ইভিএম নিয়ে সরকার ক্যারিকেচার করছে: জিএম কাদের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইভিএম নিয়ে সরকার ক্যারিকেচার করছে: জিএম কাদের

ইভিএম নিয়ে সরকার ক্যারিকেচার করছে: জিএম কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, ইভিএম নিয়ে বর্তমান সরকার ক্যারিকেচার করছে। ইভিএম-এ কে-কোথায় ভোট দিলো তার প্রমাণ থাকে না। কে কিভাবে ডিক্লেয়ার করে তার প্রমাণ থাকে না।

সোমবার (৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে এক যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন । অনুষ্ঠানে বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক ধারার সভাপতি আবুল বাসার ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাবু’র নেতৃত্বে বিকল্পধারা’র শতাধিক নেতা-কর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।

জিএম কাদের আরও বলেন, প্রার্থীরা বলছেন সিটি নির্বাচনে ইভিএম চাপিয়ে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে ইভিএম আতঙ্ক শুরু হয়েছে। আমরা সব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আমরা দেখতে চাই এবং মানুষকে দেখাতে চাই, সরকার কি করছে - কি করতে চায়। সরকার ও নির্বাচন কমিশন বলেই যাচ্ছে ইভিএমকে ভয় পাবেন না। দেশের মানুষ কিন্তু বোকা নয়।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ মনে করে, ইভিএম দিয়ে সরকার যাকে খুশী বিজয়ী ঘোষণা করতে পারে। সাধারণ মানুষ বলেন, ভোট দিতে গেলে সরকারদলীয় লোকজন ভোট দিয়ে দেয়। আমরা ভোট দিলেও সরকারি দল আর না দিলেও সরকারি দলই পাস করছে। সরকার, প্রশাসন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে জড়িত সবাই ইভিএম ব্যবহার করে সরকারের ইচ্ছেমত ফলাফল ঘোষণা করার ব্যবস্থা করছে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে চাইলে ইভিএম বাদ দিয়ে নির্বাচন দিতে হবে। কোন সিটি নির্বাচনেই ইভিএম দেয়া ঠিক হবে না। ক্ষমতায় থেকে, প্রশাসন ব্যবহার করে এবং দলীয়করণের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থা কুক্ষিগত করে নির্বাচনে পাশ করলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন হয় না। এমন নির্বাচনে যারা বিজয়ী হন জনগণ তাদেরও সম্মান করে না। কারণ, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। নির্বাচন ব্যবস্থা ধংস করে বিরাজনীতিকরণের দিকে দেশ ঠেলে দেয়া হচ্ছে। একই সাথে দেশের গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একটি দল খারাপ কিছু শুরু করলে পরবর্তীতে অন্য দল ক্ষমতায় এসে তা আরো বাড়িয়ে দেয়। দোষ-ত্রুটির দিক থেকে কেউ কারো চেয়ে কম না। এভাবে দুটি দল দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এমন বাস্তবতায়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে একটি বিকল্প শক্তি হতেই বিকল্পধারা সৃষ্টি হয়েছিলো। কিন্তু তারা বিকল্প শক্তি হতে পারেনি। তাই যারা বিকল্প শক্তি হতে চেয়েছিলো তারা এখন জাতীয় পার্টিতে দলে দলে যোগ দিচ্ছেন। এতে প্রমাণ হয়, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপক্ষে জাতীয় পার্টি একমাত্র বিকল্প শক্তি। জাতীয় পার্টিই পারবে এই দুটি দলের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে। আর, জাতীয় পার্টি ব্যার্থ হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশকে ধ্বংস করে দেবে।

তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদ নিয়ে একেক জনের একেক মত। আওয়ামী লীগ বলে বাঙালী জাতীয়তাবাদ আর বিএনপি বলে বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। হাস্যকর বিষয় হলো দেশের মানুষ জানে না আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কী জাতীয়তাবাদ দিয়েছে। বাকি থাকে, ধর্ম নিরপেক্ষতা। এটা মানুষের রক্তের মধ্যে আছে। হাজার বছর দেশের হিন্দু-মুসলিম একই মাঠে উপাসনালয়ে ধর্ম পালন করে তাতে কোন সমস্যা হয় না। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ধর্মনিরপেক্ষতা ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করে তাদের বাড়ি-ঘর দখল করছে। তদন্ত করলে দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের লোকেরাই জড়িত। বিএনপির সময়ও সরকারী দলের লোকেরাই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা করে সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবিধানে বলা আছে সকল ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার সংবিধান সংশোধন করেছে কিন্তু তারা তো রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিতে পারেনি। কারণ, রাষ্ট্রধর্ম দেশের ৯০ ভাগ মানুষের অন্তরের চাওয়া ছিলো। ক্ষমতাসীনরা সংবিধানের সকল অঙ্গ তছনছ করে ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান-সংবিধান করছে। এর আগে বিএনপিও একই কাজ করেছিলো।

তিনি বলেন, আইএমএফ এর তথ্য মতে মুদ্রাস্থিতি আরো বাড়বে। আগামী দিনে আরো রিজার্ভ কমতে পারে। আমাদের প্রতিবেশি দেশগুলোও টাকা পয়সা অপচয় করেনি তাই তারা দেশের মানুষকে সাহায্য করতে পারছে। আমরা মধ্যবিত্ত, নিন্মবিত্ত এবং নিম্মমধ্যবিত্তদের জন্য রেশন কার্ড দিতে দাবি জানিয়েছি। রেশন কার্ড হচ্ছে না, কারণ সরকারের মানুষকে তো প্রয়োজন নেই। মানুষের ভোটাধিকার যতদিন না থাকবে ততদিন রাজনীতিবিদদের কাছে মানুষের প্রয়োজন নেই। তাই বিকল্প একটি শক্তি প্রয়োজন। জাতীয় পার্টি সেই বিকল্প শক্তি হতে চেষ্টা করছে।

জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ৩২ বছরে দেশের মানুষের শান্তি হরণ করেছে। দুটি দলের কারণে এত দিনেও দেশের নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ হয়নি। আবার অওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুটি দলই প্রমাণ করেছে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। আনুপাতিক হারে নির্বাচন হলেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শেরীফা কাদের এমপি’র সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সদস্য ও লালমনিরহাট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব জাহিদ হাসান এর পরিচালনায় যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, বিকল্প স্বেচ্ছাসেবক ধারার সভাপতি আবুল বাশার, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাবু। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা একেএম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, খান মোহাম্মদ ইসরাফিল খোকন প্রমুখ।

   

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতার অডিও ফাঁস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ে উপজেলা নির্বাচনে উৎসাহ দিয়ে ভোটের পক্ষে দেওয়া এক বিএনপি নেতার বক্তব্যের অডিও ফাঁস হয়েছে। ওই নেতা হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব ও বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ।

ওই অডিওতে তাঁকে নেতা-কর্মীকে কৌশলে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা বলতে শোনা যায়। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘মন দিয়ে নির্বাচন কর।’

একদিকে ভোটে অংশ নেওয়ায় নেতাদের বহিষ্কার, অন্যদিকে কৌশলে ভোটে অংশ নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি নেতার এমন বক্তব্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) দুপুরে এমন একটি অডিও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে আসে। তবে ফাঁস হওয়া অডিও সুপার এডিট বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা আজাদ।

ফাঁস হওয়া অডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা ভোটের বিরুদ্ধে, জনগণের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নাই, তারা স্থানীয় রাজনীতি বোঝে না। তারা মনে করে স্থানীয় রাজনীতি আর জাতীয় রাজনীতি এক, মূলত এক নয়। এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। তোমরা মন দিয়ে নির্বাচনটা করো, আশা করি সফল হব। বোদায় যদি উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান দিতে পারি, তাহলে অন্তত উপজেলা চত্বরে গিয়ে একটা বসার জায়গা পাব। চেয়ারম্যানের চেম্বারে গিয়ে বসতে পারব, এক কাপ চা খেতে পারব।’

তাকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘জনপ্রতিনিধিশূন্য একটা দল টিকে থাকা অনেক কঠিন। আমরা সমর্থকনির্ভর একটা দল, আমাদের কর্মীর চেয়ে সমর্থক বেশি।’

এ ব্যাপারে ওই বিএনপি নেতা মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি নির্বাচন বর্জন বিষয়ে আমার বাড়িতে একটি মিটিং করেছিলাম। আমাকে হেয় করার জন্য সেই অডিও সুপার এডিট করে আরেকটি অডিও এটি তৈরি করা হয়েছে।’

পঞ্চগড়ের বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত শনিবার দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত নোটিশে বোদা উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিব আল আমিন ফেরদৌস, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোরসালিন বিন মমতাজ রিপন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলী বেগম, দেবীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী রহিমুল ইসলাম বুলবুল ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রহিমকে বহিষ্কার করা হয়।

;

অর্ধযুগেও হয়নি জাবি ছাত্রদলের কমিটি



মাহমুদুল হাসান (জাবি প্রতিনিধি) বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেয়াদোত্তীর্ণের অর্ধযুগ পেরিয়ে গেলেও নানা জটিলতায় গঠিত হচ্ছে না জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রদলের কমিটি। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী সোহেল রানাকে সভাপতি ও আব্দুর রহিম সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির ঘোষণা করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ।

এরপর কমিটি বিলুপ্তির একমাসের মধ্যে নতুন কমিটি ঘোষনার কথা উল্লেখ করে ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর সোহেল-সৈকতের নেতৃত্বাধীন কমিটির বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়।

পূর্বের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আর কোনো কমিটি গঠিত না হলেও এই সময়সীমার মধ্যে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি কমিটি গঠিত হয়েছে।

এরপরও অজানা কারণে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের গড়িমসি বিলম্বিত করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনে।

এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জন্য তিনবার কর্মী সম্মেলন করেছেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ। সর্বশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মতবিনিময় করেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল। এ সময় তিনি খুব শীঘ্রই নতুন কমিটি করবেন বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন। তবে তার সে আশ্বাসও আলোর মুখ দেখেনি।

তবে দীর্ঘদিন কমিটি না থাকলেও কেন্দ্রীয় সকল কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশগ্রহন করতে দেখা গেছে যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিকের অনুসারীদের।

হরতাল-অবরোধ কর্মসূচীতে ঢাকার সুপার ইউনিট খ্যাত সকল ইউনিটের ন্যায় কর্মসূচী পালন করেতে রাজপথে অবস্থান করতে দেখা যায় পারভেজ মল্লিকের অনুসারী ক্যাম্পাসের বর্তমান নেতা-কর্মীদের।

জাতীয় নির্বাচনকালীন চলতে থাকা অবরোধ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ ৮টি গেইট একই সময়ে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অবরুদ্ধ করে রাখে তার অনুসারীরা। পরবর্তীতে যেটি দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা-কর্মীদের অনুকরণ করতে দেখা যায়। কর্মসূচিটি দেশে প্রায় শতাধিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত হয়েছিল।

কমিটি গঠনে বিলম্ব : উদাসীনতা না জটিলতা?

কারণ অনুসন্ধানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বললে নানা প্রতিবন্ধকতার বিষয় উঠে আসে। নেতা-কর্মীদের অনেকে মনে করেন আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতৃত্ব প্রদানের আগ্রহীরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান করতে পারে না এবং তারা দীর্ঘদিন পূর্বেই তাদের বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ্যক্রম শেষ করেছে।

আবার অনেকেই মনে করেন শিক্ষকেরা অধিকতর জুনিয়র ছাত্রদের কমিটিতে আনতে আগ্রহী বলে কমিটি গঠন প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে থাকতে পারেন।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারিতে সোহেল রানাকে সভাপতি ও আব্দুর রহিম সৈকতকে সাধারণ সম্পাদক করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ১৯ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষিত হয়।

