বাড়ছে যেসব পণ্যের দাম

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম

বাড়তে পারে যেসব পণ্যের দাম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  বাজেট এলেই দেশের মানুষের সবচেয়ে আগ্রহের জায়গা তৈরি হয় পণ্যের দাম বাড়া-কমা নিয়েই। ব্যতিক্রম নয় এবারের বাজেটও। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখাই হচ্ছে এবারের বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে ' কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ শিরোনামে বাংলাদেশের ৫১তম বাজেটে উপস্থাপন করেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার চতুর্থ বাজেট।

এ যেমন শুল্ক হার বাড়ানোর প্রস্তাব আসতে যাচ্ছে যেসব ধরনের বিলাসী পণ্যে। এতে দাম বাড়ছে বডি স্প্রে, প্রসাধনী পণ্য, জুস, প্যাকেটজাত খাদ্যের।

যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- আমদানি করা পনির ও দইয়ের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি পনির ও দইয়ের দাম বাড়তে পারে।

সিগারেটের নিম্ন স্তরের দশ শলাকার দাম ৩৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৫৭ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে নিম্ন স্তরের সিগারেটের দাম বাড়তে পারে।

আমদানি করা তৈরি পোশাকে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে বিদেশি পোশাকের দাম বাড়বে।

দাম বাড়বে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল, অপরিশোধিত আলকাতরা, বিদেশি পাখি, প্রিন্টিং প্লেট, ক্যাশ রেজিস্ট্রার, ফ্যান, মোটর, লাইটার, দুই স্ট্রোক ও ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিনের সিএনজি, কম্পিউটার প্রিন্টার ও টোনার, আমদানি করা মোবাইল চার্জার, কার্বন ডাই-অক্সাইড, আমদানি করা পেপার কাপ এবং প্লেটের।

এ ছাড়া বিলাসবহুল গাড়ি, রিকন্ডিশন ও হাইব্রিড গাড়িতে ২০০০ সিসি থেকে ৪০০০ সিসিতে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।ফলে এসবেরও দাম বাড়বে।বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলসহ প্রধান প্রধান সকল আমদানি দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যবস্থা ব্যাহত হয়ে সামগ্রিকভাবে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির যে সম্ভাবনা রয়েছে সেটিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। জনগণের চাহিদা ও স্বাস্থ্য খাতে উদ্ভূত প্রয়োজন মেটানো এবং দেশের মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে।

এ সময় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ মন্ত্রী এবং এমপিরা উপস্থিত ছিলেন।

   

কমলো জ্বালানি তেলের দাম



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্বালানি তেল বিপণন কোম্পানির জন্য ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের নতুন দর কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে। জ্বালানি খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে।

সোমবার (২ অক্টোবর) রাত ১২টার পর থেকেই এ দাম কার্যকর হবে বলে গেজেট প্রকাশ করেছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) তার অধীনস্থ কোম্পানি সমূহকে নুতন দরে বিক্রি করতে বলা হয়েছে।

প্রতি লিটার ডিজেল দাম নির্ধারণ (মুসকসহ) করা হয়েছে ১০৯ টাকা। কেরোসিন মুসকসহ ১০১.৪৪ টাকা, মুসকসহ অকটেন ১১৯.৬২ টাকা এবং মুসকসহ পেট্রোল ১১৪.৮৬ টাকা হয়েছে। জ্বালানি তেল বিক্রেতাদের কমিশন সমন্বয় করতে নতুন আদেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ১০৯ টাকা ও পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকা রয়েছে।

বহুল ব্যবহৃত ডিজেলের নতুন মূল্য কাঠামোতে বলা হয়েছে, প্রকৃত মূল্য ৮৮.২১ টাকার সঙ্গে মুসক ১৩.২৩ টাকা যোগ করে এক্স-রিফাইনারী মূল্য (কর-উত্তর) ১০১.৪৪ টাকা। ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক ২.১৪ টাকা, বিপণন কোম্পানির মার্জিন ৫০ পয়সা, সমান পরিবহন ভাড়ার তহবিল হিসাব ৯০ পয়সা, বিপিসির জ্বালানি তেল খাত উন্নয়ন তহবিল ১০ পয়সা মিলে মূল স্থাপনা মূল্য কেন্দ্র মূল্য ১০৫.০৮ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ডিলারদের স্থানীয় পরিবহন খরচ (৪০ কিলোমিটারের মধ্যে) ৯৩ পয়সা, ডিলার ও এজেন্টের কমিশন ২.৯৯ টাকা। সব মিলিয়ে বিক্রি হবে ১০৯ টাকা।

অন্যদিকে কেরোসিনে মুসক ১৩.৩৪ টাকা, পেট্রোলে ১৪.৯৮ টাকা এবং অকটেনে ১৫.৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

 

