধে তুলে নিয়েছেন কঠিন দায়িত্ব। শাসন করেছেন ভারতীয় বোলারদের। এরপর স্রেফ সঙ্গীর অভাবে ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারেননি। এরপর যে হতাশা তিনি প্রকাশ করেছেন, তাতে এটুকু পরিষ্কার যে তিনি অন্তত হার মানতেন না। শেষটাই বিজয়ের গল্প লিখেই মাঠ ছাড়তেন।

এসব কি খুব সহজেই ভুলে যাবে লঙ্কান ক্রিকেট সমর্থকরা? এটা মনে রাখানোর দায়িত্বটা অবশ্য ভেল্লালাগেরও। ভবিষ্যতেও সেটিই করে দেখাতে চাইবেন তিনি। তবে ভারতের জয়ের ম্যাচেও ৫ উইকেট ও অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংস খেলে ঠিকই সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মন জিতে নিয়েছেন এই তরুণ। তাকে নিয়েই আগামীর স্বপ্ন দেখছে লঙ্কানরা।

ম্যাচ শেষে ভেল্লালাগের প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন দেশটির সাবেক কিংবদন্তি বোলার লাসিথ মালিঙ্কা। সঙ্গে এই তরুণের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, ‘শ্রীলঙ্কা আজ ১২ জন ক্রিকেটার নিয়ে মাঠে নেমেছিল, এটা বলা যথার্থ। দুনিথ কতটা ভালো তা সে দেখিয়েছে। এই তরুণ কাঁধেই সে তার তার উজ্জ্বল অলরাউন্ড দক্ষতা দেখিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি সে আগামী এক দশকে ওডিআইতে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হওয়ার পথে রয়েছে।’

ভেল্লালাগে অবশ্য হুট করেই যে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামছেন এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। সবশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ১৩.৫৮ গড়ে সর্বোচ্চ ১৬টি উইকেট নিয়েছেন। এরপর জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের হয়ে মাঠে নেমেছেন ১৩ ম্যাচে যেখানে ৫.৩০ ইকোনোমিতে হাত ঘুরিয়ে ১৮ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। সবশেষ ম্যাচে শিকার করেছেন শুভমান গিল, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল এবং হার্দিক পান্ডিয়ার মতো ব্যাটারকে।

এমন বীরোচিত পারফর‌ম্যান্সের পর ভেল্লালাগের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করেনি ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি লিখেছেন, ‘ভেল্লালাগের যে বলটিতে গিল আউট হল সেটি যেকোনো স্পিনারের জন্যই স্বপ্নের ডেলিভারি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি তা হলো তার ট্রিপল স্পিন হুমকি।’

ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে ভেল্লালাগেকে নিয়ে লিখেছেন, ‘স্বীকার করছি যে উইকেটটা ভালো একটা নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। তবে এটা মানতে হবে যে ভেল্লালাগে চমৎকার বল করেছে। অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটার হিসেবে তিনি যে প্রতিশ্রুতি দেখিয়েছিলেন তা ফলপ্রসূ হচ্ছে।’ ভারতের আরেক সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠান লিখেছেন, ‘তরুণ ভেল্লালাগের কাছ থেকে নিখুঁত বোলিং দেখলাম।’

   

সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েও কেন পার্পল ক্যাপ পাননি মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচটির আগের তিন ম্যাচে ৬৯ বলে ১৪৯ রান ব্যয় করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ক্রমেই খরুচে হয়ে ওঠা মুস্তাফিজ স্বস্তি পেয়েছেন হায়দরাবাদের বিপক্ষে বোলিং করে। এমনিতে চলতি আসরে রানের ফোয়ারা ছোটালেও মুস্তাফিজদের বোলিং নৈপুণ্যে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি হায়দরাবাদ। ২. ৫ ওভার বোলিং করে মুস্তাফিজ ১৯ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়ে দলের জয় তো নিশ্চিত করেছেনই, উঠে এসেছেন আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শীর্ষে। এরপরও অবশ্য পার্পল ক্যাপ জোটেনি তার!

