রওশন এরশাদ যে তালিকা প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিয়েছেন!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রওশন এরশাদ ও শেখ হাসিনা

রওশন এরশাদ ও শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। বৈঠকে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা হস্তান্তর করেন রওশন এরশাদ।

রওশনের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, মোট ৯৮ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পরিস্থিতি, বিএনপির অংশ নেওয়া না নেওয়াকে বিবেচনায় রেখে কয়েক ধরনের বিকল্প রাখা হয়েছে। বিএনপি অংশ নিলে এক রকম আর না নিলে কৌশল হবে ভিন্ন। ৯৮ জনের তালিকা ৩ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে জোটগতভাবে ভোট করবে রওশন এরশাদ। এতে প্রথম ক্যাটাগরিতে ৫০ জনকে জোটের মনোনয়ন দিতে হবে। আর ৫০টি আসন উন্মুক্ত থাকবে। যেভাবে ২০০৮ সালে মহাজোট হয়েছিল। সেখানে বেশকিছু আসন উন্মুক্ত ছিল, যেখানে আওয়ামী লীগ ও জাপার প্রার্থীরা স্ব-স্ব দলীয় প্রতীকে অংশ নেন।

বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাপার ৩১ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত করতে হবে। আর বাকি ৬৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জাপার প্রার্থীরা। অন্যান্য আসনে গোপনে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করবে জাপা। রওশন এরশাদ তালিকা জমার কিছুদিন পর আরও ১২ জনের একটি সম্পূরক তালিকা দেওয়া হয়। এতে করে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০ এ।

রওশনের তালিকা

বেগম রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪, রাহগীর আল মাহী সাদ এরশাদ রংপুর-৩, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ঢাকা-১৭ অথবা ঢাকা-১, খন্দকার রফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহ-৬, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫, কাজী ফিরোজ রশীদ ঢাকা-৬, কাজী মো. মামুনূর রশীদ ঢাকা ১৭ অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫, আসিফ শাহরিয়ার অথবা মশিউর রহমান রাঙা রংপুর-১, মজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-৩, নাসরিন জাহান রত্না বরিশাল-৬, আহসান আদেলুর রহমান আদেল অথবা এন কে আলম নীলফামারী-৪, ড. আক্কাস আলী সরকার কুড়িগ্রাম-৩, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী অথবা মোস্তফা মহসিন সর্দার গাইবান্ধা-১, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান কুড়িগ্রাম-১, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বগুড়া-২, নুরুল ইসলাম ওমর বগুড়া-৬, রুস্তম আলী ফরাজী পিরোজপুর-৩, গোলাম মোহাম্মদ কাদের অথবা অধ্যাক্ষ মাহবুবুল আলম মিঠু লালমনিরহাট-৩, ফখরুল ইমাম ময়মনসিংহ-৮, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ঢাকা-৪, লিয়াকত হোসেন খোকা অথবা গোলাম মসীহ্ নারায়ণগঞ্জ-৩, সেলিম ওসমান অথবা পারভীন ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫, পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ সুনামগঞ্জ-৫, ইয়াহইয়া চৌধুরী সিলেট-২, সেলিম উদ্দিন সিলেট-৫, আবুল কালাম আজাদ লক্ষীপুর ৪ অথবা ২, নুরুল ইসলাম মিলন কুমিল্লা-৮, আসাদুজ্জামান চৌধুরী (শাবলু) রংপুর-২, ব্যারিস্টার সানজীদ রশীদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-৯, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ফেনী-৩ ।

মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) বরিশাল-২ অথবা ঢাকা ১৮, মুনিম চৌধুরী বাবু হবিগঞ্জ-১, মনজুরুল হক সাচ্চা অথবা ময়নুর রাব্বি চৌধুরী রুম্মন গাইবান্ধা-৩, অ্যাড.জিয়াউল হক মৃধা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, আসিফ শাহরিয়ার অথবা পনির উদ্দিন আহমেদ কুড়িগ্রাম-২, মহিবুল কাদের চৌধুরী পিন্টু মৌলভীবাজার ২ অথবা ৪, মো. আবু তালহা নাটোর-১, মিজানুর রহমান মিজান ভোলা-২, আশরাফ-উদ-দৌলা কুড়িগ্রাম-৪, রাজিউর রাজি চৌধুরী স্বপন ঠাকুরগাঁও-১ অথবা ৩, ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুল খান ময়মনসিংহ-৭, আজাহার হোসেন সাতক্ষীরা-২, সফিকুল ইসলাম সেন্টু ঢাকা-১৩, মিজানুর রহমান বরগুনা-২, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৬, এম মুহিবুর রহমান ঢাকা-১৮, মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল লালমনিরহাট-১ অথবা রংপুর-৪, সোলাইমান আলম শেঠ পার্বত্য খাগড়াছড়ি।

