জিএম কাদেরের রহস্যজনক নীরবতার মাসপূর্তি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এক মাস ধরে রহস্যজনক নীরবতা পালন করছেন। সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর এক যোগদান অনুষ্ঠানে প্রকাশ্য বক্তব্য রেখেছিলেন তিনি। তারপর থেকে রহস্যজনকভাবে আর মিডিয়ার সামনে আসছেন না তিনি।

তবে ১৪ নভেম্বর আইডিইবি ভবনে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের যৌথসভায় বক্তব্য রেখেছিলেন। তবে সেই সভায় মিডিয়ার প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ। সে হিসেবে মুখবন্ধ রাখার এক মাস পূর্তি করলেন জিএম কাদের। এমনকি সাংবাদিকদের ফোনও এড়িয়ে চলছেন। যা তার ক্ষেত্রে অনেকটা ব্যতিক্রম। ফোন দিলে ধরতে না পারলে অনেক ক্ষেত্রে ফিরতি কল করা তার স্বভাবজাত অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন। সে সব ফোনও এখন এড়িয়ে চলছেন।

কেনো তার এই নীরবতা এমন প্রশ্নের উত্তরে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, পার্টির মুখপাত্র হিসেবে আমি কথা বলছি। এসব কথা তার নির্দেশনা অনুযায়ী বলছি। কি বলতে হবে তার কাছ থেকে নির্দেশনা নিচ্ছি। পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতি কি সব সময় কথা বলেন।

রাজধানীর বনানীস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে তার উপস্থিতি নিত্যদিনের চিত্র হলেও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তার চলাফেরা বেশ রহস্যজনক। ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর টানা কয়েকদিন অনুপস্থিত থাকেন। উত্তরার বাসা এবং বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপের খবর আসে। নির্বাচন কমিশন তফসিল দিলে জাপা নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। তখন পার্টির মুখপাত্র চুন্নু নিয়মিত ব্রিফিং করতেন, তার বক্তব্যের সারাংশ থাকত, সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা পেলে, আর ভোটের পরিবেশ তৈরি হলে জাপা অংশ নেবে।

জাতীয় পার্টির ১৯ নভেম্বর দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির ঘোষণা দেওয়ার পর গুমোট পরিস্থিতির কিছুটা অবসান ঘটে। একটু একটু করে অফিসে আসা-যাওয়া শুরু করেন জিএম কাদের। তবে মিডিয়া এড়িয়ে চলছেন পুরো সময়। হঠাৎ অফিসে হাজির হন, আবার দ্রুত বের হন, কোথায় যান কেউ বলতে পারেন না। এমনও দিন দেখা গেছে দফায় দফায় আসা যাওয়া করছেন। তবে কোথায় যাচ্ছেন, কেনো যাচ্ছেন পার্টির লোকজনকেও জানানো হয়নি।

শুধু পার্টির চেয়ারম্যানই নয়, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এবং নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা অনেকেই একই কৌশল নিয়েছেন। মহাসচিব নিয়মিত অফিসে হাজির হচ্ছেন মিডিয়া এলে কথা বলছেন, কখনও বেরিয়ে যাচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন, কখন ফিরে আসছেন তার কোন ঠিক-ঠিকানা নেই।

দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি এবং সাক্ষাতপর্ব পর্যন্ত বনানী চেয়ারম্যানের অফিস ছিল জমজমাট। ২৭ নভেম্বর দলীয় প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করার পর এখন কিছুটা ফাঁকা হয়ে গেছে। প্রার্থীরা অনেকেই এলাকায় চলে যান মনোনয়নপত্র দাখিল করতে। সম্প্রতি সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক, জিএম কাদের গণভবনে যাওয়ার খবর এবং আসন সমঝোতার খবর রটে যাওয়ায় বনানীতে আবার ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।

