বিশ্বকাপে এবার উইন্ডিজের শ্রেষ্ঠত্ব নাকি নতুন চ্যাম্পিয়ন?



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিরোপা উৎসব

ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিরোপা উৎসব

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ বাদে কাল মাঠ গড়াচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে ১৭ অক্টোবর, আগামীকাল রোববার পর্দা উঠতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি মহাযজ্ঞের। নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতেই বৈশ্বিক এ ক্রিকেট আসরে মিশন শুরু করবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সঙ্গে সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ের রেকর্ডটা বাড়িয়ে নিতে চায় ক্যারিবিয়ানরা। 

গত ছয় আসরে দুবার ট্রফি ঘরে তুলেছে উইন্ডিজ। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ শিরোপা জয়ের এটাই রেকর্ড। একবার করে শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা। এখনো পর্যন্ত অবশ্য শিরোপা জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। 

১৬ দলের এবারের ক্রিকেট আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের শিরোপা ধরে রাখবে নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো ফেভারিট কোনো দল তাদের শিরোপা খরা কাটাবে তা ১৪ নভেম্বরের দুবাইয়ের ফাইনালই বলে দিবে। 

বার্তা২৪.কম এর পাঠকদের রোমাঞ্চকর ভেলায় ভাসিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অতীতে ফিরিয়ে নিতে টুর্নামেন্টের রোল অব অনারে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক এবার। 

২০০৭, দক্ষিণ আফ্রিকা আসর: জোহানেসবার্গের ফাইনাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে (১৫২/১০, ১৯.৪ ওভার) মাত্র ৫ রান হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়নের তকমা গায়ে মাখায় ভারত (১৫৭/৫, ২০ ওভার)। 

২০০৯, ইংল্যান্ড আসর: প্রথম আসরে ভারতের কাছে শিরোপা হাতছাড়া করলেও দ্বিতীয় আসরে আর ভুল হয়নি পাকিস্তানের। লন্ডনের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে (১৩৮/৬, ২০ ওভার) আট উইকেটে উড়িয়ে দিয়ে মাথার ওপর শিরোপা উঁচিয়ে ধরে বাবর আজমের দেশ (১৩৯/২, ১৮.৪ ওভার)।

২০১০, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আসর: ব্রিজটাউনের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে (১৪৭/৬, ২০ ওভার) ৭ উইকেটে ধসিয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংল্যান্ড (১৪৮/৩, ১৭ ওভার)।  

২০১২, শ্রীলঙ্কা আসর: কলম্বোতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার হৃদয় ভেঙে প্রথম ট্রফি জেতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রাজা ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফাইনালে উইন্ডিজ (১৩৭/৬, ২০ ওভার) ৩৬ রানে ধরাশায়ী করে লঙ্কানদের (১০১/১০, ১৮.৪ ওভার)। 

২০১৪, বাংলাদেশ আসর: ঘরের মাঠে শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার ক্ষতিটা ঢাকায় এসে পুষিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কা। ভারতকে (১৩৪/৪, ১৭.৫ ওভার) ৬ উইকেটে হতাশায় ডুবিয়ে আসরের সেরা হয় লঙ্কানরা (১৩০/৪, ২০ ওভার)। 

২০১৬, ভারত আসর: ক্যারিবিয়ানরা নিজেদের দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলে কলকাতার ফাইনালে। ইংল্যান্ডকে (১৫৫/৯, ২০ ওভার) ৪ উইকেটে গুড়িয়ে দিয়ে আসরে সর্বোচ্চ দুইবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৬১/৬, ১৯.৪ ওভার)। 

   

