প্রতিদিনই মাঠ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে জাপার প্রার্থী



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির ঠিক কতজন প্রার্থী এখন নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছে তার কোনো উত্তর কারো কাছেই নেই। কারণ প্রতিদিনই নির্বাচনী মাঠ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীরা।

বড় একটি গ্রুপ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তুতি নিলেই সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে তারা সরে এসেছেন। পার্টির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র দাবি করেছে মাঠে সক্রিয় রয়েছেন এমন আসনের সংখ্যা ২০০ এর কম হবে।

জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমরা আজকে (৩০ ডিসেম্বর) হিসাব করে দেখেছি সক্রিয়ভাবে মাঠে রয়েছে ১৫৬ জন প্রার্থী। আরও অনেকে রয়েছেন তবে জোরালো ভাবে নেই।

জাপা ২৯৪ আসনে দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন দিলেও সিলেট-৪ আসনের প্রার্থী প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান, কক্সবাজার-২ আসনের প্রার্থী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহমুদুল করিম, চাঁদপুর-৫ আসনে জাতীয় কৃষক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওমর ফারুক, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খুররম ভুঁইয়া, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি জয়নাল আবেদীন এবং ফেনী-১ আসনের প্রার্থী ফজলুল করিম মনোনয়নপত্র দাখিল থেকে বিরত থাকেন। নির্বাচন কমিশন বাছাই শেষে ২৭২ আসনে জাপার প্রার্থীদের বৈধ ঘোষণা করে। ৬ জন আপিলে প্রার্থীতা ফিরে ফেলে সংখ্যা দাঁড়ায় ২৭৮ এ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে (১৭ ডিসেম্বর) কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। শেষ পর্যন্ত ২৬৫ আসনে প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পান বলে জাপা সূত্র জানিয়েছে।

মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬ আসনে সমঝোতা করে জাতীয় পার্টি। যখন ওই ঘোষণা আসে তখন আর প্রত্যাহারের সুযোগ ছিল না। ওই ঘোষণার পর থেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন ২৬ আসনের বাইরে থাকা সাধারণ প্রার্থীরা। ওই প্রার্থীরা মনে করছেন, তাদের অংশগ্রহণ করার বিষয়টি এখন শুধু নির্বাচনে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নে। সে কারণে তারা নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে প্রচারণা চালাতে রাজি নন। পার্টি তহবিল দিলে নির্বাচনী মাঠে থাকবেন, না হলে সরে যাবেন।
প্রথম কয়েকদিন মনে করেছিলেন পার্টির পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। কিন্তু সে আশা পূরণ না হওয়ায় যোগাযোগ শুরু করেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে। এতে কোনো সুরাহা না হওয়ায় প্রার্থীরা এলাকা ছেড়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয় বনানীতে ভিড় করতে শুরু করেন। পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সাক্ষাৎ না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে একাধিক বৈঠক করে।

ক্ষুব্ধ প্রার্থীদের মধ্যে প্রায় চল্লিশ জন ২৬ ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মপুরে বৈঠক করেন। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টুর কার্যালয়ে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা উত্তরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম সেন্টু বার্তা২৪.কমকে বলেছিলেন, বিষয়টি বৈঠকের মতো না। অনেক প্রার্থী পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবকে পাচ্ছেন না। তারা এসেছিলেন আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। চেয়ারম্যান ঢাকায় এসেছেন, মহাসচিব ২৭ ডিসেম্বের ঢাকায় ফিরলে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে।

কতজন প্রার্থী এসেছিলেন আর নির্বাচনী এলাকায় ছেড়ে ঢাকায় অবস্থানের কারণ জানতে চাইলে বলেন, ২২ জনের মতো প্রার্থী আমার অফিসে এসেছিলেন। আর তারা ঢাকায় অবস্থান করছে বিষয়টি এমন না। এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো, তারা নির্বাচনী এলাকায় আসা-যাওয়ার মধ্যে রয়েছে।

দিন যত গড়াচ্ছে নতুন নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে এই তালিকায়। শনিবার তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পার্টির পক্ষ থেকে কোনো ফান্ড দেওয়া সম্ভব না। এতে করে ক্ষোভে অনেকেই নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। চট্টগ্রামের অঞ্চলের ১৫ জন প্রার্থী সাংবাদিক সম্মেলন করে সরে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। সিনিয়র নেতারা কথা বলে নিবৃত করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রার্থী বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তাদেরকে বলা হয়েছে নানা কারণে লেজেগোবরে অবস্থা হয়েছে পার্টির। সমঝোতায় সিনিয়র নেতাদের নাম না থাকা, পার্টির চেয়ারম্যানের স্ত্রী ঢাকা-১৮ আসন পাওয়া নিয়ে এক ধরনের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। আবার রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া নিয়েও সংকট রয়েছে। এই অবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিলে ব্যর্থতার দায়ভার তাদের কাঁধে চাপানোর সুযোগ তৈরি হবে।

নোয়াখালী জেলার একটি আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এক প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চাই। অনেকবার চেষ্টা করেছি পার্টির চেয়ারম্যান সাক্ষাৎ দেননি। এমনকি বনানী অফিসে থাকলেও প্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ দেননি চেয়ারম্যান। ২৬ জনের বিজয় নিশ্চিত করতে গিয়ে আমাদের বলি দেওয়া হয়েছে। এখন নিজের টাকা খরচ করবো কেন। এখন সরে গেলে অর্থ লোকসান থেকে বেঁচে যাব। মনোনয়নপত্র দাখিল করার পর প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত আমাদের বসিয়ে রাখা হয়েছিল। নির্বাচন যাব কিনা সেই সিদ্ধান্ত ঝুলে রাখা হয়। এ কারণেও আমরা মাঠে পিছিয়ে পড়েছি।