কয়েকজন প্রার্থীকে সারাদিন আসা-যাওয়া করতে দেখা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে ময়মনসিংহ-৫ আসনের বর্তমান এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, কুমিল্লা-২ আসনের এমপি আমির হোসেন, জামালপুর-২ আসেন প্রার্থী মোস্তফা আল মাহমুদকে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে। তারা সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আবার কখনও তাদের গাড়িতে করে বাইরে যাচ্ছেন। অফিসে ধর্না দেওয়ার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে এগিয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি। তিনি কখনও মহাসচিবের রুমে, কখন নিচের ওয়েটিং রুমে, কখনও উপরের প্রেস উইংয়ে উদাস হয়ে বসে থাকছেন। কখনও আবার রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে সময় কাটাচ্ছেন।

পার্টি সূত্র জানিয়েছে, অনেকেই মনে করছেন সরকারের সঙ্গে গোপন সমঝোতা হবে। সমঝোতার অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ কিছু আসন ছেড়ে দেবে। যেখানে নৌকা মার্কা থাকবে না। আর নৌকা না থাকার অর্থ হচ্ছে নিশ্চিত বিজয়। প্রার্থীরা অনেকেই সমঝোতার তালিকায় নিজের নাম লেখাতে তৎপর। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। লবিং তদবির চালাচ্ছেন।

তবে সমঝোতার এই গুঞ্জনে আরেকটি গ্রুপ বেজায় চটেছেন। তারা সিনিয়র কাউকে পেলে নিজের ক্ষোভ ঝাড়ার চেষ্টা করছেন। বলার চেষ্টা করছেন, অনেকেই সমঝোতা করে এমপি হবেন, আমরা তাহলে কেনো নির্বাচন করবো।

প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন এমনি ক্ষুব্ধ একজন। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, অনেক এমপি আছেন যারা জাতীয় পার্টির রাজনীতি করেননি। তাদের পোস্টারে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করেন। ম্যাডামের (রওশন এরশাদ) আর্শিবাদ পেয়ে এমপি হয়েছেন। তাদেরকে যদি আবার এমপি বানানো হয়, তাহলে দল করে কি লাভ হলো, আর ভোটেই বা করবো কেনো। যদি সমঝোতা হয় তাহলে শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে যাবেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু ১১ নভেম্বর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আসন সমঝোতার কোনো আলাপের বিষয়ে আমার জানা নেই। রাজনীতিতে চূড়ান্ত বলে কিছু নেই, সময়ের প্রয়োজনে অনেক কিছু ঘটতে পারে। নির্বাচন করার জন্য এসেছি সরে আসার জন্য নয়। তবে উদ্ভূত পরিস্থিতি হলে যে কোন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। জাপা মহাসচিব উদ্ভূত পরিস্থিতির কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টি ২৯৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেন। দলীয় টিকেট পেলেও ৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। ছেলে সাদ এরশাদের আসন নিয়ে টান দেওয়া এবং অনুসারীদের মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়ায় ২৯ নভেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রওশন এরশাদ। নির্বাচন কমিশন বাছাই শেষে ২৭২ আসনে জাপার প্রার্থীদের বৈধ ঘোষণা করেছে।

দলীয় কোন্দলের পাশাপাশি সরকারের ওপর আস্থার সংকটে ভুগছে জাতীয় পার্টি। দলটির নেতারা মনে করেন ২০০৮, ২০১৪ এবং ২০১৮ কোন নির্বাচনেই প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করেনি আওয়ামী লীগ। নানাভাবে তাদের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। উপনির্বাচন, উপজেলা পরিষদ থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত কোথাও ছাড় দেওয়া হয়নি। অতীতে অনেক নির্বাচনে জাপার প্রার্থীদের জোর করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবারের প্রতিশ্রুতি কতটা রক্ষা করবে সে সম্পর্কে তাদের মনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। যে কারণে জাতীয় পার্টি আগে ভাগেই নিশ্চিত হয়ে তারপর সিদ্ধান্ত দিতে চায়। তারা এমন কোন মাধ্যমে নিশ্চিত হতে চান যাতে, আওয়ামী লীগ আর প্রতিশ্রুতি ভাঙতে না পারে। সে কারণে অনেকেই ২০১৪ সালের সঙ্গে সাদৃশ্য দেখতে পাচ্ছেন। ওই নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের পর হঠাৎ করে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ। তবে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে ৮৭ জন প্রার্থী মাঠে থেকে যায়। পরে জাতীয় পার্টি একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা ও বিরোধীদলের ভূমিকা পালন করেন।