এরপর ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারি সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সেই কমিটির সভাপতি সোহেল রানাকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর থেকে সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকতের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করতে দেখা যায়।

পরবর্তীতে ২০২১ সালের ১৫ অক্টোবর ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৫টি কলেজ ও ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এ তালিকায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির নাম উল্লেখ থাকায় সেই সময়কার সোহেল-সৈকতের নেতৃত্বাধীন কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

এ ছাড়া কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, এক মাসের মধ্যে অর্থাৎ সে বছরের ১৫ ই নভেম্বরের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এরপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একাধিকবার কমিটির পুনর্বিন্যাস হলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় সংসদের কোনো সদিচ্ছা লক্ষ্য করা যায়নি।

এদিকে মেয়াদোত্তীর্ণের দীর্ঘ ৬ বছরের বেশী সময় পার হলেও একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি না হওয়াকে কারো কারো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট অনেকেই।

তৎকালীন শ্রাবণ-জুয়েলের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটির দায়িত্বে ছিলেন সিনিয়র সহ সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান। সকল বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দের পরামর্শে তিনি একটি প্রস্তাবিত কমিটি তালিকা দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে জমা দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তবে অদৃশ্য কারনে সেই কমিটিও আলোর মুখ দেখেনি। কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকার অনেক তথ্য, যে তথ্যগুলো দীর্ঘদিন যাবৎ অনেকের কাছেই ছিলো অজানা।

নেতাকর্মীদের দৃষ্টিতে কমিটি ঘোষণায় দীর্ঘসূত্রিতার কারন

বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুলের স্ত্রী শামীমা পারভীন শিল্পী বর্তমান পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী ছিলেন।

পুলিশের চাকুরিতে কর্মরত থেকেও তিনি তার সাবেক অনুসারীদের পরামর্শে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আগামী নেতৃত্ব গঠন করার জন্য তার স্বামী বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদককে ব্যবহার করছেন। অনেকে এটিকেও কমিটি গঠনে দীর্ঘসূত্রিতার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন।

আবার অনেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিকের অনুসারীদের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়ার জন্যেও এই দীর্ঘসূত্রিতা হতে পারে বলে মতামত ব্যক্ত করেছেন।

নেতা-কর্মীদের অনেকের মতেই কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির রকিবুল ইসলাম বকুলের নির্দেশে বিভিন্ন সময় যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা জাবি ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিকের বিরোধীতা করতে অনেককেই অনুপ্রাণিত করে থাকেন।

যত দ্রুত সম্ভব নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে কমিটি গঠন এখন সময়ের দাবী উল্লেখ পূর্বক নেতা-কর্মীরা আরও জানান, ছাত্র রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, অছাত্র, পোষ্য, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী ও ঢাকার অধিবাসী ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের কমিটিতে স্থান দিতে একটি মহলকে সক্রিয় হতে দেখা যায় এবং তাদের পক্ষে বিভিন্ন সময় কথা বলতে শোনা যায় বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদককে।

ব্যক্তিগত রাজনৈতিক বিরোধ চরিতার্থ করতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি মুখথুবড়ে পড়ে আছে, যেটি কোনো মহলের জন্যই স্বস্তিকর নয়।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠনে সংশ্লিষ্টজনদের ভাবনা

কমিটি গঠনের ব্যাপারে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সদ্য সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত বার্তা২৪.কমকে বলেন, জাবি ছাত্রদলের কমিটি না থাকার পরও কেন্দ্র ঘোষিত হরতাল অবরোধসহ সকল কর্মসূচী যেভাবে পালন করেছে তা অন্য যেকোনো ইউনিটের জন্য অনুকরণীয়। জাবির কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে যোগ্য, ত্যাগী, সক্রিয় এবং ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে ছাত্রত্বের বিষয়টি সংগতি রেখে কমিটি হলে আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই কমিটি ভারসাম্যপূর্ন হবে। এ ছাড়া যারা বাদ পড়বে তাদের সাথে বৈষম্য না করে তাদেরকে যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা উচিৎ।

