সিলেটে যেসব ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ



নূর আহমদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

এসব ভোট কেন্দ্রগুলো হচ্ছে-সরকারি আলিয়া মাদরাসা, চৌহাট্টা (পূর্ব পাশের ভবন), চৌহাট্টা (উত্তর পাশের ভবন), মদন মোহন কলেজ (পুরান ভবন), রসময় হাইস্কুল-দাড়িয়াপাড়া, ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মীরের ময়দান (নতুন ভবন), আম্বরখানা কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আম্বরখানা কলোনি সংলগ্ন (পশ্চিম পাশের ১ম ও ২য় তলা), আম্বরখানা কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আম্বরখানা কলোনি সংলগ্ন (দক্ষিণ পাশের ভবন), খাসদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাসদবীর (দক্ষিণ পাশের ভবন ১ম ও ২য় তলা), খাসদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাসদবীর (উত্তর পাশের), স্কলার্স হোম প্রিপারেটরি স্কুল, ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোড আম্বরখানা, জামেয়া মাদিনাতুল উলুম দারুস সালাম, খাসদবীর (২য় তলা), বিলাস কমিউনিটি সেন্টার, চৌকিদেখী, আনোয়ারা মতিন একাডেমি, চৌকিদেখী (পূর্ব ও উত্তর পাশের), একাডেমিক ভবন প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, সুবিদবাজার (২য় ও ৩য় তলা)।


ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের মধ্যে আরও রয়েছে আব্দুল গফুর ইসলামী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জালালাবাদ আ/এ, (ভবন-২ নতুন), গৌছ উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম পীর মহল্লা, শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা, পাঠানটুলা (পশ্চিম পাশের ভবন), সিটি মডেল স্কুল, নোয়াপাড়া, বীরেশ চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণশাসন (উত্তর পাশের ভবন), মদন মোহন কলেজ কমার্স ফ্যাকাল্টি, পাঠানটুলা ক্যাম্পাস, তারাপুর, পাঠানটুলা দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানটুলা (পূর্ব পাশের ভবন ৩), পাঠানটুলা দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানটুলা (পূর্ব পাশের ভবন-২), সিলেট ইনক্লুসিভ স্কুল অ্যান্ড কলেজ এতিম স্কুল, সমাজকল্যাণ কমপ্লেক্স, বাগবাড়ী (পশ্চিম পাশের ভবন), আনন্দ নিকেতন, সুবিদবাজার (দক্ষিণ পাশের ভবন), জালালাবাদ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঘাসিটুলা, ডহর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডহর (পূর্ব পাশের ভবন), মঈন উদ্দিন আদর্শ মহিলা কলেজ, মধুশহীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুশহীদ (২য় ও ৩য় তলা), ভাতালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাতালিয়া, (নিচ তলা), লামাবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মঈনুন্নেসা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শেখঘাট (দক্ষিণ পাশের ভবন), ভবন-২, শেখঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখঘাট, সরকারি বাক শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, শেখঘাট, জামিয়া ইসলামিয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদরাসা, কাজিরবাজার, মির্জাজাঙ্গাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মির্জাজাঙ্গাল, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, জিন্দাবাজার, সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, কালীঘাট (দক্ষিণ পাশের ভবন), হাকীম বশিরুল হক ছাত্রাবাস ও ওষুধ প্রস্তুত ব্যবহারিক বিভাগ (পুরাতন সরকারি তিব্বিয়া কলেজ), চালিবন্দর, দুর্গাকুমার পাঠশালা, বন্দরবাজার, শাহজালাল জামিয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মিরাবাজার (পশ্চিম পাশের ভবন), কিশোরী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বালক), মিরাবাজার, দি এইডেড হাইস্কুল, তাঁতিপাড়া, কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, উত্তর পাশের ভবন, নয়াসড়ক, কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, নয়া সড়ক (পূর্ব পাশের ভবন), কাজী জালাল উদ্দিন বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজীটুলা, কাজী জালাল উদ্দিন বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাজীটুলা (নিচতলা), দি রয়েল এমসি একাডেমি, কাজীটুলা, আম্বরখানা দরগা গেইট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দরগা গেইট, মডেল হাইস্কুল, মিরাবাজার, কাজী জালাল উদ্দিন বহুমুখী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কুমারপাড়া, ঝর্ণারপাড়া, (উত্তর পাশের ভবন), রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝেরঝেরিপাড়া (৩য় ও ৪র্থ তলা), হাজী শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহী ঈদগাহ, (পূর্ব পাশের ভবন), বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রায়নগর, এমসি কলেজ, টিলাগড়, নবীনচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এছাড়া আরও রয়েছে দেবপাড়া (উত্তর পাশের ভবন), নবীনচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবপাড়া, (দক্ষিণ পাশের ভবন), কেন্দ্র-২, সৈয়দ হাতিম আলী বিদ্যালয়, সাদিপুর (নিচতলা), চান্দুশাহ জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, কালাসীল, সোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সোনারপাড়া, (পুরাতন), স্কলার্স হোম প্রিপারেটরি স্কুল, শিবগঞ্জ, শাহজালাল উপশহর উচ্চ বিদ্যালয়, উপশহর, শাহজালাল উপশহর উচ্চ বিদ্যালয়, (দক্ষিণ পাশের ভবন), মাধ্যমিক শাখা, আব্দুল হামিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাছিমপুর (পূর্ব পাশের ভবন), মেন্দিবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেন্দিবাগ, উমরশাহ তেররতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেররতন (১ম তলা), নতুন ভবন, উমরশাহ তেররতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেররতন, মূল ভবন, গাজী বুরহান উদ্দিন গরম দেওয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, টুলটিকর,মেনিখোলা মৌরবিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়েস্থরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কায়েস্তরাইল, খোজারখলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খোজারখলা (ভবন নং-১), কদমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কদমতলী (নিচতলা টিনসেডসহ), ঝালোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝালোপাড়া, সিলেট রেলওয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সাধুবাজার, জহির তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানপাড়া, জহির তাহির মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, পাঠানপাড়া (দক্ষিণ পাশের নতুন ভবন), গোটাটিকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোটাটিকর, গোটাটিকর দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়, গোটাটিকর, হবিনন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হবিনন্দি।

