শ্যামাসুন্দরীর দখলদার ১৭০ জন, উচ্ছেদ শুরু ৫ মার্চ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
বক্তব্য দিচ্ছেন  রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ছবি: বার্তা২৪.কম

বক্তব্য দিচ্ছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে বয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খাল দখল ও দূষণমুক্ত করতে অভিযান পরিচালিত হবে। অবৈধ দখল উচ্ছেদে আগামী বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) ওই অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের (রসিক) মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

তিনি বলেন, শ্যামাসুন্দরী খালের অবৈধ দখল পুনরুদ্ধারে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। খালের হাল জরিপে ১৭০ জন অবৈধ দখলদারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হয়েছে।

সোমবার (২ মার্চ) দুপুরে নগরের রঘুনাথগঞ্জ ডিসি বাংলো সংলগ্ন আর্কেডিয়া চত্বরে অনুষ্ঠিত দখলমুক্তকরণে উচ্ছেদ পূর্ব মতবিনিময় ও অবহিতকরণ সভায় এসব কথা জানান তিনি।

রসিক মেয়র বলেন, রংপুর নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও আগামী প্রজন্মকে সুন্দর নগরী উপহার দিতে হলে আগে শ্যামাসুন্দরী খালকে বাঁচাতে হবে। এই খাল পুনরুজ্জীবন ও সচল হলে নগরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় গতি আসবে। অকাল বন্যায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।

সভায় জানানো হয়, রংপুর সেনানিবাসের ঘাঘট নদীর শ্যামাসুন্দরী খালের উৎস মুখ থেকে মাহিগঞ্জ পাটবাড়ি পর্যন্ত খালের দুই পাশের প্রায় ১০ কিলোমিটার সংস্কার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে রংপুর বিভাগীয় প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় হাল জরিপ শেষ করা হয়েছে। এ সময় মৌজা ভিত্তিক কেল্লাবন্দ, রাধাবল্লভ, আলমনগর, রঘুনাথগঞ্জ ও ভগি এলাকার ১৭০ জনকে অবৈধ দখলদার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন- রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার জাকির হোসেন, রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি টিএম মুজাহিদুল ইসলাম, আরপিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবু সুফিয়ান, জেলা প্রশাসক আসিব আহসান প্রমুখ।

সরকার এই ঐতিহ্যবাহী খালের সংস্কার ও পুনঃখননের জন্য ১০০ কোটি টাকা বাজেট দিয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ১৮৯০ সালে খননকৃত শ্যামাসুন্দরী খালটি নাব্যতা ফিরে পাবে। এদিকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আগে দখলদারদের নোটিশ দিয়ে অবগত করার পাশাপাশি নগরের প্রত্যেক ওয়ার্ডে প্রচারণা চালাতে মাইকিংয়ের ব্যবস্থাও নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

   

টেকসই রাজস্ব নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রয়োজন নীতিনির্ধারণে ধারাবাহিকতা



নিউজ ডেস্ক
টেকসই রাজস্ব নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রয়োজন নীতিনির্ধারণে ধারাবাহিকতা

টেকসই রাজস্ব নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে প্রয়োজন নীতিনির্ধারণে ধারাবাহিকতা

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অর্থনৈতিকভাবে বিভিন্ন কৌশলগত খাতের মূল বিবেচ্য বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য আয়োজিত গোলটেবিলে বক্তারা টেকসই রাজস্ব বৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য নীতিনির্ধারণে ধারাবাহিকতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫: উচ্চ-সম্ভাবনাময় সেক্টরের জন্য অগ্রাধিকার’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনার জন্য বেসরকারি  ও সরকারি উভয় ক্ষেত্রের বিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বক্তারা চলমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের বিষয়ে আসন্ন বাজেটকে কীভাবে পরিচালিত করা উচিত, তা নিয়ে আলোচনা করেন।

পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ও সিইও ড. এম মাসরুর রিয়াজ গোলটেবিল বৈঠকে সূচনা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক বাস্তবতাগুলো তুলে ধরেন এবং কৃষি, তামাক, তৈরি পোশাক, নিত্যব্যবহার্য পণ্যের বাজার (এফএমসিজি), ডিজিটাল অর্থনীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের জন্য বাস্তবসম্মত নীতি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, ‘আর্থিক নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে উচ্চ সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে সমৃদ্ধ করার জন্য জনকল্যাণের পাশাপাশি রাজস্ব বৃদ্ধির গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলোকে সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মোট অভ্যন্তরীণ রাজস্বের প্রায় ১২-১৩ শতাংশ প্রদান করে তামাক খাত। এটি বিশ্বে সর্বোচ্চ কর প্রদানের অন্যতম রেকর্ড এবং দেশে তামাকের কর হার ডব্লিউএইচও-র প্রস্তাবিত স্তরের উপরে। কিন্তু স্থানীয়ভাবে তৈরি সিগারেটের দাম বেশিরভাগ দেশের তুলনায় কম। জনগণকে ধূমপান থেকে বিরত রাখতে এবং টেকসই রাজস্ব বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে মূল্যস্ফীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সকল বিভাগের সিগারেটের দাম বাড়াতে হবে।’

