রওশনপন্থীরা কোন দলের প্রার্থী হচ্ছেন!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রওশন এরশাদ

রওশন এরশাদ

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্টির চেয়ারম্যান-মহাসচিবের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ২৯ নভেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রওশন এরশাদ। তবে রওশন শিবিরের বেশ কয়েকজন নেতা নির্বাচনী মাঠে রয়ে গেছেন।

কেউ কেউ স্বতন্ত্র আবার কয়েকজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে প্রার্থী হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে টানা দুই সংসদে বিরোধীদলের নেতার আসনে থাকা রওশন এরশাদ প্রার্থী হননি। তার সন্তান রাহগির আল মাহি এরশাদ ওরফে সাদও এমপি নির্বাচন করছেন না বলে জানা গেছে।

জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙা রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন। তিনি ওই আসন থেকে ২০০১, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন। পার্টির চেয়ারম্যানের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে ২০২২ সালে তাকে দলের সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তারপর থেকেই রওশন এরশাদের সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন পরিবহন মালিক সমিতির এই নেতা। রংপুর-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও কাগজপত্রে বিচ্যুতির কারণে মনোনয়পত্র স্থগিতের কয়েক ঘণ্টার মাথায় বৈধ ঘোষণা করা হয়।

রওশনপন্থী নেতা ময়মনসিংহ জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কেআর ইসলাম ময়মনসিংহ-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ২০২২ সালের অক্টোবরে তাকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন জিএম কাদের। রওশন এরশাদসহ তার অনুসারীদের ৩টি মনোনয়ন দিতে রাজি ছিলেন জিএম কাদের। সেই তালিকাতে ছিলেন কেআর ইসলামও। তরে রওশন এরশাদের সিদ্ধান্তে অটল থেকে জাপার মনোনয়ন গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন কেআর ইসলাম।

অন্যদিকে পিরোজপুর-৩ (মঠবাড়িয়া) আসন থেকে চার বারের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন। জনপ্রিয় এই রাজনীতিবিদ ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। রওশন এরশাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে তাকে মনোনয়ন দেয়নি জাপা।

সবেচেয়ে বেশি প্রার্থী দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে। সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী নীলফামারী-১ আসনে নোঙ্গর প্রতীকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জাতীয় পার্টির সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী ২০০৮ সালে নীলফামারী-১ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান, আর ২০১৮ সালে তার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়।

পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী ময়মনসিংহ-১০ আসনে বিএনএম এর প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশীদ জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে বিএনএম থেকে জামালপুর-৪ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। রওশনপন্থী নেতা শাহজামাল রানা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এবং মঞ্জুরুল হক সাচ্চা গাইবান্ধা-৩ আসনে বিএনএম থেকে প্রার্থী হয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ঘনিষ্ঠ সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সাওয়ার মিলন, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খাঁন, এসএমএম আলম, সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ্, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশীদ, সাবেক ছাত্রনেতা ও যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজুসহ অনেকেই নির্বাচনে অংশ নেননি বলে জানা গেছে।

অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, কেউ কেউ নির্বাচন করছেন বলে শুনেছি। তারা সকলেই জনপ্রিয় নেতা, কেউ কেউ ৪ বার পর্যন্ত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এমন নেতাকেও মনোনয়ন দেননি জিএম কাদের। আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি না বলে রাজনীতি ছাড়ছি এমনটা নয়। খুব শিগগিরই নতুন কিছু দেখতে পাবেন।

নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টি ২৯৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেন। দলীয় টিকিট পেলেও ৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮৮ আসনের বিপরীতে জাতীয় পার্টির ৩০৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে একাধিক প্রার্থী দেওয়া হয়েছে এমন আসনের সংখ্যা ১৮টি, আর চেয়ারম্যানসহ ৪ জন নেতা দু’টি করে আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বলে দফতর সূত্র জানিয়েছে।

   

আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ : মির্জা ফখরুল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা দায়ের এখন সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরও হিংস্র করে তুলেছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রবিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মকবুল ইসলাম টিপু, ওমর নবি বাবুসহ আরও অনেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলালসহ ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন ফখরুল। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এদিকে পৃথক আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুসহ গাড়িচালককে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করার পরও তা অস্বীকার করেছে।

ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ।

;

পরীক্ষার্থী ও পথচারীদের হাতে পানি-স্যালাইন-জুস তুলে দিল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহ থেকে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও জুস সরবরাহ করেছেন চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) কলেজ গেট ও চকবাজার এলাকায় দায়িত্বরত সকল ট্রাফিক পুলিশ, পরীক্ষার্থী, রিকশাচালক, বাসচালক ও পথচারীদের থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে পানি, জুস ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ও মহানগর ছাত্রলীগের সংগঠক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পলাশ এতে নেতৃত্ব দেন।

আনোয়ার পলাশ বলেন, 'গত কয়েকদিন থেকেই বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম চলছে। তীব্র তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করেই আমরা মাঠে কাজ করছি। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সবাইকেই বিপদে ফেলে দিচ্ছে। আগেও যেমন সব সংকটে, সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এখনও নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। আগামী যে কয়েকদিন তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে সেই পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।'

আনোয়ার পলাশ আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা সব সময় প্রস্তুত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের পাশে থাকার জন্য।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা সুমন শাহারিয়ার, মাঈন উদ্দিন সোহেল, শিমলা দত্ত তন্বী, নাজিম উদ্দিন, আবদুস সোবহান, এম এ মনির, এম এইচ সৈকত, হাবিবুর রহমান সুজন, সরোয়ার মির্জা, শাহারিয়ার হোসেন, লায়লা সিকদার লিপি, নুর আলম, জনি দাশ, এইচ এম জাহিদ, জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ জুবায়ের, মনজুর মোর্শেদ এনি, মো: আসফাক রাজা, রাশেদুল ইসলাম, মুনতাসির মোহাম্মদ তুহিন, খান ওসমান, শফিকুর রহমান সাকিব, শেখ আবদুল আজিজ, আবদুল আজিম, শাহারিয়ার চৌধুরী, মিনহাজ, নকীব বিন নোমান, এহসানুল হক সাকিব, জয়নাল সাকিব, রুহুল কুদ্দুস ফয়সাল, আরমান উদ্দিন, সাগর হোসেন, আসফাক রহমান, মেহেদী হাসান ফাহিম, তনয় বড়ুয়া, আবুদল আজিজ চোধুরী, আসাদ বিন ইউসুফ রনি, আবদুল্লা আল সোয়েব, আবদুল আহাদ, মো. লিমন, মাঈন উদ্দিন সিফাত প্রমুখ।

;

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে।

কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন

সরে গেলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমানা আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব নির্বাচন বর্জনের বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণার কথা জানান।

রুমানা আহমেদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই রুমানা আহমেদ উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। ২২ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। তবে রুমানা আহমেদ তার প্রার্থিতায় অনড় ছিলেন। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

ব‌হিষ্কারের বিষয়ে রুমানা আহমেদ বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসা ছিল তার জন্য অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য দলীয় নীতি-নির্ধারক এবং মেহেরপুর জেলার নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রুমানা আহমেদের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান।

;