ম্যাগার্ককে অজিদের বিশ্বকাপ দলে দেখতে চান ক্লার্ক 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। ২২ বছর বয়সী এই তরুণের এখনো অভিষেক হয়নি অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে। তবে নামটি ইতিমধ্যেই বেশ ভালোভাবেই চেনা ক্রিকেটপ্রেমীদের। উপলক্ষ চলতি আইপিএলের আসর। সেখানে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলেছেন এই ডানহাতি ওপেনার ব্যাটার। তাতেই করেছেন ২৫৭ রান। স্ট্রাইক রেট দেখে যে কেউ যাবেন থমকে, ২৩৭ দশমিক ৫০। এতেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজিদের দলে এই ব্যাটারের জায়গা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। এবার দেশটির সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও হাটলেন একই পথে। ম্যাগার্ককে অজিদের বিশ্বকাপ দলে দেখতে চান অজিদের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার। 

গত কালের মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষেও বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন ম্যাগার্ক। স্রেফ ২৭ বলে করেছেন ৮৪ রান। এ ম্যাচেও ছুঁয়েছেন আসরে এর আগে হায়দরাবাদের বিপক্ষে করা ১৫ বলে দ্রুততম ফিফটির কীর্তি। এতেই কেড়েছেন সবার নজর। 

আইপিএলের এবারের আসরে ধারাভাষ্যের ভূমিকায় আছেন ক্লার্ক। ছিলেন গত রাতের ম্যাচেও। সেখানেই মূলত ম্যাগার্কের বন্দনায় মাতেন তিনি। ধারাভাষ্য বক্সে ক্লার্ক বলেন, ‘নির্বাচকদের (অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দল) তাকে নিয়ে ভাবা উচিত। দল বাছাইয়ের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। সে এখন পর্যন্ত যেভাবে খেলছে, সত্যিই তাকে এড়িয়ে যাওয়া বেশ কঠিন।’ 

ওপেনিংয়ে নেমে মূলত পাওয়ার প্লেতে বিশাল বিশাল ছক্কা হাঁকানোর সক্ষমতা রাখেন তিনি। ক্লার্কের মতে যেটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকার ধীরগতির পিচে দলকে অনেক সুবিধা এনে দিবে। 

ম্যাগার্ক এই ২৪৭ রানের মধ্যে ২২০ রানই করেছেন বাউন্ডারিতে। মেরেছেন ২২টি ছক্কা ও সমান ২২টি চার। এতে পরিসংখ্যানও বলে দিচ্ছে কতটা কার্যকরী হতে চলেছেন তিনি। 

;

১৮ মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেন সাইফ উদ্দিন 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু আগামী ৩ মে। আসন্ন এই সিরিজ শুরুর চার দিন আগে ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচের জন্য ঘোষণা করা দলটিতে নেই সাকিব আল হাসান। এদিকে দেড় বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরতে চলেছেন সাইফ উদ্দিন।

দলটিকে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আছেন ওপেনিং ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম। 

এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়েই প্রায় ২০ মাস পর জাতীয় দলের কোনো সিরিজে ডাক পেলেন পারভেজ হোসেন ইমন। এর মাঝে অবশ্য দুটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছেন তিনি, সেটি ছিল গত বছরের হাংজু এশিয়ান গেমসে। অর্থাৎ, জিম্বাবুয়ে বিপক্ষেই ফের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ফিরলেন ইমন। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) এবারের আসরে ব্যাট হাতে দারুণ ফর্মে আছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১৩ ম্যাচে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে ৬২৩ রান করে আছেন আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার শীর্ষে। 

সাইফ উদ্দিন ছাড়া দলে জায়গা মিলেছে তিন পেসার ও তিন স্পিনারের। সবশেষ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে জায়গা না পেলেও এ সিরিজে ফিরলেন আফিফ হোসেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত ফেব্রুয়ারির সেই সিরিজ থেকে জায়গা হারিয়েছেন পাঁচজন, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, সৌম্য সরকার, এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাইম। তবে আইপিএল থেকে ফিরে সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে ফিরতে পারেন মুস্তাফিজ। এছাড়া চোট কাটিয়ে সুস্থ হলে ফিরলে দেখা মিলতে পারে সৌম্যরও। 

আগামী ৩ মে শুরু হতে যাওয়া সিরিজটির পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৫ ও ৭ মে। শুরুর এই তিন ম্যাচ হবে চট্টগ্রামে। সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে, ১০ ও ১২ মে।

