দুবাইয়ের ১৬৩ তলা ভবনে চোখ ধাঁধানো ‘আলোর ঝলকানি ও পানির নাচ'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যের হংকং হিসেবে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর। প্রাকৃতিক সম্পদ জ্বালানি তেল ছাড়াও পর্যটন ব্যবসায় পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এমন সব উদ্যোগ আর উদ্যম শুরু করেছে আরব দেশের এ শহরটি- যা সত্যিই বিস্ময়কর। বাংলাদেশী টাকায় ১২ হাজার ৫০০ কোটি খরচ করে  ৮২৮ মিটার উচ্চতা ও ১৬৩ তলার এমন এক দৃষ্টিনন্দন ভবন তৈরি করেছে যা সহজেই চমকে দেবে যে কাউকেই।

ভবনটির নাম ‘বুর্জ খলিফা’, নির্মাণকাজ শুরুর সময় এর নাম ছিল ‘বুর্জ দুবাই’। ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি এর উদ্বোধন হয়। এটি ‘দুবাই টাওয়ার’ হিসেবেও পরিচিত।

বুর্জ খলিফার পুরো টাওয়ার পরিদর্শন করতে সর্বোচ্চ টিকেট ফি ১৪০ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ১২ হাজার, সর্বনিম্ন ৪৩ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় ৩ হাজার ৬০০। প্রতিদিন গড়ে ৫ হাজার পর্যটক এই টাওয়ার পরিদর্শন করেন। তাদের অধিকাংশই হলো বিদেশি। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত পর্যটকদের পরিদর্শনের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়।

দিনের চেয়ে রাতের বুর্জ আরবের রূপ একেবারেই অন্যরকম, আলো-আধাঁরি ও সঙ্গীতের মূচ্ছর্নার চোখধাঁধানো ব্যতিক্রমী এক আয়োজন। পুরো ভবনজুড়ে চলতে থাকে লেজার শো। ভবনের নিচে ওয়াটার ড্যান্সিংও বুর্জ আরবের আরেক আকর্ষণীয় দিক। লেজার শো এবং ওয়াটার ড্যান্সিংয়ের সময় চলতে থাকে সুরেলা আরবি গান। আবার লেজার শো আর ওয়াটার ড্যান্সিং এক সঙ্গে চলে না। একটি শেষ হলে বিরতি দিয়ে শুরু হয় আরেকটি। মনোমুগ্ধকর একই সঙ্গে বিস্ময়কর আলোক ঝলকানি আর পানিনৃত্য যে কাউকে বিমুগ্ধ করবে।

 

সে কথা বলছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৪ বছর ধরে বসবাসকারী চট্টগ্রামের রাউজানের ছেলে মোহাম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই বদলে যাচ্ছে দুবাই। নতুন নতুন সব চমক এখানে।’

দুবাই ঘুরতে গেছেন চট্টগ্রামের দুই নামকরা সাংবাদিক সারোয়ার সুমন ও আসিফ সিদ্দিকী। দৈনিক সমকাল চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সারোয়ার সুমন তার প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, ‘রাতের দুবাই মনে হয় স্বপ্নপুরী। তার সাথে আলোর ঝলকানি। আলোর সঙ্গে সুন্দরের ঝলকানি।’

‘ছবিতে দেখেছিলাম দুবাই। বাস্তবে যে এতোটা সুন্দর হবে কল্পনাও চিন্তা করিনি। আসলে অসম দুবাই’- বললেন কালের কণ্ঠের বিজনেস ও পোর্ট রিপোর্টার আসিফ সিদ্দিকী।

পৃথিবীর বিখ্যাত এমার প্রপার্টিজ বুর্জ খলিফার ডেভেলপার। ভবনের গায়ে আলোর খেলায় তাই ইংরেজি অক্ষরে ভেসে উঠে এমারের নাম। পুরো ভবনে বাসা রয়েছে এক হাজারেরও বেশি। সুইমিংপুল দুটি। পাঁচতারকা হোটেল, রেস্টুরেন্ট কি নেই এতে ! সর্বোচ্চ দ্রুত গতির লিফট স্থাপন করা হয় এতে। যার গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। ২০০৪ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এর নির্মাণ কাজ করা হয়। নির্মাণকাজে প্রায় প্রতিদিন ১২ হাজার শ্রমিক কাজ করারও নজির রয়েছে। তিনদিন পর পর ঢালাই হতো একেকটি ছাদ।

সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে বানানো পৃথিবীর বিখ্যাত এ ভবনটি থেকে বছরে পর্যটক ফি বাবদ আয় হয় হাজার কোটি টাকার বেশি, অন্যান্য আয় বাদ দিয়ে। ১৯৬৬ সালে প্রথম তেল আবিস্কৃত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভারতীয় ও ইরানি ব্যবসায়ীদের করবিহীন রপ্তানি বন্দর হিসেবে বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো এ দুবাই।

 