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্যে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। সকল কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

   

ফেনীতে ইউপি সদস্যর বাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তা চিনি জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের ওবায়দুল হক নামে এক ইউপি সদস্যের খামারবাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৫ মে) সকালে উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে চিনিগুলো জব্দ করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে গোপন সংবাদ পেয়ে মহামায়া ইউনিয়নের পশ্চিম দেবপুর এলাকায় ইউপি সদস্য ওবায়দুল হকের খামারবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। অভিযানে বাড়ি থেকে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৩ লাখ টাকা।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ইউপি সদস্য ওবায়দুল হকের ছেলে আরিফ এবং তার সহযোগী নুরুকে আসামি করে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ওবায়দুল হক বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে নুরুর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সে সুবাধে সে খামার বাড়িতে নুরু চিনিগুলো রেখেছিল। এতে আমি বা আমার ছেলে জড়িত না। ঘটনার পর নুরু বাড়িতে এসে তার সব শেষ হয়ে গেছে বলে আমাকে জানান। তখন চিনিগুলো আটকের আগে কেন এই বিষয়ে আমাকে জানায়নি সে বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি।

ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম বলেন, ইউপি সদস্যের খামারবাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৯৮ বস্তায় ৯ হাজার ৯০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুত ১৮৯ টি সাইক্লোন সেল্টার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুরে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৮৯ টি সাইক্লোন সেল্টার। এছাড়া ৬৪টি মেডিকেল টিমও গঠন করার হচ্ছে।

দুর্যোগকালীন ত্রাণ তহবিলে ১৯ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৪৫০ মেট্টিক টন চাল রয়েছে। দুর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণী রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে।

শনিবার (২৫ মে) রাত ১১ টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমটির প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানান।