এদিকে সিরিজটি খেলতে ইতিমধ্যে ঢাকায় এসেছে জিম্বাবুয়ে দল। আজ রাতেই আলাদা ফ্লাইটযোগে রাত ৯টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রামে পৌঁছানোর কথা রয়েছে সফরকারী দলটির।   

জিম্বাবুয়ে সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে বাংলাদেশ দল: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদ উল্লাহ, জাকের আলী অনিক, শেখ মাহেদি, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হোসেন সাকিব, পারভেজ হোসেন ইমন, তানভীর ইসলাম, আফিফ হোসেন, সাইফ উদ্দিন।

;

উইল জ্যাকসের সেঞ্চুরিতে বেঙ্গালুরুর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্যটা ২০১ রানের। ম্যাচের শুরুটা যখন রান তুলতে ভুগছিল গুজরাটের ব্যাটাররা তখন মনে হচ্ছিল দিনটা ব্যাটারদের। অবশ্য পরে সাই সুদর্শন-শাহরুখ খানরা পাল্টেছেন রানের চিত্র। এবার রয়্যাল চ্যালেজার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা পাল্টে দিলেন পুরো ম্যাচের চিত্র। আরও একবার ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখালেন বিরাট কোহলি। তবে তাকে ছাপিয়ে আজ বেঙ্গালুরুর জয়ের নায়ক উইল জ্যাকস। স্রেফ ৪১ বলেই হাঁকালেন সেঞ্চুরি। এতে ৪ ওভার হাতে রেখেই ৯ উইকেটে দাপুটে জয় পায় বেঙ্গালুরু।

এ নিয়ে আসরে টানা দুই ম্যাচে জয়ের দেখা পেল বেঙ্গালুরু। শুরুর আট ম্যাচে স্রেফ এক ম্যাচ জিতে এতদিন ছিল তালিকার একদম তলানিতে। অবশ্য টানা জয়েও বদলায়নি পয়েন্ট তালিয়ার অবস্থান। 

আহমেদাবাদে দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বেঙ্গালুরু। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২০১ রান তোলে গুজরাট। 

বিশালের কাতারে থাকা লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ঝোড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার কোহলি ও ডু প্লেসি। শুরুটা ভালো পেলেও বেশিক্ষণ টিকেননি বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। ফেরেন দলীয় ৪০ রানের মাথায়। সেখান থেক জয়ের জন্য ৯৭ বলে তখনো দরকার ১৬১ রান। তবে সেই রান স্রেফ ৭৩ বলেই তুলে ফেলেন জ্যাকস ও কোহলি। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শুধু দলকেই জেতাননি, তুললেন আইপিএলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ৪১ বলে ৫ চার ও ১০ ছক্কায় ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। 

এদিকে কোহলিও ছিলেন দারুণ ছন্দে। ৪৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় তিনি করেন ৭০ রান। এতে ১০ ম্যাচে আসরে পুরো ৫০০ রান করলেন ভারতের এই তারকা ব্যাটার। 

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। তবে সেখানে যেন একাই হাল ধরেন দলটির ২২ বছর বয়সী তরুণ ব্যাটার সুদর্শন। পরে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন শাহরুখ খান। তৃতীয় উইকেটে এসে ৮৬ রানের সময় উপযোগী জুটি পায় গুজরাট। সেখানে ৩০ বলে শাহরুখ ৫৮ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন সুদর্শন।

শেষ ৫ ওভারে ডেভিড মিলারকে নিয়ে ৬২ রান যোগ করেন সুদর্শন। তার ৪৯ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৪ রানের অপরাজিত এই ইনিংসে চড়ে পুরো ২০০ রানের সংগ্রহে পৌঁছায় গুজরাট। 

এদিনে বেঙ্গালুরু হতাশাজনক শুরুর পর যখন টানা দুই ম্যাচে পেল জয়ের দেখা, তখন নিজেদের টানা দুই ম্যাচেই হারল গুজরাট। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড: 

