উপজেলা নির্বাচন

পীরগাছায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগে অনিয়ম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রংপুরের পীরগাছায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা) নিয়োগে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ উপজেলায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগে দক্ষ ও অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে নন এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বিগত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন এমন অনেক কর্মকর্তাকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা থেকে বাদ দিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া একই শিক্ষককে একাধিক কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রদান, ১০ গ্রেডের অফিসার প্রিসাইডিং এবং ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডের শিক্ষককে সহকারী প্রিসাইডিং, কর্মরত প্রতিষ্ঠান এবং নিজ ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। একইভাবে প্রার্থীরা একাধিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেও সেই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের নির্বাচনে দায়িত্ব প্রদান করার অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, কৌশলে একজন শিক্ষককে দুই বা তিনটি করে ভোটকেন্দ্রে নিয়োগ দিয়ে পরবর্তীতে দালালের মাধ্যমে পাঁচশ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়ে অন্যদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই হ-য-ব-র-ল অবস্থা নিয়ে নিয়োগ প্রাপ্তদের মাঝে চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পীরগাছা উপজেলায় ১১৩টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। ১১৩টি কেন্দ্রের জন্য ১১৩ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৭৬০ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ১৫২০ জন পোলিং অফিসার, ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ২৩৯ জনসহ মোট ২৬৩২ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে আগ্রহী শিক্ষকদের বাদ দিয়ে যারা দায়িত্ব পালন করতে চান না তাদেরকে নিয়োগ দিয়ে পরবর্তীতে নাম কাটা ও সংযোজন করতে দালালের মাধ্যমে পাঁচশ থেকে দুই হাজার টাকার ঘুষ বাণিজ্য করার অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা।

পীরগাছায় সরকারী ও এমপিওভূক্ত কলেজ, মাদ্রাসায় প্রায় ১০০ জন সহকারী অধ্যাপক হিসেবে চাকরি করছেন। সিনিয়র প্রভাষক, প্রভাষক প্রায় ১৫০ জন, বিভিন্ন সরকারি দফতর, রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে ১ম শ্রেণির কর্মকর্তা আছেন প্রায় ৫০ জন অথচ ১০ম গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তাদেরকে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বেশ কিছু নন এমপিওভূক্ত শিক্ষককে ভোট গ্রহণকারি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অথচ এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের অনেককেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

ভূক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ পীরগাছায় যোগদানের পর দালাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। তিনি দালাল ছাড়া কোন কাজই করেন না। অফিস সময়ে দরজা আটকিয়ে ভিতরে বসে থাকেন তিনি। জরুরী কাজে কেউ দেখা করতে চাইলেও মেলে না অনুমোদন। এমনকি সেবা প্রার্থীরা দালাল ছাড়া সরাসরি অফিসে গেলে হেনস্থার শিকার হন এই কর্মকর্তার মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেন না বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদেরও ফোন রিসিভ করেন না তিনি।

ঝিনিয়া ধনীর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমন চন্দ্র বলেন, আমাকে ২৫ নম্বর কেন্দ্রে পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আমি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি এবং টাকা ছাড়াই ভাতা প্রাপ্তির মাস্টার রোলে আমার প্রাপ্তি স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। পরে টাকার বিনিময়ে আমার পরিবর্তে হাফিজার রহমানকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ আলী দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আজাদ হোসেন সরকার বলেন, আমি ঘুষ না দেওয়ার কারণে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমার মাদ্রাসার শিক্ষকদেরকে দায়িত্ব না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে ঘুষ দিয়ে ভোটের দায়িত্ব নিয়েছেন। কাশিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্বাস আলী বলেন, নির্বাচন অফিসের এক দালালের মাধ্যমে ১৯৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপত্র দিয়েছেন।

তাম্বুলপুর মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক আদোল হোসেন বলেন, নির্বাচন অফিসের এক দালাল শিক্ষক প্রতি ৫শ টাকা হারে নিয়ে ভোটের দায়িত্ব পাইয়ে দিয়েছেন।

ডাকুয়ার দিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জ্যোৎস্না রাণী মহন্তকে ব্রামণীকুন্ডা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পোলিং অফিসার ও সাতদরগা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অনন্তরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রহিমা বেগমকে পূর্ব পারুল ও পেটভাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এবং নাছুমামুদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারগীছ নিগারকে কিশামত পারুল শাহী স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসা, পারুল ও ছাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