তিনি আরও বলেন, কমিটি গঠনে জাবির জাতীয়তাবাদী শিক্ষক নেতাদের ও জাবির সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিক ভাইসহ যেসকল নেতৃবৃন্দ কর্মীদের সার্বিক সহায়তা ও দিকনির্দেশনা দিয়ে ছাত্রদলকে সক্রিয় রেখেছেন তাদের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জাবি অফিসার্স সমিতির বর্তমান সভাপতি আব্দুর রহমান বাবুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নিয়মিত কমিটি দেওয়া হলে ছাত্র রাজনীতি বিকশিত হয়। নতুন নতুন নেতা তৈরি হয়। কমিটি না দেওয়াতে রাজনীতিতে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি হয়, নেতৃত্বে গতিশীলতা আসে না। ঠিক সময়ে কমিটি দিলে এতদিনে দুই-তিনটা কমিটি হয়ে যেত, নতুন নতুন নেতৃত্ব উঠে আসতো, রাজনীতিতে গতিশীলতা আসতো। আমি মনে করি দ্রুতই কমিটি দেয়া উচিত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সাবেক ছাত্রদল নেত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি নাই, এটা দ্রুত হওয়া উচিৎ। কারণ, একটা সংগঠনের কমিটি না থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই সংগঠনটা দূর্বল হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় যাবৎ কমিটি না থাকলে নেতা-কর্মীদের মাঝে একটা হতাশা চলে আসে। যদি কমিটি থাকতো তাহলে ছাত্রদলের জাহাঙ্গীরনগর ইউনিটটা আরও শক্তিশালী হতো। অন্যান্য সংগঠন যদি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে তাহলে ছাত্রদলও নিশ্চয়ই পারবে, কেননা এ সংগঠন তো নিষিদ্ধ কোনো সংগঠন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিনেট মেম্বার হিসেবে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সহাবস্থানের ব্যাপারে প্রায়ই আমরা সিনেট অধিবেশনে কথা বলি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলসহ অন্যান্য যারাই এখানকার স্টুডেন্ট তাদের স্বার্থে কোন ব্যাঘাত ঘটলে অবশ্যই কথা বলবো। বিষয়গুলো নিয়ে সিনেটে আমাদের কথা বলার একটা সুযোগ থাকে, আমরা যারা জাতীয়তাবাদী প্যানেলের আছি প্রত্যেকেই প্রতিবারই এ নিয়ে কথা বলি। যেহেতু কথা বলার সুযোগ আছে, সিনেটের পরবর্তী অধিবেশনে আমরা এটা নিয়েই কথা বলবো।’

নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে কমিটির রদবদল কাম্য মন্তব্য করে কমিটি গঠনের বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক কামরুল আহসান বার্তা ২৪.কমকে জানান, ‘যেহেতু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় সেহেতু ছাত্রত্ব থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিয়মিত কমিটি গঠিত হলে সেটি অধিক কার্যকর হবে। এক্ষেত্রে ছাত্রনেতারা ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে যারা রাজনীতি করেন তারা প্রত্যাশা করেন কমিটি পাওয়ার। তবে ছাত্রদলের কমিটি প্রদানে দীর্ঘসূত্রিতার দায়ভার কিন্তু শিক্ষার্থীদের না। আমি মনে করি যারা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, সংগঠনের স্বার্থে ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের রাজনীতি যারা করছেন তাদেরকে ও বর্তমান শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের ব্যাপারে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাবা উচিৎ।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এতোদিন কমিটি না দেয়ার দায় আমাদের উপর-ও বর্তায় মন্তব্য করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘এটা সত্য বেশ কয়েক বছর যাবত আমাদের অন্যতম সুপার ইউনিট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমরা কমিটি ঘোষনা করতে পারিনি। তবে আমরা খুব দ্রুতই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি গঠন করতে পারবো বলে আশাবাদী। এ নিয়ে আমরা কাজ-ও শুরু করেছি। এ ছাড়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও আমাদেরকে এ ব্যাপারে দ্রুত কাজ করার ব্যাপারে তাগাদা দিয়েছেন।’

