রংপুর বিভাগে প্রাথমিকের ২৭ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পাবে নতুন বই



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
নতুন বই পেয়ে আনন্দিত শিশুরা, ফাইল ফটো

নতুন বই পেয়ে আনন্দিত শিশুরা, ফাইল ফটো

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন বছরের শুরুতে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

এবার বিভাগের আট জেলার প্রাথমিক স্তরের সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয়, প্রাক-প্রাথমিক ও কিন্ডার গার্টেনসহ সব বিদ্যালয়ের ২৭ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী বিনামূল্যে নতুন বই পাবে। এর মধ্যে শুধু রংপুর জেলার তালিকাতে রয়েছে চার লাখ ৬১ হাজার ১১ শিক্ষার্থী।

সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে এসব তথ্য জানিয়েছেন রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়াছমিন আখতার।

বই বিতরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আগামী বছরের জানুয়ারিতে রংপুর বিভাগের প্রাথমিক স্তরের ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯২ শিক্ষার্থীর মধ্যে বই বিতরণ করা হবে।

এক সময় রংপুর অঞ্চলে বইয়ের জন্য মাসের পর মাস শিক্ষক ও অভিভাবকদের অপেক্ষা করতে হতো। অনেক অভিভাবকের নতুন বই কেনার সামর্থ্য ছিল না। কিন্তু বর্তমান সরকার এখন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। শিশুরা নতুন বছর নতুন বইয়ের রঙে গন্ধে উদ্বেলিত উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯২ শিক্ষার্থীর মধ্যে গাইবান্ধা জেলায় এক হাজার ৫২৪টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চার লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৫ জন, কুড়িগ্রাম জেলায় এক হাজার ২৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন লাখ ৩৭ হাজার ১২৭ জন ও লালমনিরহাট জেলায় ৭৬৭টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুই লাখ ৩৬ হাজার ৬১৪ জন শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেয়া হবে।

এছাড়াও রংপুর জেলার এক হাজার ৪৯১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার লাখ ৬১ হাজার ১১ জন, নীলফামারী জেলার এক হাজার ৯২টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালেয়র চার লাখ নয় হাজার ৫৩৫ জন, দিনাজপুর জেলার দুই হাজার ৭৬টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চার লাখ ৫৬ হাজার ২৪৬ জন, ঠাকুরগাঁও জেলার ৯৯৮টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে দুই লাখ ২৬ হাজার ৫৮ জন ও পঞ্চগড় জেলার ৬৮৩টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে এক লাখ ৫২ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বই বিতরণ করা হবে।

 নতুন বই পেয়ে আনন্দিত শিশুরা, ফাইল ফটো

এদিকে রংপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বর্তমান সরকার শিশুদের জন্য নতুন বছরের শুরুতে বই উৎসবের আয়োজন করেছে। আমরা কয়েক বছর ধরে সরকারের দেওয়া নতুন বই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করছি। এবারও ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বই উৎসব উদযাপন করবে।

রংপুর বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) খন্দকার মো. ইকবাল হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, প্রতিটি জেলায় বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন বই বিতরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বইয়ের চাহিদা নেওয়া হয়েছে। আমরা বিগত সময়ের মত আনন্দ ও উৎসব মুখর পরিবেশে বছরের শুরুতে বিনামূল্যে সরকারের দেওয়া নতুন বই বিতরণ করব।

এ সময় বিনামূল্যের বিতরণের জন্য দেওয়া বই নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেলে অভিযুক্ত শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

   

বিপাকে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

রংপুরে কোরবানি চামড়ার দাম নির্ধারণ করছেন আড়তদাররা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে কোরবানি চামড়ার দাম নির্ধারণ করছেন আড়তদাররা 

