সিলেট জেলা বিএনপিতে কোন্দল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
বিএনপির লোগো

বিএনপির লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা ও পৌরসভার কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সিলেট জেলা বিএনপিতে কোন্দল দেখা দিয়েছে। জেলা বিএনপির আহ্বায়কের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ অন্য সদস্যদের।

শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিলেটের ১৩ উপজেলা ও ৫ পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার। তবে পরদিন রোববার (১ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্য সদস্যরা অনুমোদন প্রত্যাখ্যান করেন।

গত বছরের ২ অক্টোবর কামরুল হুদা জায়গীরদারকে আহ্বায়ক ও আবুল কাহের চৌধুরী শামীমকে ১ম সদস্য করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় বিএনপি।

নতুন কমিটির নেতারা ১৭ অক্টোবর ঢাকায় দলের নয়াপল্টনের কার্যালয়ে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভিডিও কলের মাধ্যমে মতবিনিময় করেন। সেসময় তারেক রহমানের জেলা বিএনপির নেতাদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন। এরপর জেলা বিএনপির নেতারা ১৮ ইউনিটে (১৩ উপজেলা ও ৫ পৌরসভা) কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একাধিক বৈঠক করে।

তবে শেষ পর্যন্ত নানান কারণে কমিটিগুলো হয়নি। পরে গত শনিবার রাতে সকল ইউনিটে কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির ৯ নেতা। তারা হলেন, সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাইয়ুম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট এমরান চৌধুরী, নাজিম উদ্দিন লস্কর, আহমেদুর রহমান চৌধুরী, ইসতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট হাসান পাটোয়ারী রিপন ও মাহবুবুল হক চৌধুরী।

কমিটি প্রত্যাখানকারী নেতারা বলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সবশেষ সভায় কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত ছিল যে, খসড়া কমিটি তৈরি করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে জেলা আহ্বায়ক কমিটির পরবর্তী সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে কমিটি প্রকাশিত হবে। কিন্তু জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কোনো সভা আহ্বান না করে কমিটি যেভাবে ঘোষণা করেছেন তা সঠিক নয় ও গ্রহণযোগ্য নয়। জেলা আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশের এই সিদ্ধান্ত যেহেতু পূর্ব সিদ্ধান্তের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়, সেহেতু আমরা কমিটি গঠনের এই প্রক্রিয়াকে প্রত্যাখ্যান করছি। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি গঠনের ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী বলেন, ইউনিট কমিটিগুলোতে যোগ্যদের স্থান দেয়া হয়নি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সভায় ১৮ ইউনিটের কমিটি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু তা মানা হয়নি।

এ বিষয়ে সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান।

তবে আহ্বায়ক কমিটির এক নেতা বলেন, নিজেদের পছন্দের লোকদের আহ্বায়ক করতে না পারায় একটি অংশ কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় এক নেতার ইশারায় তারা এসব করেছে। অতীতে তারা ছাত্রদল ও যুবদলের কমিটিও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ওদের আর দলের অবস্থান নেই। তাদের প্রত্যাখ্যানে কিছু আসে যায় না।

সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলী আহমদ বলেন, যারা স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ করে কমিটি প্রত্যাখ্যান করেছেন তারা এর মানে জানেন না। নিজের মনের মতও কমিটি না হওয়ায় তারা এসব বলছেন। উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের মতামত ও কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় সকল কমিটি হয়েছে।

   

বাঁচতে চান ক্যান্সার আক্রান্ত জাকির



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না’। উপমহাদেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকার বিখ্যাত গানের মতো বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন অসুস্থ জাকির সিকদার (৪০) ও তার পরিবার।

পটুয়াখালীর মহিপুর ইউনিয়নের বিপিনপুর গ্রামের বাসিন্দা জাকির সিকদার। প্রায় চার বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী জাকির বর্তমানে বিছানায় শুয়েবসে দিন পার করছেন।

বুধবার (০১ মে) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, নিজের সামান্য জমি বিক্রি করে সুস্থতার জন্য বেশ কয়েক দফায় চিকিৎসা নিয়েছেন জাকির। মুখের ডান পাশে একটি টিউমার রয়েছে, যা অপারেশনে প্রায় ৫-৬ লাখ টাকার প্রয়োজন। যার ব্যয় বহন করা সম্ভব না জাকির ও তার পরিবারের। তাই এই চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন।

