'কর্মহীন ৯০ লক্ষ পরিবহন শ্রমিকের পাশে দাঁড়ান'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লকডাউন বা সাধারণ ছুটির ফলে কর্মহীন ৯০ লক্ষ সড়ক ও নৌ পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে সড়ক ও নৌ পরিবহনের মালিক-শ্রমিক সংগঠনসমূহের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ৭০ লক্ষ সড়ক পরিবহনের চালক-শ্রমিক ও ২০ লক্ষ নৌ পরিবহন শ্রমিক গত ২৬ মার্চ দেশে পরিবহন বন্ধ হওয়ার পর থেকে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

আমাদের দেশের সড়ক ও নৌ যোগাযোগ সেক্টরে সঠিক বেতন কাঠামো কার্যকর না থাকায় প্রায় ৯৮ শতাংশ পরিবহন শ্রমিক দৈনিক মজুরি বা ট্রিপ ভিত্তিক চাকরি করে থাকেন। তাই তারা দৈনিক শ্রমিকের মতো দিনে আনে দিনে খায় ভিত্তিতে এই সেক্টরে কাজ করে থাকেন।

গত ২৬ মার্চ থেকে দীর্ঘদিন ধরে পরিবহন বন্ধ থাকায় তাদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে পড়ার কারণে তারা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমতাবস্থায় মানবিক সাহায্য নিয়ে এসব শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে স্ব-স্ব পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।

বিবৃতিতে মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও দাবি করেন, দেশের অর্থনীতির লাইফ লাইন সচল রাখতে এসব পরিবহন শ্রমিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই দুর্যোগে শ্রমিকদের পাশে না দাঁড়ালে তারা কর্মহীন বা পেশা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। যা এই সেক্টর আগামী দিনে সচল করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।

   

'পেনশন অ্যান্ড রিটায়ার্ড সার্ভিস' সেকশন চালুর ঘোষণা দিলেন ডিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডিএমপি থেকে অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের অবসর পরবর্তী সকল সেবা নির্বিঘ্ন করতে পেনশন অ্যান্ড রিটায়ার্ড সার্ভিস নামে নতুন একটি শাখা চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার নতুন এই শাখা চালুর ঘোষণা দেন।

বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোপূর্বে অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের পেনশন পাওয়া অনেক কষ্টকর ছিলো। তখন তাদের সেবা সহজ করার জন্য ডিএমপিতে ‘ওয়ান স্টপ পেনশন সার্ভিস’ চালু করা হয়। এরপরও কিছু সদস্যের পেনশন পেতে কমিশনারের দপ্তরে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। এ কারণে ডিএমপির ‘ওয়ান স্টপ পেনশন সার্ভিস’ এর সেবার মান বাড়ানোর পাশাপাশি এখন থেকে যারা অবসরে যাবেন তাদের অবসরকালীন সময় পুলিশী সেবা সংক্রান্ত যেকোনো সহযোগিতার ক্ষেত্রে ‘পেনশন অ্যান্ড রিটায়ার্ড সার্ভিস সেকশন’ দায়িত্ব পালন করবে। তাদের সকল সেবা নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে ডিসি হেডকোয়ার্টার্সের তত্ত্বাবধানে কাজ করবে এই শাখা।

অবসরপ্রাপ্ত সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা দীর্ঘদিন এদেশের জন্য, এদেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য কাজ করেছেন। চাকুরি জীবনে আপনাদের ত্যাগ, কষ্ট ও অবদান পুলিশ বাহিনী বিনয়ের সাথে স্মরণ করবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের চাকরি কেবল চাকরি নয়, এটি একটি ইবাদত বটে। সকল ধর্মে মানবতার সেবা ও প্রাণীর সেবা করার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ তেমন একটা চাকরি, যেখানে চাকরি করার সুবাদে মানষের সেবা করার সুযোগ রয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠার পর কখন ঘুমাতে যাবেন ঠিক থাকে না, ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিটি কাজ মানুষের সেবার জন্য করেন। এটি যদি নিয়ত নিয়ে করেন তাহলে চাকরির পাশাপাশি ইবাদতও হয়। আপনারাও এই মহান পেশা থেকে চাকরি জীবন শেষ করে অবসর নিয়েছেন। আমি আপনাদের সকলের সুস্থতা ও দীর্ঘ আয়ু কামনা করি।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বলেন, আপনাদের দীর্ঘ দাপ্তরিক জীবন থেকে একটি সফল সমাপ্তি ঘটলো। আপনারা বাকী সময়টুকু পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে সুস্থতার সাথে বসবাস করবে এমন প্রত্যাশা রইল। আমরা আপনাদের পাশে ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব।

অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মুনির হোসেন চৌধুরী তার অনুভুতি ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘদিন সুনামের সাথে বাংলাদেশ পুলিশে চাকরি করেছি। অবসর গ্রহণ করাটা চাকরির একটি অংশ। এমন সুন্দরভাবে সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য ডিএমপি কমিশনার মহোদয়কে ধন্যবাদ।

অবসরপ্রাপ্ত কনস্টবল রইস উদ্দিন তার অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন পুলিশের চাকরি করে খুব সুন্দর ও আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছি। এই স্মৃতি বাকি জীবন আমার স্মরণ থাকবে। ভালোভাবে সুস্থতার সাথে অবসর যেতে পারায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই।

বাংলাদেশ পুলিশে দীর্ঘ কর্মময় জীবন শেষে সম্প্রতি ডিএমপি থেকে অবসর নিয়েছেন ১৯৬ জন পুলিশ সদস্য। আজ তাঁদেরকে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদায় সংবর্ধনা দেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। বিদায়ী পুলিশ সদস্যদের মাঝে সম্মাননা স্মারক ও উপহার প্রদান করেন তিনি। অবসরে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার দুইজন, সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার ১৩ জন, পুলিশ পরিদর্শক ২৫ জন, এসআই/টিএসআই ২৭ জন, এএসআই জন/এটিএসআই ১৮ জন, নায়েক ১৯ জন, কনস্টেবল ৮৭ জন ও সিভিল স্টাফ ৫ জন।

ঢাকার বাইরে থেকে যারা বিদায় সংবর্ধনায় এসেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের পক্ষ থেকে তাদের জন্য যাতায়াতের ব্যবস্থাও করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান বিপিএম-সেবা; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

;

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র, আ, ম, উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগ কর্তৃক শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। একটা গভীর রাজনৈতিক চক্রান্তের অংশ হিসেবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীর পুত্র শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল অত্যন্ত অমায়িক, ভদ্র, মিশুক প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি একজন স্মার্ট মিলিটারি অফিসার ছিলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। তার মতো দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নক্ষত্রকে যারা হত্যা করতে পারে তাদের নির্মমতা সহজেই অনুমেয়।

তরুণ প্রজন্মকে শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার মতো জীবন গঠনের আহ্বান জানান মন্ত্রী। শেখ জামালের মতো দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণ প্রজন্ম আগামীতে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মহাপরিচালক মো. জাফর ওয়াজেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাথে যারা জড়িত ছিলো তাদের বেশিরভাগই পাকিন্তান আর্মি ফেরত। যদিও এদের অনেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলো, তথাপি তারা পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখার বিষয়।

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর দেশরক্ষার জন্য গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন ছিলো আরও একটি যুদ্ধ। এ যুদ্ধে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সমুন্নত হয়েছে, এ যুদ্ধে যুবলীগ সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।

বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও লেখক অজয় দাশ গুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের তুলনায় অনেক ছোট ছিলো। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পেরিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ। অথচ এই জাতিকে তারা শোষণ ও নির্যাতন করে দাবিয়ে রাখতে চেয়েছিলো। এজন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জিয়াউর রহমান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো। একটি পৃথক কমিশন গঠন করে এ হত্যাকাণ্ডের পিছনে জিয়ার ভূমিকা উন্মোচন ও তার মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান শেখ ফজলে শামস পরশ।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

;

উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে: ধর্মমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, বৈশ্বিক মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেও দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে ইতিহাসে শেখ হাসিনার নাম লেখা থাকবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা আকরাম খাঁ হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘দেশ ও জাতির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু একাডেমির সহ-সভাপতি এমরান হোসেন।

ফরিদুল হক খান বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে সৎ সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান তৃতীয়। মানবিকতায়ও তিনি নন্দিত রাষ্ট্রনায়কের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। বিশ্বের যে ক’জন নেতাকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গুরুত্ব দেয় তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা অন্যতম। দেশবাসীর নিকট তিনি আশার বাতিঘর হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

শেখ হাসিনার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, সফল নেতৃত্বের সকল বৈশিষ্ট্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মাঝে রয়েছে। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠির রোষানলে পড়েন। তাকে বারবার কারান্তরীণ করা হয়। তাকে ১৯ বার প্রকাশ্যে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কখনোই ভেঙে পড়েননি, মনোবল হারাননি। মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার চিত্ত সর্বদা ভয়শূন্য।

;

দেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আরও ২৮  



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ২৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) নয়জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, ঢাকা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে একজন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুইজন এবং খুলনা বিভাগের (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।

২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মোট ৩০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে মোট দুই হাজার ৪২ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ২৪ জন। মৃতদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ এবং ১৩ জন নারী।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;