চারদিকে শোনা যায় ‌'আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন' আওয়াজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
ঘাঘট নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ঘাঘট নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হয় ইজতেমা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অশ্রুসিক্ত কান্নার আওয়াজ আর ‌'আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন' ধ্বনিতে মুখরিত আকাশ-বাতাস। তখন ঘড়ির কাটায় বেলা ১১টা ৩৫ মিনিট। একটানা ২৭ মিনিট চারদিকে শুধু এই আওয়াজ ভেসে বেড়ায়।

থেমে থেমে কান্নার আওয়াজে ছিল মুসলিম জাহানের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিসহ আল্লাহ তায়ালার রহমত ও পাপাচার থেকে ক্ষমা প্রার্থনার আকুতি মিনতি।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টা ২ মিনিটে এভাবেই আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ঘাঘট নদীর তীরে আয়োজিত রংপুরের ইজতেমা।

দিল্লীর নিজামুদ্দিনের অনুসারী কাকরাইল মারকাজের মুরব্বি মাওলানা আশরাফ আলী এই আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। বাংলা ও আরবি ভাষায় মোনাজাত করেন তিনি। আখেরি মোনাজাতে প্রায় সোয়া চার লাখ মানুষ অংশ নেন।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে শুরু হওয়া আখেরি মোনাজাত শেষ হয় দুপুর ১২টা ২ মিনিটে। এ সময় ইজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। ৪০ একর আয়তনের বিশাল এই ইজতেমা ময়দানের জনস্রোত ছড়িয়ে পড়ে মাঠের বাইরেও।

মোনাজাতের সময় অনেক মুসল্লিকে মাঠের আশপাশের রাস্তা, অলি-গলি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ভবনের ছাদে অবস্থান করতে দেখা গেছে।

মোনাজাতে মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি তো ক্ষমাশীল, আপনার কাছেই তো আমরা ক্ষমা চাইব। তাই আমরা ক্ষমা চাইছি, আপনার দয়া ভিক্ষা চাচ্ছি। আমাদের ওপর দয়া করুন। দ্বীনের ওপর আমাদের চলা সহজ করে দিন। আপনি আমাদের ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। আমাদেরকে দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করুন।’

সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর মধ্যে শান্তি ও রহমত দানের ফরিয়াদে দু'হাত তুলে মুসল্লিরা- মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে মুসলমানদের ওপর নির্যাতন, বোমা হামলা, হত্যা, ব্যভিচার, অন্যায়ে লিপ্ত জাতি, গোষ্ঠী, সমাজ ও কর্তাপ্রধানদের হেদায়েত দান করার জন্য আকুতি জানান।

এদিকে আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আগের দিন রাত থেকেই রংপুর বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন এলাকার মুসল্লিরা ইজতেমাস্থলে পৌঁছান। এছাড়াও রংপুরের বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভোর থেকে দলে দলে পায়ে হেঁটেই ইজতেমা মাঠে আসেন।

এর আগে ভোরে ফজরের নামাজের পর বয়ান করেন মাওলানা মাসুম বিল্লাহ। পরে সকাল ১০টা থেকে সোয়া ১১টা পর্যন্ত হেদায়েতের ওপর আলোচনা করেন মাওলানা ফজলুল হক। শেষে মাওলানা আশরাফ আলী আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।

   

৪২.৬ ডিগ্রিতে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, জনজীবনে নাভিশ্বাস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা তৃতীয় দিনের মতো চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ৩টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৪৮ শতাংশ।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, বাতাসে জলীয়বাষ্পের আধিক্য হওয়ার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। এদিকে, সূর্যের আগুনে ঝলসে যাচ্ছে প্রাণ ও প্রকৃতি। ভ্যাপসা গরমে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। 

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি ও শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আজ দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ২২ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রার পারদ আরও ৩ ডিগ্রি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৪৮ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, এপ্রিল মাসের শুরু থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু, মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। এসময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরও জানান, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় সকলকে সাবধানে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে, টানা তাপদাহের ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের জনপদ। দিন-রাত প্রায় সমানতালে গরম অনুভূত হচ্ছে। এই গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে অনেকে বৈদ্যুতিক ডিপ টিউবওয়েলের পানিতে গোসল করছেন। অনেকে আবার ডাব ও ঠাণ্ডা লেবুর শরবত পান করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের কাঁচাবাজার করতে আসা নাসরিন আক্তার বলেন, 'এই গরমে বাইরে বের হলেই অনেক পানি পিপাসা লাগে। শরীর অনেক ঘেমে যায়। বাজার করতে এসেছিলাম, মনে হচ্ছে শরীর আগুনে ঝলসে যাচ্ছে। তাই লেবুর শরবত খেতে শরবতের দোকানে এসেছি।'

জীবননগর উপজেলার একটি চাতালে ভুট্টা শুকানোর কাজ করছিলেন আমির হোসেন নামের এক দিনমজুর। তিনি জানান, 'এই কড়া রোদের মধ্যে ভুট্টা শুকাতে এসে মনে হচ্ছে নিজেই শুকিয়ে যাচ্ছি। তাই একটু পরপর হাতে-মুখে পানি দিয়ে নিচ্ছি।'

;

