চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদ নৌকা প্রতীকে মোট ৮৭ হাজার ২৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান ধানের শীষ প্রতীকে ১৭ হাজার ৯৩৫ ভোট পেয়েছেন।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান নগরের জিমনেশিয়াম মাঠের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে টানা ভোটগ্রহণ চলে। এই আসনে ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৭৪ হাজার ৪৮৫ জন।

এবার এই আসনে আওয়ামী লীগ বিএনপির প্রার্থী ছাড়া আরো ৪ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। তার মধ্যে টেলিভিশন প্রতীকে বিএনএফের এস এম আবুল কালাম আজাদ পেয়েছেন ১ হাজার ১৮৫ ভোট, চেয়ার প্রতীকে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পেয়েছেন ৯৯২ ভোট, কুঁড়েঘর প্রতীকে ন্যাপের বাপন দাশগুপ্ত ৬৫৬ ভোট ও আপেল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ এমদাদুল হক পেয়েছেন ৫৬৭ ভোট।

   

ভোটার বিহীন নির্বাচন, চুন ছাড়া পানের মতো: ইসি রাশেদা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোটার বিহীন নির্বাচন, চুন ছাড়া পানের মতো বলে মন্তব্য করেছে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। তাই ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তিনি।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা প্রশাসক হল রুমে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তিনি প্রার্থীদের আচরণ বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রত্যেক প্রার্থীকে সমান চোখে দেখার নির্দেশনাও দেন তিনি।

রাশেদা সুলতানা আরো বলেন প্রতিদ্বন্দ্বীতা পূর্ন নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্রের সৌন্দর্য থাকেনা। তাই নির্বাচনকে সুস্থ অবাধ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সভায় জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোলেমান আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রামকৃষ্ণ বর্মন, পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক, এনএসআই’র জয়েন্ট ডিরেক্টর হেমায়েত হোসেন, ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবির অধিনায়ক লে: কর্ণেল মো: তানজীর আহম্মদ, ঠাকুরগাঁও জেলা আনসার ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট মিনহাজ আরেফিন, জেলা নির্বাচন অফিসার মঞ্জুরুল হাসান প্রমুখ। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ বক্তব্য দেন।

;

আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২ চেয়ারম্যান ও ২ ভাইস চেয়ারম্যান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জল্পনা কল্পনা কাটিয়ে দীঘিনালায় চেয়ারম্যান পদে মো. কাশেমের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার বৈধ টিকেট পেয়েছেন ধর্ম জ্যোতি চাকমা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আপীল নিষ্পত্তিতে ধর্ম জ্যোতি চাকমার প্রার্থীতা ফেরত দেয়া হয়। একই সাথে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঋণ খেলাপীর দায়ে বাতিল হওয়া জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরার প্রার্থীতাও ফেরত দেয়া হয়। পাশাপাশি দীঘিনালা উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুসময় চাকমা ও মো. মজিবর ফরাজীর প্রার্থীতা ফেরত দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা ও পানছড়ির উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীতার যাচাই বাছাইয়ে গত ২৩ মে দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ধর্ম জ্যোতি চাকমা হলফনামায় মামলা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করায় প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। একই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুসময় চাকমা ও মো. মজিবরের হলফনামায় তথ্য গোপন করায় প্রার্থীতা বাতিল করা হয়। সদর উপজেলায় ঋণ খেলাপীর দায়ে জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা নামে এক চেয়ারম্যানের প্রার্থীতার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। পানছড়ির চেয়ারম্যান প্রার্থী শান্তি জীবন চাকমা ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সঞ্চয় চাকমা হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য প্রদান এবং ফেরারী আসামী হওয়ায় তাদের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।

গত ২৪, ২৫ ও ২৬ মে প্রার্থীতা বাতিলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল দায়ের কর্তৃপক্ষের কাছে ৬ প্রার্থী আবেদন করেন। আপীল নিষ্পত্তিতে পানছড়ির ২ প্রার্থী ছাড়া বাকী ৪ জনই প্রার্থীতা ফেরত পেয়েছেন।

আপীল নিষ্পত্তি অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার অফিসার জোনায়াদ কবীর সোহাগ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কামরুল আলম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌফিকুল আলম অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ এবং ২১ মে হবে দ্বিতীয় ধাপে খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলায় ভোট গ্রহণ।

;

চীন থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি কিনবে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ জানিয়েছেন, উৎপাদন বাড়াতে চীন থেকে ডিসকাউন্ট মূল্যে আরও কৃষি যন্ত্রপাতি আমদানি করা হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, কৃষি কাজে আমাদের হারভেস্টার চাই, পাওয়ার টিলার চাই, উৎপাদন বাড়াতে যেগুলো প্রয়োজন সেটি আমরা আমদানি করব ডিসকাউন্ট প্রাইসে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে। এখন বাংলাদেশের সঙ্গে তারা বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি সহায়তা আরও বাড়াবে। আমরা চীন থেকে অনেক যন্ত্রপাতি আনছি, সেটি আরও বাড়াব।

বিপরীতে চীন বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করবে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে মিষ্টি আম নিতে তারা খুবই আগ্রহী।

তারা কি শুধু আমই নেবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমের কথা বলেছি এ জন্য যে, এটা সব দেশের মানুষেরই ভালো লাগে। তারা আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। তারা আমাদের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করছে, ফ্লাইওভার করছে। তারা অনেক কাজ করছে এ দেশে।

;

ফসলি জমি অন্য খাতে ব্যবহার করা যাবে না: ভূমিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ধরে রাখতে তিন ফসলি, দো-ফসলি জমি অন্য কোনো খাতে ব্যবহার করা যাবে না। কৃষি জমি নষ্ট না করে জনসংখ্যা অনুপাতে খাদ্যের নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে এক ফসলি জমি অন্য কাজে ব্যবহার করা হলেও সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে রংপুর সফরে এসে সার্কিট হাউজে গার্ড অব অনার শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ভূমিসেবায় হয়রানি বন্ধে মন্ত্রী বলেন, জরিপের ওপর নির্ভর করে খতিয়ান ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিয়ে আসা হচ্ছে। ভূমিসেবায় ই-নামজারি, ই-খাজনা দেওয়া চালু করা হয়েছে। কোনো গ্রাহককে অফিসে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হবে না। এছাড়া দেশের প্রতিটি মানুষের সঙ্গে ভূমি মন্ত্রণালয় জড়িত। এটিতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা দরকার। আমরা পর্যায়ক্রমে ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ভূমিসেবাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাব যেন জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে জানা যাবে।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, রংপুর শস্য ভাণ্ডার। এসব জমি আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা সবার সহযোগিতা চাই।

তিনি আরও বলেন, দখল হওয়া নদী-নালা, খাল-বিল, জলাশয় উদ্ধার সময় সাপেক্ষ ও কঠিন ব্যাপার। ডিজিটাল জরিপ অনুযায়ী সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমির শ্রেণি বিন্যাস করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রতিটি জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। জেলা ও মৌজা অনুযায়ী খাল-বিল ও খাস জমির তালিকা রয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আব্দুস সবুর মণ্ডল, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাসেম বিন জুম্মন, মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আবু মারুফ হোসেনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

;