এসিআই এগ্রিবিজনেস ও মেশিনারিজ বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এফ এইচ আনসারী বলেন, ‘কৃষিখাতে বর্তমানে তিনটি বিষয়ের ওপর সরকারকে নজর দিতে হবে। পরিবেশ ও জলবায়ুর পরিবর্তন, ফুড ভ্যালু চেইন ও আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ভাবতে হবে। এসব বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি খাতে সমন্বয় থাকা উচিত।

দেশে পর্যাপ্ত উৎপাদন হচ্ছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে সাপ্লাই চেইন। এ বিষয়টি বেসরকারি খাতে দেয়া যেতে পারে। বাজেটে এসব বিষয়ে দিক নির্দেশনা থাকা দরকার।’

অনুষ্ঠানে এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী বলেন, ‘এনবিআরকে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ভ্যাট আইনে অসঙ্গতি দূর করতে হবে। যে উদ্দেশে আইন হয়েছে তা কাজে না এলে লাভ নেই। সাধারণ করদাতার কাছে তা জটিল হয়ে গেছে। অসঙ্গতি দূর করলে রাজস্ব সংগ্রহ বেড়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘গরিব মানুষের কথা ভাবতে হবে। সরকারেরও নীতি আছে গরিব মানুষের ঝুঁকিগুলো কমিয়ে আনা। এসব নিম্নবিত্ত মানুষ সস্তায় সিগারেট খায়। বিশেষ করে নিম্নস্তরের দামের সিগারেট এসব মানুষকে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে ফেলছে। গরিব মানুষ যাতে কম ধূমপান করে সেজন্য নিম্নস্তরের সিগারেটের দাম বাড়ানো উচিত। সেটা এনবিআরকে বিবেচনায় আনতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘একক খাত হিসেবে তামাক বেশ বড় খাত। এর ওপর নির্ভরশীলতা থাকবে আরো।’ তিনি আরো বলেন, ‘রপ্তানি পণ্য হিসেবে তামাককে বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার যেন ধান উৎপাদনে ঝুঁকি না আসে।’

ডিজিটাল খাতে কর অব্যাহতি বজায় রাখার অনুরোধ জানান ডিজিকন টেকনোলজিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরিফ। তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল খাতে কর আরোপ করা হলে বাজার মন্থর করবে। এছাড়া প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে আমাদের ডিজিটাল খাত পিছিয়ে পড়বে।’ তিনি বলেন, ‘স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়া না হলে বিদেশি প্রতিষ্ঠান এর সুযোগ নেবে। এতে করে স্থানীয় দক্ষতা বৃদ্ধি ব্যাহত হবে।’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য লুৎফুল হাসান বলেন, ‘ কৃষিতে আমাদের উদ্দেশ্য হবে রপ্তানি বাড়ানো, আমদানি কমানো। যতটা সম্ভব ভর্তুকি দিতে হবে ‘ তিনি বলেন, ‘তামাক রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা আছে।’  

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সাবেক সচিব শুভাশিষ বসু বলেন, ‘ট্যাক্স ব্যবস্থায় ডিজিটাইলাজাইশন করতে হবে। এতে সবাই কর দিতে আগ্রহী হবে।’ তিনি বলেন, ‘ইনডাইরেকট ট্যাক্সের ওপর যত নির্ভরতা কমানো যায় তত ভালো। সমন্বিত পরিকল্পনা করতে হবে। ডিজিটাল ব্যবস্থার দিকে জোর দিতে হবে।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, এনবিআরের সাবেক সদস্য অপূর্ব কান্তি দাস, বিজিএমইএর পরিচালক শামস মাহমুদ, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, নেসলে বাংলাদেশের ডিরেক্টর (লিগ্যাল, আরএসএ, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স) দেবব্রত রায় চৌধুরী, স্নেহাশীষ-মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির ম্যানেজিং পার্টনার স্নেহাশীষ বড়ুয়া, পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অমৃতা ইসলাম, অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ডের ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াকার চৌধুরী, দৈনিক সমকালের সহযোগী সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।

;

বিয়েতে রাজি না হওয়ায় স্কুল ছাত্রীকে কুপিয়ে জখম



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্কুল ছাএীকে কুপিয়ে আহত করেছে এক যুবক। মঙ্গলবার (৭ মে) ভোরে উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই স্কুল ছাএী (১৬) উপজেলার বোয়ালিয়া তাহেরা নূর স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত পার্শ্ববর্তী মুমুরদিয়া ইউনিয়নের কুড়িখাই গ্রামের নিদু মিয়ার ছেলে মনিরকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।

