দলীয় ঐক্য ও ইশতেহার বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আগাচ্ছে আওয়ামী লীগ



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলে সৃষ্ট আন্তঃকোন্দল ও মত বিরোধের অবসান ঘটিয়ে ইশতেহার বাস্তবায়নে মনোযোগী হতে চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আর সে লক্ষ্য অর্জনে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে দলটি। বিরোধপূর্ণ এলাকার নেতাদের ঢাকায় ডেকে সমস্যা সমাধানে দলীয় সভাপতির বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে আবার ইশতেহার বাস্তবায়নে সবগুলো মন্ত্রণালয়কেও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে নানান পরামর্শ। 

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সচিবদের সঙ্গে করা এক সভায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নির্বাচনি ইশতেহার বাস্তবায়ন, দুর্নীতি প্রতিরোধ, যাচাই-বাছাই করে প্রকল্প গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখার কৌশল নিয়ে সফলভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা গেছে। তবে স্বতন্ত্র ও নৌকার প্রার্থী দুজনই আওয়ামী লীগের হওয়ায় কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে দলীয় কোন্দলের। দলে সৃষ্টি হয়েছে বিভক্তির আর সে জন্যই দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছেন দায়িত্বশীল নেতারা। প্রয়োজনে বিরোধপূর্ণ এলাকার নেতাদের ডেকে দ্বন্দ্ব নিরসনে দেওয়া হচ্ছে শক্ত বার্তা।

সূত্রটি জানায়, শনিবারের দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় দ্বন্দ্ব নিরসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তৃণমূল নেতাদের কঠোর বার্তা দেবেন আর সে লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর, উপজেলা/থানা ও জেলা সদরে অবস্থিত পৌর কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় ও স্বতন্ত্র সদস্য, জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ডাকা হয়েছে গণভবনে। 

এবারের নির্বাচনে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়ে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সুশাসনসহ মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব আরোপের কথা বলেছে দলটি আর তা বাস্তবায়নে ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভা গঠন হবার পর থেকেই কাজ শুরু করেছে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করা আওয়ামী লীগ। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মন্ত্রীদের কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও টাকা পাচার রোধে থাকবে বাড়তি নজর। 

ইশতেহার বাস্তবায়ন ও দলীয় মতবিরোধ নিরসনে কাজ করছেন জানিয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা একটা নির্বাচন করেছি। নির্বাচনে একটা ম্যানুফেস্টো আমরা দিয়েছি। আমাদের কিছু কিছু নির্বাচনি অঙ্গীকার জাতির সামনে উপস্থাপন করেছি। ইলেকশন ম্যানুফেস্টো বাস্তবায়নটাই আমাদের মূল কাজ। এই ইলেকশন ম্যানুফেস্টো বাস্তবায়নে আমাদের দলের সুদৃঢ় ঐক্য দরকার। গত নির্বাচনে, নির্বাচনটি ফেয়ার হয়েছে। কিন্তু কৌশলগত কারণে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচন করেছেন। ৬২ জনের মতো নির্বাচিতও হয়েছেন। তারাও কিন্তু আওয়ামী লীগেরই লোক। সেখানে আওয়ামী লীগের পদধারীও অনেকে আছেন।'  

তিনি বলেন, 'নির্বাচন নিয়ে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ সৃষ্টি হয়েছে। কিছুটা মতবিরোধ, দ্বন্দ্ব-সংঘাত, কোথাও কোথাও নিজেদের মধ্যে কিছু দুঃখজনক ঘটনাও ঘটেছে। দলের অভ্যন্তরে যে আন্তঃকলহ, দ্বন্দ্ব এসব বিষয়ের অবসান ঘটিয়ে সুদৃঢ় ঐক্য আমাদের দরকার। উপজেলা নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনের দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও মনোমালিন্য সৃষ্টি না হতে পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার একটা নির্দেশনা আমাদের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেবেন।' 

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকায় কোন্দল বেড়েছে দলের মধ্যে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা চরম আকার ধারণ করেছে। তাই, এটি দ্রুত নিরসন করতে চায় কেন্দ্র; অন্যথায় আশঙ্কা রয়েছে ভবিষ্যতে সে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর। আবার সামনে উপজেলা নির্বাচন আছে, সেখানেও থাকছে না দলীয় প্রতীক। ফলে, সংসদ সদস্যরা চাইবেন নিজের লোককে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করতে। সবকিছু মিলিয়ে সংকট আরো ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই, উপজেলা নির্বাচনে যেন স্থানীয় নেতারা দ্বন্ধ-সংঘাতে না জড়ান, বর্ধিত সভায় নেতাদের সে নির্দেশনা দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।  

