সামাজিক দূরত্বকে গুরুত্ব না দিয়ে শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ড



মাহিদুল মাহিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বুথ থেকে টাকা তুলছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই বুথ থেকে টাকা তুলছেন শ্রমিকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই অবগত আছে বিশ্ববাসী। সামাজিক দূরত্ব ও ব্যক্তি সচেতনতাই একমাত্র এই ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায়। ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সারাদেশেই চলছে অঘোষিত লকডাউন। উপজেলা প্রশাসনও নিয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। কিন্তু কে মানে কার কথা!

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে যেখানে সারাদেশের প্রায় সবকিছুই বন্ধ রাখা হয়েছে, সেখানে শ্রমিকরা দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই হুমড়ি খেয়ে টাকা উঠাতে ভিড় জমিয়েছে এটিএম বুথগুলোতে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা যে কতটা প্রশস্ত তা আক্রান্ত উন্নত দেশগুলোর দিকে তাকালেই বুঝা যায়। যে কারণে দেশের সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণ-পরিবহন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিল্পকারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তা আসলে কতটুকু পূর্ণতা পেয়েছে তা বুঝতে হলে তাকাতে হবে সাভারের বিভিন্ন এলাকার এটিএম বুথে।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম বুথগুলো ঘুরে দেখা যায়, টাকা তোলার জন্য শ্রমিকরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গা ঘেঁষে লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছেন। লম্বা লাইন দিয়ে তারা দাঁড়িয়েছেন ঠিকই কিন্তু মাঝে নেই কোনো দূরত্ব। যেই সামাজিক দূরত্বকে গুরুত্ব দিয়ে সকল শ্রমিকের বেতন ব্যাংক একাউন্টে দেওয়া হয়েছে, আর সেই দূরত্ব বজায় না রেখেই তারা বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করছেন।

দূরত্বকে গুরুত্ব না দিয়ে শ্রমিকদের ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ড
সামাজিক দূরত্ব নেই কারো মাঝে

আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকার ঢাকা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করে বের হয়েছেন মাহমুদা। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, চারপাশে করোনাভাইরাসের জন্য লকডাউন শুরু হয়েছে। এটিএম বুথের টাকা ফুরিয়ে গেলে ঝামেলায় পড়তে হবে। এমনি বাজারঘাট বন্ধ তাতে আবার টাকা না থাকলে তো খাবার কিনতে পারবো না। টাকা থাকলে কোনো না কোনো সময় দোকান থেকে কিছু কিনে খেতে পারবো। না থাকলে সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে।

অপর শ্রমিক আলপনা বলেন, আমরা ঘর থেকে বাহিরে বের হচ্ছি না। কিন্তু টাকার প্রয়োজনে আজ বের হতে বাধ্য হলাম। টাকা খুব দরকার ছিলো। আর সারাদিনই বুথে ভিড় থাকবে। ভিড় কমে যাওয়ার আশায় থাকলে আর টাকা তোলা হবে না। আগে এরকম সকালে টাকা উত্তোলন করতে এসে বিকেলে টাকা উঠাইছি। আজ এই ভুল করি নাই।

গ্রামে না যাওয়া শ্রমিক লিয়ন বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে গ্রামে পর্যন্ত যাইনি। কিন্তু আশেপাশের সব শ্রমিক সারাদেশ ভ্রমণ করে এসেছে। ঢাকায় থাকায় সারাদেশ ভ্রমণ করা শ্রমিকদের সাথে থাকা লাগছে। আমরা অনেকেই একই গোসলখানা ব্যবহার করছি। যারা ঢাকায় ছিলাম এখন দেখি তারাই বেশ ঝুঁকিতে আছি।

তিনি আরো বলেন, বাজারে, দোকানে এটিএম বুথে সব জায়গায় ভ্রমণ করা শ্রমিকেরাই আগে থাকছে। আসলে আমরা কোথায় যাবো কি করবো বুঝতে পারছি না। আমি সকালে এটিএম বুথে আমার বেতনের টাকা তুলতে এসেছি। এখনো দাঁড়িয়ে আছি। দেখছি উপচে পরা ভিড়। আজ মনে হয় আমার টাকা উত্তোলন করা হবে না।

এব্যাপারে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। তাদের নিজ একাউন্টে বেতন পরিশোধ করেছে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ব্যাংক কর্মকর্তারা। দেশে শুধু ব্যাংক সীমিত আকারে খোলা আছে। সেদিকে অবশ্যই তাদের তিন ফুট দূরত্বে চিহ্ন আঁকা উচিত ছিলো। তার পরেও শ্রমিকদের উদ্দেশ্য বলবো তারা যেন নিরাপদ দূরত্বে থেকে এটিএম বুথ থেকে টাকা উত্তোলন করেন।

   

মে মাসের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ আগামী মাসের মধ্যেভাগে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারে। আরব আমিরাতে অবস্থান করা জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন করে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হবে। দেশে পৌঁছতে সময় লাগতে পারে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৩ নাবিকই জাহাজে করে ফিরবেন। তবে চট্টগ্রামে ফিরতে তাঁদের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিও সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মি করার ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে ২১ এপ্রিল বিকেলে। সেখানে কয়লা খালাস শেষে নতুন করে পণ্য নিতে মিনা সাকারে যাচ্ছে জাহাজটি। এরপরই অপেক্ষা ফুরাবে নাবিক ও তাঁদের পরিবারের। স্বদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন নাবিকেরা।

;

বনানীতে বাসে আগুন, আহত সেই মোটরসাইকেল চালক মারা গেছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাসের নিচে ঢুকে পরা মোটরসাইকেলটির চালক মারা গেছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শ্যামলির স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে স্পেশালাইজড হাসপাতালে।

শনিবার দুপুরে বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসের নিচে চলন্ত মোটরসাইকেল ঢুকে পরায় আগুন ধরে যায় বাসটিতে। এ সময় আতহ চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পথচারীরা। তবে ঘটনার পর থেকে আহত মোটরসাইকেল চালকের সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ।

;

সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে বাসের ধাক্কায়  এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ নোমান মোল্লা (৩৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার একতা গ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লার ছেলে। তিনি মাতুয়াইল মেডিকেল মহিলা মাদ্রাসার পাশে ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (২৭এপ্রিল) রাত পৌনে এগারোটার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নোমান মোল্লাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী রাজু বলেছেন, আজ রাতের দিকে ওই যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায় ওই আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ রোববার (২৮ এপ্রিল)। ১৯৫৪ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শেখ জামাল ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে ম্যাট্রিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন।

সংস্কৃতি ও ক্রীড়াপ্রেমী শেখ জামাল গিটার শেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তিনি একজন ভালো ক্রিকেটারও ছিলেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস, বিএলএফ) যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ঐ দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন শেখ জামাল।

শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ রোববার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং তার পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

;