গণমুখী ও উন্নয়নবান্ধব বাজেট: আওয়ামী লীগ

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগ

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অর্থনীতিকে সুসংহত করে সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সরকার দলীয় নেতারা বলছেন, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দিকে লক্ষ রেখে গণমুখী ও উন্নয়নবান্ধব এই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) নতুন অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই বাজেট প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত এ বাজেট বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের (৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা) চেয়ে ১৪.২৪ শতাংশ বেশি। টাকার ওই অংক বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৫.২৩ শতাংশের সমান।

বিদায়ী অর্থবছরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের দেওয়া বাজেটের আকার ছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি এবং জিডিপির ১৭.৪ শতাংশের সমান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেট কোভিড পরবর্তী অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর বাজেট।

তিনি বলেন, এই বাজেটে সবদিক বিবেচনা করে নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তদের বিষয়ে নজর দেওয়া হয়েছে। এটা গরিবের বাজেট, ব্যবসাবান্ধব বাজেট ও গণমুখী বাজেট।

দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, বৈশ্বিক মন্দার মধ্যে এর চেয়ে ভালো বাজেট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। এমন একজন রাষ্ট্রনায়ক দেশ পরিচালনা করছেন, যিনি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকবিলা করেই অর্থনীতিকে গতিশীল রাখছেন, তিনি শেখ হাসিনা। করোনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন। এ সময়ে এই বাজেট গণমানুষের বাজেট হিসেবে পরিগণিত হবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সমর্থ হবে।

প্রস্তাবিত বাজেটকে গরিববান্ধব বলে আখ্যায়িত করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, যুদ্ধের কারণে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে শুরু করে সমগ্র পৃথিবীতে মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে, তা কতদিনে শেষ হবে, সেটি কেউ জানে না। সেজন্য অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। একইসাথে সোশ্যাল সেফটি নেট বা সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী বাড়ানো হয়েছে, যাতে নিম্ন আয়ের মানুষ সুরক্ষা পায়। এটি গরিববান্ধব বাজেট।

বাজেটকে কিভাবে দেখছে আওয়ামী লীগ, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম  বলেন, করোনাভাইরাস অভিঘাত থেকে মুক্ত হয়ে উন্নয়নের ধারা অক্ষুন্ন রাখা ও উত্তরোত্তর বৃদ্ধির জন্য কৃষি, খাদ্য, নতুন কর্মসংস্থান সৃজন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আনা, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ভর্তুকির চাপ সামাল দেওয়াসহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। এই বাজেটে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে। জনবান্ধব ও উন্নয়ন বান্ধব এই বাজেটকে আমরা স্বাগত জানাই।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ভবিষ্যতে আরও লুট করবে, তার একটা হিসাব হচ্ছে এই বাজেট। এ জন্য আমার আগ্রহ নেই। এতটুকু গুরুত্ব নেই আমার কাছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি ও মির্জা ফখরুলের রাজনীতি লুটপাটের রাজনীতি, দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন এর রাজনীতি। তারা কখনোই সাধারণ মানুষের কথা ভাবেনি, এখনো ভাবেনা। জনমানুষের উন্নয়নের এই বাজেট তাই তাদের ভালো লাগছে না।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

সরকারের সুর নেমে এসেছে: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জন্য ঘোষিত মার্কিন ভিসা নীতির কারণে আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সরকারের সুর নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৯ মে) এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, বিএনপি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চায়।

মার্কিন ভিসা নীতির কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা (আ.লীগ) ভিন্ন মোড়কে আবারও একদলীয় বাকশাল শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাত্র কয়েকদিন আগে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা খুব উত্তেজনায় কাঁপছিলেন। কিন্তু এখন তাদের উত্তেজনা কমতে শুরু করেছে। তাদের সুর নেমে এসেছে। তারা এখন বলছে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে, কারণ তারা অশান্তি চায় না।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-এ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি।

এর আগে রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার আর কোনো অস্থিরতা ও সংঘাত চায় না; বরং জনগণের জীবনমান উন্নত করতে চায়।

ফখরুল বলেন, সরকার বিরোধী দলের বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে। তবে আমরা (বিএনপি) তাদের কর্মসূচিতে বাধা দিচ্ছি না।

