বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না খতিয়ে দেখছি: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে কি না, নাশকতা করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকালে রাজধানীর আজিমপুর কলনী মাঠে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ইফতার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কঠিন সময়ে, পবিত্র ঈদের প্রস্তুতি লগ্নে বঙ্গবাজারে যে দুঃখজনক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অনেক মানুষের স্বপ্ন পুড়ে গেছে। অনেক মানুষের অনেক আকাঙ্খার মৃত্যু হয়েছে। সেখানে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এই সময়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষের সবার প্রিয় বাজার বঙ্গবাজার। অনেক সাধারণ মানুষ এদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। সস্তা মূল্যে কিনতে পারবে না সেই দুঃখ, সেই বেদনা অনেক মানুষের মাঝে আছে।’

এই ঘটনায় বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষতি গ্রস্তদের পাশে না দাঁড়িয়ে, বিএনপি ও ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

বঙ্গবাজারসহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কি না, আন্দোলনের ব্যর্থ হয়ে এই ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি এবং তা তদন্ত করা দরকার। যারা আজকে মায়া কান্না করেন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে নজর দিয়েছে কিনা তা তদন্ত করা দরকার।

কাদের বলেন, সড়ক নিয়ে অনেক কথা বলেন সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪ জন যখন মারা গেল তার মধ্যে ২০ জন বাংলাদেশের লোক এখানে তো আপনারা কোন কথা বলেন নাই, সেখানে তো কাউকে দায়ী করেন নাই। বিএনপি এমন এক বিরোধী দল যদি বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হয় তাহলে বলবে এটা আওয়ামী লীগ সরকারের দোষ।

বিএনপির ৮ তারিখের অবস্থান কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে জানিয়ে কাদের বলেন, সংকটের মধ্যে মানুষের কষ্টের মানুষের পাশে পায় না, তারা সরকার বিরোধিতার নামে রোজার দিনে রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। তারা রোজাদার মানুষকে কষ্ট দেয়। এই দল অতীতেও মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। 

যদি তারা রাস্তা বন্ধ করে অবরোধ করে, মানুষকে কষ্ট দেয়, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে উস্কানি, সন্ত্রাস করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা ওই ৩০০ জায়গায় শান্তিপূর্ণ শান্তি সমাবেশ করব।

বিএনপির আন্দোলনের হাঁট ভেঙ্গে গেছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলরন, বিএনপির আন্দোলনের হাঁট ভেঙ্গে গেছে, তা আর জোড়া লাগবেনা। ডিসেম্বর থেকে শুরু করে কত দৌড়ি, কত লোক ঢাকার বিছানা বালিশ, থালা বাটি কম্বল আয়োজন করল আজকে কোথায়?

ফখরুলের আন্দোলন চলে গেল পদযাত্রায়, তার মানে পতন যাত্রা, পতন যাত্রা থেকে তাদের আন্দোলন রাস্তায় বসে গেল। এখন তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে বিএনপি হাঁটুভাঙ্গা দল এখন কি তা আর দাঁড় করানো যাবে।

কাদের বলেন, "আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বিএনপি'র আন্দোলন কত প্রকার ও কি কি তা এদেশের মানুষ দেখে ফেলেছে।

এদেশের মানুষ কষ্টের মধ্যেও শেখ হাসিনাকে বিশ্বাস করে। শেখ হাসিনা সৎ মানুষ, মানুষের জন্য তার ভালোবাসা আছে সেজন্য রাতের বেলায় যে কেউ দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে। কিভাবে জিনিসপত্রের দাম সামাল দেওয়া যায়।
এই দেশের মানুষ যাতে স্বস্তিতে ঈদ করতে পারে সেই চিন্তা একমাত্র শেখ হাসিনাই করে।

বিএনপি যে নিরপেক্ষ লোকের কথা বলেন, সেই নিরপেক্ষ লোকটি কে জা জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, বিএনপি সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা না পেলে নির্বাচন যাবেনা। ভোটে যাওয়ার জন্য একজন নিরপেক্ষ লোক দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার। মির্জা ফখরুলকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি আপনাদের নিরপেক্ষ লোকটা কে?

