জাতীয় পার্টির মুখে এক, অন্তরে আরেক!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টির মুখে এক আর অন্তরে আরেক। চেয়ারম্যান জিএম কাদের এক রকম ভাবলেও সিনিয়র অনেকেই সরকারের সঙ্গে গোপন সমঝোতার জন্য তৎপর বলে জানা গেছে।

সমঝোতার জন্য আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন দলটির নেতারা। পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য কো-চেয়ারম্যানরাও কখনও কখনও অংশ নিচ্ছেন।

দফায় দফায় বৈঠকের কথা স্বীকার করলেও বিষয়বস্তু নিয়ে রহস্য করে আসছে জাতীয় পার্টি। দলটির মহাসচিব বলেছেন, আমরা আসলে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করছি। আরও বৈঠক হতে পারে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি প্রায় সব আসনেই নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছে। বড় দুই দল হওয়ায় ভোট সুষ্ঠু করা এবং কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। নির্বাচনের আগে পর্যন্ত এই যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে। জাতীয় পার্টি মনে করে আঁতাত করার চেয়ে ভোট সুষ্ঠু হলে বেশি আসন পাবে।

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে আলোচনা হলে বৈঠকের স্থান ও সময় নিয়ে লুকোচুরি করা হচ্ছে কেন এমন প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কৌশলগত কারণে বিষয়টি গোপন রাখা হচ্ছে। আসন সমঝোতার কোন সম্ভাবনা আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতিতে কোন কথাই শেষ কথা নয়। সময় ও পরিস্থিতির কারণে অনেক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে থাকে। এখানেও হতে পারে, আবার নাও হতে পারে।

পার্টির মহাসচিবের এসব কথায় অনেকে সমঝোতার গন্ধ পাচ্ছেন। তারা বলছেন, আঁতাতের চেয়ে সুষ্ঠু ভোট হলে বেশি আসন পাওয়ার বিষয়টিও ইঙ্গিতপূর্ণ। অর্থাৎ সরকারের পক্ষ থেকে কিছু আসনের বিষয়ে সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে। সে কারণে জাপা মনে করছে সুষ্ঠু হলে বেশি আসন পাবে?

পার্টির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তারা ৭০ আসনের একটি তালিকা আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে দিয়েছেন। দর-কষাকষির পর প্রত্যাশার পারদ ৪০ এ নামিয়ে এনেছে দলটি। এর কমে হলে নির্বাচনে না যাওয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৩২ থেকে ৩৫টি আসনের বিষয়ে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়েছে।

এসব আসনের মধ্যে রয়েছে বৃহত্তর রংপুরের ১৫টি। ঠাকুরগাঁও- ৩ আসনের বর্তমান এমপি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, নীলফামারী-৩ আসনের রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, নীলফামারী-৪ আসনের আহসান আদেলুর রহমান এমপি। লালমনিরহাট-৩ আসনে জাহিদ হাসান।

দলটি রংপুর জেলার ৬ আসনের মধ্যে ৪টি চাইলেও ৩টি আসনের বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে আওয়ামী লীগ। এগুলো হচ্ছে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসিফ শাহরিয়ার, রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আনিসুল ইসলাম মন্ডল, রংপুর-৩ (সদর) জিএম কাদের। রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) নিয়ে রশি-টানাটানি চলছে। আসনটিতে বিগত ৩টি সংসদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী টিপু মুন্সী (বাণিজ্যমন্ত্রী) এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

কুড়িগ্রাম-২ আসনে পনির উদ্দিন আহমেদ নিশ্চিত হলেও কুড়িগ্রাম-১ একেএম মোস্তাফিজুর রহমান এখনও চূড়ান্ত নন। গাইবান্ধা-১ আসনে বর্তমান এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী নিশ্চিত হলেও অন্যটি ঝুলে রয়েছে। দিনাজপুর-৪ আসনে মোনাজাত চৌধুরীর আসন নিয়েও রয়েছে মতপার্থক্য। রাজশাহী বিভাগে ২টি আসন নিশ্চিত করা হয়েছে। বিগত দু’টি সংসদে যারা বগুড়ার আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবারও তাদের কপাল খুলতে পারে। তারা হলে বগুড়া-২ শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও বগুড়া-৩ নুরুল ইসলাম তালুকদার।

রাজধানী ঢাকায় ৪টি আসন নিশ্চিত করতে চায় জাপা। এগুলো হচ্ছে ঢাকা-৪, ৬, ১৭ ও ১৮। বিগত দু’টি সংসদে জাপাকে ঢাকা-৪ ও ৬ আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। আর ঢাকা-১৭ আসনে ২০০৮ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচিত হয়েছিল। এবার ওই আসনের সঙ্গে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সহধর্মিণী শেরিফা কাদের’র জন্য ঢাকা-১৮ আসন চাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

পার্টি সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল বিভাগে ৩টি আসনের বিষয়ে ইতিবাচক আওয়ামী লীগ। বরিশাল-৩ গোলাম কিবরিয়া টিপু, পিরোজপুর-৩ মাশরেকুল আলম রবি। সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের পটুয়াখালী-১ নিশ্চিত করা হলেও তার স্ত্রী রত্না আমিনের আসন ঝুলে রয়েছে। সাতক্ষীরা-১ আসনে সৈয়দ দিদার বখত ও খুলনায়-৬ আসনে শফিকুল ইসলাম মধু।