কমিটিতে কারা থাকছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘সিনিয়র-জুনিয়র যেই আসুক শিক্ষার্থীদের কল্যাণে, সংগঠনের স্বার্থে যারা কাজ করবেন তাদের নিয়েই কমিটি গঠন করা হবে। এক্ষেত্রে আমরা সকলের মতামতের প্রেক্ষিতে গ্রহণযোগ্য পথ বিবেচনায় নিবো।’

খুব দ্রুতই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষনার হবে মন্তব্য করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দেশের অগনতান্ত্রিক পরিবেশসহ রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে এতোদিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কমিটি দিতে পারিনি। এখন জেলা কমিটিগুলো দেওয়ার কাজ চলছে। দুই-তিনটে জেলা কমিটি হয়ে যাওয়ার পরই আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শুরু করে দেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সকল সংকট উপেক্ষা করে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী তাদেরসহ গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ছাত্রলীগের হামল-মামলা উপেক্ষা করে যারা রাজপথে থেকে এতোদিন ছাত্রদলের রাজনীতি করে গেছেন, তাদের নিয়ে শীঘ্রই কমিটি দিতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।’

এদিকে কমিটি গঠনে বিলম্ব, দীর্ঘসূত্রিতা ও সার্বিক বিষয়ে জানতে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দুইবারের সাবেক সভাপতি পারভেজ মল্লিকের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

;

চন্দ্রগঞ্জ থানা আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদককে শোকজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম লক্ষ্মীপুর
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।

রবিবার (৫ মে) রাতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন স্বাক্ষরিত একটি শোকজের কপি প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে।

জানা গেছে, পূর্ব অবহিতকরণ ছাড়া চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন হাজিরপাড়া ইউনিয়নের একটি আহ্বায়ক কমিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন।

এতে পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

পরে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পূর্বের কমিটি ভেঙ্গে নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি দেওয়ায় চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন।

এদিকে, চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে ফেসবুকে ওই ইউনিয়ন কমিটি ঘোষণা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শোকজ নোটিশকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে অভিযোগকারী হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ দায়েরের কথা স্বীকার করেন। এ ছাড়া তিনি এ বিষয়ে অন্য কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীকে মুঠোফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।

তবে সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওয়াহাব জানান, কেন্দ্রের কোন চিঠি তারা পাননি। চিঠি পাওয়ার আগে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য দিতে রাজি নন তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, কেন্দ্রীয় চিঠির বিষয়টি অবগত হয়েছি। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সম্মেলন ছাড়া কোন কমিটি ঘোষণা করা করা বেআইনি। সে হিসেবে হাজিরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পূর্বের কমিটি বহাল রয়েছে।

;

টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতা বাবলুকে দল থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতা বাবলুকে দল থেকে বহিষ্কার

টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতা বাবলুকে দল থেকে বহিষ্কার

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপে টাঙ্গাইলে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বিএনপির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান তালুকাদার বাবলুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (০৫ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (০৪ মে) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়।

বহিষ্কৃত নেতা মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলু উপজেলা বিএনপি সহ-সভাপতি ও গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের তিন বারের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।

জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ও দলের সকল পর্যায়ের পদসহ প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার হন তিনি।

উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সেলিমুজ্জামান তালুকদার সেলু বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তকে অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলুকে গত ২ মে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করে দলের হাই কমান্ড এবং চিঠি প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে চিঠির জবাব দেয়নি।

উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বলেন, কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি। বহিষ্কারে কোনো চিঠি পাইনি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার বাবলুকে কেন্দ্রীয় থেকে তার উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি পদসহ প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

;