রংপুরে কোরবানি চামড়ার দাম নির্ধারণ করছেন আড়তদাররা 

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে কোরবানির পশুর চামড়া কেনা নিয়ে চরম নৈরাজ্যের অভিযোগ উঠেছে। আড়তদাররা ইচ্ছেমতো দাম নির্ধারণ করে পানির দামে চামড়া কিনছেন। রংপুরের পুরো চামড়ার বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে, রিকশা-ভ্যানে করে শত শত চামড়া নিয়ে আসছেন মৌসুমি ও চামড়া ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী প্রতি পিস চামড়া ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও আড়তদাররা সর্বোচ্চ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।

পশুর চামড়া বিক্রির ব্যাপারে জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এমনকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কোনও তৎপরতাও লক্ষ্য করা যায়নি বলে অভিযোগ মৌসুমি ব্যবসায়ী ও নগরবাসীর। ফলে মানুষকে জিম্মি করে সরকারনির্ধারিত মূল্যে বর্গফুট হিসেবে চামড়া না কিনে গড়পড়তা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে বাধ্য করেছে তারা (সিন্ডিকেট)।

রংপুর নগরীর হাজিরহাট থেকে ১শ ২০টি চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুর মালেক জানান, প্রতিবর্গফুট মাঝারি গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ৮০০ এবং বড় গরুর চামড়া হাজার থেকে বারোশ দাম হওয়ার কথা। তিনি গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। গাড়ি ভাড়া আনুষঙ্গিক খরচসহ সাড়ে ৬০০ টাকা পড়েছে। কিন্তু আড়তদাররা ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে তাকে বিপুল পরিমাণ অর্থ গচ্চা দিতে হবে।

অন্যদিকে, রংপুর নগরীর স্টেশন এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী জামাল ও দর্শনা এলাকার সাজ্জাদুল ইসলাম জানালেন, তারা ৫০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন কিন্তু আসল টাকা দামও বলছেন না আড়তদাররা। রংপুরের চামড়ার আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে নিজেদের মনোপলি দাম নির্ধারণ করে মানুষকে জিম্মি করে ফেলেছেন। চামড়ার ন্যায্যমূল্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারির কথা বলা হলেও তাদের কোনও তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা।

এ ব্যাপারে রংপুর মেট্রোপলিটান চেম্বার প্রেসিডেন্ট রেজাউল ইসলাম মিলন অভিযোগ করেছেন, কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী তাদের মনোপলি দাম নির্ধারণ করে সাধারণ বিক্রেতাদের জিম্মি করে ফেলেছেন। সরকার ফুট হিসেবে দাম নির্ধারণ করে দিলেও তারা তা মানছেন না।

এদিকে, রংপুর বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবার রংপুর মহানগরীসহ পুরো জেলাতে দুই লাখেরও বেশি গরু কোরবানি হয়েছে। খাসি হয়েছে প্রায় লাখেরও কাছাকাছি।

;

ঈদে বাড়ি ফেরা হলো না দুই সহোদরের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদে বাড়ি ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই সহোদর নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার সোহাগপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে

নিহতরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার মেরাসানী গ্রামের ওবায়দুর রহমান খানের ছেলে রবিউল খান (৫০) ও হুমায়ুন খান (৪৫)। এ ঘটনায় মনিরুল ইসলাম নামে আরও একজন আহত হয়েছেন। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের গাড়ি চালক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বাড়ি নোয়াখালী জেলায়।

পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, রবিউল খান ও হুমায়ুন খান ঢাকায় জুতার ব্যবসা করেন। ঈদ উপলক্ষে সকালে তারা তিনজন মিলে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে আশুগঞ্জের সোহাগপুর এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশীষ কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

;

ট্যানারিতে ঢুকতে শুরু করেছে কাঁচা চামড়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে ঈদের কোরবানির পশুর চামড়া ঢুকতে শুরু করেছে।

সোমবার (১৭ জুন) দুপুর থেকেই ঢাকা ও এর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পশুর চামড়া বোঝাই ট্রাক ট্যানারিতে নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

ট্যানারিগুলো ঘুরে দেখা যায়, চামড়া সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন শ্রমিকরা। আগামী এক দিন লবণবিহীন কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করা হবে এখানে। এরপর প্রায় মাসজুড়েই লবণ মাখানো কাঁচা সংগ্রহ করা হবে।