টাঙ্গাইলে কাগজপত্র সঠিক না থাকায় ৩ বাসকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে কাগজপত্র সঠিক না থাকায় তিন বাসকে সাড়ে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার(২৭ এপ্রিল) সকালে মহাসড়কের রাবনা বাইপাস এলাকায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাইমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) টাঙ্গাইলের মোটরযান পরিদর্শক গোলাম সরওয়ারসহ আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ম্যাজিস্ট্রেট মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র যৌথ উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তিনটি বাস সঠিক কাগজপত্র না দেখানোর কারণে ১৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

;

লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আটক

লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের নন্দনপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদসহ ৫টি ইউপিতে আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মহড়া দিচ্ছে। আজ শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসন সুরাইয়া জাহান ও জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে টহল দেয়। এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমতিয়াজ ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর শাহ আলমকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাবার পথে পুলিশ গতিরোধ করে। পরে ইমতিয়াজকে আটক করে পুলিশ।
ইমতিয়াজ ওই নির্বাচনী এলাকায় একজন বহিরাগত হিসেবে প্রবেশ করে বলে জানা যায়।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, আটকের বিষয়টি জানা নেই।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে। তবে আটকের নির্দিষ্ট কারণ জানাতে পারেননি তিনি।

;

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে: ধর্মমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে: ধর্মমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান বলেছেন, আবহমানকাল ধরে বাংলা ও বাঙালির ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে সুসংহত করতে হবে। এই সম্প্রীতি যেন নষ্ট না হয়, এ বিষয়ে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

শনিবার (২৭ মার্চ) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের আয়োজনে ময়মনসিংহের টাউন হলে ময়মনসিংহ বিভাগের পুরোহিত ও সেবাইত সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্য ছিলো একটি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে। প্রতিষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার। এরূপ অভিপ্রায় থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধিকার আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন বাংলাদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ একটি রাষ্ট্র। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা।

সমাজ গঠনে ধর্মীয় নেতাদের ভূমিকা তুলে ধরে ধর্মমন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে সব ধর্মের মানুষের কাছেই তাদের নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় নেতাদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধার চোখে দেখে, সম্মান করে। বিভিন্ন পরামর্শের জন্য তাদের দারস্থ হয়। তাদের আদেশ-নির্দেশ মেনে চলে। এই শ্রেণির মানুষগুলোকে আমরা যদি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে পারি এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে যদি তাদেরকে আরেকটু শানিত বা দক্ষ করে তুলতে পারি তাহলে দেশ ও জাতি অনেক বেশি উপকৃত হতে পারে।

পুরোহিত ও সেবাইতদের উদ্দেশ্যে ধর্মমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাই পারেন আপনাদের কমিউনিটির মানুষের মধ্যে সঠিক ধর্মীয় জ্ঞানের প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি তাদেরকে আদর্শ ও নিষ্ঠাবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে। আমাদের সমাজে যে সব সামাজিক ব্যাধি রয়েছে বিশেষ করে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, মাদকাসক্তি, দুর্নীতি, ভেজাল, মজুতদারীর মতো ব্যাধি প্রতিরোধেও আপনারা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন। তিনি এসব বিষয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের অগ্রণী ভূমিকা রাখার অনুরোধ জানান।

মন্ত্রী আরও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের পুরোহিত ও সেবাইতদেরকে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলা সম্ভব হলে একদিকে যেমন অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাবে, অন্যদিকে সামাজিক সমতার ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটবে। এছাড়া যথাযথ ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রমের বিকাশ ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলা সম্ভব হলে দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধিত হবে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের মাঝে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা সম্ভব হবে। জাতীয়তা ও ভাতৃত্ববোধ দৃঢ় ও অটুট হবে। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বেগবান হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধন ও ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি হবে। এছাড়া, ভাতাপ্রাপ্ত পুরোহিত ও সেবাইতরা কিভাবে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন সেই সাফল্যগাঁথাও সবাই জানতে পারবে। এর মধ্য দিয়ে সবার মধ্যে অনুপ্রেরণা বা প্রেষণা সৃষ্টি হবে। আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যাব।

বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু, রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শাহ আবিদ হোসেন, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহম্মেদ ভূঞা, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পাল, প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর শিখা চক্রবর্তী, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি ইঞ্জিনিয়ার রতন কুমার, অঙ্কন কর্মকার, উত্তম চক্রবর্তী রকেট, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাড. বিকাশ রায় প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় ও আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে পুরোহিত ও সেবাইতদের দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) এর অধীনে এ সম্মেলনে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সাতটি জেলার পুরোহিত ও সেবাইতরা অংশগ্রহণ করেন। এ প্রকল্পের মাধ্যমে পুরোহিত ও সেবাইত প্রশিক্ষণ দারিদ্র্য বিমোচনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ করবে। প্রশিক্ষণ নিয়ে পুরোহিত ও সেবাইতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। দেশের বেকার যুবক-যুবতীরা এখানে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। এছাড়া পুরোহিত ও সেবাইতরা ভাতাপ্রাপ্তির মাধ্যমে তারা আর্থিকভাবে সচ্ছল হচ্ছেন। ফলে দারিদ্য বিমোচনে প্রকল্পটি সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এছাড়া সবাইকে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে।

;