দুঃস্বপ্ন বিদায়ের মিশনে টাইগারদের সামনে পাকিস্তান চ্যালেঞ্জ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাবর আজম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ :ফাইল ছবি

বাবর আজম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ :ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে দোর্দণ্ড প্রতাপ দেখিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে গিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আসর শুরু হতেই যেন ফর্ম হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। অচেনা এক দলে পরিণত হয় তারা। নিজেদের সেরাটাই উগড়ে দিতে পারেনি। 

তাইতো সুপার টুয়েলভে কোনো জয়ই ধরা দেয়নি। হার আর ফর্মহীনতার বৃত্ত যেন আটকে পড়েছিল দেশের ছেলেরা। সেই ব্যর্থতার গল্পের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসার পালা আজ। বাজে পারফরম্যান্সের খোলস ভেঙে জয়ের ধারায় ফেরার সুযোগ। ভেঙে যাওয়া আত্মবিশ্বাসটা জোড়া লাগানোর পালা। দুঃস্বপ্নটা ঝেটিয়ে বিদায় করার নতুন মিশন। সেই লড়াইয়ে টাইগারদের সামনে প্রতিপক্ষ আজ পাকিস্তান।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে আজ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ক্যাপ্টেন বাবর আজমের টিমের সঙ্গে তাদের লড়াই শুরু দুপুর ২টায়। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার হবে টিভির পর্দায়। 

টিভিতে দেখার সঙ্গে মাঠের গ্যালারিতে বসে জমজমাট খেলা উপভোগ করতে পারবেন ভক্ত-সমর্থকরা। লাল সবুজের জার্সিধারীদের উজ্জীবিত করতে, ক্রিকেটারদের অনুপ্রাণিত করতে গ্যালারিতে সরব উপস্থিতি থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের। এদিক থেকে বাড়তি প্রেরণা খুঁজে নিতে পারবেন দেশের ক্রিকেটাররা। 

বিশ্বকাপে টাইগাররা খারাপ খেললেও হতাশ নন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্লাসগো, লন্ডন ও প্যারিস সফর নিয়ে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই কথায় অনুপ্রেরণায় খুঁজে নিয়েছেন ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই অনুপ্রেরণা মাঠের লড়াইয়ে আজ তাদের চাঙ্গা রাখতে ভালোই কাজে দিবে। 

কিন্তু শক্তিশালী পাকিস্তানের সামনে আজ তারুণ্যনির্ভর বাংলাদেশ। সিনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট নিয়ে আগেই দর্শক হয়ে বসে আছেন। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছেন না সেই অনেকদিন ধরে। তিনিও ফিট নন। আর মুশফিকুর রহিমকে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সামনে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে দলের বাইরে রাখা হয়েছে এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানকে। দলে নেই লিটন দাস, সৌম্য সরকার ও রুবেল হোসেন।

যে কারণে বাংলাদেশ দলে সিনিয়র ক্রিকেটার বলতে এখন কেবল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তরুণদের নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়াই করাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জন্য তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

দলে সিনিয়র ক্রিকেটার না থাকলেও চিন্তিত নন ক্যাপ্টেন মাহমুদউল্লাহ, ‘এটা ঠিক যে এটা খুবই নতুন একটা দল, তরুণ খেলোয়াড়। অভিজ্ঞতা সব সময় সহায়তা করে, যেহেতু সাকিব নেই, মুশফিক নেই, হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে...। তবে অস্বস্তি ওরকম কখনো বোধ করি না। ওরা থাকলে পরামর্শ সব সময়ই কাজে আসে এবং ওদের সাথে আমি খুব ওপেনলি শেয়ার করতে পারি এবং ওরাও ওদের মতামতগুলো শেয়ার করে।’

বিশ্বকাপ মিশনে যাওয়ার আগে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডকে নাস্তানাবুদ করেছিল টাইগাররা। সঙ্গে সিরিজ ছিনিয়ে নিয়েছিল বাংলার দামাল ছেলেরা। তার আগে জিম্বাবুয়ে সফর থেকে টেস্ট ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে আনে। টানা তিন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের সেই সুখস্মৃতি টাইগারদের নতুন প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার পথে উৎসাহ যুগিয়ে যাবে। 

