ঘরে ফিরলেও সব হারিয়ে অসহায় উপকূলবাসী



মানজারুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, খুলনা
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বিধ্বস্ত ঘর থেকেই কিছু ফিরে পাবার চেষ্টা করছেন এক বৃদ্ধা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বিধ্বস্ত ঘর থেকেই কিছু ফিরে পাবার চেষ্টা করছেন এক বৃদ্ধা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবমুক্ত হয়েছে বৃহত্তর খুলনার উপকূলীয় জনপদ। উপকূলে থেমেছে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি। সেই সঙ্গে আতঙ্কিত জনপদের বাসিন্দারাও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজগৃহে ফিরেছে।

ঘরে ফিরলেও সব হারিয়ে অসহায় উপকূলবাসী
সকালে খুলনার আকাশে রোদের দেখা মেলে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সোমবার (১১ নভেম্বর) সকালে খুলনার আকাশে রোদের দেখা মেলে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হালকা মেঘে ঢেকে গেলেও আবার কিছু সময় যেতে না যেতেই সূর্যের আবারও দেখা মেলে। এভাবেই মেঘ-রৌদ্র‌ের লুকোচুরিতে বুলবুলের প্রভাবমুক্ত হয়েছে খুলনা।

ঘরে ফিরলেও সব হারিয়ে অসহায় উপকূলবাসী
সাইক্লোন শেল্টার থেকে ফিরে এসে ঘরে কিছুই পাননি এই বৃদ্ধা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘বর্তমানে খুলনার উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে হালকা মেঘমালা বয়ে যাচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবমুক্ত এখন খুলনা। কিছুটা তাপমাত্রাও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। নিম্নচাপের মেঘমালা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।’

ঘরে ফিরলেও সব হারিয়ে অসহায় উপকূলবাসী
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বিধ্বস্ত একটি ঘর, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা দু'দিন উপকূলের বাসিন্দারা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। রোববার বিকাল থেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরতে শুরু করেন তারা। তবে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে অনেকে তাদের বাসস্থানটি অক্ষত পাননি। কারো ঘরের উপরে গাছ উপড়ে পড়েছে। কারো ঘরের চাল ও টিন উড়ে গেছে। কারো পুকুর আর মাছের ঘের ভেসে গেছে। আবার কারো ফসল নুয়ে পড়ে নষ্ট হয়েছে। দূর্ভোগের এ অবস্থা থেকে কাটিয়ে উঠতে উপকূলবাসীর সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন তারা।

ঘরে ফিরলেও সব হারিয়ে অসহায় উপকূলবাসী
বৃদ্ধার বেঁচে থাকার শেষ সম্বলটি বুলবুলের আঘাতে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সরকারি তথ্যমতে, খুলনায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া, দমকা বাতাস ও বৃষ্টিপাতে কয়েক হাজার গাছগাছালি উপড়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে অনেক ঘরবাড়ি। সবশেষ এ অঞ্চলে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ঘরে ফিরলেও সব হারিয়ে অসহায় উপকূলবাসী
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে বিধ্বস্ত হয় পুরো বাড়িটি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন জানান, খুলনার উপকূলীয় দাকোপ, কয়রায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে সংখ্যাটি আরো বাড়তে পারে। এছাড়া কয়েক হাজার গাছগাছালি উপড়ে পড়েছে। পুকুর ও মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুর্গতদের সাহায্যে কাজ করা হচ্ছে।

ঘরে ফিরলেও সব হারিয়ে অসহায় উপকূলবাসী
বাড়ির উঠানে এখনো জমে আছে পানি, ভেসে গেছে পুকুরের সব মাছ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতক্ষীরার উপকূল। এ অঞ্চলের ৮০ শতাংশ কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার ১৬ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ও ৩২ হাজার কাঁচা ঘরবাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ১৬ হাজার ২০০ হেক্টর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। শত শত মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। বিপর্যস্ত জনজীবন থেকে উত্তরণ ঘটাতে জেলা প্রশাসক সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ঘরে ফিরলেও সব হারিয়ে অসহায় উপকূলবাসী
ঝড়ের পর খুঁজে পাওয়া একটি ফ্যান গুছিয়ে রাখছেন একজন উপকূলবাসী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ জানান, বাগেরহাটে ৪৪ হাজার ৫৬৩টি ঘরবাড়ি, ১৮ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, ৩৫ হাজার ৫২৯ হেক্টর ফসলি জমি এবং সাত হাজার ২৩৪টি মৎস্য ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৩৫ হাজার ৭৭৫টি আংশিক এবং আট হাজার ৭৮৮টি ঘর সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার ৭৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬২টি ইউনিয়নকে দুর্যোগকবলিত ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

ঘরে ফিরলেও সব হারিয়ে অসহায় উপকূলবাসী
ঝড়ের কবলে এখানের সব কয়টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জেলার ১ লাখ ৩২ হাজার ৩০০ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।

   

মে মাসের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ আগামী মাসের মধ্যেভাগে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারে। আরব আমিরাতে অবস্থান করা জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন করে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হবে। দেশে পৌঁছতে সময় লাগতে পারে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৩ নাবিকই জাহাজে করে ফিরবেন। তবে চট্টগ্রামে ফিরতে তাঁদের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিও সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মি করার ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে ২১ এপ্রিল বিকেলে। সেখানে কয়লা খালাস শেষে নতুন করে পণ্য নিতে মিনা সাকারে যাচ্ছে জাহাজটি। এরপরই অপেক্ষা ফুরাবে নাবিক ও তাঁদের পরিবারের। স্বদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন নাবিকেরা।

;

বনানীতে বাসে আগুন, আহত সেই মোটরসাইকেল চালক মারা গেছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাসের নিচে ঢুকে পরা মোটরসাইকেলটির চালক মারা গেছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শ্যামলির স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে স্পেশালাইজড হাসপাতালে।

শনিবার দুপুরে বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসের নিচে চলন্ত মোটরসাইকেল ঢুকে পরায় আগুন ধরে যায় বাসটিতে। এ সময় আতহ চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পথচারীরা। তবে ঘটনার পর থেকে আহত মোটরসাইকেল চালকের সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ।

;

সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে বাসের ধাক্কায়  এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ নোমান মোল্লা (৩৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার একতা গ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লার ছেলে। তিনি মাতুয়াইল মেডিকেল মহিলা মাদ্রাসার পাশে ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (২৭এপ্রিল) রাত পৌনে এগারোটার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নোমান মোল্লাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী রাজু বলেছেন, আজ রাতের দিকে ওই যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায় ওই আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ রোববার (২৮ এপ্রিল)। ১৯৫৪ সালের এ দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শেখ জামাল ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে ম্যাট্রিক ও ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন।

সংস্কৃতি ও ক্রীড়াপ্রেমী শেখ জামাল গিটার শেখার জন্য একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছিলেন এবং তিনি একজন ভালো ক্রিকেটারও ছিলেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস, বিএলএফ) যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসস্থ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রেখেছিলেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন তিনি। ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ঐ দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিহত হন শেখ জামাল।

শহিদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ রোববার সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং তার পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

;