আগামী দিনে আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বার্তা২৪.কমকে দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, 'দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের যে ইশতেহার ঘোষণা করা হয়েছে, সে ইশতেহার বাস্তবায়নই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেত্রৃত্বে মোকাবিলা করবো। বিশেষ করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, এই ব্যাপারে সরকার আন্তরিক। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।' 

আপনারা সামনে দলীয় শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, 'দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্যই আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্ধিত সভা ডেকেছেন। সেখানে নেত্রী যে নির্দেশনা দেবেন, সে নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাবো আর রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সবসময় থাকবে। চ্যালেঞ্জ না থাকলে রাজনীতিই তো থাকবে না। আর সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্যই তো রাজনীতি!' 

   

আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ : মির্জা ফখরুল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা দায়ের এখন সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরও হিংস্র করে তুলেছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রবিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মকবুল ইসলাম টিপু, ওমর নবি বাবুসহ আরও অনেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলালসহ ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন ফখরুল। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এদিকে পৃথক আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুসহ গাড়িচালককে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করার পরও তা অস্বীকার করেছে।

ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ।

;

পরীক্ষার্থী ও পথচারীদের হাতে পানি-স্যালাইন-জুস তুলে দিল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহ থেকে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও জুস সরবরাহ করেছেন চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) কলেজ গেট ও চকবাজার এলাকায় দায়িত্বরত সকল ট্রাফিক পুলিশ, পরীক্ষার্থী, রিকশাচালক, বাসচালক ও পথচারীদের থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে পানি, জুস ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ও মহানগর ছাত্রলীগের সংগঠক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পলাশ এতে নেতৃত্ব দেন।

আনোয়ার পলাশ বলেন, 'গত কয়েকদিন থেকেই বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম চলছে। তীব্র তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করেই আমরা মাঠে কাজ করছি। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সবাইকেই বিপদে ফেলে দিচ্ছে। আগেও যেমন সব সংকটে, সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এখনও নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। আগামী যে কয়েকদিন তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে সেই পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।'

আনোয়ার পলাশ আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা সব সময় প্রস্তুত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের পাশে থাকার জন্য।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা সুমন শাহারিয়ার, মাঈন উদ্দিন সোহেল, শিমলা দত্ত তন্বী, নাজিম উদ্দিন, আবদুস সোবহান, এম এ মনির, এম এইচ সৈকত, হাবিবুর রহমান সুজন, সরোয়ার মির্জা, শাহারিয়ার হোসেন, লায়লা সিকদার লিপি, নুর আলম, জনি দাশ, এইচ এম জাহিদ, জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ জুবায়ের, মনজুর মোর্শেদ এনি, মো: আসফাক রাজা, রাশেদুল ইসলাম, মুনতাসির মোহাম্মদ তুহিন, খান ওসমান, শফিকুর রহমান সাকিব, শেখ আবদুল আজিজ, আবদুল আজিম, শাহারিয়ার চৌধুরী, মিনহাজ, নকীব বিন নোমান, এহসানুল হক সাকিব, জয়নাল সাকিব, রুহুল কুদ্দুস ফয়সাল, আরমান উদ্দিন, সাগর হোসেন, আসফাক রহমান, মেহেদী হাসান ফাহিম, তনয় বড়ুয়া, আবুদল আজিজ চোধুরী, আসাদ বিন ইউসুফ রনি, আবদুল্লা আল সোয়েব, আবদুল আহাদ, মো. লিমন, মাঈন উদ্দিন সিফাত প্রমুখ।

;

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে।

কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন

সরে গেলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমানা আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব নির্বাচন বর্জনের বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণার কথা জানান।

রুমানা আহমেদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই রুমানা আহমেদ উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। ২২ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। তবে রুমানা আহমেদ তার প্রার্থিতায় অনড় ছিলেন। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

ব‌হিষ্কারের বিষয়ে রুমানা আহমেদ বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসা ছিল তার জন্য অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য দলীয় নীতি-নির্ধারক এবং মেহেরপুর জেলার নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রুমানা আহমেদের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান।

;