সোনালী ব্যাংককে ডোবাচ্ছে খুলনার পাট ব্যবসায়ীরা!



ডিস্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪ডটকম

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা: রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংক খুলনার ছয়টি শাখা থেকে পাট ব্যবসায়ীদের ঋণ দেয়া হয়েছিল এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে দেড় হাজার কোটি টাকার অধিক খেলাপি। রাষ্ট্রের এ বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় না করেই নতুন করে আরও এক হাজার কোটি টাকা ঋণ দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে সাতজন চিহ্নিত খেলাপিকে ৭১ কোটি টাকা পুনরায় ঋণ দেয়ার অনুমোদন হয়েছে।

তাদের কাছে সোনালী ব্যাংকের পূর্বের ২৩১ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। এভাবে অর্থ নিয়ে তা ফেরত না দিয়ে সোনালী ব্যাংককে ডোবাচ্ছে খুলনার পাট ব্যবসায়ীরা।

ব্যাংকের তথ্য মতে, প্রভাবশালীদের তদবির ও চাপের কারণে ২০০৮-২০১৬ সাল পর্যন্ত ১১৩ পাট ব্যবসায়ীকে ঋণ দেয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১০৮ জন ঋণ খেলাপি। খুলনায় সোনালী ব্যাংকের ছয়টি শাখা থেকে ঋণ দেয়া হয়েছিল প্রায় এক হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে খুলনা করপোরেট শাখা, দৌলতপুর কলেজ রোড শাখা ও স্যার ইকবাল রোড শাখার বিতরণকৃত ঋণের প্রায় শতভাগ খেলাপি। সিসি প্লেজ, সিসি হাইপো, পিসিসি ও ব্লক হিসাবের বিপরীতে কাঁচা পাট রফতানিতে এ ঋণ সুবিধা দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি এক হাজার ১০০ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে সিসি প্লেজ হিসাবের বিপরীতে। গুদামে মজুদ থাকা পাট জামানত রেখে প্লেজ ঋণ দেয়া হয়। ব্যাংক ঋণের টাকা ফেরত না পেলেও গুদামের পাট বিক্রি করে দিয়েছেন ঋণ খেলাপিরা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের কারণে এসব ঋণ খেলাপিকেই নতুন করে টাকা দিতে হচ্ছে বলে দাবি করেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। তিনি বলেন, ‘খুলনার পাট ব্যবসায়ীরা সোনালী ব্যাংককে ডোবাচ্ছেন। পাট খাতের সব মন্দ গ্রাহক এ ব্যাংকে ভিড়েছেন। নীতিমালার মধ্যে থেকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েও ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে ব্যাংকের টাকা আদায় করা যাচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার কারণে ঋণ খেলাপিদের নতুন করে টাকা দিতে হচ্ছে।’

সোনালী ব্যাংকের একাধিক সূত্র জানায়, ব্যাংকটির খুলনা করপোরেট শাখা কাঁচা পাট রফতানিতে ৫২ ব্যবসায়ীকে ৩৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে। এরমধ্যে ৩৮১ কোটি ৯৩ লাখ টাকাই খেলাপি হয়েছে। এ খাতে শাখাটির বিতরণকৃত ঋণের ৯৯ দশমিক ৪৮ শতাংশই এখন খেলাপি। খুলনার দৌলতপুর করপোরেট শাখা থেকে কাঁচা পাট রফতানির নামে ৬৬৯ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন ১৯ পাট ব্যবসায়ী। এরমধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৪৩৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, যা খাতটিতে বিতরণকৃত ঋণের ৬৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। ব্যাংকটির খুলনার দৌলতপুর কলেজ রোড শাখা থেকে ২০ জন গ্রাহক ঋণ নিয়েছেন ৩২২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৩১৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বা ৯৮ দশমিক ৮৮ শতাংশই খেলাপি হয়ে পড়েছে। ব্যাংকটির খালিশপুর শাখা থেকে ১৩ পাট ব্যবসায়ীকে দেয়া ৮০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৫৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ এ শাখা থেকে খাতটিতে বিতরণকৃত ঋণের ৬৯ দশমিক ৯১ শতাংশই খেলাপি। এছাড়া ব্যাংকটির খুলনার স্যার ইকবাল রোড শাখা থেকে দুজন পাট রফতানিকারককে দেয়া ৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকার পুরোটাই খেলাপি হয়ে গেছে।