তিনি বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে যে আন্দোলন করে আসছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেছে। আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে বলে দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এই বিএনপি নেতা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী) অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে, কারণ দেশের জনগণ আপনাকে ক্ষমতায় রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে মনে করে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।

ফখরুল আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায় যে দলীয় সরকারের অধীনে; বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কখনই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

ফখরুল বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর চাই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা সেই ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করতে চাই যেখানে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে হঠাৎ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে ফখরুল বলেন, এটা আশ্চর্যজনক। আমেরিকা থেকে রেমিট্যান্স বৃদ্ধির পিছনে কী জাদু আছে? লোকে বলছে চোরেরা সেই টাকা ফেরত আনছে, যেগুলো তারা চুরি করে আমেরিকা পাচার করেছিল।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;

মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির ওপরই বড় চাপ তৈরি করেছে: তথ্যমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন ভিসা নীতি বিএনপির জন্যই বড় চাপ তৈরি করেছে। কারণ এই ভিসা নীতির কারণে এখন আর নির্বাচন প্রতিহত করবো, সেটি বলার সুযোগ বিএনপির নেই।

সোমবার (২৯ মে)দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নির্বাচনকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তারা বলেছে যে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই, একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক সেটিই তারা চায়। অর্থাৎ বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তাদের সমর্থন পায়নি, বিশ্বব্যাপী কারো সমর্থন পায়নি। সুতরাং বিএনপির অন্তত আন্তর্জাতিক অঙ্গণে এটি নিয়ে আর বলার সুযোগ নেই । ফলে এই ভিসা নীতি তাদের ওপর বিরাট চাপ তৈরি করেছে।’

ড. হাছান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করার সময় যে প্রেস ব্রিফিং করা হয় সেখানে তারা বলেছেন যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যে স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছেন সেটির জন্য সহায়ক হিসেবে তারা এই ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এবং সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ভিসা নীতিতে যেটা বলেছে, এটি সরকারি দল, বিরোধী দল সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয় এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেয় তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য। নির্বাচন বর্জন করার অর্থ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা। আর নির্বাচন প্রতিহত করার অর্থ সংঘাত তৈরি করা। এগুলো তো আর বিএনপি করতে পারবে না। সব মিলিয়ে এটি বিএনপির ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনকালে বা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই তো বিএনপি নানা ধরণের কর্মসূচি দেয় এবং তাদের উদ্দেশ্যেও সেটি করা। আমি মনে করি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে এটার প্রেক্ষিতে তাদের সেগুলো করার সুযোগটা অনেক কমে গেছে। তাদেরকে নির্বাচনে আসতে হবে।’ আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মার্কিন এই ভিসা নীতি শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই নয়, অনেক দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তারা বলেছে যে, এটি প্রায় সবদেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোনোটা ঘোষণা করা হয়েছে, কোনোটা ঘোষণা করা হয়নি।’

বিএনপির নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির এই কর্মসূচি গতানুগতিক। তারা কিছুক্ষণ হাঁটে, কিছুক্ষণ বসে, তারপর আবার কিছুক্ষণ ভাংচুর করে, কিছুক্ষণ গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায়। এখন হয়তো তারা বসার কর্মসূচি না দিয়ে হাঁটা কিম্বা দৌড়ানোর কর্মসূচি দেবে।’

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে সদ্য সমাপ্ত এশিয়া মিডিয়া সামিটে অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, ‘এশিয়া এবং ওশানিয়া অঞ্চলের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি বিভিন্ন টেলিভিশন, রেডিও’র কর্ণধারেরা সময়োপযোগী এ সম্মেলন যোগ দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে আমার উপস্থাপিত বিষয়গুলোই সম্মেলনের মূল ঘোষণাপত্রে এসেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার উপস্থাপনায় মূলত আমি বলেছি যে, গত ১০-১৫ বছরে পৃথিবীতে সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্ফোরণের কারণে আমাদের জীবনটা পরিবর্তন হয়ে গেছে, যোগাযোগের অবারিত সুযোগের পাশাপাশি অনেক সমস্যা তৈরি হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেভাবে ফেইক নিউজ তৈরি ও পরিবেশন করা হয়, সে কারণে রাষ্ট্রে ও সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। এবং সাধারণ মানুষ এই সোশ্যাল মিডিয়ার সংবাদ আর মূলধারার মিডিয়ার সংবাদের পার্থক্য বুঝতে পারে না। সে কারণে নানা সংকট, গুজব তৈরি হয়, সাম্প্রদায়িক সংঘাত তৈরি করার চেষ্টা হয়। এ বিষয়গুলোর দিকে তীক্ষè নজর দেওয়া এবং বৈশ্বিকভাবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সবাই একযোগে কাজ করার বিষয়টি ‘বালি ঘোষণা’য় এসেছে।’

