এ বিজয় জনগণের, এ বিজয় গণতন্ত্রের: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। এ বিজয় জনগণের বিজয়। এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে এক বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। লাখো শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

টানা চতুর্থ মেয়াদে এবং পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠন করে নবনির্বাচিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ে শুক্রবার বেলা ১১টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

এর আগে রীতি মেনে একই কর্সূচির আওতায় শুক্রবার সকাল ১০টায় নবনির্বাচিত মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নিয়ে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে নবনির্বাচিত মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ফুল দেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে। নবনিযুক্ত প্রতিমন্ত্রীরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় বঙ্গভবনে সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভায় থাকা ২৫ জন পূর্ণমন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। শপথের পরে তাদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

   

পদত্যাগ করুন এবং দেশের মানুষকে বাঁচান; সরকারকে ফারুক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সরকারকে বলব পদত্যাগ করুন, দেশের মানুষকে বাঁচান। লুট করবেন আপনারা, দুর্নীতি করবেন আপনারা আর তার প্রভাব সাধারণ জনগণের উপরে পড়বে এটা হতে পারে না।

মঙ্গলবার (৩০ এ‌প্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ ফোরাম এর আয়োজনে, তারেক রহমানের নির্দেশে সারাদেশে চলমান তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারী ও শ্রমজীবী গরিব মেহনতী মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অনুষ্ঠানে তি‌নি এসব কথা বলেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ১৫ বছরের অন্যায় অত্যাচারের মাধ্যম দিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় আছে। বিনা কারণে দেশের অনেক মানুষকে গুম করেছে খুন করেছে, অন্যায়ভাবে গ্রেফতার নির্যাতন করেছে। এই তাপদাহে আওয়ামী লীগ নিশ্চুপ বসে আছে কেন। আপনারা তো এসি ব্যবহার করে ঘরে বসে আছেন সাধারণ জনগণের কথা একটু ভাবুন। স্কুল কলেজ বন্ধ করবে শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু সেই স্কুল কলেজ বন্ধ করতে হয় আদালতকে। এই শিক্ষা মন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। শিক্ষামন্ত্রী কেন স্কুল খোলা রেখেছে তার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।

তি‌নি ব‌লেন, পদত্যাগ করুন, দেশের মানুষকে রক্ষা করুন। এই তাপদাহের কারণে আপনাদেরকে জবাব দিতে হবে জনগণের আদালতে।

কাদের গলি চৌধুরী বলেন, দুর্ভাগ্য হলেও সত্য এই ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। শিক্ষামন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন কোন সুস্থ মস্তিষ্কের লোক এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারে না। তাকে বিকৃত মস্তিষ্কের লোক বলে মনে করি আমরা। এই প্রচণ্ড তাপদাহে সরকার সাধারণ জনগনের পাশে এগিয়ে আসেনি। এই সরকার জনবিরোধী সরকার। সারা দেশের মানুষকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান করছি।

সংগঠনের সভাপতি মনজুর রহমান ভূঁইয়া এর সভাপ‌তিত্বে এ সময় আরও উপ‌স্থিত ছিলেন বিএনপি'র সহ তথ্য বিষয়ক সম্পাদক সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ আজাদ সিদ্দিকী সাবেক এমপি বিএনপি। মাওলানা নেসার উদ্দিন নির্বাহী কমিটির সদস্য বিএনপি। ওলামা দলের যুগ্ন আহ্বায়ক মাওলানা আলমগীর হোসেন।

;

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত হবে।

দলের উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

;

ঝিনাইদহ-১ উপনির্বাচন: ২৫ মনোনয়ন বিক্রি করে আ.লীগের আয় সাড়ে ১২ লাখ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনের জন্য তিনদিনে ২৫টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে আয় করে সাড়ে ১২ লাখ টাকা আয় করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকেল পর্যন্ত এ ফরম বিক্রি হয়েছে। দলের উপ-দপ্তর সায়েম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন এম আব্দুল হাকিম আহমেদ, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মোছা. সেলিনা পারভীন, মো. নজরুল ইসলাম, সাইদুল করিম মিন্টু, মো. রেজাউল ইসলাম, সাইদুর রহমান, পারভেজ জামান, মো. নায়েব আলী জোয়াদ্দার ও কাজী আশরাফুল আজম, তানভীর হাসান, মোসা. কামরুন্নাহার, মোসা. সুলতানা বুলবুলি, মো. আবেদ আলী, মো. সালাউদ্দিন জোয়দ্দার ও মো. সফিকুল ইসলাম, ওয়াহিদুজ্জামান, মো. ইফতেখার আলম, নজরুল ইসলাম, মোসা. ফেরদৌসী খাতুন, সো. হুমায়ুন কবির, মো. লিটন আহমেদ, মো. বাদল আলম ও মো. ইনামুল হোসাইন প্রমুখ।

এর আগে, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ ফরম বিক্রি শুরু হয়। যা শেষ হয় সোমবার বিকেলে।

উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান। তার মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনে গত শনিবার সকাল থেকেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে আওয়ামী লীগ।

;

স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে: শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে’

‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে’

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আসন্ন উপজেলাসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনও জনগণ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করবে। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, স্বাধীনতার সকল অর্জন আওয়ামী লীগ সরকার ম্লান করে দিয়েছে। জনগণের অধিকার হরণ করে তারা স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত। মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। মানুষের মৌলিক অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। এই ডামি সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। তাই বিগত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে বাংলাদেশের মানুষ বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে। এই অবৈধ সরকারের নির্বাচনী কার্যক্রমকে প্রত্যাখান করেছে।

উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ হালিমের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার ও ভিপি হারুনুর রশীদ।

মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, বিএনপি নির্বাচনে ভয় পায় না। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে দেখুন জনগণ কাদের ভোট দেয়। আওয়ামী লীগতো জাতীয় নির্বাচন খেয়ে ফেলেছে, এখন স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে কী করবে। নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সে নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি ও জনগণ। তাই সাজানো নির্বাচন বন্ধ করুন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জালাল উদ্দীন মজুমদার বলেন, ডামি ভোটে ক্ষমতায় এসে ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারি দলের লোকজন। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এর প্রভাব ভোক্তার উপর পড়ছে। নির্বাচিত সরকার না থাকায় সুবিধাভোগীরাই এসব ফায়দা লুটছে। যতদিন পর্যন্ত অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকবে, ততদিন এ দুর্ভোগ জনগণের উপর চেপে বসবে।

ভিপি হারুনুর রশীদ বলেন, বর্তমানে যারা ক্ষমতায় বসে আছে তাদেরকে সরকার বলা যাবে না। তারা জোর করে জনগণের ভোটের বাইরে ক্ষমতা দখল করেছে। ক্ষমতা টিকিয়ে রেখেছে শুধু লুটপাট করার জন্য। ডামি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ায় মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য।

এতে বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাহউদ্দীন, নুর মোহাম্মদ, নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সারোয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবু তাহের, অধ্যাপক আজম খান, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক কতুব উদ্দীন বাহার, আবু আহমেদ হাসনাত প্রমুখ।

;