জাফর ইকবাল সিদ্দিকী নীলফামারি-১, মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ঠাকুরগাঁও-৩, এইচ.এম. গোলাম শহীদ রঞ্জু গাইবান্ধা-৫, ফারুক কাদের রানা মোহাম্মদ সোহেল নীলফামারী-৩, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশীদ জামালপুর ৪, মামুনুর রহিম সুমন টাঙ্গাইল-৬, আবুল কাসেম আব্দুস সালাম চাকলাদার টাঙ্গাইল-সদর, মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর খুলনা ৬, আব্দুল গফফার বিশ্বাস অথবা মোল্লা শওকত হোসেন বাবুল খুলনা-৩, সরোয়ার হোসেন শাহীন অথবা আব্দুর রশিদ সরকার গাইবান্ধা-২, আবু সাঈদ স্বপন নরসিংদী-২, ইকবাল হোসেন রাজু কুমিল্লা-৪, সাব্বির হোসেন জহিরুল হক যশোর-৪, সরদার জুয়েল হোসেন রাজশাহী-২, এড.মাহবুবুল আলম বাচ্চু যশোর -৩, এড. এস এম মাসুদুর রহমান খুলনা-৪, শংকর পাল হবিগঞ্জ-২, জহিরুল ইসলাম জহির অথবা নুরুল হক নুরু টাঙ্গাইল-৭।

সুলতানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, আব্দুস সবুর আসুদ ঢাকা-৫, আবুল কাশেম রিপন জয়পুরহাট-২, মফিজুর রহমান কক্সবাজার-২, মো. ইলিয়াস উদ্দিন শেরপুর-১, মো. নেওয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া নরসিংদী-৪, এনাম জয়নাল আবেদীন টাঙ্গাইল-৮, সৈয়দ দিদার বখত সাতক্ষীরা-১, আলমগীর শিকদার লোটন নারায়ণগঞ্জ-২, এস.এম. ফখর উজ জামান রংপুর-৫, আ.স.ম. মোক্তাদির তিতাস জয়পুরহাট-১, জাফর আহমেদ রাজু ফেনী-২, ফারহিন হাসান গাজীপুর-২ অথবা-৫, সাজ্জাদ রশীদ চাঁদপুর-৪, আলাউদ্দিন মৃধা নাটোর-৪, শেখ মো. সিরাজুল ইসলাম মুন্সিগঞ্জ-২, শাহাবুদ্দিন বাচ্চু রাজশাহী-৩, আব্দুস সাত্তার মোড়ল সাতক্ষীরা-৪, মো. মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ-সদর, বাচ্চু মন্ডল ঝিনাইদহ-৪, শাহ জামাল রানা পীরজাদা জুবায়ের ব্রাম্মণবাড়িয়া-৩, মোস্তফা আল মাহমুদ জামালপুর-২, জুলফিকার হোসেন দিনাজপুর-২, এমদাদুল হক রুমন চাঁদপুর-১, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক ঢাকা-১৪, জসীমউদ্দিন ভূঁইয়া নেত্রকোনা-৩, মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদ ফেনী-১, ওসমান আলী সিলেট-৩, সাফিয়া খাতুন তৌহিদ খান সাতক্ষীরা-৩, নাজমুন নাহার তুলি নরসিংদী-৩, গোলাম সারোয়ার মিলন এম এ মান্নান মানিকগঞ্জ-১, তারেক আহমেদ আদেল ঢাকা-৭ ।

গোলাম কিবরিয়া টিপু বরিশাল-৩, মাহমুদুর রহমান বেলাল হোসেন লক্ষ্মীপুর-১, সালাহ উদ্দিন আহমেদ নোয়াখালী-২, লুৎফর রেজা খোকন কুমিল্লা-৭, মাখন সরকার ইফতেখার হাসান কুমিল্লা-১, মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার বগুড়া-৩, সালাহ উদ্দিন মুক্তি ময়মনসিংহ-৩, খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু ফরিদপুর সদর, এ কে এম মর্তুজা আবেদিন বরিশাল-৫ ও শিকদার আলমগীর কবির মাগুরা-১।

   

বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের এই বিজয় গুরুত্বপূর্ণ: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি।

মঙ্গলবার (০৭ মে) এক অভিনন্দন বার্তায় খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ক্রিকেট কোচ ও বোর্ড সংশ্লিষ্টদেরও অভিনন্দন জানান তিনি।

অভিনন্দন বার্তায় বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিশ্বকাপের আগে টাইগারদের এই বিজয় গুরুত্বপূর্ণ। এই বিজয় টাইগারদের এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং বিশ্বকাপে টাইগারদের প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।

আগামী ম্যাচগুলোতেও বিজয়ের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন থাকবে। এই সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইট ওয়াশ করতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে একইভাবে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

;

ডামি প্রতারণার নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি প্রতারণার নির্বাচনের সঙ্গে জনগণ নেই। আওয়ামী নেতাদের কথায় জনগণ সাড়া দিচ্ছে না। আগামীকাল যে ১৪১টি উপজেলায় জালিয়াতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, জনগণ সেই নির্বাচনে যাবে না।

মঙ্গলবার (৬ মে) তিনি বনানী এলাকায় মহিলা দলের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের পক্ষে লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে জনগণের সম্পদ লুটপাট করতেই বার বার ডামি ও প্রহসনের নির্বাচন করতে চাচ্ছে সরকার। আজকেও গণমাধ্যমে দেখলাম ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীদের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার কথা। এক একজন উপজেলা চেয়ারম্যান শত বিঘা সম্পদের মালিক। তাদের আয় বেড়েছে ১২শ থেকে ১৮শ গুণ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা সুলতানা আহমেদ, বিএনপির সহ অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সদস্য রেহানা সুলতানা আরজু, পান্না ইয়াসমিন, জান্নাত চৌধুরী, পাপিয়া সরদার, সুমি আক্তার প্রমুখ।