গুজরাট টাইটান্স: ২০০/৩ (২০ ওভার) (সুদর্শন ৮৪*, শাহরুখ ৫৮; স্বপ্নিল ১/২৩)

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ২০৬/১ (১৬ ওভার) (জ্যাকস ১০০*, কোহলি ৭০*; সাই কিশোর ১/৩০)

ফলাফল: বেঙ্গালুরু ৯ উইকেটে জয়ী

ম্যাচসেরা: উইল জ্যাকস 

;

একাই লড়লেন জ্যোতি, সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ম্যাচটা কঠিন গিয়েছিল তখনই যখন ১২ ওভার ৫ বলেই দলীয় সংগ্রহের শত রান পেরিয়ে যায় ভারত। পরে বোলাররা ছন্দে ফিরলেও ১৪৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যই দাঁড়ায় বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে। পরে ব্যাটিংয়ে এসে সেই পুরনো সমস্যা, যেই সমস্যায় জ্যোতি-নাহিদাদের ভুগিয়েছে ঘরের মাঠে এর আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজেও। ব্যাটিং ব্যর্থতা। ৫১ রান করে স্রেফ একাই লড়লেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাকিদের আরও একবার হতশ্রী ব্যাটিংয়ে ৪৪ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল স্বাগতিকরা।

এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারত। 

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এদিন ভারতের মেয়েদের জয়ের শুরুটা টস দিয়ে। সেখানে আগে ব্যাট  করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৫ রান তোলে সফরকারীরা। 

রান তাড়ায় শুরুর সাত ওভারেই ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে যায় জ্যোতি-নাহিদারা। ৩০ রানেই স্বাগতিকরা হারিয়ে বসে শুরুর চার উইকেট। ম্যাচের বাকি অংশ জুড়ে চলেছে স্রেফ একটি চিত্র। ব্যাট হাতে একাই লড়েছেন অধিনায়ক, বাকিরা যাওয়া-আসার মধ্যেই। এতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১০১ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। 

শেষ ওভারে সাজঘরের ফেরার আছে জ্যোতি করেন ৪৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫১ রান। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রেনুকা সিং। জিতেছেন ম্যাচসেরার খেতাবও। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারাতে বসেছিল ভারত। তবে দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ৯ রানের মাথায় স্মৃতি মান্ধানার সহজ এক ক্যাচ ছেড়ে দেন ফারিহা তৃষ্ণা। অবশ্য পরের ওভারেই সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছেন তিনি। দলীয় ১৮ রানের মাথায় বোল্ড করে ফিরিয়েছেন মান্ধানাকে। 

সেই চাপ সামলে যস্তিকা ভাটিয়াকে নিয়ে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন শেফালি ভার্মা। অষ্টম ওভারে এসে এবার শেফালিকে ফেরান রাবেয়া। পরে দারুণ ছন্দে যস্তিকাকেও ফিরিয়েছেন তিনি। স্কোরবোর্ডে তখন ৪ উইকেটে ১০৮ রান। সেখানেই ম্যাচ নিজেদের দিকে করে নেয় বাংলাদেশ। যস্তিকার আগে ৩০ রান করে ফেরেন অধিনায়ক হারমানপ্রীত। বাকি কেউই আর স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারেননি তেমন কিছু। সর্বোচ্চ ৩৬ রান এসেছে যস্তিকার ব্যাট থেকে। 

এদিকে ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন রাবেয়া। এছাড়া মারুফা নিয়েছেন ২ উইকেট। 

আগামী ৩০ এপ্রিল সিলেটের মাঠেই অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি। 

সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:

ভারত নারী ক্রিকেট দল: ১৪৫/৭ (২০ ওভার) (যস্তিকা ৩৬, শেফালি ৩১, হারমানপ্রীত ৩০; রাবেয়া ৩/২৩, মারুফা ২/১৩)

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল: ১০১/৮ (২০ ওভার) (জ্যোতি ৫১; রেনুকা ৩/১৮, পুজা ২/২৫)

ফলাফল: ভারত ৪৪ রানে জয়ী

সিরিজ: ভারত ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যাচসেরা: রেনুকা সিং

;