‘আওয়ামী লীগ কখনোই খালি মাঠে গোল দিতে চায় না’



মো আরমান আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেছেন আমরা তো অবশ্যই চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক, আওয়ামী লীগ তো কখনোই খালি মাঠে গোল দিতে চায় না।

আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ এবং সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে ধানমন্ডিতে তার নিজের বাসায় বার্তা২৪.কমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ কিন্তু বন্দুকের নলের মধ্যে ক্ষমতা দখল করে গঠিত হওয়া কোন রাজনৈতিক দল না উল্লেখ করে আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, আমরা তো ক্ষমতার বাইরে থেকে রাজনৈতিক দল গঠন করেছি, কি রকম ক্ষমতার বাইরে? তখন মুসলিম লীগ ছিল রাষ্ট্র ক্ষমতায়, মুসলিম লীগ কারা করতেন? এই সমাজের সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিজাত জোতদার তারাই, তাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু প্রজাদের নিয়ে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করলেন নাম দিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সেই প্রজাদেরকেই বঙ্গবন্ধু পরবর্তীতে তাদের অধিকার আদায়ের মাধ্যমে রাজায় পরিণত করে সেই তথাকথিত সামন্ত প্রভুদের ভৃত্য বানিয়ে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে আওয়ামী লীগ সত্যিকারের দল। সুতরাং আমি মনে করি বিএনপি যদি মনে করে তারা মানুষের ওই আস্থার জায়গায় আছে তাহলে তারা নির্বাচনে আসুক, এটা ভাবার কোন কারণ নাই যে ওরা আসলে আমরা ভয় পাবো।

২০০৮ সালের ইলেকশন তো আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে হয়নি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিয়ন্ত্রণে হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচনে বিএনপি জামায়াত এক ছিল এবং জামায়াতের নেতা যারা মানবতা বিরোধী অপরাধে দণ্ডিত হয়েছে ফাঁসিতে ঝুলেছে তারাও জীবিত ছিল তাওতো আওয়ামী লীগ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রেখে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটকে সাথে নিয়ে ৩০০ আসনে ২৬২ আসনে জয়লাভ করেছিল। তারা পেয়েছে মাত্র ২৯টা আসন জামায়াত পেয়েছিল দুটি আসন। তাহলে সে আওয়ামী লীগ আজকে গত ১৪ বছরের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কৃষি সামাজিক সূচক প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভূত-পূর্ব উন্নয়ন করার পরে আমরা তাদেরকে ভয় পাওয়ার কোন কারণ আছে বলে মনে করি না। বরং আমি মনে করি আমরা আরো ভালো রেজাল্ট করব।

মানুষের দুঃখে, সুখে সাথে ছিলাম উল্লেখ করে দলের সাবেক এই উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, আমরা বাংলাদেশটাকে শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়নেই না বাংলাদেশের ইকোনমি থেকে শুরু করে ধরুন ২০০৯ সালের আগে শুধু ৪১ ভাগ মানুষই বিদ্যুতের আওতায় ছিল এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় আছে। যদিও বা শতভাগ মানুষ ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাচ্ছে না মাঝে মাঝে একটু লোডশেডিং হচ্ছে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে

একসময় এ দেশের সন্তানদের গার্ডিয়ানরা তাদের স্কুলে পাঠাতো না বই কেনার টাকার অভাবে এখন কিন্তু সে জায়গায় বিনা পয়সায় বই পাচ্ছে এবং উপবৃত্তির টাকা পাচ্ছে কোন সন্তানকে তার স্কুলে গেলে চিন্তা করতে হচ্ছে না। যে কারণে শিক্ষিতের হার আজকে ৭৪ ভাগ। 