নারায়ণগঞ্জ-৫ একেএম সেলিম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে লিয়াকত হোসেন খোকার নাম শোনা যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আওয়ামী লীগ কাউকেই মনোনয়ন দেননি।

পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বর্তমান আসন কিশোরগঞ্জ-৩ থেকে, ময়মনসিংহ-৮ ফখরুল ইমাম ও ময়মনসিংহ-৫ সালাউদ্দিন আহমেদ মুক্তি, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের বর্তমান এমপি পীর ফজলুর রহমান, জামালপুর-২ মোস্তফা আল মাহমুদ ও শেরপুর-১ মাহমুদুল হক মনির নাম আলোচনায় রয়েছে।

চট্টগ্রাম-৫ আসনে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ সোলায়মান আলম শেঠ, ফেনী-৩ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ অথবা ৩ আসনে অ্যাড রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া সমঝোতায় এগিয়ে বলে জানা গেছে।

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলের আসনে থাকা জাতীয় পার্টি সরকারকে খুব একটা আস্থায় নিতে পারছে না। যে কারণে আগে-ভাগেই নিশ্চিত হতে চায়। জাপা শর্ত দিয়েছে এসব আসন থেকে নৌকার প্রার্থী ও তাদের বিদ্রোহীদের সরিয়ে নিতে হবে। সরকার নৌকার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখালেও স্বতন্ত্রের বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতা বিদ্যমান। যে কারণে ১৭ ডিসেম্বরের আগে কোন কিছুই চূড়ান্ত নয় বলে মনে করছেন জাপার শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।

   

আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ : মির্জা ফখরুল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা দায়ের এখন সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরও হিংস্র করে তুলেছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রবিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মকবুল ইসলাম টিপু, ওমর নবি বাবুসহ আরও অনেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলালসহ ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন ফখরুল। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এদিকে পৃথক আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুসহ গাড়িচালককে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করার পরও তা অস্বীকার করেছে।

ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ।

;

পরীক্ষার্থী ও পথচারীদের হাতে পানি-স্যালাইন-জুস তুলে দিল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহ থেকে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও জুস সরবরাহ করেছেন চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) কলেজ গেট ও চকবাজার এলাকায় দায়িত্বরত সকল ট্রাফিক পুলিশ, পরীক্ষার্থী, রিকশাচালক, বাসচালক ও পথচারীদের থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে পানি, জুস ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ও মহানগর ছাত্রলীগের সংগঠক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পলাশ এতে নেতৃত্ব দেন।

আনোয়ার পলাশ বলেন, 'গত কয়েকদিন থেকেই বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম চলছে। তীব্র তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করেই আমরা মাঠে কাজ করছি। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সবাইকেই বিপদে ফেলে দিচ্ছে। আগেও যেমন সব সংকটে, সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এখনও নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। আগামী যে কয়েকদিন তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে সেই পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।'

আনোয়ার পলাশ আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা সব সময় প্রস্তুত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের পাশে থাকার জন্য।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা সুমন শাহারিয়ার, মাঈন উদ্দিন সোহেল, শিমলা দত্ত তন্বী, নাজিম উদ্দিন, আবদুস সোবহান, এম এ মনির, এম এইচ সৈকত, হাবিবুর রহমান সুজন, সরোয়ার মির্জা, শাহারিয়ার হোসেন, লায়লা সিকদার লিপি, নুর আলম, জনি দাশ, এইচ এম জাহিদ, জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ জুবায়ের, মনজুর মোর্শেদ এনি, মো: আসফাক রাজা, রাশেদুল ইসলাম, মুনতাসির মোহাম্মদ তুহিন, খান ওসমান, শফিকুর রহমান সাকিব, শেখ আবদুল আজিজ, আবদুল আজিম, শাহারিয়ার চৌধুরী, মিনহাজ, নকীব বিন নোমান, এহসানুল হক সাকিব, জয়নাল সাকিব, রুহুল কুদ্দুস ফয়সাল, আরমান উদ্দিন, সাগর হোসেন, আসফাক রহমান, মেহেদী হাসান ফাহিম, তনয় বড়ুয়া, আবুদল আজিজ চোধুরী, আসাদ বিন ইউসুফ রনি, আবদুল্লা আল সোয়েব, আবদুল আহাদ, মো. লিমন, মাঈন উদ্দিন সিফাত প্রমুখ।

;

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে।

কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন

সরে গেলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমানা আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব নির্বাচন বর্জনের বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণার কথা জানান।

রুমানা আহমেদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই রুমানা আহমেদ উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। ২২ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। তবে রুমানা আহমেদ তার প্রার্থিতায় অনড় ছিলেন। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

ব‌হিষ্কারের বিষয়ে রুমানা আহমেদ বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসা ছিল তার জন্য অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য দলীয় নীতি-নির্ধারক এবং মেহেরপুর জেলার নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রুমানা আহমেদের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান।

;