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে কেএমবি’র চুক্তি স্বাক্ষর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সম্প্রতি কেএমবি ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার লিমিটেড, ইউকে’র সঙ্গে লন্ডনের একটি স্থানীয় হোটেলে রেমিটেন্স প্রেরণ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাত এবং কেএমবি ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার লিমিটেড, ইউকে-এর সিইও কামরু মিয়া নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা কেএমবি ইন্টারন্যাশনাল মানি ট্রান্সফার লিমিটেড, ইউকে’র মাধ্যমে সহজে, দ্রুত ও কম খরচে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের সকল শাখা, উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটে রেমিটেন্স প্রেরণ করতে পারবেন।

ইউরোপের অন্যান্য দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও শীঘ্রই এই সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;

আইসিএমএল’র ব্যবস্থাপনায় ‘টার্ম ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান’ শীর্ষক নতুন সেবা চালু



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিবাজারের একমাত্র সরকারি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর অন্যতম সাবসিডিয়ারি আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (আইসিএমএল) এর ব্যবস্থাপনায় নতুন বিনিয়োগ সেবা Term Investment Plan (TIP) উদ্বোধন করা হয়েছে।

রোববার (১ অক্টোবর) আইসিএমএল’র প্রধান কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিবি’র পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ কিসমাতুল আহসান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব অমল কৃষ্ণ মন্ডল, আইসিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইসিএমএল এর চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আবুল হোসেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মসচিব ড. নাহিদ হোসেন, যুগ্মসচিব জনা বমোঃ গোলাম মোস্তফাসহ আইসিএমএলএর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ড. মোঃ হুমায়ুন কবির চৌধুরী, জনাব মোঃ জাহিদ হোসেন, মিজ্ ফৌজিয়া হক, এফসিএ, জনাব মোঃ আমজাদ হোসেন এবং জনাব রাজী উদ্দিন আহমেদ।

এছাড়া, আইসিবি’র মহাব্যবস্থাপকগণ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ সাধারণ বিনিয়োগকারীগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আইসিএমএলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিসেস মাজেদা খাতুন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন।

মার্চেন্ট ব্যাংকিং সেবাকে গণমুখী করার লক্ষ্যে বিনিয়োগকারীগণের (ব্যক্তি শ্রেণী/প্রাতিষ্ঠানিক) নিকট হতে সময় ভিত্তিক (মাসিক/ত্রৈমাসিক/ষাণ্মাসিক) নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে ডিসক্রিশনারি বিনিয়োগ হিসাবের আওতায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে ঝুঁকি সমন্বিত রিটার্ন প্রদানের লক্ষ্যে TIPসেবাটিবাজারে নিয়েআসা হয়েছে যা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক অনুমোদন প্রাপ্ত।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;

বাড়ল এলপি গ্যাসের দাম, ১২ কেজি ১৩৬৩ টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলপি গ্যাসের ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম বাড়ল ৭৯ টাকা। ১২ কেজি এলপিজির নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৬৩ টাকা। অটো গ্যাস প্রতি লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২.৫৪ টাকা। নতুন দর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

গত সেপ্টেম্বর মাসে ১২ কেজির দর ছিল ১২৮৪ টাকা, আর অটো গ্যাসের দাম ছিল প্রতি লিটার ৫৮.৫৭ টাকা। জুলাই মাসে ছিল সবচেয়ে কম দর, প্রতি লিটাদের দাম ছিল ৪৬.৪৯ টাকা। আর ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ছিল ৯৯৯ টাকা।

সোমবার (২ অক্টোবর) বিইআরসির হল রুমে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করে বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য কামরুজ্জামান, ড. মুহাম্মদ ইয়ামিনচৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন, আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান, বিইআরসির সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান খান।

২০২১ সালের ১২ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত এলপিজির দর ছিল কোম্পানিগুলোর ইচ্ছাধীন। ১২ এপ্রিল দর ঘোষণার সময় বলা হয় আমদানি নির্ভর এই জ্বালানি সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তিমূল্য ধরা হবে। সৌদির দর ওঠা-ওঠা-নামা করলে ভিত্তিমূল্য উঠানামা করবে। অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। ঘোষণার পর থেকে প্রতিমাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। তবে বিইআরসির ঘোষিত দর বাজারে পাওয়া নিয়ে অভিযোগ রয়েছে ভোক্তাদের। তাদের অভিযোগ হচ্ছে বাজারে নির্ধারিত মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে না। বিক্রেতারা তার ইচ্ছামত দর আদায় করছেন।

বিইআরসিও অভিযোগ কিছুটা মেনে নিয়েছেন। তাদের বক্তব্য হচ্ছে কিছু কিছু জায়গায় দর কার্যকর হচ্ছে না। সেজন্য তারা নানা রকম পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ৪টি কোম্পানিকে শোকজ করা হয়েছে। বিইআরসি নিজেও অভিযান পরিচালনা করছে, আবার ভোক্তা অধিদফতর ও জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়ে অভিযানে নামার জন্য বলা হয়েছে।

দর প্রসঙ্গে বিইআরসি চেয়ারম্যানের বক্তব্য হচ্ছে, ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেসব বিক্রেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ভবিষ্যতেও নেওয়া হবে।

  বাজেট অর্থবছর ২০২২-২৩

;