স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, আমার কোন ছেলে নেই, চারটি মেয়ে। তিন মেয়েকে বিবাহ দিয়েছি, তারা স্বামীর সংসার করে। আমার সংসারে স্বামী (জাকির) ছাড়া আয় করার মত কেউ নেই। টাকা পয়সা যা ছিলো তা স্বামীর চিকিৎসায় সবই শেষ। যদি সরকারের পক্ষ হতে বা বিত্তবান কেউ সাহায্য করতো তাহলে আমার স্বামীর চিকিৎসা করাতে পারতাম।

প্রতিবেশী বেলাল হোসেন বলেন, স্বল্প আয় ও ধার-দেনা করে এতদিন চিকিৎসার খরচ মিটিয়েছেন জাকির। এখন তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন। বর্তমানে চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা পরিবারের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।

চিকিৎসার জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসায় জাকির সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। এজন্য সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সাহায্যের আবেদন করছি । আমাদের সকলের সহযোগিতায় ঘুরে দাঁড়াতে পারে একটি পরিবারে। ফিরে পেতে পারেন ক্যান্সারমুক্ত একটি সুন্দর সুখের জীবন। মানবিক দিক বিবেচনা করে আপনারা আর্থিক সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসুন তার পাশে।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা- 01770069636 (নগদ পার্সোনাল)।

;

শ্রমিক দিবস কী, জানেন না শ্রমিকরা

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শ্রমিক দিবস কী, জানেন না শ্রমিকরা

শ্রমিক দিবস কী, জানেন না শ্রমিকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা মে আন্তর্জাতিকভাবে মহান শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে বিশ্বব্যাপী দিবসটিকে পালন করা হয়। গত ১৩৮ বছর ধরে দিবসটি পালন হয়ে আসলেও এনিয়ে কতটা জানেন শ্রমিকেরা, নিজেদের অধিকার নিয়েই বা কতটা সচেতন তারা?

রাজধানীর মিরপুরে রিকশা চালান ইলিয়াস মিয়া। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে থাকেন বাগানবাড়ি বস্তিতে। রিকশা চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে কোন রকম ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারলেও ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করানোর সামর্থ্য নেই। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বাড়তি খরচের লাগাম টানতে বন্ধ করেছেন ছেলের স্কুল। বয়স কম হলেও মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।


মে দিবস কী জানেন না ইলিয়াস। এদিন নিয়ে জানতে চাইলে তার সরল উত্তর—'এইসব দিবস-টিবস দিয়া কী হইবো মামা। কাম করি, এতে যা টাহা পাই, এই দিয়া কোন রহম চলি। আজকে কামে না নামলে খাইতে পারুম না। আমাগো আর কি এসব দিয়া কোন কাম আছে? নিজের পেট, নিজের পরিবার নিজেরেই পালন লাগবো। কাম না করলে তো আর কেউ টাহা দিবো না, খাওন দিবো না।'

রিকশা চালানোও একটি কর্ম, সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার কাজের মাধ্যমে কি সঠিক মূল্যায়ন পান এমন প্রশ্নের জবাবে বার্তা২৪.কমের এ প্রতিবেদককে ইলিয়াস বলেন, 'আমাগো লগে তো কেউ ভালা কইরা কথাও কয় না। এই যে গরমের মধ্যে রিকশা চালাই তাতেও কেউ বাড়তি টাহা দিবো না। ছোড-বড় সবাই তুই-তোহারি করে। কিন্তু পরিবার আছে, খাওন লাগবো এইজন্য কামও করা লাগবো। যে যা ব্যবহার করুক, কাম করা ছাড়া তো উপায় নাই।'

মিরপুর শাহ আলী প্লাজার সামনে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন শ্যামল দাস। আগে অন্য কাজ করলেও জুতা সেলাইয়ের কাজে আসছেন ছয় মাস আগে। জুতা সেলাইয়ের কাজে কেমন যাচ্ছে জীবন জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, 'সারা দিনে কাম যা অয় তাতে কোন রকম চলে যায়। আয় খারাপ না, কিন্তু জিনিসপত্রের দামও সব বাড়তাছে। এই জন্য একটু তো সমস্যা অয়, তারপরেও ভগবানের দয়ায় ভালই আছি।