ইতোমধ্যেই জাতীয় পার্টির ৩ জন প্রার্থী সাংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। অনেকে প্রার্থী হলেও ঢাকায় বসে সময় পার করছেন। ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জাকির হোসেন। জাতীয় পার্টির রায়গঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাঠে ছিলাম বেশ কয়েকটি নির্বাচনী অফিস করেছিলাম। নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার পর থেকে সব শেষ হয়ে গেছে।

১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চলে নাটকীয়তা। শেষ মুহূর্তে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেয় জাপা। একই সময়ে আওয়ামী লীগ পৃথক সাংবাদিক সম্মেলন করে জাপাকে ২৬ আসন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। নির্বাচনে আসার ঘোষণা দিতেও সময়ক্ষেপণ করে দলটি। ইসি ১৫ নভেম্বর তফসিল দিলেও ১৯ নভেম্বর এসে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করার সিদ্ধান্ত জানায়।

জাতীয় পার্টি মনোনয়ন দেওয়া ছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো দিক নির্দেশনা দেয়নি দলীয় প্রার্থীদের। অন্যান্য নির্বাচনে পার্টি প্রধান কিংবা সিনিয়র নেতারা সফর করতেন। হাতে মাত্র কয়েকদিন সময় থাকলেও সে বিষয়ে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এ নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে এক ধরনের হতাশা বাড়ছে। সমঝোতায় পাওয়া ২৬ আসনে তুলে আনাই ঝুঁকি দেখছেন অনেকে।

   

‘উন্নয়নের নামে দেশকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়নের নামে সরকার গোটা দেশকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গরমে অতিষ্ঠ অসহায় মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জনগণের এই দুঃসময়ে বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা এই তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এদেশে নাকি অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ কী করেছে? সরকার গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। দাবদাহে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন মারা গেছে।

পুলিশের সহায়তায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকার ঘটিয়েছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যা করছে পুলিশও তাই করছে। সেভাবেই পুলিশকে গড়ে তুলেছে শেখ হাসিনা সরকার।

পুলিশকে সত্যের পক্ষে এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেনজীর আহমেদ, আসাদুজ্জামানদের ব্যবহার করেছেন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী প্রমুখ।

;

আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ : মির্জা ফখরুল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা দায়ের এখন সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরও হিংস্র করে তুলেছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রবিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মকবুল ইসলাম টিপু, ওমর নবি বাবুসহ আরও অনেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলালসহ ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন ফখরুল। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এদিকে পৃথক আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুসহ গাড়িচালককে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করার পরও তা অস্বীকার করেছে।

ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ।

;

পরীক্ষার্থী ও পথচারীদের হাতে পানি-স্যালাইন-জুস তুলে দিল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহ থেকে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও জুস সরবরাহ করেছেন চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) কলেজ গেট ও চকবাজার এলাকায় দায়িত্বরত সকল ট্রাফিক পুলিশ, পরীক্ষার্থী, রিকশাচালক, বাসচালক ও পথচারীদের থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে পানি, জুস ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ও মহানগর ছাত্রলীগের সংগঠক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পলাশ এতে নেতৃত্ব দেন।

আনোয়ার পলাশ বলেন, 'গত কয়েকদিন থেকেই বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম চলছে। তীব্র তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করেই আমরা মাঠে কাজ করছি। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সবাইকেই বিপদে ফেলে দিচ্ছে। আগেও যেমন সব সংকটে, সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এখনও নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। আগামী যে কয়েকদিন তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে সেই পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।'

আনোয়ার পলাশ আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা সব সময় প্রস্তুত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের পাশে থাকার জন্য।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা সুমন শাহারিয়ার, মাঈন উদ্দিন সোহেল, শিমলা দত্ত তন্বী, নাজিম উদ্দিন, আবদুস সোবহান, এম এ মনির, এম এইচ সৈকত, হাবিবুর রহমান সুজন, সরোয়ার মির্জা, শাহারিয়ার হোসেন, লায়লা সিকদার লিপি, নুর আলম, জনি দাশ, এইচ এম জাহিদ, জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ জুবায়ের, মনজুর মোর্শেদ এনি, মো: আসফাক রাজা, রাশেদুল ইসলাম, মুনতাসির মোহাম্মদ তুহিন, খান ওসমান, শফিকুর রহমান সাকিব, শেখ আবদুল আজিজ, আবদুল আজিম, শাহারিয়ার চৌধুরী, মিনহাজ, নকীব বিন নোমান, এহসানুল হক সাকিব, জয়নাল সাকিব, রুহুল কুদ্দুস ফয়সাল, আরমান উদ্দিন, সাগর হোসেন, আসফাক রহমান, মেহেদী হাসান ফাহিম, তনয় বড়ুয়া, আবুদল আজিজ চোধুরী, আসাদ বিন ইউসুফ রনি, আবদুল্লা আল সোয়েব, আবদুল আহাদ, মো. লিমন, মাঈন উদ্দিন সিফাত প্রমুখ।

;

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে।

কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

;