তাইতো বিশ্বকাপে নিজেদের ভরাডুবি নিয়ে ভাবছেন না মাহমুদউল্লাহ। মনোযোগ রাখতে চান কেবল পাকিস্তান সিরিজে, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। দৃষ্টি রাখছি এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে। এই তিনটা ম্যাচে আমরা দলের জন্য কতটুকু ভালো অবদান রাখতে পারি ব্যক্তিগতভাবে ওটাই মুখ্য বিষয় এবং ওটায় নজর দিচ্ছি। কারণ যে জিনিসগুলো আগে হয়ে গেছে সে জিনিস নিয়ে চিন্তা করলে বরং নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, আমরা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করছি সবকিছু। তারপরও আমি বলব অবশ্যই সিরিজটা চ্যালেঞ্জিং হবে৷’

কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের প্রতিপক্ষ আজ শক্তিশালী পাকিস্তান। বিশ্বের সেরা ক্রিকেটার রয়েছে তাদের দলে। বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মত ব্যাটসম্যানের সঙ্গে শাহীন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী ও হারিস রউফের মতো তারকা পেসার রয়েছে তাদের দলে। উইকেট যেমনই হোক না কেন ছেড়ে কথা বলবে না তারা। তবে বাংলাদেশের পেস আক্রমণে রয়েছে তারকা ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান।

পাকিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ক্রিকেট পরাশক্তি। সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলতে তারা অভ্যস্ত। যে কারণে টার্নিং উইকেট ও মন্থর উইকেট দিয়ে তাদের মোকাবেলা করাটা বেশ কঠিনই হবে। পাকিস্তানকে পরাস্ত করতে হলে লাগবে লাগসই মাঠের কৌশল আর দক্ষতা।

পরিসংখ্যানে অবশ্য পাকিস্তানই এগিয়ে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২টি টি-টোয়েন্ট খেলে জিতেছে মাত্র দুটি। বাকি ১০ ম্যাচ জিতে নিয়েছে পাকিস্তান। 

   

বসুন্ধরার সামনে বাধা হতে পারল না আবাহনী



বসুন্ধরার সামনে বাধা হতে পারল না আবাহনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আবাহনী প্রাণপণ লড়াই করেছে। নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছে বসুন্ধরা কিংসের দুর্গ ভাঙার। তাতে সফল হয়নি আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা। টেবিল টপার বসুন্ধরা ঠিকই ২-১ গোলের জয় তুলে নিয়েছে।

বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় আবাহনী। শর্ট কর্নার থেকে শট নিয়েছিলেন মিগেল দামাসেনো। তবে সে শট থমকে যায় আবাহনীর গোলমুখে। কিন্তু সুযোগ বুঝে জটলা থেকে আলতো টোকায় বল জালে পাঠিয়ে দেন রাকিব হোসেন।

১৯ মিনিটে শট ঠেকাতে গিয়ে আবাহনীর কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্টের সঙ্গে সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান বসুন্ধরার গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো। রক্তাক্ত হয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

তবে দলের মূল গোলকিপারকে হারিয়ে ভেঙে পড়েনি বসুন্ধরা। উল্টো ৩৫ মিনিটে আরও একটা গোল পেয়ে যায় লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। দামাসেনোকে বক্সের ভেতর পেছন থেকে ফাউল করে বসেন আবাহনীর ইরানি ডিফেন্ডার মিলাদ শেখ। রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিতে মোটেই কালক্ষেপণ করেননি। সে পেনাল্টি থেকে সহজেই আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল ইসলাম সোহেলকে পরাস্ত করে গোল পেয়ে যান দামাসেনো। 

২-০ গোলের লিড নিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করে বসুন্ধরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এক গোল ফিরিয়ে দেয় আবাহনী। ৫০ মিনিটে বাম প্রান্ত থেকে ওয়াশিংটনের কাটব্যাক ধরে বসুন্ধরার বদলি গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণকে পরাস্ত করেন কর্নেলিয়াস।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময় এবং যোগ করা ছয় মিনিটেও আর সমতাসূচক গোলটি খুঁজে পায়নি আবাহনী। যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে অবশ্য সমতায় যাওয়ার একটা দারুণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল, বক্সের বাইরে থেকে বাম পায়ের দারুণ এক শট নেন মোহাম্মদ হৃদয়। তবে বসুন্ধরার গোলবারে লেগে বল ফিরে এলে হতাশা নিয়েই ম্যাচ শেষ করতে হয় আকাশি-হলুদদের।

