সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন, ছবি: বার্তা২৪.কম

সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে দায়িত্ব পালনকালে দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন করেছে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (টিসিজেএ)।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

টিসিজেএ'র সভাপতি দিগেন সিংহের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস সুটন সিংহের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে সাংবাদিকদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের এখনো কোনো কূল-কিনারা হয়নি। সিলেটে আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের উপর হামলায়ও কঠোর কোনো পদক্ষেপ আমরা দেখিনি। এ অবস্থার উন্নতি না হলে তা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে না।

মানববন্ধনে বক্তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেট জেলা সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুর রশীদ রেনু, সময় টিভির সিলেটের ব্যুরো প্রধান ইকরামুল কবির, সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন হাসান, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা, ইমজার সাবেক কোষাধ্যক্ষ সাদিকুর রহমান সাকি।

উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শংকর দাশ, চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের গোলজার আহমদ, টিসিজিএর সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মুন্সি, সাংবাদিক আনিস মাহমুদ, আবু বক্কর, মানৈবি শুভ, সিলেট টুডের শাকিলা ববি প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর নয়াবাজারে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন বেসরকারি টিভি চ্যানেল নিউজটোয়েন্টিফোরের রিপোর্টার ফখরুল ইসলাম ও ক্যামেরাপারসন শেখ জালাল।

   

বনানীতে বাসে আগুন, আহত সেই মোটরসাইকেল চালক মারা গেছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাসের নিচে ঢুকে পরা মোটরসাইকেলটির চালক মারা গেছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শ্যামলির স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে স্পেশালাইজড হাসপাতালে।

শনিবার দুপুরে বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসের নিচে চলন্ত মোটরসাইকেল ঢুকে পরায় আগুন ধরে যায় বাসটিতে। এ সময় আতহ চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পথচারীরা। তবে ঘটনার পর থেকে আহত মোটরসাইকেল চালকের সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ।

;

সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে বাসের ধাক্কায়  এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ নোমান মোল্লা (৩৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার একতা গ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লার ছেলে। তিনি মাতুয়াইল মেডিকেল মহিলা মাদ্রাসার পাশে ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (২৭এপ্রিল) রাত পৌনে এগারোটার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নোমান মোল্লাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী রাজু বলেছেন, আজ রাতের দিকে ওই যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায় ওই আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ রোববার (২৮ এপ্রিল)। ১৯৫৪ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শেখ জামাল ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে ম্যাট্রিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন।

সংস্কৃতি ও ক্রীড়াপ্রেমী শেখ জামাল গিটার শেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তিনি একজন ভালো ক্রিকেটারও ছিলেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস, বিএলএফ) যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ঐ দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন শেখ জামাল।

শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ রোববার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং তার পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

;

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ট্রেনিং নিয়ে ফেরার পথে গুলিসহ ২ রোহিঙ্গাে আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মায়ানমার সেনাবাহিনীর ১৭ রাউন্ড জিথ্রি রাইফেলের বুলেটসহ ২ রোহিঙ্গা যুবককে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় কক্সবাজার -টেকনাফ আঞ্চলিক মহাসড়কের নয়াপাড়া এলাকায় তাদের আটক করা হয়।

মায়ানমার থেকে এই বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিলো বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আটক হওয়া দুই যুবক। সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম।

আটককৃতরা মায়ানমারের কক্সবাজারের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ব্লক-ই-৩১৪ এর মো. ইসলামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ (১৯) ও নোয়াখালীর ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্লাষ্টার-৬৫, রুম নং- জে-১২৩ এর আব্দুস সালামের ছেলে আনোয়ার মোস্তফা (১৮)।

অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খাইরুল আলম জানান, টেকনাফ-কক্সবাজারমুখী পায়রা সার্ভিসের একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশি করছিল হোয়াইক্যং থানা পুলিশ। এক পর্যায়ে যাত্রীর আসনে থাকা দুজন যুবককে সন্দেহজনক মনে হলে তাদের দেহ তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় কেফায়েত উল্লাহর কোমরে বাঁধা কালো রংয়ের ব্যাগ থেকে গুলি গুলো জব্দ করা হয়। পরে অবৈধ বুলেট রাখায় ওই রোহিঙ্গা যাত্রী ও তার সহযাত্রী আনোয়ার মোস্তফাকে আটক করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, মায়ানমার থেকে এই বুলেট কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে বহন করছিল। আসামিরা আরো জানায়, এ বছরের ১৯ এপ্রিল তারা দালালের মাধ্যমে মায়ানমারের মংডু জেলায় মায়ানমার সেনাবাহিনীর বুচিডং ক্যাম্পে যায়। সেখানে মায়ানমার সেনাবাহিনী তাদেরকে জি-থ্রি রাইফেল চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়। সেনাবাহিনীর পক্ষে বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করার উদ্দেশ্যে এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। মায়ানমার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ৭ দিন থাকার পর অতিরিক্ত গরম ও খাদ্য কষ্টে সেখান থেকে আজ মায়ানমার সীমান্ত পার হয়ে পুনরায় বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় অস্ত্র আইনে একটি নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।

;