দেশের সাধারণ মানুষের জীবন মানের লক্ষ্যণীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে দাবি করে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বলেন, এক সময় আমাদের সোসাইটিতে যারা একটু নিম্নবিত্ত তাদের মায়েরা ছিল পরিবারের বোঝা, কারণ তারা নিজেরাই নুন আনতে পান্তা ফুরায় নিজের বউ-বাচ্চাকেই পেটে খাবার দিতে পারে না মাকে কোথায় থেকে দিবে? বঙ্গবন্ধু কন্যা সেই অবহেলিত মায়েদের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্ত ভাতা নানা সোশ্যাল সেফটিনেস এর মাধ্যমে তাদেরকে এই সমাজের সম্পদে পরিণত করেছে। কারণ ওরা যখন সোশ্যাল ভাতাটা পায় ওরা কিন্তু ওই টাকা দিয়ে স্নো পাউডারও কেনে না, সিনেমা দেখতেও যায় না । তারা চিন্তা করে আমি টাকা দিয়ে কি করব? তারা ওই টাকা দিয়ে একটি মুরগি কিনছে, সে মুরগি বাচ্চা দিচ্ছে, একটা খাসি কিনতেছে ওই ছাগল আরেকটা ছাগল বাচ্চা দিচ্ছে, ওর মধ্যে একটা আর্থিক স্বচ্ছলতা আসছে, বরং কি সে আমাদের সমাজে একটা সম্পদে পরিণত হচ্ছে, তার যে সন্তান আগে নিজের সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য মাকে অবহেলা করত সে সন্তান মনে করে যে না আমার মায়ের সাথে একটু খাতির করলে আমার মায়ের তো একটা মুরগির ডিম আমার ছেলেকে দিত তাহলে আমার ছেলে পুষ্টি পাবে এভাবে কিন্তু সামাজিক পরিবর্তন হচ্ছে। এই মানুষগুলো কিন্তু অকৃতজ্ঞ নয় দেশের মানুষ।

দ্রব্যমূল্যের বর্তমান চিত্র আরও সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে আশা রেখে তিনি বলেন, শহরে থেকে অনেক কথা বলা যায়, আপনি স্বপ্নতে গিয়ে, মিনা বাজারে গিয়ে বাজার দর যাচাই করেন আর বাস্তবে বাজার দর যাচাই করেন ভিন্ন একটা চিত্র পাবেন। আমি বলছি না আমরা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছি। বিশ্বব্যাপী নানা সমস্যায় অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। ভালো থাকার চেষ্টা করছি।

এ দেশের মানুষ অকৃতজ্ঞ নয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বলেন, আমি কখনোই এই দেশের মানুষকে অকৃতজ্ঞ মনে করি না। এই দেশের মানুষ অকৃতজ্ঞ হলে ৭৫ এর পরে বঙ্গবন্ধু একটা নিষিদ্ধ নাম ছিল সরকারি জায়গায় ১৯৯৬ সালে এদেশের মানুষ আবার বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে ভোট দিয়েছে। কেন? বঙ্গবন্ধুর জন্যই। এটা কেন? যেহেতু এদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধু প্রাণ দিয়ে ভালোবেসে ছিলেন। ঠিক তাঁর মত তাঁর কন্যা এদেশের মানুষের জন্য করে যাচ্ছেন, সুতরাং আমি মনে করি আগামী নির্বাচনে এই মানুষগুলো শেখ হাসিনার প্রতি, শেখ হাসিনার দয়ার প্রতি, ভালোবাসার প্রতি, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ঋণশোধ করবে।

এসময় আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের জন্য আওয়ামী লীগ মোটেই চিন্তিত না বলেও জানান তিনি।

মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে: তথ্যমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির জন্যই বড় চাপ তৈরি করেছে। কারণ এই ভিসা নীতির কারণে এখন আর নির্বাচন প্রতিহত করবো, সেটি বলার সুযোগ বিএনপির নেই।

সোমবার (২৯ মে)দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তারা বলেছে যে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই, একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক সেটিই তারা চায়। অর্থাৎ বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তাদের সমর্থন পায়নি, বিশ্বব্যাপী কারো সমর্থন পায়নি। সুতরাং বিএনপির অন্তত আন্তর্জাতিক অঙ্গণে এটি নিয়ে আর বলার সুযোগ নেই । ফলে এই ভিসা নীতি তাদের ওপর বিরাট চাপ তৈরি করেছে।’