   

আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ : মির্জা ফখরুল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা দায়ের এখন সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরও হিংস্র করে তুলেছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রবিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মকবুল ইসলাম টিপু, ওমর নবি বাবুসহ আরও অনেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলালসহ ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন ফখরুল। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এদিকে পৃথক আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুসহ গাড়িচালককে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করার পরও তা অস্বীকার করেছে।

ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ।

;

পরীক্ষার্থী ও পথচারীদের হাতে পানি-স্যালাইন-জুস তুলে দিল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহ থেকে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও জুস সরবরাহ করেছেন চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) কলেজ গেট ও চকবাজার এলাকায় দায়িত্বরত সকল ট্রাফিক পুলিশ, পরীক্ষার্থী, রিকশাচালক, বাসচালক ও পথচারীদের থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে পানি, জুস ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ও মহানগর ছাত্রলীগের সংগঠক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পলাশ এতে নেতৃত্ব দেন।

আনোয়ার পলাশ বলেন, 'গত কয়েকদিন থেকেই বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম চলছে। তীব্র তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করেই আমরা মাঠে কাজ করছি। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সবাইকেই বিপদে ফেলে দিচ্ছে। আগেও যেমন সব সংকটে, সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এখনও নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। আগামী যে কয়েকদিন তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে সেই পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।'

আনোয়ার পলাশ আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা সব সময় প্রস্তুত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের পাশে থাকার জন্য।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা সুমন শাহারিয়ার, মাঈন উদ্দিন সোহেল, শিমলা দত্ত তন্বী, নাজিম উদ্দিন, আবদুস সোবহান, এম এ মনির, এম এইচ সৈকত, হাবিবুর রহমান সুজন, সরোয়ার মির্জা, শাহারিয়ার হোসেন, লায়লা সিকদার লিপি, নুর আলম, জনি দাশ, এইচ এম জাহিদ, জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ জুবায়ের, মনজুর মোর্শেদ এনি, মো: আসফাক রাজা, রাশেদুল ইসলাম, মুনতাসির মোহাম্মদ তুহিন, খান ওসমান, শফিকুর রহমান সাকিব, শেখ আবদুল আজিজ, আবদুল আজিম, শাহারিয়ার চৌধুরী, মিনহাজ, নকীব বিন নোমান, এহসানুল হক সাকিব, জয়নাল সাকিব, রুহুল কুদ্দুস ফয়সাল, আরমান উদ্দিন, সাগর হোসেন, আসফাক রহমান, মেহেদী হাসান ফাহিম, তনয় বড়ুয়া, আবুদল আজিজ চোধুরী, আসাদ বিন ইউসুফ রনি, আবদুল্লা আল সোয়েব, আবদুল আহাদ, মো. লিমন, মাঈন উদ্দিন সিফাত প্রমুখ।

;

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে।

কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন

সরে গেলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমানা আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব নির্বাচন বর্জনের বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণার কথা জানান।

রুমানা আহমেদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই রুমানা আহমেদ উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। ২২ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। তবে রুমানা আহমেদ তার প্রার্থিতায় অনড় ছিলেন। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

ব‌হিষ্কারের বিষয়ে রুমানা আহমেদ বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসা ছিল তার জন্য অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য দলীয় নীতি-নির্ধারক এবং মেহেরপুর জেলার নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রুমানা আহমেদের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান।

;