এই জয়ে ১৪ ম্যাচ শেষে বসুন্ধরার পয়েন্ট ৩৭। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মোহামেডানের সঙ্গে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান এখন ৯। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তিনে অবস্থান করছে আবাহনী।

;

লিটনের ব্যাটিং দুর্দশায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা



ক্রীড়া প্রতিবেদক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২২, ৬, ১, ০, ০- শেষ পাঁচ আর্ন্তজাতিক ওয়ানডে ম্যাচে এটি তার রান। রানের যোগফল ২৯। গড় ছয়েরও কম!

০, ৩৬, ৭, ১- শেষ চার আর্ন্তজাতিক টি- টোয়েন্টিতে এটি তার রান। রানের যোগফল ৪৪। প্রতি ম্যাচে গড় ১১। 

এই ব্যাটারের নাম লিটন দাস। জাতীয় দলের উইকেটকিপার কাম ওপেনার। কিপিং নিয়ে তার কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে তার সাম্প্রতিক ফর্ম বলছে, লিটন এখন সমাধান নন, বরং সমস্যা বাড়াচ্ছেন!

অথচ ঘরোয়া টি- টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিপিএলে তার সময়টা তেমন মন্দ যায়নি। ১৪ ইনিংসে ৩৯১ রান। স্ট্রাইকরেটও মন্দ না, ১৩০.৭৬। হাফসেঞ্চুরি ছিল ৩টি। সর্বোচ্চ রান ৮৫। ছক্কা-চারও ভালোই হাঁকিয়েছিলেন এবারের বিপিএলে। ৪০টি চার। ১৭টি ছয়। তার দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ফাইনালে খেলেছিল। ফরচুন বরিশালের কাছে ফাইনালে হেরে যায় কুমিল্লা।

তবে বিপিএলের সেই ফর্ম আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে রাখতে পারছেন না লিটন দাস। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শেষ টি- টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজটা চরম বাজে কেটেছে তার। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেই লিটন আরেকবার শুরুতেই ব্যর্থ। খেললেন ৩ বল। করলেন মাত্র ১ রান। ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে বল তার স্ট্যাম্প উপড়ে দিল। পেসার ব্লেসিং মুজারাবানির গতি ও সুইংয়ের কাছেই মুলত পরাস্ত হন লিটন। ম্যাচ জয়ের জন্য সহজ ১২৫ রানের লক্ষ্য। এমন ম্যাচে শুরুতেই এতো তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু লিটনের ব্যস্ততা দেখে মনে হচ্ছিল রানে ফেরার জন্য অনেক বেশি টেনশন পেয়ে বসেছে তাকে। 

ওপেনিং ব্যাটিং একটি বিশেষায়িত পজিশন। টেকনিক্যালি দক্ষতার সঙ্গে মানসিক দৃঢ়তার ভীষণ প্রয়োজন। ব্যাট হাতে বাজে সময়কে কিভাবে কাটিয়ে উঠতে সেই আত্মবিশ্বাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লিটনের ব্যাটে এবং খেলার ধরণে সেই আত্মবিশ্বাসই যে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। 

সংক্ষিপ্ত ফরমেটের ক্রিকেটে ওপেনারের কাছ থেকে বড় আসা মানেই দলের বাকিদের কাজটা সহজ হয়ে যাওয়া। জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং তো সেই প্রমানই রাখলো। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং- বোলিং এবং বড় জয়ের সাফল্যের দিনে বাংলাদেশের চিন্তার বিষয় শুধু একটাই, দলের আরেক ওপেনার লিটন দাসের ফর্ম। টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনের মাসে। আর দলের ওপেনারের এমন ফর্ম নিশ্চিতভাবেই নির্বাচকদের শান্তি কেড়ে নিচ্ছে।   

লিটন ক্রমশ দলের চিন্তা ও টেনশন বাড়াচ্ছেন! ৫ মে, সিরিজের দ্বিতীয় টি- টোয়েন্টি হোক সেই চিন্তামুক্তির সন্ধ্যা।