ড. হাছান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করার সময় যে প্রেস ব্রিফিং করা হয় সেখানে তারা বলেছেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছেন সেটির জন্য সহায়ক হিসেবে তারা এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসা নীতিতে যেটা বলেছে, এটি সরকারি দল, বিরোধী দল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেয় তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। নির্বাচন বর্জন করার অর্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। আর নির্বাচন প্রতিহত করার অর্থ সংঘাত তৈরি করা। এগুলো তো আর বিএনপি করতে পারবে না। সব মিলিয়ে এটি বিএনপির ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনকালে বা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই তো বিএনপি নানা ধরণের কর্মসূচি দেয় এবং তাদের উদ্দেশ্যেও সেটি করা। আমি মনে করি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে এটার প্রেক্ষিতে তাদের সেগুলো করার সুযোগটা অনেক কমে গেছে। তাদেরকে নির্বাচনে আসতে হবে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মার্কিন এই ভিসা নীতি শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, অনেক দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তারা বলেছে যে, এটি প্রায় সবদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোনোটা ঘোষণা করা হয়েছে, কোনোটা ঘোষণা করা হয়নি।’

বিএনপির নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির এই কর্মসূচি গতানুগতিক। তারা কিছুক্ষণ হাঁটে, কিছুক্ষণ বসে, তারপর আবার কিছুক্ষণ ভাংচুর করে, কিছুক্ষণ গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়। এখন হয়তো তারা বসার কর্মসূচি না দিয়ে হাঁটা কিম্বা দৌড়ানোর কর্মসূচি দেবে।’

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সদ্য সমাপ্ত এশিয়া মিডিয়া সামিটে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ‘এশিয়া এবং ওশানিয়া অঞ্চলের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও’র কর্ণধারেরা সময়োপযোগী এ সম্মেলন যোগ দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে আমার উপস্থাপিত বিষয়গুলোই সম্মেলনের মূল ঘোষণাপত্রে এসেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার উপস্থাপনায় মূলত আমি বলেছি যে, গত ১০-১৫ বছরে পৃথিবীতে সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্ফোরণের কারণে আমাদের জীবনটা পরিবর্তন হয়ে গেছে, যোগাযোগের অবারিত সুযোগের পাশাপাশি অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেভাবে ফেইক নিউজ তৈরি ও পরিবেশন করা হয়, সে কারণে রাষ্ট্রে ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। এবং সাধারণ মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়ার সংবাদ আর মূলধারার মিডিয়ার সংবাদের পার্থক্য বুঝতে পারে না। সে কারণে নানা সংকট, গুজব তৈরি হয়, সাম্প্রদায়িক সংঘাত তৈরি করার চেষ্টা হয়। এ বিষয়গুলোর দিকে তীক্ষè নজর দেওয়া এবং বৈশ্বিকভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সবাই একযোগে কাজ করার বিষয়টি ‘বালি ঘোষণা’য় এসেছে।’

;

বিএনপি নেতা নিপুণ রায়কে জামিন দিলেন হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে তিন মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

নিপুণ রায়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় চৌধুরী ও মিথুন রায় চৌধুরী।

রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট অমিত তালুকদার।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে আসেন নিপুণ রায়।

তিনি হুইল চেয়ারে করে আদালতে যান।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শুক্রবার কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রথমে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

সংঘর্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নিপুণ রায় চৌধুরীসহ উভয় পক্ষের ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে মাথায় ছয়টি সেলাই নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে মামলার খবর পান নিপুণ রায় চৌধুরী।

;

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছি : ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে এবং তা শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আজ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষতি করতে চাইছে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে তিনি রোববার এসব কথা বলেন।

বৈশ্বিক সংকটে বিভিন্ন দেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভালো থাকেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো যে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছে, এটা বিএনপির অন্তর্জ্বালার কারণ। সে কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটু কথা বলে। বিরূপ সমালোচনা করে। এ মহলটি অতীতে বাংলাদেশ ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে মেরামত করছেন। এটা তাদের পছন্দ হয় না।