এ সময় জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেজাই রাফিন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহের নিগারসহ সরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, ইতিমধ্যে আমাদের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই দুর্যোগে আমাদের প্রত্যেককে সমন্বিত ভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। আগামীকাল থেকে চরাঞ্চলসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার কাজ শুরু হবে।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: রাত গভীর হচ্ছে উপকূলে আতঙ্ক বাড়ছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় জেলা বরগুনায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বরগুনার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতি বৃদ্ধির পাচ্ছে। ফলে ঝড়ের সময় যত এগিয়ে আসছে উপকূলবাসীর আতঙ্ক তত বাড়ছে। স্থানীয়রা প্রয়োজনীয় মালামাল গুছিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরের ওপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

কথা হয় বরগুনা কাকাচিড়া মাঝেরচর এলাকার বাসিন্দা আল-আমিনের সাথে তিনি বলেন, এর আগেও আমরা অনেক ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাস মোকাবেলা করেছি এবার শুনেছি নতুন ঘূর্ণিঝড় রেমাল আসছে। ২০০৭ সালে আমি যখন ছোট সেই সময় থেকে বন্যা মোকাবেলা করে আসছি। বরগুনা কাকচিড়া মাঝের চড়ে বড় কোন আশ্রয় কেন্দ্র নেই, বেড়িবাঁধ নেই, থাকলে ভালো হতো। সরকার একটু সহযোগিতা করে আমাদের পাশে যে বেড়িবাঁধ রয়েছে একেবারেই নাজুক অবস্থায় মেরামত করলে হয়তোবা আমরা ভালোভাবে থাকতে পারবো।

ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল হক জানান, সিডরের সময় বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়। এরপর থেকে আর কখনো স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেনি সরকার। বিষখালী নদী পাড়ের এই বাঁধ নির্মাণ না করলে মাঝারি ধরনের কোন ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটবে এখানে।

বরগুনা পোটকাখালী আশ্রয়ণ প্রকল্পের থাকা হালিমা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে কথা টিভিতে দেখেছি, ভয় হয়, এর আগে অনেক বন্যা সিডর, আয়লা,মোকাবেলা করেছি,এখন ঘরে ছেলে মেয়ে আছে, বাড়িতে গরু ছাগল হাসঁ মুরগী পালন করি এনিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো।

ইতো মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবিলায় বরগুনায় ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা মোহাঃ রফিকুল ইসলাম।

জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বরগুনায় ৩টি মুজিব কেল্লা, ৬৭৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ প্রায় ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যারা ঘূর্ণিঝড় পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করবেন। এছাড়াও ৪২২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য, ৩৭ লাখ নগদ অর্থ প্রস্তুত রয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: কক্সবাজার ছাড়ছে পর্যটকরা, বিমান উঠানামা বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারে ৬ নং বিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ছাড়ছে পর্যটকরা। যার কারণে কক্সবাজারে দেখা দিয়েছে টিকিট সংকট। কক্সবাজারের কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না বাসের টিকিট। এছাড়া কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান উঠানামা বন্ধ ঘোষণা করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক গোলাম মর্তুজা বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আজকে বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল বিমান উঠানামা বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ৬ নং বিদপ সংকেত যেহেতু চলছে সেহেতু বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে।

কক্সবাজারের কলাতলী ডলফিন মোড়ের কাউন্টার মালিক জাকির হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পর্যটকরা ভয়ে কক্সবাজার ছেড়ে যাচ্ছে। আজকে কোন টিকিট নেই। বেশিরভাগ বাস চলে গেছে। কালকেও সব টিকিট বুকিং রয়েছে। বিমান চলাচল বন্ধ করায় টিকিটের চাহিদা আরও বেড়েছে।

এদিকে কক্সবাজারের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ জানাচ্ছে প্রশাসন। কক্সবাজারে ৬৩৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। মহেশখালীতে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেছে মানুষ।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০সহ ১০ হাজার ৮০০ সেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৬৩৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ৪শ ৮৬ মেট্রিক টন জি আর চাল, ২ লক্ষ ৭৫ হাজার নগদ টাকা,জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল ১৮ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা, ২৯ বান্ডিল ঢেউটিন সাথে গৃহ নির্মান মনজুরি অর্থ ৬৯ হাজার টাকা মজুদ আছে।

কক্সবাজার ছাড়াও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরেও ৬ নং বিপদ সংকেত এবং মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়টি সন্ধ্যা ছয়টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে ৪০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৪০০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।

;