সাত পয়েন্টে এগিয়ে গেল রিয়াল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
করিম বেনজেমার গোল উদযাপন

করিম বেনজেমার গোল উদযাপন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমার্ধে বলতে গেলে গোলের কোনো ক্লিয়ার-কাট সুযোগই তৈরি করতে পারেনি রিয়াল মাদ্রিদ। তাই তো জয় ছিনিয়ে নিতে বেশ ঘাম ঝরাতে হয়েছে কোচ কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।

নিজেদের মাঠ সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে অনেকটা কষ্ট করেই অতিথি আলাভেসকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এ জয়ে লা লিগার শীর্ষে থেকে পরিষ্কার সাত পয়েন্টে এগিয়ে গেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটি। 

ম্যাচের ৬৩তম মিনিটে মার্কো অ্যাসেনসিও'র গোলে ডেডলক ভাঙে রিয়াল। ম্যাচ শেষের দশ মিনিট আগে দলকে দ্বিতীয় গোল এনে দেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি থেকে রিয়ালকে তৃতীয় গোল উপহার দেন স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা।

অন্য দিকে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ৩-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে অসাসুনার মাঠ থেকে। সফরকারীদর হয়ে গোল করেন জোয়াও ফেলিক্স, লুইস সুয়ারেজ ও অ্যাঞ্জেল কোরেয়া। 

   

শাহরুখের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা প্রীতি জিনতার দলের শশাঙ্কের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে ২৬১ রান করেও পাত্তা পায়নি কলকাতা নাইট রাইডার্স। ৮ বল আর ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের দেখা পেয়ে যায় পাঞ্জাব কিংস। ম্যাচের শেষদিকে পাঞ্জাবের হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শশাঙ্ক ২৮ বলে ২ চারের সঙ্গে ৮ ছক্কায় ৬৮ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে পাঞ্জাবকে এনে দেন ইতিহাসগড়া জয়। 

ম্যাচের পর কলকাতার মালিক শাহরুখ খানের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটাও দিয়েছেন আরেক বলিউড তারকা প্রীতি জিনতার দলে খেলা এই তরুণ ক্রিকেটার।

পাঞ্জাব কিংসের এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, শাহরুখের দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে দেয়া সিগনেচার পোজ দিচ্ছেন শশাঙ্ক। ব্যাকগ্রাউন্ডে শাহরুখ খানের আইকনিক সিনেমা দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র গান।

শুধু শশাঙ্কই নন, শাহরুখের দল কলকাতার বোলারদের শাসন করেছেন ইংলিশ ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো এবং প্রভসিমরান সিংও। ৪৮ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থেকে পাঞ্জাবকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন বেয়ারস্টো। আর ২৬২ রান তাড়ায় ২০ বলে ৫৪ রান করে পাঞ্জাবকে শুরুতেই ছন্দ এনে দেন প্রভসিমরান সিং।

;

বোলারদের বাঁচান, বললেন অশ্বিন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে চলতি আসরে প্রায় প্রতিম্যাচেই দেখা যাচ্ছে রানপাহাড়। গতরাতে কলকাতা-পাঞ্জাব ম্যাচেও সর্বোচ্চ রানে তাড়া করার বিশ্বরেকর্ড গড়ে ব্যাটিং দাপটে ম্যাচ জিতে নিল পাঞ্জাব। এরকম ‘ব্যাটিং নির্ভর’ ম্যাচ যেখানে বোলারদের আগের মত বড় ভূমিকা পালন করতে দেখা যাচ্ছে না, এই বিষয়টি ক্রিকেটের সৌন্দর্যকে নষ্ট করছে বলেও মতবাদ দিচ্ছেন অনেক বিশ্লেষক এবং ক্রিকেটের দর্শকরা।

কলকাতার দেওয়া ২৬২ রানের লক্ষ্য ৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই টপকে গেছে পাঞ্জাব। এই ম্যাচের পর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ পোস্ট দিয়েছেন ভারতের স্পিনার রবীচন্দ্রন অশ্বিন। সাম্প্রতিক সময়ে বোলারদের অসহায়ত্ব এবং মার খেতে দেখে এ বিষয়ে নিজের মনোভাব জানিয়েছেন তিনি।

পোস্ট দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘অনুগ্রহ করে কেউ বোলারদের বাঁচান।‘ এই কথাটা লেখার পাশাপাশি অশ্বিন ‘এসওএস’ শব্দটিও তিনবার লিখেছেন। এই ইংরেজি শব্দটি দিয়ে বোঝায়-‘সেভ আওয়ার সোলস।’ অর্থাৎ আমাদের জীবন বাঁচাও। সাধারণত বিপদে পড়লে জীবন বাঁচাতে এই সংকেত ব্যবহার করা হয়।

পাঞ্জাব যখন গতকাল নিজেদের জয় প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছিল, সেসময় বিস্ময়ের সঙ্গে অশ্বিন আরও একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘টি–টোয়েন্টি ম্যাচে ২৬০‍+ রান তাড়া করতে নেমে সর্বশেষ ২ ওভারেই প্রতি বলে বলে রান উঠেছে। এটা হজম করতেও সময় লাগে।’