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;

বিএনপি নেতা নিপুণ রায়কে জামিন দিলেন হাইকোর্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরীকে তিন মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. হাবিবুল গণি ও আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

নিপুণ রায়ের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় চৌধুরী ও মিথুন রায় চৌধুরী।

রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট অমিত তালুকদার।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে আসেন নিপুণ রায়।

তিনি হুইল চেয়ারে করে আদালতে যান।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত শুক্রবার কেরানীগঞ্জে ঢাকা জেলা বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিএনপির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রথমে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।

সংঘর্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নিপুণ রায় চৌধুরীসহ উভয় পক্ষের ৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে মাথায় ছয়টি সেলাই নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে মামলার খবর পান নিপুণ রায় চৌধুরী।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছি : ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওবায়দুল কাদের

ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকার অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে এবং তা শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আজ দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে বিএনপি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের ক্ষতি করতে চাইছে।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বৈঠকে তিনি রোববার এসব কথা বলেন।

বৈশ্বিক সংকটে বিভিন্ন দেশের নাজুক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে ভালো থাকেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। বন্ধু রাষ্ট্রগুলো যে সহযোগিতার আশ্বাস দিচ্ছে, এটা বিএনপির অন্তর্জ্বালার কারণ। সে কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটু কথা বলে। বিরূপ সমালোচনা করে। এ মহলটি অতীতে বাংলাদেশ ধ্বংস করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে মেরামত করছেন। এটা তাদের পছন্দ হয় না।

তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশের জনগণকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে পারেন না। তাকিয়ে থাকেন বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে। নিষেধাজ্ঞা, নিষেধাজ্ঞা বলে চাতকের মতো অপেক্ষা করেন। এই বুঝি নিষেধাজ্ঞা এলো। শেখ হাসিনা চলে গেল। এ কটু কথা কত যে শুনলাম। অবশেষে কি নিষেধাজ্ঞা এলো? ভিসানীতি। এতে সরকারের কিছুই হলো না। ভিসানীতি নিয়ে সরকারের মাথাব্যথা হওয়ার কারণ নেই। কোনো নিষেধাজ্ঞায় নির্বাচন বন্ধ হবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে, শত্রু নেই। বিদেশে বঙ্গবন্ধুর কোনো প্রভু ছিল না, শেখ হাসিনারও নেই। সহযোগিতা করার মতো বন্ধু আমাদের আছে। একাত্তরে বন্ধু দরকার ছিল, সে বন্ধু আমরা পেয়েছি। যারা শত্রুতা করার তারা করেছে। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য আমরা পূরণ করতে পেরেছি। বাধা দিয়ে কিছুই করতে পারেনি। বিএনপি ভিসানীতি নিয়ে নাটক সাজাচ্ছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ভিসানীতিতে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু করার জন্য কেউ যেন বাধা না দিতে পারে সেজন্য।

গাজীপুরের নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সেখানে আমরা হেরে গেছি, কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা নষ্ট, অসুস্থ রাজনীতি করে। এ অপশক্তির হাতে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ, কোনোদিনই নিরাপদ নয়। এদের হাতে বাংলাদেশকে আমরা তুলে দিতে পারি না। এরা আসবে মানে গণতন্ত্র শেষ। এরা আসবে মানে আবার ভোট চুরি। এরা আসবে মানে আবার হাওয়া ভবন। এরা আসবে, বাংলাদেশ দুর্নীতিতে আবার চ্যাম্পিয়ন।

আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের চীন এবং আসন্ন ভারত সফর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলো পার্টি টু পার্টি কন্টাক্ট। এসব বৈঠকে অনেক কিছু আলোচনা হতে পারে। রাজনীতি নিয়ে, পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্নভাবে মতবিনিয়ম হতে পারে। পিপল টু পিপল কন্টাক্টকে সুদৃঢ় করার জন্য এ পার্টি টু পার্টি কন্টাক্ট।

সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুরসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;