ইতিহাস গড়া হলো না সানা-দিয়ার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী

রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিল রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকীর সামনে। দুজনের সামনে ছিল বিশ্ব জয়ের হাতছানি। কিন্তু নাহ! দুর্ভাগ্য! সেটা আর হলো না। সুইজারল্যান্ডের লুজানে আরচারি বিশ্বকাপের মিশ্র দলগত ইভেন্টের ফাইনালে হেরে গেছে সানা ও দিয়া জুটি।

তাই হাতছাড়া হলো স্বর্ণ পদক জয়ের দুরন্ত এক সুযোগ। এখন রানার্স-আপ হয়ে রৌপ্যপদক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আরচারি বিশ্বকাপে স্বর্ণপদক জয়ের নতুন ইতিহাস লিখতে পারলেন না সানা ও দিয়া। ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের ভ্যান ডেন বার্গ ও ক্লোসার গ্যাব্রিয়েলা জুটির কাছে ৫-১ সেটে হার মেনেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

   

সিলেটের তিন স্কুলে জ্যোতিদের বর্ণিল দিন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো বিদেশি ক্রিকেটার কিংবা সাকিব-তামিম-মাশরাফিদেরও কেউ নন। এতো এতো স্কুল পড়ুয়া ক্ষুদে ভক্তের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে যিনি আছেন তিনি বাংলাদেশ নারী দলের ক্রিকেটার। ক্যাপ্টেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। উইমেন্স ক্রিকেট নিয়ে যেখানে কয়েকবছর আগেও স্বপ্ন দেখা ছিল দিবাস্বপ্নের মতো। সেখানে জ্যোতি দেখালেন চাইলে এইদেশেও নারী ক্রিকেটার হয়ে এমন সম্মান পাওয়া সম্ভব। এতো বড় ক্রেজ হওয়া সম্ভব।

কারো হাতে নোটবুক, কেউ এসেছেন খাতা নিয়ে,  কারো হাতে শুধুই পৃষ্ঠা, কারো কারো সাথে গ্রুপ সেলফি কিংবা হাত নাড়ানোর আবদার। সবই যেনো জ্যোতির নামের মতো  জ্বলজ্বলে দৃষ্টান্তই হয়ে থাকবে।

শুধুই কি জ্যোতি? তার দলও তাই। মেয়েদের ক্রিকেট সাফল্য পাচ্ছে, বাধার দেয়াল ভাঙছে। মারুফা-ফাহিমারা প্রমাণ করছেন আমরাও পারি, মেয়েরাও পারে।

প্রথমে আম্বরখানা গার্লস স্কুল, এরপর ব্লু বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সবশেষে আনন্দ নিকেতন। সিলেটের এই তিন স্কুলে সোমবার আনন্দ বিলিয়েছেন জাতীয় দলের তিন রত্ন জ্যোতি, ফাহিমা এবং মারুফা। শুধুই সেলফি অটোগ্রাফ কিংবা হাত  উঁচিয়ে ধরাতেই শেষ না। ক্রিকেটেও মজেছেন স্কুল ছাত্রীদের সাথে। সেই সাথে ছিলো প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। যেখানে জ্যোতি শেয়ার করেছেন তার উঠে আসার গল্প। এতো এতো দায়িত্ব আর চাপ সামলে কীভাবে এতো কুল থাকা যায়? সেসব।

এমন অসাধারণ  উদ্যোগের জন্য বাহবা পেতেই পারেন বিসিবির নারী উইংয়ের হেড অব অপারেশন্স হাবিবুল বাশার সুমন। মূলত উইমেন্স ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতেই এমন উদ্যোগ। মেয়েরা যে খেলতে আসতে পারে, এটা নিরাপদ জায়গা, সেটা  প্রমাণের মঞ্চ হিসেবে বললেও ভুল হবে না বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।  সেই সাথে স্কুল পড়ুয়া মেয়েদের মাঠে আসার আহবান তো ছিলোই।

তিনটি স্কুলেই স্মারক হিসেবে দেওয়া হয়েছে জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের ক্রিকেটারদের অটোগ্রাফ সম্বলিত একটি করে জার্সি।

;

সালাউদ্দিনের সমালোচনা গায়ে মাখছেন না কাবরেরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই লেগে বাংলাদেশের হারের পর কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কঠোর সমালোচনা করেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। যদিও শক্তিমত্তায় যোজন যোজন এগিয়ে থাকা ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স, বিশেষ করে ঘরের মাঠে জামাল ভূঁইয়ারা যে খেলা দেখিয়েছেন-তাতে ফুটবলপ্রেমীদের মুখে প্রশংসাই ঝরেছিল কোচের জন্য।

সালাউদ্দিনের চাঁছাছোলা সমালোচনার পর লম্বা একটা সময় মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন কাবরেরা। দীর্ঘ সময় পর আজ (সোমবার) বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেও যথেষ্ট নমনীয়ভাবেই উত্তর করেছেন বাংলাদেশ কোচ, ‘তিনি (কাজী সালাউদ্দিন) বাফুফের সভাপতি। সমালোচনা করার অধিকার রাখেন। এর পরেও আমাদের মধ্যে দল নিয়ে কথা হয়েছে, আমি তার সমালোচনা নিয়ে ভাবছি না।’

সালাউদ্দিনের সমালোচনাকে বরং ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা কাবরেরার, ‘আমরা অবশ্যই ভুল থেকে শিখবো।’

জুনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। সে ম্যাচকে সামনে রেখে অনুশীলন ক্যাম্প হবে। তবে যেহেতু ঘরোয়া ফুটবলের খেলা পুরোদমে চলছে, তাই অনুশীলন ক্যাম্প সংক্ষিপ্ত হবে বলেই জানালেন কাবরেরা। কবে নাগাদ ক্যাম্প শুরু হতে পারে তা জানিয়ে বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘এবার আমাদের অনুশীলন ক্যাম্প হবে সংক্ষিপ্ত। বিশেষ কিছু করার সুযোগ নেই। ২৯ মে লিগ শেষ হওয়ার পর বিশ্রাম নিয়ে খেলোয়াড়েরা ১ জুন রিপোর্ট করবে, ২ জুন থেকে ক্যাম্প শুরু করে দিতে চাচ্ছি।’

আগামী ৬ জুন বিকেল পৌনে পাঁচটায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় এশিয়ার জায়ান্ট অস্ট্রেলিয়াকে বিপক্ষে খেলবেন জামালরা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে ৭-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।

;

‘বোলারদের কাজ শুধু মার খাওয়া’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে চলছে ব্যাটারদের রাজত্ব। বোলারদের ভাগে শুধুই হতাশা। উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছুই নেই। সুইং আর টার্নের আকালে ব্যাটারদের বল শুন্যে তুলে দিলেই সীমানা পেরিয়ে যায়। টি-টোয়েন্টিতে একসময়ের অভাবনীয় আড়াইশ ছাড়ানো সংগ্রহ এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে বোলারদের অসহায়ত্ব নিয়ে অকপটে বললেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলা ভারতের জাতীয় দলের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) গুজরাট টাইটান্সের দেয়া ২০১ রানের লক্ষ্য ১৬ ওভারেই তার দল তাড়া করার পর সিরাজ বলেন, ‘দেখুন, ক্রিকেট এখন অনেক বদলে গেছে। এখন প্রায় প্রতি ম্যাচেই ২৫-২৬০ রান হচ্ছে। কিছুদিন আগেও ২৫০ রান (টি-টোয়েন্টিতে) বিরল ছিল।’

কেন এমন রানের ফোয়ারা ছুটছে আইপিএলে, এই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন সিরাজ, ‘বোলারদের জন্য কোনো সহায়তা নেই। ছোট মাঠ, পাটা পিচ, কোনো সুইং নেই। বোলারদের কাজ এখন শুধু বোলিং করা আর মার খাওয়া।’

তবে হাল ছাড়ার পাত্র নন সিরাজ। অন্য বোলারদের উদ্দেশে তার পরামর্শ, ‘বোলার হিসেবে আপনাকে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। আমি জীবনে অনেক উত্থান-পতন দেখেছি, তাই এক-দুইটা ম্যাচ আমার পক্ষে না এলেই আমি হাল ছেড়ে দেই না। আমি (ছন্দে) ফেরার পথ খুঁজতে থাকি।’

;

সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েও কেন পার্পল ক্যাপ পাননি মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হায়দরাবাদের বিপক্ষে ম্যাচটির আগের তিন ম্যাচে ৬৯ বলে ১৪৯ রান ব্যয় করেছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ক্রমেই খরুচে হয়ে ওঠা মুস্তাফিজ স্বস্তি পেয়েছেন হায়দরাবাদের বিপক্ষে বোলিং করে। এমনিতে চলতি আসরে রানের ফোয়ারা ছোটালেও মুস্তাফিজদের বোলিং নৈপুণ্যে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি হায়দরাবাদ। ২. ৫ ওভার বোলিং করে মুস্তাফিজ ১৯ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়ে দলের জয় তো নিশ্চিত করেছেনই, উঠে এসেছেন আইপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শীর্ষে। এরপরও অবশ্য পার্পল ক্যাপ জোটেনি তার!

মুস্তাফিজের সমান ১৪ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেটশিকারি ভারতের যশপ্রীত বুমরাও। পার্পল ক্যাপ এখন তার দখলেই রয়েছে। সমান ১৪ উইকেট রয়েছে আরেক ভারতীয় পেসার হার্শাল প্যাটেলেরও। মুস্তাফিজের চেয়ে একটি ম্যাচ বেশি বুমরা এবং হার্শাল।

তবে পার্পল ক্যাপের ক্ষেত্রে ম্যাচ কম বা বেশি খেলার বিষয়টি আসলে বিবেচ্য নয়। এক্ষেত্রে মুখ্য বিষয় হচ্ছে, বোলিং গড়। মুস্তাফিজের বোলিং গড় যেখানে ৯.৭৫, বুমরার বোলিং গড় ৬.৬৩। বোলিং গড়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা বুমরার মাথাতেই তাই এখন শোভা পাচ্ছে পার্পল ক্যাপ। বুমরা-মুস্তাফিজের সমান ১৪ উইকেট পাওয়া অন্য বোলার হার্শাল আরও খরুচে, তার বোলিং গড় ১০.১৮।

আইপিএলে খেলার জন্য ১ মে পর্যন্ত ছুটি পেয়েছেন মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের পরের ম্যাচটি একই দিনে, পাঞ্জাবের বিপক্ষে। সেই ম্যাচ খেলেই দেশের উদ্দেশে বিমানে চড়ার কথা এখন পর্যন্ত চলতি আসরে চেন্নাইয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি মুস্তাফিজের।

;