মুস্তাফিজের সমান ১৪ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেটশিকারি ভারতের যশপ্রীত বুমরাও। পার্পল ক্যাপ এখন তার দখলেই রয়েছে। সমান ১৪ উইকেট রয়েছে আরেক ভারতীয় পেসার হার্শাল প্যাটেলেরও। মুস্তাফিজের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি বুমরা এবং হার্শাল।

তবে পার্পল ক্যাপের ক্ষেত্রে ম্যাচ কম বা বেশি খেলার বিষয়টি আসলে বিবেচ্য নয়। এক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হচ্ছে, বোলিং গড়। মুস্তাফিজের বোলিং গড় যেখানে ৯.৭৫, বুমরার বোলিং গড় ৬.৬৩। বোলিং গড়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা বুমরার মাথাতেই তাই এখন শোভা পাচ্ছে পার্পল ক্যাপ। বুমরা-মুস্তাফিজের সমান ১৪ উইকেট পাওয়া অন্য বোলার হার্শাল আরও খরুচে, তার বোলিং গড় ১০.১৮।

আইপিএলে খেলার জন্য ১ মে পর্যন্ত ছুটি পেয়েছেন মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের পরের ম্যাচটি একই দিনে, পাঞ্জাবের বিপক্ষে। সেই ম্যাচ খেলেই দেশের উদ্দেশে বিমানে চড়ার কথা এখন পর্যন্ত চলতি আসরে চেন্নাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মুস্তাফিজের।

;

নারী আম্পায়ার বিতর্কে যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারী আম্পায়ারদের ম্যাচ পরিচালনার বিপক্ষে দেশের কয়েকজন শীর্ষ ক্রিকেটার। গত কয়েকদিন ধরে এমন সংবাদে মুখর দেশের ক্রিকেট। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের আউট হওয়া নিয়ে বিতর্কে নারী আম্পায়ার ইস্যু সামনে আসে। সে ম্যাচে মাঠে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সাবেক নারী ক্রিকেটার সাথিরা জাকের জেসি।

সে ম্যাচটির পর দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় যে, নারী আম্পায়ারদের অধীনে খেলায় আপত্তি রয়েছে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের। তাদের সরাসরি কোনো মন্তব্য উদ্ধৃত করা না হলেও নারী আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থানের কথা বলে সংবাদ পরিবেশন করা হয়।

সম্প্রতি এই ইস্যুতে জলঘোলা হওয়া নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে দেশের একটি প্রথমসারির জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে কথা বলেছেন মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহ। তারা এই ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলা নিয়ে অনীহা জানিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে মুশফিকের সোজাসাপ্টা জবাব, ‘আমি বা আমাদের কোনো খেলোয়াড় এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলিনি এবং কোনো আপত্তিও জানাইনি। আমাদের দেশ থেকে তিনি (জেসি) আইসিসির প্যানেল আম্পায়ার হয়েছেন। এ জন্য আমি তাকে অভিনন্দনও জানিয়েছি।’

একই সুরে কথা বলেছেন মাহমুদউল্লাহও, ‘আমি, মুশফিক, তামিম, আমরা এত বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি, সবাই নিশ্চয়ই বুঝবেন, আমরা এ রকম কিছু করার মানুষ নই। তারপরও কী চিন্তা করে এসব বলা হয়, বুঝি না। এটা ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের এবং বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তির জন্যও ক্ষতিকর।’

মূলত বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার আহমেদের একটি মন্তব্য থেকে এই বিতর্কের সূত্রপাত বলে ধারণা করা হচ্ছে। মোহামেডান-প্রাইম ব্যাংক ম্যাচের পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বিসিবি মহিলা আম্পায়ার নিয়োগ করায় দুই ক্লাব অসন্তুষ্ট হয়েছে। তারা (দুই ক্লাব) আমার কাছে অভিযোগ করেনি। তবে সিসিডিএমের কাছে অভিযোগ করেছে।’

তবে সিসিডিএম কোনো অভিযোগ পায়নি বলে জানিয়েছে। এছাড়া আলোচিত দুই ক্লাব প্রাইম ব্যাংক এবং মোহামেডানও নারী আম্পায়ার ইস্যুতে কোনো অভিযোগ জানায়নি বলে নিশ্চিত করেছে।