খুলনা অঞ্চলে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ ৩০ ঋণ খেলাপির কাছে ঋণ রয়েছে এক হাজার ৬৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে মো. এমদাদুল হোসেনের সোনালী জুট মিলস লিমিটেডের কাছে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১২৭ কোটি, অশোক কুমার দাশের এ কে জুট ট্রেডিংয়ের কাছে ১১৭ কোটি, সেলিম রেজার মেসার্স রেজা জুট ট্রেডিংয়ের কাছে ৩৮ কোটি ও সনজিত কুমার দাশের ইস্টার্ন ট্রেডার্সের কাছে ৯২ কোটি টাকা।

এর বাইরে মেসার্স শরীফ জুট ট্রেডিংয়ের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৬৩ কোটি, জাহিদুল ইসলামের মেসার্স জুয়েল জুট লিমিটেডের ৪৯ কোটি, মেসার্স সিরাজুল ইসলামের ৪০ কোটি, আলীফ জুট ট্রেডিংয়ের ৩৬ কোটি, অনিক জুট ইন্টারন্যাশনালের ৩০ কোটি, সানরাইজ ইন্টারন্যাশনালের ৩০ কোটি, অগ্রণী পাট সংস্থার ২৮ কোটি, মেসার্স শরীফ মোল্যার ২৫ কোটি, মেসার্স আবুল কাশেমের ২২ কোটি, এসআর জুট ট্রেডিংয়ের ২৩ কোটি, রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়ার প্রমি জুট ট্রেডার্সের ২০ কোটি, মনোয়ারা জুট ফাইবার্সের ১৮ কোটি এবং এসঅ্যান্ডএস জুট ট্রেডিং কোং লিমিটেডের ১৮ কোটি টাকা।

এছাড়া মেসার্স হাফিজ অ্যান্ড ব্রাদার্সের কাছে ১৭ কোটি, রাষ্ট্রায়ত্ত আলীম জুট মিলস লিমিটেডের ১৬ কোটি, রোজেমকো লিমিটেডের ১৫ কোটি, ব্রাদার্স ইন্টারন্যাশনালের ১৫ কোটি, দ্য পাঠান জুট ট্রেডিংয়ের ১৫ কোটি, আলমগীর জুট ট্রেডিংয়ের ১৪ কোটি, আবির জুট ট্রেডিংয়ের ১৩ কোটি, আজাদ ব্রাদার্সের ১৩ কোটি ও এমআর জুট ট্রেডিংয়ের কাছে ১২ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে সোনালী ব্যাংকের।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী মহলের তদবিরে সম্প্রতি ২৩১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের ওপর তৃতীয় দফায় ব্লক সুবিধা পেয়েছেন খুলনার সাত পাট ব্যবসায়ী। খেলাপি ঋণ ব্লক করে মো. সিরাজুল ইসলাম, এসআর জুট ট্রেডিং, বেঙ্গল জুট ট্রেডিং, নক্ষত্র জুট ট্রেডিং ও পিআর জুট ট্রেডিংকে নতুন করে ৭১ কোটি টাকা বিতরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, সোনালী ব্যাংক খুলনা জিএম কার্যালয়ের অধীনে ছয়টি জেলার ১২৩টি শাখা। এ শাখাগুলো থেকে ঋণ বিতরণ করা হয়েছে চার হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, যা সোনালী ব্যাংকের মোট ঋণের ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ। খুলনা জিএম কার্যালয়ের অধীনে খেলাপি ঋণ রয়েছে এক হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা। এছাড়া স্বাভাবিক পন্থায় আদায় অযোগ্য হওয়ায় অবলোপন করা হয়েছে ৩০১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। সব মিলিয়ে সোনালী ব্যাংকের খুলনা অঞ্চলের ১২৩টি শাখার খেলাপি ঋণের মধ্যে ৯০ শতাংশই পাট ব্যবসায়ীদের দেয়া হয়েছে ছয়টি শাখায়। সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি শাখার মধ্যে চারটিই খুলনার। এরমধ্যে খুলনার করপোরেট শাখায় ৮১২ কোটি, দৌলতপুর করপোরেট শাখায় ৪৭১ কোটি, দৌলতপুর কলেজ রোড শাখায় ৩৪৩ কোটি ও খালিশপুর শাখায় ৭১ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফুলতলা মহিলা কলেজের প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অর্থ ঋণ দেয়া ও তা সময় মতো আদায় করার আন্তরিকতার অভাবেই খেলাপি ঋণের পাহাড় সৃষ্টি হচ্ছে। পাট ব্যবসা নিঃসন্দেহে লাভজনক। তাহলে কেন বছরের পর বছর পাট ব্যবসায়ীরা ঋণ খেলাপি? তাহলে কী ব্যবসার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্য রয়েছে তাদের?’