;

বিএনপির স্থগিত সমাবেশের তারিখ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের কারণে স্থগিত সমাবেশের তারিখ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।  শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে স্থগিত সমাবেশ আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।

সোমবার (৬ মে) বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আগামী ১০ মে নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন- বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সভাপতিত্ব করবেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম এবং সঞ্চালনায় থাকবেন সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।

;

সিলেটে দলীয় সিদ্ধান্তকে পাত্তা দিচ্ছেন না বিএনপি নেতাকর্মীরা



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলীয় কঠোর সতর্কবার্তা ও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বাচনে লড়তে অনড় রয়েছেন সিলেটের বিএনপির নেতারা। নির্বাচনের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়া সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার ২৪ জন প্রার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

তবে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় এমন গণবহিষ্কার করে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে কতটা সফল হবে এ নিয়ে চলছে আলোচনা।

বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলছেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না দল। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বারবার নেতাকর্মীদের কঠোর সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। যারা তাদের দলীয় নিয়ম-নীতি মানবেন না তাদের তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা।

কিন্তু দলের হাইকমান্ডের এমন নির্দেশনাকে পাত্তা দিচ্ছেন না স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের দাবি-দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে কর্মী-সমর্থকদের চাপে পড়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। দলের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান জানান।

জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সিলেটের চারটি উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, গোলাপগঞ্জ ও বিশ্বনাথ। মৌলভীবাজারের তিনটি; সুনামগঞ্জের দুটি; হবিগঞ্জের দুটি উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও জেলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রায় সবকটি উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতারা। তবে কোনো প্রতীক না থাকায় সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে বিএনপির নেতাকর্মী নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

সিলেট জেলায় বহিষ্কৃতরা হলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেবুল মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া বিশ্বনাথের খাজাঞ্চি ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব, বিশ্বনাথ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ কাওছার খান, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্না বেগম, সিলেট জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপন, সিলেট জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক পলিনা রহমান ও ফতেহপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ছাদ উদ্দিন সাদ্দাম।

সুনামগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, দিরাই উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাপ মিয়া, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি গণেন্দ্র চন্দ্র দাস, সুনামগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি ও দিরাই উপজেলা বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ছবি চৌধুরী, জেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম চৌধুরী কামাল, তাহিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য হারুনুর রমিদ দুলাল, বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহন মিয়া বাচ্চু, সুনামগঞ্জ মহিলা দলের সাবেক আহ্বায়ক মদিনা আক্তার, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নূরুল হক আফিন্দি ও জামালগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মৌলভীবাজরে বহিষ্কৃতরা হলেন, জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম, মৌলভীবাজার মহিলা দলের সহ-সভাপতি মোসা.ডলি বেগম, বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রাহেলা বেগম।

হবিগঞ্জে বহিষ্কৃতরা হলেন, বাহুবল উপজেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মোসা. আলফা বেগম, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান সেফু ও নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম ইয়াছিন।

বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী গৌছ খান বলেন, কর্মী সমর্থক ও স্থানীয় মানুষের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। দল আমাকে বহিষ্কার করেছে এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাই। তবে আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে আমাদের উপর থেকে বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হবে।

মৌলভীবাজার জেলা ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আব্দুল হেকিম (ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী) বলেন, ঘরে বসে গণন্ত্র হয় না। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা গণতন্ত্রের অধিকার। আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে। তারা আমাকে বলেছিলেন যে যারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন তাদের বেলায় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। কিন্তু ছোটখাটো পদধারীদের বাধা হবে না। তাদের আশ্বাস প্রার্থী হয়েছি।

তিনি বলেন, প্রার্থী হওয়ার ফলে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল বিনিয়মের সুযোগ হয়েছে। যদি নির্বাচনে অংশ না গ্রহণ করতাম তাহলে এই সুযোগটাও পেতাম না। আশা করি নির্বাচন পরবর্তীতে দল আবারো আমাদেরকে তাদের কাছে ফিরিয়ে নেবে। যদি নাও নেয় বিএনপি আমার হৃদয়ে থাকবে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতারা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, কঠোর সতর্কবার্তা ও বারবার নিষেধজ্ঞার পরও দলের সিদ্ধান্ত না মেনে যারাই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের বহিষ্কার করা হবে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পর্যন্ত দলের নেতা–কর্মীদের বলা হয়েছিল যাতে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন। যারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের প্রাথমিক সদস্যপদসহ স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন তাদের সঙ্গে আর দলের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, শুধু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে যে তা কিন্তু নয়। যারা তাদের পক্ষে মাঠে কাজ করবেন অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে সিলেট বিভাগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামীতে আর যারাই প্রার্থী হবেন তাদের বেলায়ও একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;