মে দিবস সম্পর্কে কোন কিছু জানেন কিনা জানতে চাইলে মাথা নাড়িয়ে 'না' সূচক উত্তর দেন। জুতা সেলাইয়ের কাজ করে নিজের প্রাপ্য মর্যাদা পান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে চেহারায় নেমে আসে এক রহস্যময় নীরবতা, মুখে যেন বিদ্রূপের হাসি। সে হাসিই যেন বলে দিচ্ছে কতটা সম্মান প্রাপ্য আর কতটা তিনি পান।


দেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এমন অগ্নিতাপে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনের। তবে এই শ্রমিকদের একটু থেমে স্বস্তিবোধের সময়টুকুও যেন নেই। তাই হিট অ্যালার্টকে এক পাশে সরিয়ে রেখে প্রতিদিন কর্মের তাগিদে বেরুচ্ছেন রাস্তায়। পরের দিনের আহার জোগাড়ে নামছেন কাজে। এর অন্যথা হলে যে পরের বেলা অনাহারে কাটবে পরিবারের।

শেওড়াপাড়ায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন সুফিয়া খাতুন। বাবা-মার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় বিয়ে দিয়েছেন অল্প বয়সে। বিয়ের পর গার্মেন্টসকর্মী স্বামীর একা আয়ে সংসার না চলায় কাজে যোগ দিয়েছেন নিজেও। দুজনের আয়ে কোনোরকমে সংসার চলে।

সুফিয়া খাতুনের কাছে মে দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আজকে শ্রম দিবস শুনছি। এই জন্য আজকে কারখানা ছুটি। এই দিবস নিয়ে কিছু জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর বেশি কিছু জানি না।

গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে আপনার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন কি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পেট চালাইতে হলে কাজ করতে হবে। এছাড়া তো আর কোন উপায় নাই। কেউ তো আর বাসায় এনে খাবার দিয়ে যাবে না। তবে যে পরিশ্রম সে তুলনায় টাকা পাই না। যদি ঠিকমতো বাসা ভাড়া দিয়ে খেয়ে থাকতে না পারি, তাহলে প্রাপ্য মজুরি হলো কি করে? এর আগে আরেকটা গার্মেন্টসে কাজ করতাম হঠাৎ করে কোন বেতন না দিয়েই বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আবার এখানে ঢুকছি। এইভাবেই কোন রকম চলতেছে।

রাজধানীজুড়ে এমন প্রায় ১৮-২০ জন শ্রমিকের সাথে কথা বলেন বার্তা২৪.কমের এ প্রতিবেদক। তবে তাদের অধিকাংশই বলতে পারেননি শ্রম দিবস কী, এই দিনটি কেন পালন করা হয়। তবে কেউ কেউ শ্রম দিবসের কথা শুনলেও এর চেয়ে বেশি কিছু জানেন না বলে জানান।

মে দিবসে এই দিনেও তপ্ত রোদ মাথায় নিয়ে এই শহরের শ্রমজীবী মানুষ বের হয়েছেন কাজে। কাজ শেষে সন্ধ্যা বা রাতে সওদা নিয়ে বাসায় ফিরলে তবেই জ্বলবে চুলায় আগুন। তাই তাদের কাছে কোন দিবস নয়, বরং মাথার উপর টিনের চালা আর পেটে ভাত এই যেন প্রতিদিনের, প্রতিবেলার কামনা। তাই তো শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা যাই হোক, কখনোই থামে না তাদের ছুটে চলা।

;

বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ

বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে মৎস্য শিকারের সময় অভিযান চালিয়ে ৯ জেলেকে আটক এবং জাল-ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। মৎস্য দপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

বুধবার (১ মে) সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, একটি চর ঘেরা জাল ও একটি ট্রলার জব্দ এবং ৯ জেলেকে আটক করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করার পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৯ জেলের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত ট্রলার ৭০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেক। এসময় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আলী আজম উপস্থিত ছিলেন।

;

সিলেটে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট আদালতের বিচারপ্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন তিনি।

এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, দেশের বিচার বিভাগের সব ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়ন করা হবে। উচ্চ আদালতে এরই মধ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

উদ্বোধনের সময় সিলেটে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দীনসহ সিলেটের বিভিন্ন আদালতের বিভিন্ন স্থরের বিচারক, আইন কর্মকর্তা, আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;