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রায় ১২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী জুট মিলের মালিক এসএম এমদাদুল হোসেন বুলবুল ও সোনালী ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার নেপাল চন্দ্র সাহা, ব্যাংকের খুলনা করপোরেট শাখার অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার কাজী হাবিবুর রহমান, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শেখ তৈয়াবুর রহমান ও সাবেক ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সমীর কুমার দেবনাথের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন দুদক সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন। একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রায় ৯৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দৌলতপুরের পাট ব্যবসায়ী সনজিত কুমার দাস ও সোনালী ব্যাংক দৌলতপুর শাখার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। ২০১৫ সালে প্রায় সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দৌলতপুরের মেসার্স আকবর আলী অ্যান্ড সন্সের মালিক মো. আকবর আলীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।

এভাবে একদিকে খেলাপির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, অন্যদিকে দায়মুক্তি দিয়ে তাদের পুনরায় ঋণ দেয়া হচ্ছে। এ সম্পর্কে দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি খুলনা জেলার সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান জানান, কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ীই বর্তমানে পাট খাতে ঋণ নিয়ে বিলাসিতার পাশাপাশি ঋণের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করছেন। সে টাকা সুদাসলে ঠিক মতো ব্যাংকে ফেরত যায় না। এ খাতের দুর্নীতি এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে। ব্যবসায়ী, গোডাউন কিপার ও ব্যাংক কর্মকর্তারা যোগসাজশে টাকা আত্মসাৎ করছেন। শুধু পাট শিল্প নয় এভাবে খেলাপি ঋণের বোঝা বাড়তে থাকলে ব্যাংকখাতেও বিপর্যয় নেমে আসবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

   

ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

রোববার (১৯ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবার এ নির্দেশ দেন। 

একইসঙ্গে ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস ‘রিচার্জ’ -এর মালিক গোলাম মোস্তফাকে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, রিচার্জ ও টারবোর ড্রিংকসের মালিককে তলব করেন আদালত।

;

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের সম্প্রসারণ চায় কানাডা বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু

রোববার (১৯ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কানাডার ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিলের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।সাক্ষাৎ শেষে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশে (এলডিসি) উত্তরণ হতে যাচ্ছে। বাজার সুবিধা পেতে বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশন আজ শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে আসিয়ান দেশগুলোর সাথে সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

ইন্দো-প্যাসি‌ফিক বা‌ণিজ্য প্রতি‌নি‌ধি পল থো‌পিল বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যকার সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে আগ্রহী করতে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করতে চায় কানাডা। অবকাঠামোগত প্রকল্প, সাইবার নিরাপত্তা একইসাথে তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী কানাডা। ক্যানোলা তেল রফতানি হতে পারে এদেশে, এ তেলের ফ্যাক্টরি এখানে স্থাপন হলে তেল প্রক্রিয়া করা আরও সহজ হবে বলে জানান তিনি।