;

কোন টনিকে এমন আগ্রাসী প্রত্যাবর্তন সাইফউদ্দিনের?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঝপথে ইনজুরির কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলে ফিরেছিলেন; ফিটনেস এবং ফর্ম ফিরে না পাওয়ায় দল থেকে ছিটকেও গিয়েছিলেন। আরও একটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যখন সামনে, ঠিক তখনই আঠারো মাস পর জাতীয় দলে ফেরা সাইফউদ্দিনের। ফিট থাকলে সাইফউদ্দিনের বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত।

ইনজুরি থেকে ফেরার পর বিপিএলের মাঝপথ থেকে শুরু করে, ডিপিএল ঘুরে এবার জাতীয় দলে। সবখানেই বল হাতে বেশ উজ্জ্বল সাইফউদ্দিন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ৪ ওভার বল করে মোটে ১৫ রান খরচায় ৩ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। কোন টনিক বদলে দিয়েছে সাইফকে? সে কৌতূহলের জবাব নিজেই দিলেন এই অলরাউন্ডার, ‘২০২২ বিশ্বকাপে আমি শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ি পারফরম্যান্সের কারণে। এ জন্য অনেক সিরিয়াস ছিলাম। পারফর্ম করতে চাচ্ছিলাম।’

আঠারো মাস পর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নেমেছেন। নার্ভাস থাকাটা অস্বাভাবিককিছু নয়৷ তবে সাইফের নার্ভাসনেসের কারণটা একটু ভিন্ন। ক্যারিয়ারে প্রথমবার এমন চ্যালেঞ্জের মুখে, টাইগারদের একমাত্র পেস বোলিং অলরাউন্ডার, ‘আজকে অনেক নার্ভাস ছিলাম। এর আগে অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললেও এত নার্ভাস ছিলাম না। যেহেতু দুই ম্যাচ পরে ফিজ আসবে। একাদশ কী হবে না হবে, ম্যানেজমেন্ট জানে। আমি চেষ্টা করেছি ভালো করার।’

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অটোচয়েজ হিসেবেই থাকছেন সাইফ। তবে একাদশে নিজের জায়গা শক্ত করতে এভাবেই পারফর্ম করার কথাই শোনালেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ইকোনমি রেখেছেন তিনের ঘরে, উইকেটও তিনটা। এটা ধরে রাখাই আপাতত এই অলরাউন্ডারের লক্ষ্য৷ যেটা লাভটা বাংলাদেশেরই।

;

চলতি মৌসুমে প্রথমবার মাঠে নামতে যাচ্ছেন কোর্তোয়া



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত মৌসুম শেষের পর এসিএল ইনজুরিতে পড়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় তাকে। ২০২৩/২৪ মৌসুমে তার মাঠেই নামা হয়নি। অবশেষে লা লিগায় আজ (শনিবার) কাদিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আবার গোলপোস্টের নিচে দাঁড়াবেন এই বেলজিয়ান গোলকিপার।

কোর্তোয়ার মাঠে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। লম্বা বিরতির পর দলের মূল গোলকিপারের মাঠে ফেরার সুসংবাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘(আজ) কোর্তোয়া খেলবে।’

কাদিজের বিপক্ষে খেললেও এখনো বড় ম্যাচে কোর্তোয়াকে খেলানোর পক্ষে নন আনচেলত্তি। তাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়ালের গোলপোস্টের প্রহরী কে হবেন সে প্রশ্নের জবাবে এই ইতালিয়ান কোচের সাফ জবাব, ‘বায়ার্নের বিপক্ষে (আন্দ্রি) লুনিন খেলবে।’

তবে রিয়াল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছালে কি লুনিনের জায়গা নেবেন কোর্তোয়া, এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই রিয়াল কোচের, ‘সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন্স ফাইনালে কে খেলবে? এটা আমার জানা নেই।’

উল্লেখ্য, লা লিগা এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার দৌড়ে ভালোভাবেই টিকে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৩ ম্যাচ শেষে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বার্সেলোনার চেয়ে ৯ পয়েন্টে বেশি ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিউখের বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে সমতায় রয়েছে। দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে ফাইনালের টিকিট কাটার সুযোগ এখন তাদের সামনে।

;