ঝিনিয়া ধণীর বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপক চন্দ্র বলেন, আমি দায়িত্বের জন্য কথা বললে নির্বাচন অফিসের লোক আমার নিকট ৫শ টাকার দাবি করলে আমি নগদ ২শ টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণের ভাতা উঠিয়ে বাকী টাকা পরিশোধের শর্তে আমাকে দায়িত্ব দেন।

এক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর স্বামী শফিকুল ইসলাম মাস্টারকে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কৌশলে অসংখ্য শিক্ষককে দুই থেকে তিনটি কেন্দ্রে দায়িত্ব দিয়ে পরবর্তীতে টাকার বিনিময়ে নতুন করে একজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রার্থীদের নির্বাচনী এজেন্ট নিয়োগেও হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তানজিনা আফরোজের স্বামী গোফরান ভূঁইয়া। তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন অফিসার ফারুক আহমেদ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে খুব পটু। তিনি যোগদানের পর থেকে অনিয়ম বেড়ে গেছে।

কৈকুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোসলেহা খাতুন ও তাজমিনা আক্তার নিজের ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা। নিজের কর্মরত প্রতিষ্ঠানে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চৌধুরাণী ফাতেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল আউয়াল। এমপিওভূক্ত শিক্ষক বাদ দিয়ে ননএমপিও শিক্ষক হাফিজার রহমান, রুমি ও সাইফুল ইসলামসহ অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহ মাহবুবার রহমান ও তছলিম উদ্দিন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি থাকায় সেই সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করেছেন অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন। অভিযোগে তিনি জানান, শাহ মাহবুবার রহমান পীরগাছা মহিলা কলেজের সভাপতি। তছলিম উদ্দিন দেউতি স্কুল এন্ড কলেজ, সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও চর তাম্বুলপুর মাদ্রাসার সভাপতি। তাই এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার আবেদন করেন।

অপরদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন নিজেই তাম্বুলপুর, সাতদরগা দাখিল মাদ্রাসা, পবিত্রঝার ফাজিল মাদ্রাসা, অন্নদানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন অপর প্রার্থীরা।

অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, কিছু ভুল ত্রুটি আছে সেগুলো নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সংশোধন করা হবে।

রংপুর সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্যাহ্ আল মোতাহসিম বলেন, নিজ কর্মস্থল ও নিজের ভোটকেন্দ্রে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়না। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি। সুনির্দিষ্টভাবে বললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

   

ভুল রাজনীতি বেছে নিলে দেশ পিছিয়ে যায়: দীপু মনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতি সঠিক থাকলে সমস্ত সেবা পাওয়া যায়। আর ভুল রাজনীতি বেছে নিলে দেশ পিছিয়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. দীপু মনি।

রোববার (১৯ মে) সকালে রংপুরে একদিনের সফরে এসে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর এর আয়োজনে গত ১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস পালন উপলক্ষে রোববার হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর পরিদর্শন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

প্রতিবন্ধীদের সেবার বিষয়ে দীপু মনি বলেন, প্রতিবন্ধীদের সেবা দেওয়ার লক্ষে দেশে ১১০টি প্রতিবন্ধী সহায়তা সেবা কেন্দ্র রয়েছে। এটি পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি উপজেলাতেও করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সমাজসেবা অফিস কমপ্লেক্সে আলাদা করে প্রতিবন্ধী কর্নার খুলে সেবা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি।

মন্ত্রী আরও বলেন, মেডিকেল সায়েন্সে যে ১৩ ধরনের প্রতিবন্ধী রয়েছে তাদেরকে দ্রুত চিহ্নিত করে চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রশিক্ষণসহ পুনর্বাসনের ও বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। এছাড়াও আগামী বাজেটে বয়স্ক ভাতার সংখ্যা, ভাতার পরিমাণ বাড়ানোন যাবে না বলেও জানান তিনি।

হাইপার টেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার, রংপুর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামানসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

মন্ত্রী হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর পরিদর্শন করেন। হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর দীর্ঘদিন থেকে এরকমভাবে স্বাস্থ্য সচেতনতায় ক্যাম্পেইন উঠান বৈঠক কর্মশালা, উঠান বৈঠক জনসচেতনতামূলক সেমিনার, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প নিয়মিত করে আসছে ।

হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ৫০ টাকার রেজিস্ট্রেশন করে পরবর্তীতে আজীবন ৪০ টাকার বিনিময়ে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন এবং হাইপারটেনশন অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার রংপুর -এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন বিগত ১৬ বছর ধরে নিবন্ধিত রোগীদেরকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।

;

পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলের যোগাযোগ বাড়াতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্থায়ী কমিটির বৈঠক