;

অকালে চলে গেলেন মুশফিকদের বন্ধু ফুটবলার হীরক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অল্প বয়সেই ফুটবলের পাট চুকিয়েছিলেন হীরক জোয়ার্দার। ব্যবসা আর রাজনীতিতে মনোনিবেশ করতে ফুটবল ছেড়ে কুষ্টিয়ায় চলে গিয়েছিলেন। এবার একসময়ের তুখোড় ফুটবলার হীরক জীবনকেও অল্পতেই বিদায় বললেন। ৩৭ বছর বয়সেই জীবন থেমে গেল তার।

আজ (সোমবার) ফেসবুকে তার মৃত্যুর খবর জানা গেছে। কুষ্টিয়ার সুলতানপুরে আজ ভোর নিজ বাসায় ব্রেন স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করেন সাবেক এই ফুটবলার। রেখে গেছেন স্ত্রী ও দুই মেয়ে।

বিকেএসপিতে ২০০০ সালের ব্যাচে ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম এবং হকি খেলোয়াড় মামুনুর রহমান চয়নদের সঙ্গী ছিলেন হীরক। ঘরোয়া ফুটবলে গতির জন্য খ্যাতি পেয়েছিলেন। বয়সভিত্তিক দলের হয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, ইন্দো–বাংলা গেমসে বাংলাদেশের স্বর্ণজয়ী দলেরও অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। 

ঘরোয়া ফুটবলে শেখ রাসেল, ব্রাদার্স, ফরাশগঞ্জসহ আরও বেশ কয়েকটি ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়িয়েছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন, বন্ধু চয়ন এবং ফুটবলার মামুনুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

;

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তিন ভেন্যুর নাম প্রস্তাব করেছে পাকিস্তান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তিনটি ভেন্যু ঠিক করে আইসিসিকে চিঠি দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিণ্ডির মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সব ম্যাচ আয়োজন করতে চায় তারা। এছাড়া মধ্য-ফেব্রুয়ারিকে টুর্নামেন্টের সম্ভাব্য উইন্ডো ধরে একটা সময়সূচিও আইসিসির কাছে জমা দিয়েছে পাকিস্তান।

২০১৭ সালে সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংল্যান্ডে। সেবার শিরোপা জয় করেছিল পাকিস্তান। সেটাই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ আসর হওয়ার কথা ছিল। তবে ২০২২ সালে আইসিসি আবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০২৫ সালে স্বাগতিক হিসেবে পাকিস্তানকে বেছে নেয় আইসিসি।

সম্প্রতি আইসিসির একটি প্রতিনিধিদল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি পরিদর্শনের জন্য পাকিস্তান সফর করে। তারপরই ভেন্যু এবং সূচি তৈরি করে আইসিসিকে পাঠিয়েছে পিসিবি।

আট দলের এই টুর্নামেন্টের ব্যপ্তি হতে পারে দুই সপ্তাহ। পাকিস্তান সূচি এবং ভেন্যু চূড়ান্ত করে প্রস্তাব পাঠানোর পর এখন আইসিসির বিভিন্ন দল সেটা পর্যালোচনা করবে। তারপর অংশগ্রহণকারী সব দেশের বোর্ড এবং সম্প্রচারকদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলাপ করবে আইসিসি। এরপরই চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করা হয়।

সূচি এবং ভেন্যুর নাম প্রস্তাবের বিষয়টি নিশ্চিত করে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচের সূচি আইসিসিকে পাঠানো হয়েছে। আইসিসির নিরাপত্তা দল পাকিস্তানে এসেছিল, তাদের সঙ্গে আমাদের ভালো বৈঠক হয়েছে। আমরা পাকিস্তানে সুন্দ্র একটা টুর্নামেন্ট আয়োজনে সচেষ্ট।’

যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলতে পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে অনীহা রয়েছে ভারতের। বিষয়টি নিয়ে সামনের দিনগুলোতে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তবে পাকিস্তান আপাতত সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে টুর্নামেন্ট আয়োজনে নিজেদের সর্বোচ্চভাবে প্রস্তুত করছে।

;