পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে শঙ্কা-উদ্বেগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনদিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। মাঠের শক্তি প্রদর্শনে ব্যস্ত প্রধান দুই রাজনৈতিক দল। বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য একদফা দাবিতে আন্দোলনে রয়েছে। অন্যদিকে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ রয়েছে দাবি করে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠানে শান্তি সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

রাজধানী ঢাকায় আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। অন্যদিকে একই সময়ে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠনের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের শান্তি সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে।

দেড় কিলোমিটারের ব্যবধানে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজধানীতে। একই সঙ্গে জনদুর্ভোগও বাড়বে বলে ধারণা সাধারণ মানুষের। সমাবেশ আর মহাসমাবেশ ঘিরে দুই দিনের টানাপড়েনের অবসান ঘটিয়ে বুধবার বিকেলে দুই দলকেই ২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা দুই দলকেই চৌহদ্দি নির্ধারণ করে দিয়েছি। বিএনপি নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত জায়গার মধ্যে তাদের সমাবেশ ও মাইকের ব্যবহার সবকিছু সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে পশ্চিমে মুক্তাঙ্গন পর্যন্ত তাদের সমাবেশ ও মাইকিং সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। দুই দলের নেতাকর্মীরা সমাবেশে কোনো লাঠিসোটা আনতে পারবেন না। কোন ব্যাগ বহন কারা যাবে না। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো বক্তব্য দেয়া যাবে না। এছাড়া জনদুর্ভোগ এড়াতে দলগুলোকে নিজেদের ভলান্টিয়ার রাখার পরামর্শ দেন তিনি এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয় এমন কিছু না করার অনুরোধও জানান।

এদিকে সংঘাতের শঙ্কায় বৃহস্পতিবার কর্মদিবসেও রাস্তায় তেমন গাড়ি দেখা যায়নি। অজানা আতঙ্কে খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হননি। অথচ অন্য সময় শেষ কর্মদিবসে দিনভর শহর যানজটে থমকে থাকে।

একই দিনে কাছাকাছি সময়ে দুই দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের বিষয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল মানুষের সমস্যা নিয়ে চিন্তা করে না। তারা ক্ষমতাকেই মূখ্য মনে করে। তা না হলে তারা একই দিনে এভাবে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিত না। সবাই উদ্বেগের মধ্যে আছে। কখন যেন সংঘাত বেঁধে যায়। এই পরিস্থিতির উত্তরণ তখনই সম্ভব, যখন তারা আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করবেন।

যদিও দুই দলের নেতারা বিশ্লেষণকে পাত্তা দিচ্ছেন না। বিএনপি বলছে, দেশের সাধারণ নাগরিকরা ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির আড়ালে বিএনপি যেন ‘নাশকতার’ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে না পারে সে জন্যই তারা শান্তি সমাবেশ করছেন।

বিএনপি অভিযোগ করেছে, মহাসমাবেশকে বাধা দিতে সরকার আবারও ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে। দলটির দাবি, শুক্রবারের সমাবেশে যোগ দিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ঢাকায় এসেছেন। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে। তাদের ৫০০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে পুলিশ এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে।

এদিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে গতকাল রাত থেকেই রাজধানী ঢাকার প্রবেশপথ ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের আশুলিয়ায় চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।

   

‘উন্নয়নের নামে দেশকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে সরকার’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়নের নামে সরকার গোটা দেশকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় গরমে অতিষ্ঠ অসহায় মানুষের মধ্যে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জনগণের এই দুঃসময়ে বিএনপি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা এই তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছি। কিন্তু এদেশে নাকি অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু মানুষের জন্য আওয়ামী লীগ কী করেছে? সরকার গোটা দেশের মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে চায়। দাবদাহে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ ১৭ জন মারা গেছে।

পুলিশের সহায়তায় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার ঘটনা আওয়ামী লীগ সরকার ঘটিয়েছে অভিযোগ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ যা করছে পুলিশও তাই করছে। সেভাবেই পুলিশকে গড়ে তুলেছে শেখ হাসিনা সরকার।

পুলিশকে সত্যের পক্ষে এবং মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বেনজীর আহমেদ, আসাদুজ্জামানদের ব্যবহার করেছেন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, যুবদলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন সিদ্দিকী প্রমুখ।

;

আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ : মির্জা ফখরুল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা দায়ের এখন সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরও হিংস্র করে তুলেছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রবিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মকবুল ইসলাম টিপু, ওমর নবি বাবুসহ আরও অনেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলালসহ ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন ফখরুল। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এদিকে পৃথক আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুসহ গাড়িচালককে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করার পরও তা অস্বীকার করেছে।

ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ।

;

পরীক্ষার্থী ও পথচারীদের হাতে পানি-স্যালাইন-জুস তুলে দিল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহ থেকে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও জুস সরবরাহ করেছেন চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) কলেজ গেট ও চকবাজার এলাকায় দায়িত্বরত সকল ট্রাফিক পুলিশ, পরীক্ষার্থী, রিকশাচালক, বাসচালক ও পথচারীদের থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে পানি, জুস ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ও মহানগর ছাত্রলীগের সংগঠক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পলাশ এতে নেতৃত্ব দেন।

আনোয়ার পলাশ বলেন, 'গত কয়েকদিন থেকেই বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম চলছে। তীব্র তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করেই আমরা মাঠে কাজ করছি। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সবাইকেই বিপদে ফেলে দিচ্ছে। আগেও যেমন সব সংকটে, সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এখনও নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। আগামী যে কয়েকদিন তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে সেই পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।'

আনোয়ার পলাশ আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা সব সময় প্রস্তুত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের পাশে থাকার জন্য।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা সুমন শাহারিয়ার, মাঈন উদ্দিন সোহেল, শিমলা দত্ত তন্বী, নাজিম উদ্দিন, আবদুস সোবহান, এম এ মনির, এম এইচ সৈকত, হাবিবুর রহমান সুজন, সরোয়ার মির্জা, শাহারিয়ার হোসেন, লায়লা সিকদার লিপি, নুর আলম, জনি দাশ, এইচ এম জাহিদ, জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ জুবায়ের, মনজুর মোর্শেদ এনি, মো: আসফাক রাজা, রাশেদুল ইসলাম, মুনতাসির মোহাম্মদ তুহিন, খান ওসমান, শফিকুর রহমান সাকিব, শেখ আবদুল আজিজ, আবদুল আজিম, শাহারিয়ার চৌধুরী, মিনহাজ, নকীব বিন নোমান, এহসানুল হক সাকিব, জয়নাল সাকিব, রুহুল কুদ্দুস ফয়সাল, আরমান উদ্দিন, সাগর হোসেন, আসফাক রহমান, মেহেদী হাসান ফাহিম, তনয় বড়ুয়া, আবুদল আজিজ চোধুরী, আসাদ বিন ইউসুফ রনি, আবদুল্লা আল সোয়েব, আবদুল আহাদ, মো. লিমন, মাঈন উদ্দিন সিফাত প্রমুখ।

;

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে।

কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

;