স্থায়ী কমিটির বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পায়রা বন্দরের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথের যোগাযোগ বাড়িয়ে বন্দরের কার্যক্রম চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করছে স্থায়ী কমিটি।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে সংসদ ভবনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া টিপু, মো. জাকারিয়া, ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন, হাবিবুন নাহার, মো. আওলাদ হোসেন ও ঝর্না হাসান অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকের শুরুতে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকসহ দেশে নিরাপদে ফিরে আসায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নৌ প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

সংসদীয় কমিটি কমলাপুর আইসিডি (ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো) টার্মিনাল মূলত বন্দরের অংশ উল্লেখ করে আইসিডির দায়িত্ব পরিচালনা সম্পূর্ণ নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণে দেওয়ার সুপারিশ করে। যেখানে সবগুলো পোর্টই হবে আইসিডির স্টেকহোল্ডার।

এছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন অধিদফতর, চট্রগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং এর কার্যক্রমসমূহ বিস্তারিত তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, চট্রগ্রাম বন্দর, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনেই আজকের এই বীজ বুনন: ইবি উপাচার্য



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের(ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম।

রবিবার (১৯ মে) পরমাণুবিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনের ১০২ নম্বর কক্ষে ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভাইস চ্যান্সেলর এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, এই প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো আমাদের স্টুডেন্ট এবং ফ্রেশারদের পাওয়ারফুল করে তোলা। তারা যেনো নিজেরা এমন স্কিল এবং নলেজ অর্জন করে নিজেদেরকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে পারে। এই প্রোগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো নিজেকে কর্মক্ষম করে তোলা। আমরা কিছু শিখে যে তোতাপাখি হবো তা নয়, শিখে সাথে সাথে কর্মক্ষম হবো এবং কোনো প্রফেশনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবো। এইজন্য আমাদের অবশ্যই চর্চা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের যুবকরা যেনো কর্মক্ষম হয় এবং জাতির পিতার সোনার বাংলা গঠনে নিজেদের নিয়োজিত করতে পারে সেই লক্ষ্যেই এই আয়োজন। আমাদের স্বপ্নের বাংলা, সংস্কারের বাংলা, উন্নয়নের বাংলা, ডিজিটাল বাংলা এবং ৪১ এর পারফেক্ট সোনার বাংলা গড়ে তোলা যেখানে প্রতিটা মানুষ হবে প্রোডাক্টিভ। তাছাড়া আমাদের অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। আর এইটা কমানোর জন্য একাডেমিকের সাথে ইন্ডাস্ট্রি যুক্ত করে দিয়ে উস্কিয়ে দিতে হবে। এতে একজন মানুষ নিজের একটা জায়গা তৈরি করে নিতে পারবে।

এছাড়াও তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনেই আমাদের আজকের এই বীজ বুনন। এখানে এই নলেজ, মোটিভেশান এবং এমন মনোভাব তৈরি করে প্র‍্যাক্টিসে নিয়োজিত করা যাতে করে আমাদের পাশাপাশি আমাদের পরিবার এবং দেশ সমৃদ্ধ হতে পারবে। পড়াশোনা করে আমরা অকেজো, অলস বা বোবা থাকবো না। নিজেকে বাজারের জন্য যোগ্য করে তুলতে হবে। এইজন্য দরকার আমাদের তিনটি জিনিস। টিচিং, ট্রেইনিং এবং টেকনোলজি। এই তিনে মিলে সমন্বয় তৈরি করতে পারলেই কেবল টিকে থেকে নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু এ অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গাভার্ণমেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রজেক্টের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ক প্রফেসর ড. মোঃ ফারুকুজ্জামান খান এবং ইডিজিই প্রজেক্টের স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির স্পেশালিস্ট ড. মোঃ মাজহারুল হক।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ রবিউল হকের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে সফট বিডি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিকুল ইসলাম খান স্পেশালিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালনায় ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান সোহান এবং নাবিলা আনজুম নিশু।

;

গাজীপুরে ডুয়েট শিক্ষকদের মৌন মিছিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন কাঠামোয় সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাহার ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে কালো ব্যাজ ধারণ ও মৌন মিছিল করেছেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল ১১টায় গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এর প্রধানে ফটকে অবস্থান নিয়ে শিক্ষকরা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

এসময় বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম।

বক্তারা বলেন, সার্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন আমাদের বিরুদ্ধে আমলাদের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এখানে প্রধানমন্ত্রী যে কথা বলেছেন, তা না মেনে তারা বেতন স্কেলে হাত দিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।

;