সরকার ঈদ-উল-আজহাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি পশুর চামড়ার দাম বেঁধে দেয়। এ অনুযায়ী, এবার ঢাকার মধ্যে কোরবানি গরুর চামড়ার মূল্য ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ৫৫-৬০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০-৫৫ টাকা। একই সঙ্গে প্রতিপিস চামড়ার সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ঢাকায় প্রতিপিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় ১,২০০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১,০০০ টাকা।

কয়েকটি ট্যানারি ঘুরে ও চামড়া নিয়ে আসা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে চামড়ার দাম নিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।


ঢাকার কদমতলীর মেরাজনগর মাদরাসা মো. বাহারুল হক বলেন, দুটি ট্রাকে করে এক হাজারের বেশি চামড়া নিয়ে এসেছি। আসার পথে আমিনবাজারে সমস্যা হয়েছিল। একটি দল গাড়ি থামিয়ে চাঁদা চেয়েছিল। তবে চামড়া ট্যানারিতে দিব বলে সেখানে বিক্রি করিনি। পরে ট্যানারিতে নিয়ে আসি। বাজারমূল্য হিসেবে যে দাম, সেই হিসেবে দাম পেয়েছি।

নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকার জামিয়া আশরাফিয়া মাদ্রাসা থেকে ৬০০টির বেশি চামড়া নিয়ে এসেছেন হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, মোটামুটি দাম পাচ্ছি। আর কোথাও যাচাই করিনি। সড়কে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি।

সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে অবস্থিত আজমির লেদারের মালিক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, এখানে লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়া ঢুকছে। এগুলো লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এভাবে অন্তত দুই আড়াই মাস রাখা যাবে। আমরা সরাসরি মাদরাসা থেকে চামড়া কিনছি। আগেই কথা বলা ছিল। সেগুলোই নিচ্ছি। সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, লবণ যুক্ত চামড়া ১২০০ টাকা করে। লবণ মাখাতে ২০০-২৫০ টাকা লাগে। এই খরচ বাদ দিয়ে কাঁচা চামড়া কেনা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও সালমা ট্যানারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, এ বছর ঈদের দিন ও পরের দিন মিলিয়ে পাঁচ লাখের বেশি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। দুপুরের দিক থেকেই চামড়া ঢুকতে শুরু করেছে। সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।

চামড়া শিল্পনগরীর প্রস্তুতির বিষয়ে সাভারের বিসিক চামড়া শিল্পনগরীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান রিজোয়ান বলেন, দুপুর থেকে এরমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি কাঁচা চামড়া ট্যানারিতে ঢুকেছে। এ বছর আমাদের ছয় লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। আশা করছি আজ ও আগামীকাল আরও চামড়া ঢুকবে। এ পর্যন্ত চামড়া পরিবহনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। আমাদের টিম কাজ করছে।

;

খাগড়াছড়িতে ডিসি অ্যাডভেঞ্চার পার্কে পানিতে ডুবে পর্যটকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার পার্কের লেকে কায়াকিং করতে নামে পানিতে ডুবে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৭ জুন) দুপুরে মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার পার্কের লেকে এ ঘটনা ঘটে।

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ইসরাফিল মানিকছড়ি গুচ্ছগ্রাম এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় কাশেমুল উলুম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

জানা যায়, দুপুরে মানিকছড়ি ডিসি অ্যাডভেঞ্চার পার্কের লেকে কায়াকিং করতে নামে নিহত ইসরাফিলসহ তিনজন। কায়াকিংয়ের একপর্যায়ে পাড়ে নেমে পুনঃরায় লাফ দিয়ে কায়াকিং বোটে উঠতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায় ইসরাফিল। সাঁতার না পারায় তাৎক্ষণিক পানিতে তলিয়ে যায়। পরে পার্কে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল উদ্দিন জানান, পরিবারের সম্মতিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হচ্ছে।

;