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারেন না। তাকিয়ে থাকেন বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে। নিষেধাজ্ঞা, নিষেধাজ্ঞা বলে চাতকের মতো অপেক্ষা করেন। এই বুঝি নিষেধাজ্ঞা এলো। শেখ হাসিনা চলে গেল। এ কটু কথা কত যে শুনলাম। অবশেষে কি নিষেধাজ্ঞা এলো? ভিসানীতি। এতে সরকারের কিছুই হলো না। ভিসানীতি নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা হওয়ার কারণ নেই। কোনো নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বন্ধ হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, শত্রু নেই। বিদেশে বঙ্গবন্ধুর কোনো প্রভু ছিল না, শেখ হাসিনারও নেই। সহযোগিতা করার মতো বন্ধু আমাদের আছে। একাত্তরে বন্ধু দরকার ছিল, সে বন্ধু আমরা পেয়েছি। যারা শত্রুতা করার তারা করেছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পেরেছি। বাধা দিয়ে কিছুই করতে পারেনি। বিএনপি ভিসানীতি নিয়ে নাটক সাজাচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ভিসানীতিতে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার জন্য কেউ যেন বাধা না দিতে পারে সেজন্য।

গাজীপুরের নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেখানে আমরা হেরে গেছি, কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা নষ্ট, অসুস্থ রাজনীতি করে। এ অপশক্তির হাতে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, কোনোদিনই নিরাপদ নয়। এদের হাতে বাংলাদেশকে আমরা তুলে দিতে পারি না। এরা আসবে মানে গণতন্ত্র শেষ। এরা আসবে মানে আবার ভোট চুরি। এরা আসবে মানে আবার হাওয়া ভবন। এরা আসবে, বাংলাদেশ দুর্নীতিতে আবার চ্যাম্পিয়ন।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের চীন এবং আসন্ন ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলো পার্টি টু পার্টি কন্টাক্ট। এসব বৈঠকে অনেক কিছু আলোচনা হতে পারে। রাজনীতি নিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্নভাবে মতবিনিয়ম হতে পারে। পিপল টু পিপল কন্টাক্টকে সুদৃঢ় করার জন্য এ পার্টি টু পার্টি কন্টাক্ট।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;

চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ বছর করার দাবি রওশন এরশাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চাকরির বয়সের সীমা ৩৫ বছর করা এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, পৃথিবীর ১৬২টি দেশে চাকরির আবেদনের সময়সীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। বয়সই বড় কথা নয় যোগ্যতাই বড় কথা। এই সময়সীমা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। লেখাপড়া শেষ করতেই ২৮ বছর অতিবাহিত হয়ে যায়, কত কষ্টে লেখাপড়া করে চাকরি না পেয়ে ৩০ বছর চলে যাওয়ার পর মনের দুঃখে হতাশ হয়ে সার্টিফিকেট জালিয়ে ফেলে দেয় যা অত্যন্ত দুঃখের এবং আমাদের অন্তরাত্মাকে স্পর্শ করে।

বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, এই সরকারের আমলে শিক্ষা ও উচ্চ শিক্ষার হার বেড়েছে। ছেলে মেয়েদের চাকরি হয়েছে কিন্তু বেকারত্ব আরও হু হু করে বেড়ে চলেছে। এই বেকারত্ব দূর করতে হলে শিক্ষার্থীদের গতানুগতিক ধারায় শিক্ষিত করলে চলবে না। কারিগরি শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। শুধুমাত্র প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা কোর্স দিয়ে শিক্ষিত করলে হবে না। কারিগরি শিক্ষার জন্য উচ্চতর শিক্ষারদ্বার উন্মোচন করতে হবে। প্রতিটি সরকারি বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অবিলম্বে কারিগরি শিক্ষার বিষয়গুলো চালু করা হোক।

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে বিবেচনা করা যায় না। কারণ একটি বিসিএস পরীক্ষায় মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার ছেলে-মেয়েদের চাকরি হয়। দেশে বেকার যুবকদের সংখ্যা আছে ২৬ লক্ষের ওপরে। তাদের কথা বিবেচনা করে তাদেরকে অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।

;