তলা

ব্যবহার

১৬০-১৬৩

কারিগরি

১৫৬-১৫৯

যোগাযোগ এবং সম্প্রচার

১৫৫

কারিগরি

১৪৯-১৫৪

কর্পোরেট স্যুট

১৪৮

দ্য নিউ ডেক পর্যবেক্ষণাগার

১৩৯–১৪৭

কর্পোরেট স্যুট

১৩৬-১৩৮

কারিগরি

১২৫-১৩৫

কর্পোরেট স্যুট

১২৪

অ্যাট দ্য টপ পর্যবেক্ষণাগার

১২৩

স্কাই লবি

১২২

অ্যাটমোস্ফিয়ার রেস্তোরাঁ

১১১-১২১

কর্পোরেট স্যুট

১০৯-১১০

কারিগরি

৭৭-১০৮

আবাসিক

 

৭৬

স্কাই লবি

৭৩-৭৫

কারিগরি

৪৪-৭২

আবাসিক

৪৩

স্কাই লবি

৪০-৪২

কারিগরি

৩৮-৩৯

আরমানি হোটেল স্যুট

১৯-৩৭

আবাসিক

১৭-১৮

কারিগরি

৯-১৬

আরমানি বাসস্থান

১-৮

আরমানি হোটেল

নিচতলা

আরমানি হোটেল

খোলা স্থান

আরমানি হোটেল

বি১-বি২

পার্কিং, কারিগরি

   

প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে 'রেমাল', অবস্থান জানাল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগিয়ে প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এটি আজ মধ্যরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের সমুদ্র তীরবর্তী এবং আশপাশের অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করতে পারে। এরপর শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে।

রেমালের সর্বশেষ অবস্থানের কথা উল্লেখ করে আবাওহাওয়া অধিদপ্তর থেকে দেওয়া ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটি সর্বশেষ গতকাল শনিবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে এগিয়ে ঘনীভূত হতে পারে।

এদিকে এর প্রভাবে আজ দেশের আট বিভাগেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের ঘোষণা দেওয়ার পরই পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষর করা ৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছাকাছি দ্বীপ ও চরগুলোর নিচু এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবের দেশের সব বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।‌

;

কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' প্রবল বেগে ধেয়ে আসছে। এর প্রভাবে দেশের আট বিভাগেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ নিয়ে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা প্রশমিত হতে পারে।

এছাড়া সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা মাইনাস ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

এদিকে রেমালের প্রভাবে দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরের ওপর সতর্ক সংকেত বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উপকূলীয় ১৫ জেলা এবং তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

;

শক্তি সঞ্চয় করে এগিয়ে আসছে আইলার মতো ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় আইলার মতোই ভয়ঙ্কর হবে। রেমালে রূপ নেওয়ার পর মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৬ নম্বরে বিপৎসংকেত জারি করা হয়েছে।

এটি আজ মধ্যরাত থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ উপকূলের সমুদ্র তীরবর্তী এবং আশপাশের অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করতে পারে। এরপর শক্তি সঞ্চয় করে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে আছড়ে পড়বে।

এ সময় উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে।  ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৫ ফুটের অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হতে পারে। 

একই সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের আট বিভাগেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

রোববার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

এর আগে, বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানায়, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হয়েছে।

বিডব্লিউওটি জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল সর্বোচ্চ ক্যাটাগরি-১ শক্তিমাত্রার ঝড় হিসেবে ২৬ মে দিবাগত রাত থেকে ২৭ মে সকালের মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

বিডব্লিউওটির প্রধান আবহাওয়া গবেষক খালিদ হোসেনের সই করা এক বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মাঝামাঝি যেকোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। তবে এর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট।

আরও বলা হয়, এ ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ শক্তিমাত্রা হতে পারে ক্যাটাগরি-১। তবে আশা করা যায় ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটারের বেশি এটি গতিবেগ পাবে না। তবে আশঙ্কার ব্যাপার হচ্ছে এটি তার পূর্ণ শক্তিতে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

এদিকে আবহাওয়াবিদ মো. আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল ‘সিভিয়ার সাইক্লোনে’ পরিণত হতে পারে। ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে এটি অতি প্রবল আকার ধারণ করে আঘাত হানতে পারে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে।

;

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: উপকূলে ৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে উপকূলীয় ১৫ জেলা এবং তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস ও কোথাও কোথাও অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শনিবার (২৫ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তৎসংলগ্ন দ্বীপ ও চরে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮৮ কিলোমিটার। এর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এ পরিণত হয়েছে।

এটি আজ সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার

সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হতে পারে।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

এই অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ: ০৭ (সাত) নম্বর) বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত (পুনঃ) ০৬ (ছয়) নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

অন্যদিকে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি) থেকে অতিভারী (২৮৯ মি.মি) বর্ষণ হতে পারে।

এক নির্দেশনায় উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতেও বলা হয়েছে।

;