এসময় বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকলস, কমার্সিয়াল কাউন্সিলর দেবরা বইয়েস, এশিয়া-প্যাসিফিক ভাইস-প্রেসিডেন্টের চিফ স্টাফ ব্র‍্যাড কোয়েল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (ডিজি) খন্দকার মাসুদুল আলম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আজ সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশ-জাপান ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট নেগোসিয়েশনের প্রথম পর্ব শুরু হয়েছে। এসময় দু'দেশের বাণিজ্যিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নেগোসিয়েশন হবে, যা শেষ হবে বৃহস্পতিবার (২৩ মে)।

;

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন, গুলিবিদ্ধ ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে পুলিশের সঙ্গে অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে কালশী মোড়ের ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং বন্ধ রয়েছে যান চলাচল

রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে অটোরিকশা চালকরা এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মিরপুর বেনারসি পল্লীর ৪ নম্বর সড়কে অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েকট গাড়িও ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে বাস থেকে নেমে পড়েন। 

দুপুর সোয়া একটার দিকে অটোরিকশা চালকরা কালশী সড়ক আটকে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এ সময় অনেকের হাতে লাঠি দেখা যায়। তারা গাড়ি ভাঙচুর করতেও উদ্যত হয়। তারা সড়কের মাঝখানে রশি টানিয়ে দিয়ে যানচলাচল বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সড়কে তারা গাড়ি আড়াআড়িভাবে রাখতে বাস চালকদের বাধ্য করেন। এতে ওই সড়ক ব্যবহারকারী হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তিতে পড়েন। গন্তব্যে যেতে মানুষজনকে পায়ে হেঁটে রওনা দিতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে পুলিশ একপাশ দিয়ে বাস ছেড়ে দিলেই উত্তেজিত অটোরিকশার চালকেরা লাঠি ও ইট-পাটকেল ছুড়ে বাসে ভাঙচুর চালায়। ওই সময় বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে দ্রুত নেমে পড়েন। দুপুরের ওই ঘটনার সময় আন্দোলনকারীরা মিরপুর-১০ নম্বরে বিআরটিসি ও আলিফ পরিবহন ছাড়াও কয়েকটি বাসে ভাঙচুর চালান।

এদিকে, গণপরিবহনে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মিরপুর জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ভাঙচুরের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আন্দোলনকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দিলেও পরে তারা আবারও ভাঙচুর চালায়। এদের পেছনে কেউ আছে কিনা, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

;

চুয়াডাঙ্গায় নকল স্যালাইন জব্দ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নকল ওরস্যালাইন বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ও হাটবোয়ালিয়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সহল আহমেদ। অভিযানে সার-কীটনাশক, মুদি দোকান, স্যালাইনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন তিনি।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, ভাংবাড়ীয়া এলাকায় মেসার্স মারিফুল স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে এসএমসির ওরস্যালাইন এন-এর নকল স্যালাইন বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় প্রায় ১ কার্টুন (৫০০ প্যাকেট) নকল স্যালাইন জব্দ করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রয় ও সারের ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. মারুফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ও ৪৫ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে মারুফুলকে নিয়ে তার দেওয়া তথ্যমতে নকল ওরস্যালাইন-এর সাপ্লায়ার মেসার্স লিটন স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামান প্রথমে নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তার বাড়ি ও গোডাউন তল্লাশি করতে চাইলে এক পর্যায়ে তিনি নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে ৬ কার্টুন (৩ হাজার প্যাকেট) নকল এসএমসির ওরস্যালাইন এন জব্দ করা হয়। নকল ভেজাল স্যালাইন বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামানকে ৪১ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা নকল স্যালাইন আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, সবাইকে যথাযথভাবে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় কোনো পণ্য ক্রয়ের আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে কেনার জন্য ভোক্তাদের অনুরোধ করেন। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।

;