জানা যায়, মনিরের বাবা ও মেয়ের বাবা মামাত ফুফাত ভাই। আত্মীয়তার সূত্রে মনির প্রায় সময়ই বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। মনিরের উদ্দেশ্য ছিল মেয়েকে বিয়ে করা। কিন্তু মেয়ে মনিরকে পছন্দ করতো না। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তা না নাকচ করে দেয়। প্রায় সময়ই সে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করতো এবং নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতো।

সোমবার রাতে কোনো এক সুযোগে মনির ধারালো অস্ত্রনিয়ে মেয়ের ঘরে লুকিয়ে থাকে। পরে ওই মেয়েকে ভোর রাতে ঘুমের মধ্যে এলোপাথারী কুপাতে থাকে। এ সময় তার চিৎকারে ঘরে থাকা তার মা ও ছোট ভাই জেগে দেখে, মনির ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেয়েকে কুপিয়ে জখম করছে। পরে তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। আহত মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য দ্রুত ভাগলপুর বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় তার মা। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে।

ভুক্তভোগীর মা জানান, মনির আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে রাজী না হওয়ায় দীর্ঘদিন যাবত উত্ত্যক্ত করে আসছে। ঘরে ঢুকে মেয়েকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে জখম করে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

বোয়ালিয়া তাহেরা নূর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ইন্দ্রজিৎ সাহা বলেন, সে একজন মেধাবী ছাত্রী। সে নিয়মিত স্কুলে আসে এবং তার লেখা পড়ায় প্রবল আগ্রহ আছে তার। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও অপরাধীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।

কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন এবং অভিযুক্ত মনিরকে আটক করা হয়েছে৷ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

সিলেটের শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলীসহ ৫ জনের নামে মিথ্যা মামলা, ৩ জনকে গ্রেফতার ও হয়রানির প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন। সেইসঙ্গে অবিলম্বে শ্রমিকদের মুক্তি দাবি করেন তারা।

মঙ্গলবার (০৭ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ প্রতিবাদ জানান সংগঠনটির নেতারা।

এছাড়াও মে দিবসের মিছিলে পুলিশের ছত্রছায়ায় মালিকদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের হামলায় বৃহত্তর কোতয়ালী থানার সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব সরকারকে মারাত্মকভাবে জখম করা, নেত্রকোনা জেলায় মে দিবসের র‍্যালিতে যোগদান করায় শ্রমিকদের মারধর ও হোটেল থেকে বের করে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।

বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আক্তারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি শ্যামল কুমার ভৌমিক, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস অ্যান্ড টেক্সটাইল শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. ইয়াসিন, বাংলাদেশ হোটেল রেস্টুরেন্ট সুইটমিট শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার যদি শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে কোনো ধরনের তালবাহানা করে, মে দিবসকে কেন্দ্র করে সরকার গ্রেফতার অব্যাহত রাখে, যদি অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়া না হয়, আমরা প্রথমে কর্ম বিরতিতে যাবো সিলেট বিভাগে। তারপর যদি না হয়, তাহলে সারা বাংলাদেশে আমরা কর্ম বিরতিতে যাবো। আমরা আহ্বান করবো, অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার। অন্যথায় সংগঠন তার কর্মসূচি দিয়েই দাবি আদায় করবে।

;

কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার আহ্বান



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাকিল আহমেদ কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্থ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে। তাহলেই তারা লাভবান হতে পারবেন।

মঙ্গলবার (৭ মে) দুপুরে ‘কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্প’-এর আওতায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় চত্বরে তিনদিনব্যাপী কৃষি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. শাকিল আহমেদ বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। কৃষিকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকার কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি মেলার আয়োজন করেছে। এতে করে অনেক কৃষক কন্দাল ফসল চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। আমরা চাইছি, এই মেলার মধ্য দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকেরা যেন লাভবান হতে পারেন।

এসময় তিনি বলেন, কৃষক যদি উৎপাদন না করেন, দেশটা পিছিয়ে পড়বে। তাই, এই মেলার মধ্য দিয়ে আপনাদের বলছি, আপনারা আপনাদের জমি একটু ভাগ করেন। অন্তত তিন ভাগে ভাগ করেন। কিছু সবজি, কিছু কন্দাল ফসল ও কিছু ধান আবাদ করুন। তাহলেই আপনারা লাভবান হতে পারবেন।

অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহেল রানার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হেলাল উদ্দিন, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল হাসিম, কৃষক মো. মুর্শিদ প্রমুখ।

;