নিরপেক্ষ লোক তারা চায় না তারা তাদের পক্ষের লোক চাই। তত্ত্বাবধায়কের নামে ২০০১ সালের মতন নির্বাচন করবে। কিভাবে তারা ক্ষমতা আর সেই ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিএনপি চাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলার মানুষ চায় না।

   

আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ : মির্জা ফখরুল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও কাল্পনিক কাহিনী তৈরি করে মামলা দায়ের এখন সরকারের প্রতিদিনের কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, গত ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট ও ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরও হিংস্র করে তুলেছে। রবিবার (২৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, রবিবার রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য মকবুল ইসলাম টিপু, ওমর নবি বাবুসহ আরও অনেকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এ ছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলালসহ ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিবৃতি দেন ফখরুল। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এদিকে পৃথক আরেক বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি জুরাইন থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি মনির মুন্সী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুসহ গাড়িচালককে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করার পরও তা অস্বীকার করেছে।

ঢাকা মহানগর যুবদলের সাবেক সদস্য সচিব ও মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শাহেদকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিবৃতি দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিরোধীদলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ঙ্কর অমানবিক কাজ।

;

পরীক্ষার্থী ও পথচারীদের হাতে পানি-স্যালাইন-জুস তুলে দিল ছাত্রলীগ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহ থেকে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণকে স্বস্তি দিতে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন ও জুস সরবরাহ করেছেন চট্টগ্রামের হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতারা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) কলেজ গেট ও চকবাজার এলাকায় দায়িত্বরত সকল ট্রাফিক পুলিশ, পরীক্ষার্থী, রিকশাচালক, বাসচালক ও পথচারীদের থেকে শুরু করে শ্রমজীবী মানুষের মাঝে পানি, জুস ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

মহসিন কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা ও মহানগর ছাত্রলীগের সংগঠক মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন পলাশ এতে নেতৃত্ব দেন।

আনোয়ার পলাশ বলেন, 'গত কয়েকদিন থেকেই বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ কার্যক্রম চলছে। তীব্র তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ হিসেবেই বিবেচনা করেই আমরা মাঠে কাজ করছি। বিশেষ করে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন সবাইকেই বিপদে ফেলে দিচ্ছে। আগেও যেমন সব সংকটে, সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবকরা ঝাঁপিয়ে পড়েছে, এখনও নিজ উদ্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে কিছুটা হলেও প্রশান্তি দেওয়ার চেষ্টা করে আসছি। আগামী যে কয়েকদিন তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে সেই পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।'

আনোয়ার পলাশ আরও বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা সব সময় প্রস্তুত শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের পাশে থাকার জন্য।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতা সুমন শাহারিয়ার, মাঈন উদ্দিন সোহেল, শিমলা দত্ত তন্বী, নাজিম উদ্দিন, আবদুস সোবহান, এম এ মনির, এম এইচ সৈকত, হাবিবুর রহমান সুজন, সরোয়ার মির্জা, শাহারিয়ার হোসেন, লায়লা সিকদার লিপি, নুর আলম, জনি দাশ, এইচ এম জাহিদ, জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ জুবায়ের, মনজুর মোর্শেদ এনি, মো: আসফাক রাজা, রাশেদুল ইসলাম, মুনতাসির মোহাম্মদ তুহিন, খান ওসমান, শফিকুর রহমান সাকিব, শেখ আবদুল আজিজ, আবদুল আজিম, শাহারিয়ার চৌধুরী, মিনহাজ, নকীব বিন নোমান, এহসানুল হক সাকিব, জয়নাল সাকিব, রুহুল কুদ্দুস ফয়সাল, আরমান উদ্দিন, সাগর হোসেন, আসফাক রহমান, মেহেদী হাসান ফাহিম, তনয় বড়ুয়া, আবুদল আজিজ চোধুরী, আসাদ বিন ইউসুফ রনি, আবদুল্লা আল সোয়েব, আবদুল আহাদ, মো. লিমন, মাঈন উদ্দিন সিফাত প্রমুখ।

;

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ৩০ এপ্রিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আগামী মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তা জানানো হয়েছে।

কার্যনির্বাহী সভায় সভাপতিত্ব করবেন- আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সভায় কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন।

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন

সরে গেলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রুমানা আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সব নির্বাচন বর্জনের বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণার কথা জানান।

রুমানা আহমেদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান।

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই রুমানা আহমেদ উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন। ২২ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। তবে রুমানা আহমেদ তার প্রার্থিতায় অনড় ছিলেন। এরপর ২৭ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে মেহেরপুর জেলা বিএনপি।

ব‌হিষ্কারের বিষয়ে রুমানা আহমেদ বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসা ছিল তার জন্য অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য দলীয় নীতি-নির্ধারক এবং মেহেরপুর জেলার নেতা-কর্মীদের কাছে ক্ষমা চান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে রুমানা আহমেদের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুর রহমান।

;