এই পোস্টগুলো দিয়ে মূলত তিনি বুঝিয়েছেন যে বোলারদের বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নেই। প্রতি ম্যাচেই ব্যাটারদের কাছে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন বোলাররা। আগে যেমন ক্রিকেটটা ব্যাটিং এবং বোলিং উভয় ক্ষেত্রেই নৈপুণ্য দেখানোর সুযোগ ও সম্ভাবনা ছিল, এখন পরিস্থিতি তেমনটা নেই। এখন বোলারদের থেকে ব্যাটারদের কৃতিত্বটাই বেশি চোখে পড়ছে এবং বাস্তবেও বোলারদের থেকে ব্যাটারদের দাপটই বেশি।

অশ্বিন এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলছেন। ৮ ম্যাচে ৭ জয়ের সঙ্গে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে তারা। ব্যাটারদের তাণ্ডবে বর্তমানে বোলাররা যেখানে অপদস্ত, এমন সময়ে অশ্বিন বেশ নিরাপদ অবস্থানেই আছেন। ৭ ম্যাচে মাত্র ১টি উইকেট শিকার করলেও তার ইকোনমি রেট ৮.৮৯।

;

আবারও প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফুটবল সমর্থকদের মনে ২০১৫-১৬ মৌসুমটা যেন গেঁথে আছে। কারণটা হচ্ছে লেস্টার সিটি। প্রিমিয়ার লিগের শক্তিশালী সব দলকে হারিয়ে এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে সেই মৌসুমের শিরোপাটি তুলে নিয়েছিল এই দলটি।

ইতিহাস গড়া এই দলটি গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ পয়েন্ট টেবিলের ১৮তম স্থানে থেকে শেষ করায় তাদেরকে নেমে যেতে হয়েছিল দ্বিতীয় স্তরে। চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে তাই দেখা যায়নি লেস্টার সিটিকে। তবে গতরাতে কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের সঙ্গে লিডস ইউনাইটেড এক হালি গোল গজম করে হারায় নিশ্চিত হয়েছে লেস্টার সিটির প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসা।

ইএফএল চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় বর্তমানে শীর্ষস্থান দখল করে আছে লেস্টার সিটি। ৪৪ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৯৪। দুইয়ে থাকা লিডসের পয়েন্ট ৪৫ ম্যাচে ৯০। লিডসের বাকি আছে একটি ম্যাচ। সে ম্যাচে পূর্ণ পয়েন্ট পেলেও লেস্টারকে টপকানো আর সম্ভব নয় তাদের পক্ষে।

এপ্রিলের ৩০ তারিখ প্রেস্টনের বিপক্ষে ম্যাচে জয় তুলে নিতে পারলে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২৪-২৫ মৌসুমে লেস্টারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে জায়গা নিশ্চিত হবে। যদিও তার আগেই উদযাপনে মাততে দেখা যাচ্ছে লেস্টারের খেলোয়াড়দের। শহরের রাস্তায় সমর্থকরা নেমে এসেছেন পতাকা-প্ল্যাকার্ড, নেচে-গেয়ে আনন্দ করছে তারা। দলের প্রত্যাবর্তনের এই উদযাপনের ভিডিও-ছবি নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছে লেস্টার সিটি।

;

‘ক্রিকেট খেলাটা বেসবলে পরিণত হচ্ছে’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার রাতে ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বড় জয় পেয়েছেন পাঞ্জাব কিংস। এই ম্যাচে শুধু পাঞ্জাবের জয়ই নয়, বরং একের অধিক রেকর্ডের দেখাও পেয়েছে ক্রিকেট বিশ্ব। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (২৬১) রান তাড়া করে জেতার নজির গড়ল পাঞ্জাব।

এছাড়াও দুই দল মিলে এই ম্যাচে মোট ছক্কা মেরেছে ৪২টি, যা যেকোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও। রেকর্ডময় এই ম্যাচে জয়ের পর পাঞ্জাবের অধিনায়ক স্যাম কারান জানিয়েছেন নিজের অভিমত। দলের এই জয়ে বেশ আনন্দিত তিনি। তবে এছাড়াও পুরষ্কার বিতরণীর মঞ্চে তিনি বললেন অবাক করা কিছু কথাও।

‘ক্রিকেট এখন বেসবলে পরিণত হচ্ছে, তাই না?’- এমনটাই বলে বসলেন স্যাম। তবে তার এই কথাটার সঙ্গে বাস্তবতার মিল রয়েছে বটে। এবারের আইপিএলে প্রতি ম্যাচেই যেভাবে রান আর ছক্কার বন্যা বইছে তাতে ক্রিকেট খেলাটা দেখতে অনেকটা বেসবলের মতোই দেখাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য ছিল। এই ২ পয়েন্ট পেয়ে সত্যিই আমরা আনন্দিত। এমন ম্যাচের তুলনা চলে না। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, কয়েকটি সপ্তাহ বাজে গিয়েছে আমাদের(৫ ম্যাচে প্রথম জয়), আমরা এরপরও হাল ছাড়িনি। ম্যাচের স্কোর ভুলে যান, মূলত জয়টাই আমাদের প্রাপ্য ছিল।’

এবারের আসরে ব্যাটাররা এত আক্রমণাত্মক ও বিধ্বংসী কীভাবে হয়ে উঠেছেন এই প্রশ্নের জবাবে কারান বলেন, ‘আমার মনে হয়, খেলোয়াড়রা যেভাবে অনুশীলন করে তাতে তারা দীর্ঘ সময় ধরে বল মারতে পারে। এটা সম্ভবত আত্মবিশ্বাস থেকেই আসে। এর পাশাপাশি কোচ এবং আমরা যেভাবে অনুশীলন করছি, সেসব বিষয় তো আছেই।’

;